Ajker Patrika

এবার শামীম ওসমানের সঙ্গে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ছাত্রদল নেতা

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
শামীম ওসমান ও মো. কাদির। ছবি: সংগৃহীত
শামীম ওসমান ও মো. কাদির। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গুলিতে আহত শিক্ষার্থীর দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় এক ছাত্রদল নেতাকে আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এ নিয়ে ছাত্রদল নেতা কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।  

অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার নাম মো. কাদির, তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার মৃত সিরাজের ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সর্বশেষ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।  

এর আগে গত শুক্রবার আহত শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম হোসেন (১৯) নিজে বাদী হয়ে ৮৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি (যার নম্বর-১৫) দায়ের করেন।  

মামলার এজাহারে ৬৮ নম্বর আসামি ছাত্রদল নেতা মো. কাদির (৩০)। অন্য আসামিরা হলেন–শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান (৩৭), ভাতিজা আজমেরি ওসমান (৪৫), মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম (৫৬), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান (৭৮), সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া (৬২), থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি (৫৫) প্রমুখ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২০ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডের ভূমিপল্লী এলাকার বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বাদী ইব্রাহিমসহ বহু মানুষ সড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তখন শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমানসহ উল্লেখিত আসামিরা একত্রিত হয়ে গুলি ছোড়েন। একপর্যায়ে তারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইব্রাহিমের ডান পায়ে ও কোমরে দুটি গুলি লাগে। পরে ছাত্র-জনতা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে।  

এ বিষয়ে কথা বলতে বাদী মো. ইব্রাহিম হোসেনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান। পরে কল দেবেন বলে সংযোগ কেটে দেন।

ভুক্তভোগী মো. কাদির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার এজাহারে আমার নাম দেখে আমি হতবাক। ছাত্রদলের সক্রিয় রাজনীতি করায় আওয়ামী লীগের আমলে অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে আমাকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমার আবারও মিথ্যা মামলার আসামি হতে হবে তা কখনো কল্পনাই করি নাই। আমি আসলে এ নিয়ে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’

মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ‘যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলে তখন কাদির ছাত্রদলের রানিং কমিটিতে ছিল। যেকোনো কর্মসূচিতে সব সময় সামনের সারিতে থাকত সে। আন্দোলন চলাকালে সে পুরোটা সময় ছাত্রদের পাশে ছিল। সে কীভাবে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি হয়? এতে আমি গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘আমরা তো এজাহারকারী না। আমরা যদি চার্জশিটে তার নাম দেই তাহলে সে প্রশ্ন করতে পারবে কেন আমরা তার নাম দিলাম। তদন্তে যদি সে নিরপরাধ প্রমাণিত হয় এবং বৈষম্যবিরোধীর স্বপক্ষের শক্তির সহায়ক হয় এ ক্ষেত্রে তার নাম বাদ যাবে। তাই নিরপরাধ কোনো ব্যক্তিকে হয়রানি করার কোনো সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত