নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের টহল টিমের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় এ ঘটনার পর গণসংহতি আন্দোলনের জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ থানায় গেলে রাত ১টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তরিকুল সুজন ও স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মী শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে খাবার (হালিম) খাচ্ছিলেন। এ সময় দুজন পুলিশ সদস্য এসে দ্রুত তাদের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলেন। জবাবে সুজন বলেন, ‘খাবার খাওয়া শেষ হলেই বেরিয়ে যাব।’ কিন্তু পুলিশ সদস্য সেই কথা না শুনে উল্টো অশোভন আচরণ করেন এবং হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হন। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হলে টানা হেঁচড়া করে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। এ সময় সঙ্গে থাকা গণমাধ্যমকর্মী ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে তাঁকেও হেনস্তা করা হয় এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ছবি তুললে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর রাত সাড়ে ১১টায় থানা হেফাজতে নেওয়ার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে আলোচনায় বসে গণসংহতির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ সদস্যরা। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা কথাবার্তা শেষে বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে দুঃখপ্রকাশ করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া সুজনকে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মীর কাছেও দুঃখপ্রকাশ করে পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনার বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের দুজন সদস্য আমাদের খাওয়া বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে যেতে বলে। একই সাথে আমরাসহ উপস্থিত সবার সাথেই অশোভন আচরণ করছিলেন তাঁরা। আমি এর প্রতিবাদ জানালে পুলিশ সদস্যরা বাঁশের লাঠি নিয়ে মারমুখী আচরণ করে। আমি সেসময় বলি, রাষ্ট্রের নাগরিকের সাথে এই ধরনের আচরণ তাঁরা করতে পারে না। এই মন্তব্যের পরে তাঁরা আমাকে টানা হেঁচড়া করে গাড়িতে তোলে। পরে থানার ওসি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে আমি পুলিশকে অনুরোধ করি, কোনো নাগরিকের সাথে যেন এই ধরনের আচরণ না করা হয়।’
একই সময়ে পুলিশের অসদাচরণের শিকার গণমাধ্যমকর্মী সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকেই আমি একটু দূরে সরে যাই। যেহেতু তরিকুল সুজন একজন রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু পুলিশ সদস্য যখন বাঁশ নিয়ে মারতে উদ্যত হয়, আমি তখন নিজের পরিচয় দিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলি-শহীদ মিনারে অবস্থান করার কারণে তো আপনি কাউকে মারতে পারেন না। এরপর তারা আমার সাথে তর্ক না বাড়িয়ে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে ওঠায়। ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।’
এই বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি মূলত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। আর সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় শহরে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছিল। এর মধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। এই বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করা হয়েছে।’
মুচলেকা রাখার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘থানায় থাকাকালীন ওই ব্যক্তি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত রাখার জন্য মুচলেকা রাখা হয়েছে। এর বাইরে ভিন্ন কোনো কারণ নেই।’

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের টহল টিমের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় এ ঘটনার পর গণসংহতি আন্দোলনের জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ থানায় গেলে রাত ১টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তরিকুল সুজন ও স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মী শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে খাবার (হালিম) খাচ্ছিলেন। এ সময় দুজন পুলিশ সদস্য এসে দ্রুত তাদের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলেন। জবাবে সুজন বলেন, ‘খাবার খাওয়া শেষ হলেই বেরিয়ে যাব।’ কিন্তু পুলিশ সদস্য সেই কথা না শুনে উল্টো অশোভন আচরণ করেন এবং হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হন। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হলে টানা হেঁচড়া করে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। এ সময় সঙ্গে থাকা গণমাধ্যমকর্মী ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে তাঁকেও হেনস্তা করা হয় এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ছবি তুললে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর রাত সাড়ে ১১টায় থানা হেফাজতে নেওয়ার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে আলোচনায় বসে গণসংহতির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ সদস্যরা। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা কথাবার্তা শেষে বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে দুঃখপ্রকাশ করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া সুজনকে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মীর কাছেও দুঃখপ্রকাশ করে পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনার বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের দুজন সদস্য আমাদের খাওয়া বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে যেতে বলে। একই সাথে আমরাসহ উপস্থিত সবার সাথেই অশোভন আচরণ করছিলেন তাঁরা। আমি এর প্রতিবাদ জানালে পুলিশ সদস্যরা বাঁশের লাঠি নিয়ে মারমুখী আচরণ করে। আমি সেসময় বলি, রাষ্ট্রের নাগরিকের সাথে এই ধরনের আচরণ তাঁরা করতে পারে না। এই মন্তব্যের পরে তাঁরা আমাকে টানা হেঁচড়া করে গাড়িতে তোলে। পরে থানার ওসি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে আমি পুলিশকে অনুরোধ করি, কোনো নাগরিকের সাথে যেন এই ধরনের আচরণ না করা হয়।’
একই সময়ে পুলিশের অসদাচরণের শিকার গণমাধ্যমকর্মী সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকেই আমি একটু দূরে সরে যাই। যেহেতু তরিকুল সুজন একজন রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু পুলিশ সদস্য যখন বাঁশ নিয়ে মারতে উদ্যত হয়, আমি তখন নিজের পরিচয় দিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলি-শহীদ মিনারে অবস্থান করার কারণে তো আপনি কাউকে মারতে পারেন না। এরপর তারা আমার সাথে তর্ক না বাড়িয়ে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে ওঠায়। ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।’
এই বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি মূলত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। আর সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় শহরে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছিল। এর মধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। এই বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করা হয়েছে।’
মুচলেকা রাখার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘থানায় থাকাকালীন ওই ব্যক্তি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত রাখার জন্য মুচলেকা রাখা হয়েছে। এর বাইরে ভিন্ন কোনো কারণ নেই।’
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের টহল টিমের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় এ ঘটনার পর গণসংহতি আন্দোলনের জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ থানায় গেলে রাত ১টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তরিকুল সুজন ও স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মী শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে খাবার (হালিম) খাচ্ছিলেন। এ সময় দুজন পুলিশ সদস্য এসে দ্রুত তাদের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলেন। জবাবে সুজন বলেন, ‘খাবার খাওয়া শেষ হলেই বেরিয়ে যাব।’ কিন্তু পুলিশ সদস্য সেই কথা না শুনে উল্টো অশোভন আচরণ করেন এবং হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হন। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হলে টানা হেঁচড়া করে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। এ সময় সঙ্গে থাকা গণমাধ্যমকর্মী ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে তাঁকেও হেনস্তা করা হয় এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ছবি তুললে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর রাত সাড়ে ১১টায় থানা হেফাজতে নেওয়ার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে আলোচনায় বসে গণসংহতির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ সদস্যরা। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা কথাবার্তা শেষে বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে দুঃখপ্রকাশ করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া সুজনকে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মীর কাছেও দুঃখপ্রকাশ করে পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনার বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের দুজন সদস্য আমাদের খাওয়া বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে যেতে বলে। একই সাথে আমরাসহ উপস্থিত সবার সাথেই অশোভন আচরণ করছিলেন তাঁরা। আমি এর প্রতিবাদ জানালে পুলিশ সদস্যরা বাঁশের লাঠি নিয়ে মারমুখী আচরণ করে। আমি সেসময় বলি, রাষ্ট্রের নাগরিকের সাথে এই ধরনের আচরণ তাঁরা করতে পারে না। এই মন্তব্যের পরে তাঁরা আমাকে টানা হেঁচড়া করে গাড়িতে তোলে। পরে থানার ওসি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে আমি পুলিশকে অনুরোধ করি, কোনো নাগরিকের সাথে যেন এই ধরনের আচরণ না করা হয়।’
একই সময়ে পুলিশের অসদাচরণের শিকার গণমাধ্যমকর্মী সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকেই আমি একটু দূরে সরে যাই। যেহেতু তরিকুল সুজন একজন রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু পুলিশ সদস্য যখন বাঁশ নিয়ে মারতে উদ্যত হয়, আমি তখন নিজের পরিচয় দিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলি-শহীদ মিনারে অবস্থান করার কারণে তো আপনি কাউকে মারতে পারেন না। এরপর তারা আমার সাথে তর্ক না বাড়িয়ে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে ওঠায়। ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।’
এই বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি মূলত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। আর সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় শহরে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছিল। এর মধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। এই বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করা হয়েছে।’
মুচলেকা রাখার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘থানায় থাকাকালীন ওই ব্যক্তি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত রাখার জন্য মুচলেকা রাখা হয়েছে। এর বাইরে ভিন্ন কোনো কারণ নেই।’

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের টহল টিমের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় এ ঘটনার পর গণসংহতি আন্দোলনের জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ থানায় গেলে রাত ১টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তরিকুল সুজন ও স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মী শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে খাবার (হালিম) খাচ্ছিলেন। এ সময় দুজন পুলিশ সদস্য এসে দ্রুত তাদের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলেন। জবাবে সুজন বলেন, ‘খাবার খাওয়া শেষ হলেই বেরিয়ে যাব।’ কিন্তু পুলিশ সদস্য সেই কথা না শুনে উল্টো অশোভন আচরণ করেন এবং হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হন। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হলে টানা হেঁচড়া করে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। এ সময় সঙ্গে থাকা গণমাধ্যমকর্মী ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে তাঁকেও হেনস্তা করা হয় এবং মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ছবি তুললে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর রাত সাড়ে ১১টায় থানা হেফাজতে নেওয়ার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে আলোচনায় বসে গণসংহতির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ সদস্যরা। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা কথাবার্তা শেষে বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ স্বীকার করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে দুঃখপ্রকাশ করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া সুজনকে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মীর কাছেও দুঃখপ্রকাশ করে পুলিশ সদস্যরা।
এ ঘটনার বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের দুজন সদস্য আমাদের খাওয়া বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে যেতে বলে। একই সাথে আমরাসহ উপস্থিত সবার সাথেই অশোভন আচরণ করছিলেন তাঁরা। আমি এর প্রতিবাদ জানালে পুলিশ সদস্যরা বাঁশের লাঠি নিয়ে মারমুখী আচরণ করে। আমি সেসময় বলি, রাষ্ট্রের নাগরিকের সাথে এই ধরনের আচরণ তাঁরা করতে পারে না। এই মন্তব্যের পরে তাঁরা আমাকে টানা হেঁচড়া করে গাড়িতে তোলে। পরে থানার ওসি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে আমি পুলিশকে অনুরোধ করি, কোনো নাগরিকের সাথে যেন এই ধরনের আচরণ না করা হয়।’
একই সময়ে পুলিশের অসদাচরণের শিকার গণমাধ্যমকর্মী সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকেই আমি একটু দূরে সরে যাই। যেহেতু তরিকুল সুজন একজন রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু পুলিশ সদস্য যখন বাঁশ নিয়ে মারতে উদ্যত হয়, আমি তখন নিজের পরিচয় দিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলি-শহীদ মিনারে অবস্থান করার কারণে তো আপনি কাউকে মারতে পারেন না। এরপর তারা আমার সাথে তর্ক না বাড়িয়ে তরিকুল সুজনকে গাড়িতে ওঠায়। ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়।’
এই বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি মূলত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। আর সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় শহরে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছিল। এর মধ্যেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। এই বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করা হয়েছে।’
মুচলেকা রাখার প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘থানায় থাকাকালীন ওই ব্যক্তি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত রাখার জন্য মুচলেকা রাখা হয়েছে। এর বাইরে ভিন্ন কোনো কারণ নেই।’

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই শিশুসন্তান।
বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শাতংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই শিশুসন্তান।
বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শাতংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের টহল টিমের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ...
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন (২২) এবং শহরের পিয়ারাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪৫)। নিহত ব্যক্তিরা সম্পর্কে খালা ও ভাগনে ছিলেন। তাঁরা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বিকেলে লালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ঈশ্বরদী শহরে আসছিল। অটোরিকশাটি শহরের স্কুলপাড়ার মহাসড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন (২২) এবং শহরের পিয়ারাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪৫)। নিহত ব্যক্তিরা সম্পর্কে খালা ও ভাগনে ছিলেন। তাঁরা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বিকেলে লালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ঈশ্বরদী শহরে আসছিল। অটোরিকশাটি শহরের স্কুলপাড়ার মহাসড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের টহল টিমের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ...
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের টহল টিমের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ...
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেআবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুলিশের টহল টিমের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের জেরে জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশ...
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
৩ ঘণ্টা আগে