রাজশাহী প্রতিনিধি

নয় মাস মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে। কিন্তু সেদিনও শত্রুমুক্ত হয়নি রাজশাহী। বেতারে আসা আত্মসমর্পণের খবরকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়ে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা চালায় রাজাকারেরা। চলতে থাকে যুদ্ধ। ফলে পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দুদিন পর ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী শত্রুমুক্ত হয়েছিল।
বিজয়ের আগের দিন ১৫ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী ঢুকেছিল সাতজন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল। এই দলে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান। তিনি বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আমরা রাজশাহী পৌঁছে যাই। রাতে রাজশাহী কলেজের কলা ভবনে থাকি। ১৬ ডিসেম্বর বোয়ালিয়া ক্লাব, সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা হল, উপশহরের বেশ কিছু ক্যাম্পে অভিযান চালান মুক্তিযোদ্ধারা। আত্মসমর্পণের খবরকে “গুজব” বলে রাজশাহীতে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছিল রাজাকারেরা। তবে সেদিনই মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযানে জোহা হলে আটকে রাখা সবাই মুক্ত হয়ে যান। ১৬ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী শত্রুমুক্ত হতে থাকে। ১৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজশাহী শত্রুমুক্ত হয়।’
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭ নম্বর সেক্টরের অধীন রাজশাহী ৪ নম্বর সাব-সেক্টরের গেরিলা লিডার ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান রাজা। তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের খবরের পরই মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ রাজশাহীর রাজপথে নেমে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মেতে ওঠে। সন্ধ্যা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকতে থাকেন। তবে তখনো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজশাহী ছেড়ে যেতে পারেনি। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে থাকে। দু-একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানি ক্যাম্পগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ১৭ ডিসেম্বর অনেক মুক্তিযোদ্ধা রাজশাহী শহরে পৌঁছে যান। এর পর ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী নগরের মাদ্রাসা মাঠে ৭ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর গিয়াস উদ্দীন স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রাজশাহীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন। সেদিন হাজার হাজার মানুষ ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সমবেত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বরণ করে নেন।

নয় মাস মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে। কিন্তু সেদিনও শত্রুমুক্ত হয়নি রাজশাহী। বেতারে আসা আত্মসমর্পণের খবরকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়ে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা চালায় রাজাকারেরা। চলতে থাকে যুদ্ধ। ফলে পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দুদিন পর ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী শত্রুমুক্ত হয়েছিল।
বিজয়ের আগের দিন ১৫ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী ঢুকেছিল সাতজন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল। এই দলে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান। তিনি বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আমরা রাজশাহী পৌঁছে যাই। রাতে রাজশাহী কলেজের কলা ভবনে থাকি। ১৬ ডিসেম্বর বোয়ালিয়া ক্লাব, সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা হল, উপশহরের বেশ কিছু ক্যাম্পে অভিযান চালান মুক্তিযোদ্ধারা। আত্মসমর্পণের খবরকে “গুজব” বলে রাজশাহীতে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছিল রাজাকারেরা। তবে সেদিনই মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযানে জোহা হলে আটকে রাখা সবাই মুক্ত হয়ে যান। ১৬ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী শত্রুমুক্ত হতে থাকে। ১৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজশাহী শত্রুমুক্ত হয়।’
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭ নম্বর সেক্টরের অধীন রাজশাহী ৪ নম্বর সাব-সেক্টরের গেরিলা লিডার ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান রাজা। তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের খবরের পরই মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ রাজশাহীর রাজপথে নেমে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মেতে ওঠে। সন্ধ্যা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকতে থাকেন। তবে তখনো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজশাহী ছেড়ে যেতে পারেনি। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে থাকে। দু-একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পাকিস্তানি ক্যাম্পগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ১৭ ডিসেম্বর অনেক মুক্তিযোদ্ধা রাজশাহী শহরে পৌঁছে যান। এর পর ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী নগরের মাদ্রাসা মাঠে ৭ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর গিয়াস উদ্দীন স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রাজশাহীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন। সেদিন হাজার হাজার মানুষ ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সমবেত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বরণ করে নেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
৩ মিনিট আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৩ ঘণ্টা আগে