Ajker Patrika

নোয়াখালীতে বৃষ্টি কমলেও জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ, ঘরে ফিরতে পারছে না বহু মানুষ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীতে গত কয়েক দিনের অতিভারী বৃষ্টি বুধবার রাত থেকে কিছুটা কমলেও জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার বাসিন্দারা। খাল, নালা ও ড্রেন দিয়ে পানি দ্রুত নামতে না পারায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাইজদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতার কারণে শনিবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জের ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৮টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জরুরি সহায়তার জন্য ১০১টি মেডিকেল টিম এবং ৮৭১১ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে, হাতিয়া ছাড়া জেলার আটটি উপজেলায় ও পৌর এলাকাগুলোতে টানা বর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ সড়কই পানিতে ডুবে আছে। মাইজদীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সামনেও পানি জমে আছে। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

বিশেষ করে কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোর বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় মানুষ ঘরে ফিরতে পারছে না। ঘরের ভেতরে পানি থাকায় সাপের উপদ্রবের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারী বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যাওয়ায় ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। বিভিন্ন খামারে মারা গেছে অনেক মুরগি, তবে এখনো ক্ষতির পরিসংখ্যান করতে পারেনি প্রাণিসম্পদ অফিস। ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছে আমনের বীজতলা ও সবজিচাষিরা।

স্থানীয়রা বলছেন, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং পানি নিষ্কাশনে খাল, নালা ও জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলে যেভাবে পানি নেমে যাওয়ার কথা সেভাবে নামছে না। ২০২৪ সালের আগস্টের বন্যার পর এক বছর শেষ হলেও খালগুলো দখলমুক্ত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করতে না পারায় প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করছে জেলাবাসী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বন্ধুদের সঙ্গে বান্দরবান যাওয়ার পথে প্রাণ গেল যুবকের

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
দুর্ঘটনায় আহত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনায় আহত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মিনি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ইব্রাহিম (৪১) নামের এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সালাউদ্দিন নামের মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে কালিকাপুর ইউনিয়ন মিরশ্বানী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফায়েল আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ইব্রাহিম ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া এলাকার ডগার পশ্চিম পাড়ার আবু তালেবের ছেলে। নিহত ব্যক্তির বন্ধু সোহেল জানান, ছয়টি মোটরসাইকেলে ঢাকার ডেমরা থেকে আট বন্ধু বান্দরবানে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন। উপজেলার মিরশ্বানী এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব দিক থেকে আসা একটি মিনি ড্রাম ট্রাক মহাসড়কে উঠতে গেলে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ইব্রাহিম ও সালাউদ্দিন গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে ইব্রাহিমের মৃত্যু হয়। আহত সালাউদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবিউল হক বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোটরসাইকেলচালকের মৃত্যু হয়। আহত আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার এসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। মহাসড়কের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিরোজপুরে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

পিরোজপুর প্রতিনিধি
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়ক আলামিন হোসেন প্রমুখ।

জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিরোজপুর প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবস উদ্‌যাপনে মুছে ফেলা হলো জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
স্মৃতিস্তম্ভে চুনকাম করায় গ্রাফিতিগুলো মুছে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্মৃতিস্তম্ভে চুনকাম করায় গ্রাফিতিগুলো মুছে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্‌যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।

সারা দেশের মতো চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন ফুলপুরের শিক্ষার্থীরাও। রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন তাঁরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামের এক কৃষক শহীদ হন।

আন্দোলনের শক্তি সঞ্চার করতে ফুলপুর গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ‘পানি লাগবে কারও পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনব, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ সাঈদ ঘরে ঘরে’ এমন নানা উক্তি লেখেন শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে লেখা এসব উক্তি মুছে ফেলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জুলাই যোদ্ধা সামাদ খান নাঈম বলেন, ‘দু-তিন দিন ধরে দেখছি, আমাদের অঙ্কিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কারা এ কাজটি করেছে জানি না; তবে তা খুব খারাপ হয়েছে। এটা আশা করিনি। আমরা আন্দোলনের ফাঁকে ফাঁকে এগুলো এঁকেছিলাম। এখন ইচ্ছে করলেই তা আঁকা সম্ভব নয়।’

এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, জুলাই আন্দোলনের কোনো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়নি। তবে প্যানা পোস্টার ছিল, সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা শহরের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে কোনো গ্রাফিতি ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অঙ্কিত গ্রাফিতি ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে স্থানীয় জুলাই যোদ্ধা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের পরামর্শক্রমে নতুনভাবে গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্দেশ্যে চুন দিয়ে সাদা করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর এই গ্রাফিতি ছাত্র-ছাত্রী ও জুলাই যোদ্ধাদের সমন্বয়ে নতুন করে আঁকা হবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ জানায় উপজেলা প্রশাসন।

ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘কোনো কিছু মুছে দিয়ে লিখে দেওয়া প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অঙ্কিত লেখার মাধ্যমে সাহস সঞ্চার করেছিলেন। তাই ইতিহাস মুছে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য উন্মুক্ত স্মৃতিসৌধের ফটক, আশপাশের সড়কে যান চলাচল শুরু

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন সংগঠন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন সংগঠন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’

এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত