আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বিস্তৃত মাঠজুড়ে ইটের স্তূপ। কোথাও কাদাপানিতে ভরা গর্ত; আবার কোথাও পোঁতা বাঁশের খুঁটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি স্টেডিয়াম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয় দশকের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেড় মাসব্যাপী মেলার আয়োজন শেষে মাঠ খুঁড়ে রেখে এভাবেই ফেলে গেছে আয়োজকেরা। মেলার অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে তিন মাস ধরে অনুশীলন ও খেলাধুলা বন্ধ আছে স্টেডিয়ামটিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে গত ১০ মে এক মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। মাসব্যাপী মেলা চলার কথা থাকলেও প্রায় দেড় মাস পর গত ২২ জুলাই মেলা শেষ হয়। আয়োজক কমিটির সঙ্গে কথা ছিল, মেলা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করে খেলার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু মেলা শেষ হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত খেলার মাঠে ইটপাটকেল ও বাঁশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এতে করে ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়, কোচ ও সচেতন মহল। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি ও মেলা কমিটির আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আবহাওয়া ভালো হলে এক সপ্তাহের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করা হবে।
গত বুধবার বিকেলে মাঠে গিয়ে ইট ও বাঁশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আবার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে জমে আছে পানি। সেখানে অনুশীলনে আসা তাহমীদ ফয়সাল নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তিন মাসের বেশি সময় তাঁরা এ মাঠে খেলতে পারছেন না। জেলা শহরের বাইরে বারঘরিয়া এলাকার ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক বাচ্চু স্টেডিয়ামে খেলতে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থী তাহমীদ বলেন, ‘ক্রিকেট খেলার জন্য পুরোনো স্টেডিয়াম উপযুক্ত ছিল। কিন্তু মেলার কারণে চার মাস এখানে খেলতে পারছি না। বারঘরিয়া এলাকার ওই স্টেডিয়ামে খেলার জন্য যাচ্ছি। তবে ওই স্টেডিয়ামটি কিছুটা দূরে হওয়ার কারণে অনেকেই খেলতে যাচ্ছে না। আগে যারা অনুশীলন করত, এখন তাদের অনেকেই আসছে না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুশীলনে আসা এক খেলোয়াড় বলেন, ‘এক মাসের সময় নিয়ে মেলার আয়োজন করে দেড় মাস করল। মেলা শেষ হওয়ার এক মাস পার হয়ে যাচ্ছে। তবুও ইট-বাঁশ সরাচ্ছে না। মাঠটি দেখে মনে হচ্ছে পরিত্যক্ত ইটভাটা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার আজীবন সদস্য তৌফিকুল ইসলাম তোফা একপ্রকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিছু চাটুকার লোকের কারণে খেলার অঙ্গনটা এখন ধ্বংসের পথে। খেলাধুলা না হলে সমাজে অপরাধের প্রবণতা বাড়বে।
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘মেলা করার মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জে বহু ফাঁকা জায়গা আছে। সেখানে গিয়ে করলে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর জন্য ভালো হতো।’
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘মেলা শেষ হওয়ার ১০-১৫ দিনের মধ্যে যেখানে মাঠ পরিষ্কার হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এত দিন চলে গেলেও আজ অবধি মাঠটি পরিষ্কার করা হয়নি। মাঠটি দ্রুত পরিষ্কার করে তরুণদের খেলাধুলার উপযোগী করা হোক—এটাই আমাদের দাবি।’
কথা হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি এবং শিল্প ও বাণিজ্য মেলা কমিটির আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে ইটগুলো ভেজা থাকায় সরানো যাচ্ছে না। আবহাওয়া ভালো হলে এক সপ্তাহ সময় লাগবে মাঠটি পরিষ্কার করতে।’
এ বিষয়ে জানতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক আব্দুস সামাদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বিস্তৃত মাঠজুড়ে ইটের স্তূপ। কোথাও কাদাপানিতে ভরা গর্ত; আবার কোথাও পোঁতা বাঁশের খুঁটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি স্টেডিয়াম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয় দশকের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেড় মাসব্যাপী মেলার আয়োজন শেষে মাঠ খুঁড়ে রেখে এভাবেই ফেলে গেছে আয়োজকেরা। মেলার অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে তিন মাস ধরে অনুশীলন ও খেলাধুলা বন্ধ আছে স্টেডিয়ামটিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে গত ১০ মে এক মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। মাসব্যাপী মেলা চলার কথা থাকলেও প্রায় দেড় মাস পর গত ২২ জুলাই মেলা শেষ হয়। আয়োজক কমিটির সঙ্গে কথা ছিল, মেলা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করে খেলার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু মেলা শেষ হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত খেলার মাঠে ইটপাটকেল ও বাঁশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এতে করে ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়, কোচ ও সচেতন মহল। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি ও মেলা কমিটির আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আবহাওয়া ভালো হলে এক সপ্তাহের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করা হবে।
গত বুধবার বিকেলে মাঠে গিয়ে ইট ও বাঁশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আবার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে জমে আছে পানি। সেখানে অনুশীলনে আসা তাহমীদ ফয়সাল নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তিন মাসের বেশি সময় তাঁরা এ মাঠে খেলতে পারছেন না। জেলা শহরের বাইরে বারঘরিয়া এলাকার ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক বাচ্চু স্টেডিয়ামে খেলতে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থী তাহমীদ বলেন, ‘ক্রিকেট খেলার জন্য পুরোনো স্টেডিয়াম উপযুক্ত ছিল। কিন্তু মেলার কারণে চার মাস এখানে খেলতে পারছি না। বারঘরিয়া এলাকার ওই স্টেডিয়ামে খেলার জন্য যাচ্ছি। তবে ওই স্টেডিয়ামটি কিছুটা দূরে হওয়ার কারণে অনেকেই খেলতে যাচ্ছে না। আগে যারা অনুশীলন করত, এখন তাদের অনেকেই আসছে না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুশীলনে আসা এক খেলোয়াড় বলেন, ‘এক মাসের সময় নিয়ে মেলার আয়োজন করে দেড় মাস করল। মেলা শেষ হওয়ার এক মাস পার হয়ে যাচ্ছে। তবুও ইট-বাঁশ সরাচ্ছে না। মাঠটি দেখে মনে হচ্ছে পরিত্যক্ত ইটভাটা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার আজীবন সদস্য তৌফিকুল ইসলাম তোফা একপ্রকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিছু চাটুকার লোকের কারণে খেলার অঙ্গনটা এখন ধ্বংসের পথে। খেলাধুলা না হলে সমাজে অপরাধের প্রবণতা বাড়বে।
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘মেলা করার মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জে বহু ফাঁকা জায়গা আছে। সেখানে গিয়ে করলে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর জন্য ভালো হতো।’
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘মেলা শেষ হওয়ার ১০-১৫ দিনের মধ্যে যেখানে মাঠ পরিষ্কার হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এত দিন চলে গেলেও আজ অবধি মাঠটি পরিষ্কার করা হয়নি। মাঠটি দ্রুত পরিষ্কার করে তরুণদের খেলাধুলার উপযোগী করা হোক—এটাই আমাদের দাবি।’
কথা হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি এবং শিল্প ও বাণিজ্য মেলা কমিটির আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে ইটগুলো ভেজা থাকায় সরানো যাচ্ছে না। আবহাওয়া ভালো হলে এক সপ্তাহ সময় লাগবে মাঠটি পরিষ্কার করতে।’
এ বিষয়ে জানতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক আব্দুস সামাদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বিস্তৃত মাঠজুড়ে ইটের স্তূপ। কোথাও কাদাপানিতে ভরা গর্ত; আবার কোথাও পোঁতা বাঁশের খুঁটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি স্টেডিয়াম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয় দশকের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেড় মাসব্যাপী মেলার আয়োজন শেষে মাঠ খুঁড়ে রেখে এভাবেই ফেলে গেছে আয়োজকেরা। মেলার অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে তিন মাস ধরে অনুশীলন ও খেলাধুলা বন্ধ আছে স্টেডিয়ামটিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে গত ১০ মে এক মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। মাসব্যাপী মেলা চলার কথা থাকলেও প্রায় দেড় মাস পর গত ২২ জুলাই মেলা শেষ হয়। আয়োজক কমিটির সঙ্গে কথা ছিল, মেলা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করে খেলার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু মেলা শেষ হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত খেলার মাঠে ইটপাটকেল ও বাঁশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এতে করে ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়, কোচ ও সচেতন মহল। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি ও মেলা কমিটির আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আবহাওয়া ভালো হলে এক সপ্তাহের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করা হবে।
গত বুধবার বিকেলে মাঠে গিয়ে ইট ও বাঁশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আবার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে জমে আছে পানি। সেখানে অনুশীলনে আসা তাহমীদ ফয়সাল নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তিন মাসের বেশি সময় তাঁরা এ মাঠে খেলতে পারছেন না। জেলা শহরের বাইরে বারঘরিয়া এলাকার ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক বাচ্চু স্টেডিয়ামে খেলতে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থী তাহমীদ বলেন, ‘ক্রিকেট খেলার জন্য পুরোনো স্টেডিয়াম উপযুক্ত ছিল। কিন্তু মেলার কারণে চার মাস এখানে খেলতে পারছি না। বারঘরিয়া এলাকার ওই স্টেডিয়ামে খেলার জন্য যাচ্ছি। তবে ওই স্টেডিয়ামটি কিছুটা দূরে হওয়ার কারণে অনেকেই খেলতে যাচ্ছে না। আগে যারা অনুশীলন করত, এখন তাদের অনেকেই আসছে না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুশীলনে আসা এক খেলোয়াড় বলেন, ‘এক মাসের সময় নিয়ে মেলার আয়োজন করে দেড় মাস করল। মেলা শেষ হওয়ার এক মাস পার হয়ে যাচ্ছে। তবুও ইট-বাঁশ সরাচ্ছে না। মাঠটি দেখে মনে হচ্ছে পরিত্যক্ত ইটভাটা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার আজীবন সদস্য তৌফিকুল ইসলাম তোফা একপ্রকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিছু চাটুকার লোকের কারণে খেলার অঙ্গনটা এখন ধ্বংসের পথে। খেলাধুলা না হলে সমাজে অপরাধের প্রবণতা বাড়বে।
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘মেলা করার মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জে বহু ফাঁকা জায়গা আছে। সেখানে গিয়ে করলে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর জন্য ভালো হতো।’
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘মেলা শেষ হওয়ার ১০-১৫ দিনের মধ্যে যেখানে মাঠ পরিষ্কার হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এত দিন চলে গেলেও আজ অবধি মাঠটি পরিষ্কার করা হয়নি। মাঠটি দ্রুত পরিষ্কার করে তরুণদের খেলাধুলার উপযোগী করা হোক—এটাই আমাদের দাবি।’
কথা হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি এবং শিল্প ও বাণিজ্য মেলা কমিটির আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে ইটগুলো ভেজা থাকায় সরানো যাচ্ছে না। আবহাওয়া ভালো হলে এক সপ্তাহ সময় লাগবে মাঠটি পরিষ্কার করতে।’
এ বিষয়ে জানতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক আব্দুস সামাদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বিস্তৃত মাঠজুড়ে ইটের স্তূপ। কোথাও কাদাপানিতে ভরা গর্ত; আবার কোথাও পোঁতা বাঁশের খুঁটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি স্টেডিয়াম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয় দশকের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেড় মাসব্যাপী মেলার আয়োজন শেষে মাঠ খুঁড়ে রেখে এভাবেই ফেলে গেছে আয়োজকেরা। মেলার অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে তিন মাস ধরে অনুশীলন ও খেলাধুলা বন্ধ আছে স্টেডিয়ামটিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে গত ১০ মে এক মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। মাসব্যাপী মেলা চলার কথা থাকলেও প্রায় দেড় মাস পর গত ২২ জুলাই মেলা শেষ হয়। আয়োজক কমিটির সঙ্গে কথা ছিল, মেলা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করে খেলার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু মেলা শেষ হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত খেলার মাঠে ইটপাটকেল ও বাঁশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এতে করে ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়, কোচ ও সচেতন মহল। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি ও মেলা কমিটির আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আবহাওয়া ভালো হলে এক সপ্তাহের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করা হবে।
গত বুধবার বিকেলে মাঠে গিয়ে ইট ও বাঁশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আবার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে জমে আছে পানি। সেখানে অনুশীলনে আসা তাহমীদ ফয়সাল নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তিন মাসের বেশি সময় তাঁরা এ মাঠে খেলতে পারছেন না। জেলা শহরের বাইরে বারঘরিয়া এলাকার ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক বাচ্চু স্টেডিয়ামে খেলতে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থী তাহমীদ বলেন, ‘ক্রিকেট খেলার জন্য পুরোনো স্টেডিয়াম উপযুক্ত ছিল। কিন্তু মেলার কারণে চার মাস এখানে খেলতে পারছি না। বারঘরিয়া এলাকার ওই স্টেডিয়ামে খেলার জন্য যাচ্ছি। তবে ওই স্টেডিয়ামটি কিছুটা দূরে হওয়ার কারণে অনেকেই খেলতে যাচ্ছে না। আগে যারা অনুশীলন করত, এখন তাদের অনেকেই আসছে না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনুশীলনে আসা এক খেলোয়াড় বলেন, ‘এক মাসের সময় নিয়ে মেলার আয়োজন করে দেড় মাস করল। মেলা শেষ হওয়ার এক মাস পার হয়ে যাচ্ছে। তবুও ইট-বাঁশ সরাচ্ছে না। মাঠটি দেখে মনে হচ্ছে পরিত্যক্ত ইটভাটা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার আজীবন সদস্য তৌফিকুল ইসলাম তোফা একপ্রকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিছু চাটুকার লোকের কারণে খেলার অঙ্গনটা এখন ধ্বংসের পথে। খেলাধুলা না হলে সমাজে অপরাধের প্রবণতা বাড়বে।
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘মেলা করার মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জে বহু ফাঁকা জায়গা আছে। সেখানে গিয়ে করলে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর জন্য ভালো হতো।’
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘মেলা শেষ হওয়ার ১০-১৫ দিনের মধ্যে যেখানে মাঠ পরিষ্কার হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এত দিন চলে গেলেও আজ অবধি মাঠটি পরিষ্কার করা হয়নি। মাঠটি দ্রুত পরিষ্কার করে তরুণদের খেলাধুলার উপযোগী করা হোক—এটাই আমাদের দাবি।’
কথা হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি এবং শিল্প ও বাণিজ্য মেলা কমিটির আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে ইটগুলো ভেজা থাকায় সরানো যাচ্ছে না। আবহাওয়া ভালো হলে এক সপ্তাহ সময় লাগবে মাঠটি পরিষ্কার করতে।’
এ বিষয়ে জানতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক আব্দুস সামাদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন গুরুতর আহত হন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফেরি চলাচল...
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলায় পণ্ড হয়েছে। বহিরাগত ব্যক্তিদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করে। অনুষ্ঠানটিতে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান পরিবেশনের কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা দুই দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপন ধরেছে হাড়ে। এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শীত প্রভাব বিস্তার করেছে পশুপাখি ও কৃষিতেও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় ঠান্ডার অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। মোটা জ্যাকেট, মাফলারে ঢেকে জবুথবু হয়ে পথ চলতে দেখা যায় তাদের। হাড়কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হননি অনেকে। তবে ঘর থেকে বের হয়েও কাজ মিলছে না শ্রমজীবী মানুষের।
যশোর শহরের লালদীঘিপাড়ে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়ে থাকেন। তীব্র শীতে সেই সংখ্যা অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে। তারপরও কাজ না পাওয়ায় অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কিছু মানুষ অনেক বেলা অবধি অপেক্ষা করছেন কাজের আশায়।
বাহাদুরপুর এলাকার সুজন মিয়া বলেন, ‘শীতে এক দিন কাজ পাই তো, তিন দিন পাই না। এক সপ্তাহ ধরে কাজ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে বসে থেকেও কোনো লাভ হচ্ছে না।’
শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার নির্মাণশ্রমিক মো. মিনহাজ বলেন, ‘শীতে বাইরে দাঁড়াতে পারছি না। অনেক কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু উপায় নেই। কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। ঠিকমতো কাজও পাচ্ছি না।’

শহরের শংকরপুর এলাকার শ্রমজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের রঙের কাজ করি। কাজের সন্ধানে এসেছি। এখানে বসে আছি। এখনো কাজ পাইনি। শীতের ভেতরে অনেক কষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে ঘরের বাইরে বের হয়েছি। কাজ পাব কি না জানি না।’
শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক হানেফ আলী বলেন, ‘শীতে ঘর থেকে মানুষ বের হচ্ছে খুবই কম। এ জন্য যাত্রী পাচ্ছি না। আয়রোজগারও কমেছে। খুব কষ্টে দিন পার করছি।’
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বর, হাঁচি, কাশিসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে গরম পানি পান করাসহ গরম কাপড় ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা দুই দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপন ধরেছে হাড়ে। এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শীত প্রভাব বিস্তার করেছে পশুপাখি ও কৃষিতেও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় ঠান্ডার অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। মোটা জ্যাকেট, মাফলারে ঢেকে জবুথবু হয়ে পথ চলতে দেখা যায় তাদের। হাড়কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হননি অনেকে। তবে ঘর থেকে বের হয়েও কাজ মিলছে না শ্রমজীবী মানুষের।
যশোর শহরের লালদীঘিপাড়ে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়ে থাকেন। তীব্র শীতে সেই সংখ্যা অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে। তারপরও কাজ না পাওয়ায় অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কিছু মানুষ অনেক বেলা অবধি অপেক্ষা করছেন কাজের আশায়।
বাহাদুরপুর এলাকার সুজন মিয়া বলেন, ‘শীতে এক দিন কাজ পাই তো, তিন দিন পাই না। এক সপ্তাহ ধরে কাজ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে বসে থেকেও কোনো লাভ হচ্ছে না।’
শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার নির্মাণশ্রমিক মো. মিনহাজ বলেন, ‘শীতে বাইরে দাঁড়াতে পারছি না। অনেক কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু উপায় নেই। কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। ঠিকমতো কাজও পাচ্ছি না।’

শহরের শংকরপুর এলাকার শ্রমজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের রঙের কাজ করি। কাজের সন্ধানে এসেছি। এখানে বসে আছি। এখনো কাজ পাইনি। শীতের ভেতরে অনেক কষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে ঘরের বাইরে বের হয়েছি। কাজ পাব কি না জানি না।’
শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক হানেফ আলী বলেন, ‘শীতে ঘর থেকে মানুষ বের হচ্ছে খুবই কম। এ জন্য যাত্রী পাচ্ছি না। আয়রোজগারও কমেছে। খুব কষ্টে দিন পার করছি।’
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বর, হাঁচি, কাশিসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে গরম পানি পান করাসহ গরম কাপড় ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

বিস্তৃত মাঠজুড়ে ইটের স্তূপ। কোথাও কাদাপানিতে ভরা গর্ত; আবার কোথাও পোঁতা বাঁশের খুঁটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি স্টেডিয়াম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয় দশকের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেড় মাসব্যাপী মেলার আয়োজন শেষে মাঠ খুঁড়ে রেখে এভাবেই ফেলে গেছে আয়োজকেরা
০১ আগস্ট ২০২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন গুরুতর আহত হন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফেরি চলাচল...
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলায় পণ্ড হয়েছে। বহিরাগত ব্যক্তিদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করে। অনুষ্ঠানটিতে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান পরিবেশনের কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন গুরুতর আহত হন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), কেশবপুর উপজেলার চালতী বাড়ী গ্রামের বাবর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪০) এবং তার বোন বিউটি (৩০)। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি।
স্থানীয় ও ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা থেকে খুলনাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিরা অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা-পুলিশ, স্থানীয় থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনার পর কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন হলেও বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন গুরুতর আহত হন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), কেশবপুর উপজেলার চালতী বাড়ী গ্রামের বাবর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪০) এবং তার বোন বিউটি (৩০)। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি।
স্থানীয় ও ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা থেকে খুলনাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিরা অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা-পুলিশ, স্থানীয় থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনার পর কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন হলেও বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বিস্তৃত মাঠজুড়ে ইটের স্তূপ। কোথাও কাদাপানিতে ভরা গর্ত; আবার কোথাও পোঁতা বাঁশের খুঁটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি স্টেডিয়াম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয় দশকের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেড় মাসব্যাপী মেলার আয়োজন শেষে মাঠ খুঁড়ে রেখে এভাবেই ফেলে গেছে আয়োজকেরা
০১ আগস্ট ২০২৫
দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফেরি চলাচল...
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলায় পণ্ড হয়েছে। বহিরাগত ব্যক্তিদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করে। অনুষ্ঠানটিতে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান পরিবেশনের কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। আজ সকাল পৌনে ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। ঘাটে আটকে থাকা যানবাহনগুলো দ্রুত পারাপারের চেষ্টা চলছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।’

ঘন কুয়াশায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। আজ সকাল পৌনে ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। ঘাটে আটকে থাকা যানবাহনগুলো দ্রুত পারাপারের চেষ্টা চলছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।’

বিস্তৃত মাঠজুড়ে ইটের স্তূপ। কোথাও কাদাপানিতে ভরা গর্ত; আবার কোথাও পোঁতা বাঁশের খুঁটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি স্টেডিয়াম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয় দশকের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেড় মাসব্যাপী মেলার আয়োজন শেষে মাঠ খুঁড়ে রেখে এভাবেই ফেলে গেছে আয়োজকেরা
০১ আগস্ট ২০২৫
দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন গুরুতর আহত হন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগে
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলায় পণ্ড হয়েছে। বহিরাগত ব্যক্তিদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করে। অনুষ্ঠানটিতে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান পরিবেশনের কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলায় পণ্ড হয়ে গেছে। বহিরাগত ব্যক্তিদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করে। অনুষ্ঠানটিতে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান পরিবেশনের কথা ছিল।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সাংস্কৃতিক পর্ব চলাকালে এই ঘটনা ঘটে এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে শুরু থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভূমিকা নেয়নি বলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
জানা যায়, স্কুলটির ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী জমকালো আয়োজন করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে মঞ্চে এসে গান পরিবেশনের কথা ছিল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নগরবাউল জেমসের। এমন খবরে দূরদূরান্ত থেকে মাইক্রোবাস যোগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন অনেকে। তবে অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত না থাকায় বহিরাগত ব্যক্তিরা বাইরে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বহিরাগত ব্যক্তিদের ছোড়া ইটপাটকেলে অনেকে আহত হন। একপর্যায়ে বহিরাগত কয়েকজন সীমানাপ্রচীর ডিঙিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা তাদের বেধড়ক মারধর করেন। এর পর থেকে অনবরত ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে বহিরাগত ব্যক্তিরা। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা সহিংসতায় রূপ নেয় এবং শিক্ষার্থীদের জোটবদ্ধ ধাওয়ায় পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, রাত ৯টায় র্যাফল ড্র চলাকালে বাইরে থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেও দায়ী করেন অনেকে।

আনিসুর রহমান সজল নামের সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৪ হাজার রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এই আয়োজনে এবং আমরা আনন্দঘন পরিবেশেই ছিলাম। জেমস আসার কথা শুনে বহিরাগত ব্যক্তিরা এসে এই হামলা চালায়। অন্ততপক্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, মনিটর ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধারণ করে থাকি, কিন্তু হামলাকারীরা থামেনি। একের পর এক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল।’
এদিকে পরিস্থিতি উত্তপ্তের মধ্যে অনুষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম এই ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামছুল আজমের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলায় পণ্ড হয়ে গেছে। বহিরাগত ব্যক্তিদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করে। অনুষ্ঠানটিতে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নগরবাউল জেমসের গান পরিবেশনের কথা ছিল।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সাংস্কৃতিক পর্ব চলাকালে এই ঘটনা ঘটে এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে শুরু থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভূমিকা নেয়নি বলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
জানা যায়, স্কুলটির ১৮৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী জমকালো আয়োজন করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে মঞ্চে এসে গান পরিবেশনের কথা ছিল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নগরবাউল জেমসের। এমন খবরে দূরদূরান্ত থেকে মাইক্রোবাস যোগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন অনেকে। তবে অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত না থাকায় বহিরাগত ব্যক্তিরা বাইরে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বহিরাগত ব্যক্তিদের ছোড়া ইটপাটকেলে অনেকে আহত হন। একপর্যায়ে বহিরাগত কয়েকজন সীমানাপ্রচীর ডিঙিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা তাদের বেধড়ক মারধর করেন। এর পর থেকে অনবরত ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে বহিরাগত ব্যক্তিরা। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা সহিংসতায় রূপ নেয় এবং শিক্ষার্থীদের জোটবদ্ধ ধাওয়ায় পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, রাত ৯টায় র্যাফল ড্র চলাকালে বাইরে থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেও দায়ী করেন অনেকে।

আনিসুর রহমান সজল নামের সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৪ হাজার রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এই আয়োজনে এবং আমরা আনন্দঘন পরিবেশেই ছিলাম। জেমস আসার কথা শুনে বহিরাগত ব্যক্তিরা এসে এই হামলা চালায়। অন্ততপক্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, মনিটর ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধারণ করে থাকি, কিন্তু হামলাকারীরা থামেনি। একের পর এক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল।’
এদিকে পরিস্থিতি উত্তপ্তের মধ্যে অনুষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম এই ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামছুল আজমের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।

বিস্তৃত মাঠজুড়ে ইটের স্তূপ। কোথাও কাদাপানিতে ভরা গর্ত; আবার কোথাও পোঁতা বাঁশের খুঁটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি স্টেডিয়াম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয় দশকের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেড় মাসব্যাপী মেলার আয়োজন শেষে মাঠ খুঁড়ে রেখে এভাবেই ফেলে গেছে আয়োজকেরা
০১ আগস্ট ২০২৫
দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন গুরুতর আহত হন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশায় সাড়ে ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফেরি চলাচল...
১ ঘণ্টা আগে