Ajker Patrika

হিল্লা বিয়ে না করায় দুই মাস ধরে একঘরে দম্পতি

প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২১, ১৫: ০৯
হিল্লা বিয়ে না করায় দুই মাস ধরে একঘরে দম্পতি

মৌখিক তিন তালাকের জেরে পঞ্চগড়ে এক দম্পতিকে দুই মাস ধরে একঘরে করে রেখেছেন সমাজপতিরা। নির্মম ও চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের ছলিমনগর এলাকায়।

জানা গেছে, ছলিমনগর এলাকায় আয়নাল হক ও জমিরন বেগম প্রায় ৩০ বছর ধরে সংসার করে আসছেন। তাঁদের সংসারে চার সন্তানসহ নাতিপুতিও আছে। দরিদ্র ওই পরিবারের টানাটানির সংসারে দুই মাস আগে হঠাৎ করে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি হয়। পরে একপর্যায়ে রাগের বসে তাঁরা একে অপরকে তিন তালাক দিয়েছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ছলিমনগর জামে মসজিদের সভাপতি নাছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, শাহজান আলী, ইমান আলী, হাফেজ মোস্তফা কামাল, জুলহাস, সুরমান মেম্বার, আমির চাঁদ, আব্দুর রশিদ, দেলোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন সমাজপতি বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তাঁরা পার্শ্ববর্তী এলাকার মাওনালা মুফতি আনোয়ার হোসাইন ও হাফেজ মোস্তফা কামাল নামে দুজন আলেমকে নিয়ে এলে তাঁরা দুজন জমিরন বেগমকে হিল্লা বিয়ে দেওয়ার পর আবার বিয়ে করে সংসার করার ফতোয়া দেন। তা না হলে আয়নাল ও জমিরন একসঙ্গে সংসার ও বসবাস করতে পারবেন না বলে জানান তাঁরা। আর এই নিয়ম না মানলে সমাজচ্যুত করার হুমকি দেওয়া হয় আয়নাল হক ও জমিরন বেগমকে।

এদিকে স্বামী আয়নাল ও স্ত্রী জমিরন উভয়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হলে তাঁরা সমাজপতিদের সিদ্ধান্ত না মেনে দিনাজপুর খানসামা উপজেলায় জনৈক মাওলানার বাড়ি গিয়ে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। পরে সমাজপতিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ছলিমনগর জামে মসজিদ সমাজের সব সদস্যকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা, বাড়িতে যাতায়াত, কোনো জিনিসপত্র আদান-প্রদান, হাটবাজারসহ সবকিছুতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। বর্তমানে ওই দম্পতি সমাজের কারও সঙ্গে চলতে–ফিরতে পারছেন না। গ্রামের কোনো দোকান ওই দম্পতির কাছে কোনো পণ্য বিক্রি করছেন না, তাঁদের কোথাও কোনো কাজেও নেওয়া হচ্ছে না। সমাজপতিদের চাপে দীর্ঘ দুই মাস ধরে তাঁরা একঘরে অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সমাজপতিরা ওই দম্পতির ভাই, ছেলে, পরিবারের অন্য সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনকেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে তাঁদেরও একঘরে করা হবে এবং ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজপতিরা স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত করায় ভুক্তভোগী জমিরন নেছা গত সোমবার দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসানের বরাবর ১০ সমাজপতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সুন্দরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লক্ষণ চন্দ্র রায় জানান, আয়নাল ও জমিরন নেছা দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া–বিবাদ হয়ে আসছিল। দুই মাস আগে তাঁরা নিজেরা ঝগড়া করে একে অপরকে তালাক দিয়েছিলেন বলে আমি শুনেছি তাঁদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। আমি স্থানীয় কয়েকজন সমাজপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম, কিন্তু ইসলামি আইনকানুনের কথা বলে তাঁরা হিল্লা বিয়ে দিতে ইচ্ছুক। আমার কথা তাঁরা না শোনায় পরে আমি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। পরে শুনেছি আয়নাল হক তাঁর বাসায় এবং তাঁর স্ত্রী জমিরন ছেলে ওমর ফারুকের বাসায় বসবাস করছেন।

এ বিষয়ে ছলিমনগর জামে মসজিদের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সমাজের বৈঠকে লোকজনের উপস্থিততে মুফতি আনোয়ার হোসাইন ও হাফেজ মোস্তফা কামাল আয়নাল ও তাঁর স্ত্রী জমিরনকে সমাজ থেকে বয়কট এবং সমাজের লোকজনের সঙ্গে চলাচলে নিষেধাজ্ঞার ফতোয়া দেন ৷ মুফতি আনোয়ার হোসাইন ও হাফেজ মোস্তফা কামাল বলেছেন যে জমিরন মুখ দিয়ে বাইন তালাকের কথা বলায় তালাক হয়ে গেছে। জমিরনকে হিল্লা বিয়ে দিতে হবে। এর আগে তাঁর চেহারা দেখা যাবে না। তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে হবে। সমাজচ্যুত করতে হবে। সমাজের কোনো লোকজন তাঁদের সঙ্গে ওঠাবসা করতে পারবে না।

এ বিষয়ে আয়নাল হক ও জমিরন বেগমের বড় ছেলে ওমর ফারুক বলেন, `আমার বাবা-মায়ের তালাকের বিষয়টি নিয়ে মসজিদে সমাজপতিরা একাধিকবার বৈঠক করেছেন ৷ সর্বশেষ বৈঠকে সমাজপতিরা বাবা–মাকে আলাদা করে দিয়েছেন সমাজ থেকে। আমাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেন না তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমাদেরও একঘরে করে রাখা হবে এবং ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু আমার মা–বাবা তাঁদের নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মাওলানার কাছে গিয়ে আবার বিয়ে করেন। তার পরও সমাজপতিরা আমাদের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন। তারা আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা দিচ্ছেন।'

এদিকে লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. প্রত্যয় হাসান বলেন, `স্থানীয়ভাবে উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে মীমাংসার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিয়ে ছলিমনগর গ্রামে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। আমি নিজেও সেখানে উপস্থিত থাকব।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাহার। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাহার। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাহার (৫০) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার সকালে দুদক নোয়াখালীর উপসহকারী পরিচালক মো. জাহেদ আলম বাদী হয়ে দুদক বিশেষ আদালতে এ মামলাটি করেন।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বাহার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব। তিনি কাবিলপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।

দুদক জানায়, আনোয়ার হোসেন বাহার গত ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চলতি বছরের ১২ মে চেয়ারম্যান নিজের স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, দায়দেনা এবং আয়ের উৎস উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। গত ৩০ জুন বিবরণীর তথ্য যাচাইয়ের জন্য দুদক নোয়াখালীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, আনোয়ার হোসেন বাহার দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তাঁর নামে একটি দোতলা ভবন এবং জমিজমাসহ মোট ৪৭ লাখ ৩২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ২১ লাখ ৫৭ হাজার ৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৬৮ লাখ ৮৯ হাজার ৪১ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছে। কিন্তু তিনি দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১০ লাখ ৭৭ হাজার ১৩২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ৩৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ নিজ নামে ভোগদখলে রাখার তথ্য গোপন করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক নোয়াখালীর কোর্ট পরিদর্শক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আসামির বিরুদ্ধে মামলা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফেসবুকে ঘোষণার ৬ মাস পর টুঙ্গিপাড়ায় সমন্বয় কমিটি গঠন এনসিপির

 টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩২
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দেওয়ার ছয় মাস পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

আগামী তিন মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠন হওয়া পর্যন্ত এ কমিটি কার্যকর থাকবে বলে এনসিপির অফিশিয়াল পেজে জানানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এনসিপির গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আরিফুল দাড়িয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ৪ জুন এনসিপির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেওয়া হয় টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়াসহ ২০টি উপজেলা সমন্বয় কমিটি আসছে। সেই ঘোষণার ছয় মাস পর গতকাল রোববার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সমন্বয় কমিটির ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারীর পদ পেয়েছেন মুতাসিম বিল্লাহ (এম বিল্লাহ)। এ ছাড়া যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ পেয়েছেন শাহিদ আলম, শফিকুল ইসলাম, কোকিল মিয়াসহ ১০ জন। এ ছাড়া সদস্য পদ পেয়েছেন আরও ২৯ জন। সব মিলিয়ে ৪০ সদস্যবিশিষ্ট এ সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে।

এনসিপির গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আরিফুল দাড়িয়া বলেন, গতকাল ৪০ সদস্যবিশিষ্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সমন্বয় কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের সম্প্রসারণ ও কার্যক্রম গতিশীল করতে এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী, শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক তিন মানব পাচারকারী

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
কোস্ট গার্ডের অভিযানে আটককৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে আটককৃতরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফের দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন মানব পাচারকারীকে আটক করেছেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এ সময় পাহাড়ে বন্দী করে রাখা নারী, পুরুষ, শিশুসহ সাতজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটককৃতরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার আবদুর রহমান (৩২), হামিদ হোসেন (২৮) ও বড় ডেইল এলাকার হেলাল উদ্দীন (৩০)।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানান, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে কয়েকজনকে পাহাড়ে আটকে রাখার খবর পেয়ে অভিযান চালান তাঁরা। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়াসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চলে। অভিযানে পাহাড়ে বন্দী সাতজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় একটি দেশীয় তৈরি একনালা আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা জানান, তাঁদের বিদেশে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। পরে পাহাড়ে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছিল মানব পাচারকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নওগাঁয় বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 নওগাঁ প্রতিনিধি
পোরশা থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পোরশা থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর পোরশায় মজিবর রহমান (৫৬) নামে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মশিদপুর ইউনিয়নের গোরখাই গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

মজিবর রহমান গোরখাই গ্রামের মৃত ধলা মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মজিবর রহমান গতকাল রোববার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে আজ সকালে বাড়ির পাশে ঘোলাকুড়ি এলাকার একটি গাছের ডালে তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত