Ajker Patrika

প্রেমিক মাসুদের সঙ্গে দেখা করতে এসে বিজিবির হাতে আটক ভারতীয় কিশোরী

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, ১৫: ২৬
ভারতীয় সেই কিশোরী নূপুর। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় সেই কিশোরী নূপুর। ছবি: সংগৃহীত

প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন ভারতের এক তরুণী। ভালোবাসার আশায় সীমান্ত পাড়ি দিলেও শেষমেশ ভালোবাসার মানুষটি তাঁকে ফেলে পালিয়ে যান। আর তরুণীর ঠাঁই হয় এক সেফ হোমে। তবে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ বলছে, আটক ভারতীয় ওই নারীর বয়স ১৬ বছর। ঘটনাটি গত বুধবার দুপুরের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, আটক ওই ভারতীয় নাগরিকের নাম নূপুর। তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায়। বামনগোলা থানার কাশিমপুর নামক একটি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বর্তমানে সে বাংলাদেশের একটি সেফ হোমে আছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তাকে রাজশাহী সেফ হোমে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নওগাঁ জেলা কারাগারের জেলার উম্মে সালমা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া বিওপি সীমান্তের ২৪৫ /সি এস নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে নূপুর নামে ওই কিশোরী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করেন। পরে সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নূপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সাপাহারের ঘাসডাঙ্গা গ্রামের মাসুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয়। ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে চলতে থাকে কথাবার্তা, তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। মাসুদ ভারতে কাজ করতে গেলে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে।

প্রেমিকের সঙ্গে থাকার ইচ্ছায় ওই নূপুর সীমান্তের পথে পা বাড়ায়। কিন্তু বাংলাদেশের সীমানায় পা রেখেই চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হয় সে। বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে মাসুদ পালিয়ে যান, আর বিজিবির হাতে ধরা পড়ে সে। বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, বিজিবি প্রথমে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে ফেরত পাঠাতে চাইলেও বিএসএফ তাকে তাঁদের দেশের নাগরিক হিসেবে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর বিজিবি তাকে থানায় হস্তান্তর করে এবং একটি মামলা হয়।

থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় ঘটনা জানতে চাইলে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের ওই কিশোরী জানায়, সে পশ্চিমবঙ্গের পাকুয়া কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাসুদের প্রেমে পড়েই বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু সীমান্তে এসে একা পড়ে যান। তাঁর ভাষায়, ‘মাসুদ আমাকে ফেলে পালিয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বিজিবির মাধ্যমে মেয়েটিকে থানায় আনার পর সীমান্ত আইনে মামলা নেওয়া হয়। পরে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।’

নওগাঁ জেলা আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর একেএম নুরুল ইসলাম জানান, ‘শিশু আদালতের নির্দেশে প্রথমে কিশোরীটিকে নওগাঁ সেফ কাস্টডিতে পাঠানো হয়। বর্তমানে কোথায় আছেন সঠিক জানা নেই।’ বর্তমানে কিশোরীটির অবস্থানের বিষয়ে নওগাঁ জেলা কারাগারের জেলার উম্মে সালমা বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার আদালতের নির্দেশে তাঁকে রাজশাহীর সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে, মাসুদের বিষয়ে জানতে চেয়ে সাপাহার সীমান্তের বামনপাড়া বিওপিতে যোগাযোগ করা হলে বিজিবি সদস্যরা জানায়, ঘটনার দিন মাসুদ নামের ওই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। তিনি নিখোঁজ। যেহেতু সীমান্ত এলাকায় আমরা শুধু এই কিশোরীকে পেয়েছি, এ জন্য অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়েছে।

অপরদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, গত বুধবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যায়ও ফেরেনি নূপুর নারী। চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজখবর নেন। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের এক ব্যক্তি পরিবারকে জানান, নওগাঁর সাপাহার থানার একটি অংশে তাকে বিজিবি আটক করেছে। এই ক্যাম্পটি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার বিপরীতে অবস্থিত।

পরে জানা যায়, ওই কিশোরী বিএসএফকে ফাঁকি দিয়ে কোনোভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও বিজিবির হাতে ধরা পড়েন। নূপুরের মা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর মেয়ের ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল। তবে ওই যুবক বাংলাদেশের বাসিন্দা, সে বিষয়ে তাঁরা বা পরিবার জানত না। নারীর বাবা-মা বামনগোলা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন।

বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে এখনো কোনো পতাকা বৈঠক হয়নি। নূপুরের মা বলেছেন, ‘পুলিশ ও বিএসএফ আমার মেয়েকে ফিরিয়ে আনুক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত