Ajker Patrika

নরসিংদীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মাদ্রাসা সুপার নিহত

নরসিংদী প্রতিনিধি
নিহত মস্তফা জোয়ারদার। ছবি: সংগৃহীত
নিহত মস্তফা জোয়ারদার। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর মনোহরদীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এইচ এম মস্তফা জোয়ারদার (৫২) নামের এক মাদ্রাসা সুপার নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মস্তফা জোয়ারদার মনোহরদী পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সল্লাবাইদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি জামায়াতে ইসলামীর ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল এবং কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পূর্বচর পাড়াতলা জালাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে মস্তফা বাসা থেকে বের হয়ে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক পার হতে চেয়েছিলেন। ওই সময় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল পেছন দিক থেকে তাঁকে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত ব্যক্তির লাশ রাতে ঢাকা মেডিকেলে ছিল। অভিযোগ পেলে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জোটেনি বীর নিবাস, আশ্রয়ণের ঘরেই মুক্তিযোদ্ধার ঠাঁই

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা
বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের মনিরামপুরের হরিহরনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী (৭৫) জীবনের শেষ বয়সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে দেশ স্বাধীন করলেও তাঁর ভাগ্যে এখনো জোটেনি বীর নিবাসের ঘর।

মনিরামপুরে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩৪টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হলেও তিনবার আবেদন করে সেই তালিকায় নাম ওঠেনি আরশাদ আলীর। বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে একটির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলাউদ্দিনের নামে, যিনি পৌর শহরে তিনতলা বাড়ি ও ঢাকায় ফ্ল্যাটের মালিক। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আলাউদ্দিন লিখিতভাবে ঘর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।

মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী জানান, ১৯৭১ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুলনার বটিয়াঘাটা ও বয়রা এলাকায় যুদ্ধ করেছেন তিনি। যুদ্ধের পর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে পরিবার চালাতেন। মনিরামপুরের গোয়ালবাড়ি এলাকায় আট শতক জমি কিনে বসতঘর করেছিলেন। কিন্তু জমিটি খাস হয়ে গেলে ২০২৩ সালে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে। তাঁর দুই ছেলে ও এক ছেলের শাশুড়ি ওই ঘরগুলো বরাদ্দ পান। শাশুড়ি সেখানে না থাকায় সেই ঘরে উঠেছেন আরশাদ আলী।

আরশাদ আলী বলেন, ‘স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। ছয় ছেলেকে কষ্ট করে বড় করেছি। বসতভিটা দিতে পারিনি বলে সবাই আলাদা থাকে। ২০১৬ সালে ভাতার তালিকায় নাম ওঠে। এখন ২০ হাজার টাকা পাই। এক ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে ১০ লাখ টাকা ধার করেছিলাম। দালালের কাছে সেই টাকা খোয়া গেছে। কিস্তি দিয়ে হাতে ৬ হাজার টাকার মতো থাকে।’

আরশাদ আলী আরও বলেন, ‘গোয়ালবাড়ি মৌজায় আরও আট শতক জমি কিনেছি, কিন্তু ঘর তুলতে পারিনি। বীর নিবাসের জন্য দুবার আবেদন করেছি, লাভ হয়নি। আবার আবেদন দিয়েছি। সরকার যদি ঘর দেয়, শেষ বয়সে নিজের ঘরে একটু শান্তিতে থাকতে পারব।’

দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মনিরামপুরে ৩৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নতুন পাঁচটি ঘরের বরাদ্দ এসেছে, যার মধ্যে চারটির নির্মাণকাজ চলছে।

বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’

মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট হোসেন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলীর বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর নামে বীর নিবাস বরাদ্দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাংনীতে সারের সংকট: কাঁদছেন চাষি, হাসছে সিন্ডিকেট

রাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর) 
খেতে সার ছিটাচ্ছেন এক কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা
খেতে সার ছিটাচ্ছেন এক কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ডিএপি ও টিএসপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ন্যায্যমূল্যে সার না পেয়ে চাষিদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষকের অভিযোগ, কৃত্রিম সংকট ও সিন্ডিকেটের কারণে তাঁদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে।

বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা জানান, প্রয়োজনীয় সার পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সার পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, ডিলারের কাছে গিয়ে তাঁরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ডিলারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সার না পাওয়ায় তাঁদেরও বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। এতে চাষিদের ভোগান্তি বাড়ছে। প্রশাসনের তদারকি বাড়লে সংকট কমবে বলে তাঁরা মনে করেন।

কয়েকজন সাবডিলার জানান, চাহিদার তুলনায় ডিএপি ও টিএসপি সারের বরাদ্দ খুব কম। অনেক সময় বাইরে থেকে বেশি দামে সার আনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

করমদী গ্রামের কৃষক লাভলু হোসেন বলেন, ‘ডিএপি-টিএসপি না পেয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এই সমস্যা দূর হবে না।’

তেরাইল মাঠের কৃষক উকিলুর রহমান জানান, ডিএপি-টিএসপি সাধারণত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে; তবু মিলছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, সিন্ডিকেট ভেঙে ন্যায্যমূল্যে সার নিশ্চিত করা হোক।’

বামন্দী মাঠের মারফত আলী বলেন, গম-ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের মৌসুমে ডিএপি-টিএসপি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সংকটের কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম নেওয়া যাবে না। কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারের দাম বেশি নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না: ব্যারিস্টার খোকন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
গতকাল রাতে কর্মিসভায় বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাতে কর্মিসভায় বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংকট বা প্রভাব পড়বে না। তাঁর ভাষায়, ‘খালেদা জিয়া নিজেই চান নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হোক। সুস্থ হয়ে তিনি তাঁর তিনটি নির্বাচনী এলাকায় জিতবেন এবং আমাদের সবাইকে নিয়ে প্রচারণায় নামবেন।’

শনিবার রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ধানের শীষের সমর্থনে আয়োজিত কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার খোকন বলেন, বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু যাঁরা সরকারি চাকরিতে থেকে রাজনৈতিক পদও ধরে রেখেছেন, তাঁদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনে এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন খোকন।

সভায় আরও বক্তব্য দেন সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন মানিক, সদস্যসচিব সৈয়দ মাহবুবে রেজা রাব্বীসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

পরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে চলছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। আজ সকাল ৮টার দিকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। আজ সকাল ৮টার দিকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।

গত কয়েক দিন ধরে ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করা তাপমাত্রা শনিবার থেকে আরও কমে যায়। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ ও মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি।

রোববার ভোর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়ে। হেডলাইট জ্বালিয়েও সামনে দেখা যাচ্ছিল না। ফলে প্রয়োজন ছাড়া মানুষের চলাচল ছিল কম। অনেকেই গরম কাপড় জড়িয়ে কাজে বের হলেও অনেকে ঠাণ্ডায় ঘরে অবস্থান করতে বাধ্য হন।

ঢাকা–পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী হানিফ পরিবহনের চালক মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে এমন কুয়াশা পড়ে যে গাড়ির লাইটও ব্যাক করে আসে। রাস্তার লাইন দেখা যায় না। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গতি অর্ধেক কমিয়ে চালাতে হয়।’

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। সর্দি–কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত