প্রতিনিধি

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূলতা-কুড়িল রাস্তায় চলাচলরত বিআরটিসি বাসে চলছে যাত্রী হয়রানি। যাত্রী বোঝাই বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, সেতুর টোল ফাঁকি ও কাউন্টার বন্ধের অভিযোগ উঠেছে এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এ রাস্তায় চলাচল করতে দেওয়া হয় না অন্য কোন গণপরিবহন। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি চরম ঝুঁকিতে পড়েছে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণরোধে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে গণপরিহনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু রূপগঞ্জের কুড়িল-ভূলতা রুটে একমাত্র চলাচলরত রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসগুলো এই নিয়ম মানছেন না। তাঁরা নিজেদের মতো করে ভাড়া আদায় করছেন। মাত্র ভূলতা থেকে কুড়িল পর্যন্ত মাত্র ২০ কিলোমিটার সড়কের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা থাকলেও আসনগুলো পূর্ণ করে দাঁড়িয়েও নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। এ ছাড়া ২০টি কাউন্টারের মধ্যে কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৪টি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটের যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করতে এ রুটে অন্য কোনো গণপরিবহন চলতে দেওয়া হয় না। অপরদিকে, এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে কাঞ্চন সেতুতে টোল ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ৩২৫ টাকার টোল দেওয়া হয় মাত্র ১২৫ টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে সেতুর টোল আদায়কারী সংস্থার প্রকল্প পরিচালক কারিবুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিআরটিসির সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনের কারণে তাঁদের ৩২৫ টাকার পরিবর্তে ১২৫ টাকা টোল প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগও রয়েছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। এসব অনিয়ম সবই ডিপো কর্তৃপক্ষ জানলেও ইজারাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের কারণে তাঁর কোনো ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ আছে।
কাঞ্চন থেকে কুড়িলগামী যাত্রী মাসুদ চৌধুরী জানান, তিনি মায়ারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কাউন্টার বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে সেতুর পশ্চিমপাড়ি গিয়ে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৫২২) বাসে ওঠেন। কিন্তু তাঁকে টিকিট না দিয়ে কুড়িলের ২০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা দাবি করেন বাসের সহকারী। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেন সে।
কাঞ্চন এলাকার যাত্রী তাহমিদুল ইসলাম আকাশ অভিযোগ করে বলেন, গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত একমাত্র বিআরটিসি বাসই চলাচল করে। গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্বরোডের ভাড়া ৪০ টাকা হলেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা। এ রুটে অন্য কোন গণপরিবহন না থাকায় সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জের বিআরটিসি বাসের ঠিকাদার জিল্লুর বলেন, স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে আমরা কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। অতিরিক্ত যাত্রী নিলে সেই টাকা আমরা কিংবা বিআরটিসি পাই না। চালক আর সহকারীরা রাস্তা থেকে অনিয়ম করে এসব অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায়।
গাজীপুর বিআরটিসি বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান বলেন, বিআরটিসিতে যাত্রী হয়রানি হলে প্রতিটি বাসে আমাদের হটলাইন নম্বর দেওয়া আছে। কোনো যাত্রী অভিযোগ করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। তবে বর্তমানে বাস সংকট আর রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে যাত্রীদের কিছুটা হয়রানি হতে হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূলতা-কুড়িল রাস্তায় চলাচলরত বিআরটিসি বাসে চলছে যাত্রী হয়রানি। যাত্রী বোঝাই বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, সেতুর টোল ফাঁকি ও কাউন্টার বন্ধের অভিযোগ উঠেছে এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এ রাস্তায় চলাচল করতে দেওয়া হয় না অন্য কোন গণপরিবহন। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি চরম ঝুঁকিতে পড়েছে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণরোধে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে গণপরিহনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু রূপগঞ্জের কুড়িল-ভূলতা রুটে একমাত্র চলাচলরত রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসগুলো এই নিয়ম মানছেন না। তাঁরা নিজেদের মতো করে ভাড়া আদায় করছেন। মাত্র ভূলতা থেকে কুড়িল পর্যন্ত মাত্র ২০ কিলোমিটার সড়কের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা থাকলেও আসনগুলো পূর্ণ করে দাঁড়িয়েও নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। এ ছাড়া ২০টি কাউন্টারের মধ্যে কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৪টি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটের যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করতে এ রুটে অন্য কোনো গণপরিবহন চলতে দেওয়া হয় না। অপরদিকে, এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে কাঞ্চন সেতুতে টোল ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ৩২৫ টাকার টোল দেওয়া হয় মাত্র ১২৫ টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে সেতুর টোল আদায়কারী সংস্থার প্রকল্প পরিচালক কারিবুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিআরটিসির সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনের কারণে তাঁদের ৩২৫ টাকার পরিবর্তে ১২৫ টাকা টোল প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগও রয়েছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। এসব অনিয়ম সবই ডিপো কর্তৃপক্ষ জানলেও ইজারাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের কারণে তাঁর কোনো ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ আছে।
কাঞ্চন থেকে কুড়িলগামী যাত্রী মাসুদ চৌধুরী জানান, তিনি মায়ারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কাউন্টার বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে সেতুর পশ্চিমপাড়ি গিয়ে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৫২২) বাসে ওঠেন। কিন্তু তাঁকে টিকিট না দিয়ে কুড়িলের ২০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা দাবি করেন বাসের সহকারী। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেন সে।
কাঞ্চন এলাকার যাত্রী তাহমিদুল ইসলাম আকাশ অভিযোগ করে বলেন, গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত একমাত্র বিআরটিসি বাসই চলাচল করে। গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্বরোডের ভাড়া ৪০ টাকা হলেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা। এ রুটে অন্য কোন গণপরিবহন না থাকায় সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জের বিআরটিসি বাসের ঠিকাদার জিল্লুর বলেন, স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে আমরা কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। অতিরিক্ত যাত্রী নিলে সেই টাকা আমরা কিংবা বিআরটিসি পাই না। চালক আর সহকারীরা রাস্তা থেকে অনিয়ম করে এসব অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায়।
গাজীপুর বিআরটিসি বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান বলেন, বিআরটিসিতে যাত্রী হয়রানি হলে প্রতিটি বাসে আমাদের হটলাইন নম্বর দেওয়া আছে। কোনো যাত্রী অভিযোগ করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। তবে বর্তমানে বাস সংকট আর রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে যাত্রীদের কিছুটা হয়রানি হতে হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
প্রতিনিধি

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূলতা-কুড়িল রাস্তায় চলাচলরত বিআরটিসি বাসে চলছে যাত্রী হয়রানি। যাত্রী বোঝাই বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, সেতুর টোল ফাঁকি ও কাউন্টার বন্ধের অভিযোগ উঠেছে এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এ রাস্তায় চলাচল করতে দেওয়া হয় না অন্য কোন গণপরিবহন। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি চরম ঝুঁকিতে পড়েছে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণরোধে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে গণপরিহনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু রূপগঞ্জের কুড়িল-ভূলতা রুটে একমাত্র চলাচলরত রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসগুলো এই নিয়ম মানছেন না। তাঁরা নিজেদের মতো করে ভাড়া আদায় করছেন। মাত্র ভূলতা থেকে কুড়িল পর্যন্ত মাত্র ২০ কিলোমিটার সড়কের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা থাকলেও আসনগুলো পূর্ণ করে দাঁড়িয়েও নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। এ ছাড়া ২০টি কাউন্টারের মধ্যে কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৪টি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটের যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করতে এ রুটে অন্য কোনো গণপরিবহন চলতে দেওয়া হয় না। অপরদিকে, এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে কাঞ্চন সেতুতে টোল ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ৩২৫ টাকার টোল দেওয়া হয় মাত্র ১২৫ টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে সেতুর টোল আদায়কারী সংস্থার প্রকল্প পরিচালক কারিবুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিআরটিসির সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনের কারণে তাঁদের ৩২৫ টাকার পরিবর্তে ১২৫ টাকা টোল প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগও রয়েছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। এসব অনিয়ম সবই ডিপো কর্তৃপক্ষ জানলেও ইজারাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের কারণে তাঁর কোনো ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ আছে।
কাঞ্চন থেকে কুড়িলগামী যাত্রী মাসুদ চৌধুরী জানান, তিনি মায়ারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কাউন্টার বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে সেতুর পশ্চিমপাড়ি গিয়ে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৫২২) বাসে ওঠেন। কিন্তু তাঁকে টিকিট না দিয়ে কুড়িলের ২০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা দাবি করেন বাসের সহকারী। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেন সে।
কাঞ্চন এলাকার যাত্রী তাহমিদুল ইসলাম আকাশ অভিযোগ করে বলেন, গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত একমাত্র বিআরটিসি বাসই চলাচল করে। গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্বরোডের ভাড়া ৪০ টাকা হলেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা। এ রুটে অন্য কোন গণপরিবহন না থাকায় সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জের বিআরটিসি বাসের ঠিকাদার জিল্লুর বলেন, স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে আমরা কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। অতিরিক্ত যাত্রী নিলে সেই টাকা আমরা কিংবা বিআরটিসি পাই না। চালক আর সহকারীরা রাস্তা থেকে অনিয়ম করে এসব অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায়।
গাজীপুর বিআরটিসি বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান বলেন, বিআরটিসিতে যাত্রী হয়রানি হলে প্রতিটি বাসে আমাদের হটলাইন নম্বর দেওয়া আছে। কোনো যাত্রী অভিযোগ করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। তবে বর্তমানে বাস সংকট আর রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে যাত্রীদের কিছুটা হয়রানি হতে হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূলতা-কুড়িল রাস্তায় চলাচলরত বিআরটিসি বাসে চলছে যাত্রী হয়রানি। যাত্রী বোঝাই বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, সেতুর টোল ফাঁকি ও কাউন্টার বন্ধের অভিযোগ উঠেছে এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এ রাস্তায় চলাচল করতে দেওয়া হয় না অন্য কোন গণপরিবহন। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি চরম ঝুঁকিতে পড়েছে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণরোধে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে গণপরিহনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু রূপগঞ্জের কুড়িল-ভূলতা রুটে একমাত্র চলাচলরত রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসগুলো এই নিয়ম মানছেন না। তাঁরা নিজেদের মতো করে ভাড়া আদায় করছেন। মাত্র ভূলতা থেকে কুড়িল পর্যন্ত মাত্র ২০ কিলোমিটার সড়কের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা। অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা থাকলেও আসনগুলো পূর্ণ করে দাঁড়িয়েও নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। এ ছাড়া ২০টি কাউন্টারের মধ্যে কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৪টি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটের যাত্রীরা। শুধু তাই নয়, ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করতে এ রুটে অন্য কোনো গণপরিবহন চলতে দেওয়া হয় না। অপরদিকে, এই পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে কাঞ্চন সেতুতে টোল ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ৩২৫ টাকার টোল দেওয়া হয় মাত্র ১২৫ টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে সেতুর টোল আদায়কারী সংস্থার প্রকল্প পরিচালক কারিবুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিআরটিসির সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনের কারণে তাঁদের ৩২৫ টাকার পরিবর্তে ১২৫ টাকা টোল প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগও রয়েছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। এসব অনিয়ম সবই ডিপো কর্তৃপক্ষ জানলেও ইজারাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের কারণে তাঁর কোনো ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ আছে।
কাঞ্চন থেকে কুড়িলগামী যাত্রী মাসুদ চৌধুরী জানান, তিনি মায়ারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কাউন্টার বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে সেতুর পশ্চিমপাড়ি গিয়ে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৫২২) বাসে ওঠেন। কিন্তু তাঁকে টিকিট না দিয়ে কুড়িলের ২০ টাকার ভাড়া ৬০ টাকা দাবি করেন বাসের সহকারী। একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেন সে।
কাঞ্চন এলাকার যাত্রী তাহমিদুল ইসলাম আকাশ অভিযোগ করে বলেন, গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত একমাত্র বিআরটিসি বাসই চলাচল করে। গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্বরোডের ভাড়া ৪০ টাকা হলেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা। এ রুটে অন্য কোন গণপরিবহন না থাকায় সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জের বিআরটিসি বাসের ঠিকাদার জিল্লুর বলেন, স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে আমরা কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। অতিরিক্ত যাত্রী নিলে সেই টাকা আমরা কিংবা বিআরটিসি পাই না। চালক আর সহকারীরা রাস্তা থেকে অনিয়ম করে এসব অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায়।
গাজীপুর বিআরটিসি বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান বলেন, বিআরটিসিতে যাত্রী হয়রানি হলে প্রতিটি বাসে আমাদের হটলাইন নম্বর দেওয়া আছে। কোনো যাত্রী অভিযোগ করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। তবে বর্তমানে বাস সংকট আর রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে যাত্রীদের কিছুটা হয়রানি হতে হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
২ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে দেখিয়ে দিয়েছি যে চাইলেই ঢাকার ভেতরে ওয়াটারওয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ডিএনসিসির পক্ষ থেকে কনাই নদ উদ্ধার করে নৌচলাচল উপযোগী ৯ কিলোমিটার নদে প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগে ফিল্ড স্টাডি ও পরে উচ্ছেদ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
উত্তরাবাসীর পক্ষে বক্তব্যে কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস ডিএনসিসির প্রশাসকের এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে হারিয়ে যাওয়া কনাই নদের প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
পাউবোর বোর্ড সদস্য আমিনুর রসুল বলেন, নতুন করে ৯ কিলোমিটার নৌপথ যুক্ত হলো। এখন এটি রক্ষার দায়িত্ব এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডে ফ্লোটিং মার্কেট দেখতে যাই, অথচ ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলো উদ্ধার করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুললে এর চেয়েও সুন্দর পর্যটন এলাকা তৈরি করা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এ বি এম শামসুল আলমসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা গ্যাজেটিয়ার এবং ১৯৬০ সালের ঢাকা ম্যাপে রাজধানীর ভেতরে কনাই, নড়াই, দেবদোলাই, জিরানি প্রভৃতি নদ-নদীর অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সময়ের ব্যবধানে এসব নদী হারিয়ে যায়। ডিএনসিসির উদ্যোগে আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার নদ খনন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কনাই নদ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে নদটি ‘খিদির খাল’ নামে পরিচিত। কনাই নদ আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে গড়ান চটবাড়ি হয়ে দ্বিগুণ খাল অতিক্রম করে তুরাগ নদে মিলিত হয়েছে।

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে দেখিয়ে দিয়েছি যে চাইলেই ঢাকার ভেতরে ওয়াটারওয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ডিএনসিসির পক্ষ থেকে কনাই নদ উদ্ধার করে নৌচলাচল উপযোগী ৯ কিলোমিটার নদে প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগে ফিল্ড স্টাডি ও পরে উচ্ছেদ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
উত্তরাবাসীর পক্ষে বক্তব্যে কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস ডিএনসিসির প্রশাসকের এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে হারিয়ে যাওয়া কনাই নদের প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
পাউবোর বোর্ড সদস্য আমিনুর রসুল বলেন, নতুন করে ৯ কিলোমিটার নৌপথ যুক্ত হলো। এখন এটি রক্ষার দায়িত্ব এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডে ফ্লোটিং মার্কেট দেখতে যাই, অথচ ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলো উদ্ধার করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুললে এর চেয়েও সুন্দর পর্যটন এলাকা তৈরি করা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এ বি এম শামসুল আলমসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা গ্যাজেটিয়ার এবং ১৯৬০ সালের ঢাকা ম্যাপে রাজধানীর ভেতরে কনাই, নড়াই, দেবদোলাই, জিরানি প্রভৃতি নদ-নদীর অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সময়ের ব্যবধানে এসব নদী হারিয়ে যায়। ডিএনসিসির উদ্যোগে আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার নদ খনন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কনাই নদ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে নদটি ‘খিদির খাল’ নামে পরিচিত। কনাই নদ আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে গড়ান চটবাড়ি হয়ে দ্বিগুণ খাল অতিক্রম করে তুরাগ নদে মিলিত হয়েছে।

অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা থাকলেও আসনগুলো পূর্ণ করে দাঁড়িয়েও নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। এ ছাড়া ২০টি কাউন্টারের মধ্যে কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৪টি।
২০ জুন ২০২১
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান অলি, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী। এতে শিক্ষার্থী থেকে রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কর্মজীবী—সবাই ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি অটোরিকশা সমিতির আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে সাত শতাধিক যান। বাকি অটোরিকশাগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে রাস্তায় চলাচল করায় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অটোরিকশাচালকদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তাঁরা এ পেশায় এসেছেন। চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কাজ না থাকায় ইজিবাইক চালাতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই নিয়ম না জেনে গাড়ি চালান।’
আরেক চালক তাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স, নিবন্ধন ও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে চালকদেরও সুবিধা হতো। সরকার যদি সহজভাবে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বলেন, দোকানে পণ্য আনা-নেওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হয়। হাটের দিনগুলোতে বাজার এলাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমল বিকাশ চাকমা জানায়, মাত্র ১০ মিনিটের পথ অটোরিকশার ভিড়ে অনেক সময় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। হাটের দিনে বাজার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।
স্থানীয়দের দাবি, অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, নিবন্ধন কার্যকর করা এবং বাজার এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, অধিকাংশ চালকেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই এবং সড়ক আইন সম্পর্কে ধারণাও সীমিত। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ কোনো নিয়মই তাঁরা মানেন না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, পানছড়িতে অটোরিকশার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কখনো কখনো জরুরি রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে, অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার এলাকায় পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নির্ধারণ এবং অটোরিকশা সমিতির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী। এতে শিক্ষার্থী থেকে রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কর্মজীবী—সবাই ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি অটোরিকশা সমিতির আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে সাত শতাধিক যান। বাকি অটোরিকশাগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে রাস্তায় চলাচল করায় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অটোরিকশাচালকদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তাঁরা এ পেশায় এসেছেন। চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কাজ না থাকায় ইজিবাইক চালাতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই নিয়ম না জেনে গাড়ি চালান।’
আরেক চালক তাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স, নিবন্ধন ও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে চালকদেরও সুবিধা হতো। সরকার যদি সহজভাবে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বলেন, দোকানে পণ্য আনা-নেওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হয়। হাটের দিনগুলোতে বাজার এলাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমল বিকাশ চাকমা জানায়, মাত্র ১০ মিনিটের পথ অটোরিকশার ভিড়ে অনেক সময় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। হাটের দিনে বাজার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।
স্থানীয়দের দাবি, অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, নিবন্ধন কার্যকর করা এবং বাজার এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, অধিকাংশ চালকেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই এবং সড়ক আইন সম্পর্কে ধারণাও সীমিত। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ কোনো নিয়মই তাঁরা মানেন না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, পানছড়িতে অটোরিকশার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কখনো কখনো জরুরি রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে, অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার এলাকায় পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নির্ধারণ এবং অটোরিকশা সমিতির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা থাকলেও আসনগুলো পূর্ণ করে দাঁড়িয়েও নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। এ ছাড়া ২০টি কাউন্টারের মধ্যে কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৪টি।
২০ জুন ২০২১
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা থাকলেও আসনগুলো পূর্ণ করে দাঁড়িয়েও নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। এ ছাড়া ২০টি কাউন্টারের মধ্যে কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৪টি।
২০ জুন ২০২১
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
২ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
২ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা থাকলেও আসনগুলো পূর্ণ করে দাঁড়িয়েও নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। এ ছাড়া ২০টি কাউন্টারের মধ্যে কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৪টি।
২০ জুন ২০২১
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
২ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে