Ajker Patrika

সহপাঠীদের নিয়ে নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করল কিশোরী

বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫০
সহপাঠীদের নিয়ে নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করল কিশোরী

পরিবারের লোকজন গল্প করছেন মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আড়াল থেকে সেসব কথা শুনে ফেলে বারহাট্টা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়া শিক্ষার্থী মাফিয়া। কিন্তু সে যে বিষয়টি জানে তা কাউকেই বুঝতে দেয়নি। পরে সহপাঠীদের কাছে বিষয়টি বলে সে। এরপর মাফিয়ার সব কথা শুনে তার সহপাঠীরা বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নেয়। 

সহপাঠীরা মাফিয়ার বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে বারহাট্টা উপজেলার তথ্য আপার কাছে একটি অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা তথ্য আপা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার মাফিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তার পরিবারকে বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করতে সক্ষম হন তাঁরা। মেয়ে যতটুকু পড়তে পারে ততটুকুই পড়াবেন বলে তথ্য আপা ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে নিশ্চয়তা দিয়েছে কিশোরীর পরিবার। 

মাফিয়ার বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার স্বল্পদশাল গ্রামে। তার বাবার নাম শাহজাহান মিয়া, যিনি এক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাবার মৃত্যুর পরই পরিবারটি আর্থিক সংকটে পড়ে, যার কারণে পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় মাফিয়ার পড়াশোনা বন্ধ করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার। অবশেষে বারহাট্টা উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা তথ্য আপা মাফিয়ার পরিবারকে বুঝিয়ে এখনই যাতে বিয়ে না দেওয়া হয় সেটি নিশ্চিত করেছেন। 

মাফিয়ার বান্ধবী স্মৃতি আক্তার ও নাজমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘মাফিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রাইভেটে আসছিল না। তাই আমরা তার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করি। তখন হঠাৎ মাফিয়া আমাদের ফোন দিয়ে জানায় যে তার পরিবার থাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। বাবা মারা যাওয়ায় তার পরিবার এখন আর তাকে পড়াশোনা করাতে চায় না। বিষয়টি আমরা দ্রুত বারহাট্টা উপজেলার তথ্য কর্মকর্তাকে অভিযোগের মাধ্যমে অবগত করি। তখন তাঁরা মাফিয়ার মা ও ভাইকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হন। এখন আমরা বান্ধবীরা অনেক খুশি।’ 

এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা তথ্য কর্মকর্তা কাপিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে এসেই প্রথমে অভিযোগ জানায়। সে পড়াশোনা করতে চায়। এখনই বিয়েতে রাজি না। তার বিয়েটা বন্ধের জন্য তার মা-ভাইকে যেন বোঝানোর চেষ্টা করি। তাদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল, যার কারণে তাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি দ্রুত ইউএনও স্যারকে জানাই। তখন ইউএনও স্যার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে কাউনসেলিং করার জন্য বলেন। কাউনসেলিং করার পর মেয়েটির মা জানান, তাঁরা এখন আর বিয়ে দেবেন না। মাফিয়া তার নিজের ইচ্ছেমতো যতটুকু সম্ভব পড়াশোনা করতে পারবে। যেহেতু মেয়েটি পড়াশোনা করতে আগ্রহী, তাই আমাদের পক্ষ থেকে পড়াশোনার বিষয়ে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’ 

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা উপজেলা প্রশাসন সব সময়ই বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছি। বাল্যবিবাহ রোধে যা যা করণীয় সবই আমরা করছি। কাউন্সেলিংয়ের ফলে এখন পরিবারটি বাল্যবিবাহের কুফল বুঝতে পেরেছে। মেয়েটির স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে তার বেতন মওকুফ করার ব্যবস্থা করা হবে। আর মেয়েটিকে উপজেলা থেকে আইজিএ প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে সে স্বাবলম্বী হতে পারে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান বিএনপি প্রার্থী সাঈদ আল নোমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান বিএনপি প্রার্থী সাঈদ আল নোমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ ৫ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন, এমন নির্দেশনা থাকলেও শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেছেন তিনি।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যান সাঈদ আল নোমান। এ সময় তাঁর সঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে সাঈদ আল নোমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তবে শুধু সাঈদ আল নোমানই নন, মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রায় সব প্রার্থীই কর্মী-সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছেন।

এ ব্যাপারে সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘এটা একদিকে যেমন প্রাপ্তির, অন্যদিকে বিব্রতকরও। এটা বাবার সময় থেকে দেখে আসছি।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিব্রতবোধ করার কথাও জানান তিনি।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তাঁর প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না; এ সময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মো. জিয়াউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো. রিদুয়ানুল ইসলাম জানান, ‘স্যার (বিভাগীয় কমিশনার) মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এই বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ যুবক আটক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আটক আরাফাত জামান। ছবি: ডিএমপি
আটক আরাফাত জামান। ছবি: ডিএমপি

রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই যুবককে আটক করা হয়।

আটক যুবকের নাম মো. আরাফাত জামান (৩৯)। তিনি ধানমন্ডীর জিগাতলা এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কর্মসূচি চলাকালে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও উপস্থিত সাধারণ জনতা সন্দেহজনক আচরণের কারণে ওই যুবককে আটক করে। পরে তাঁর হেফাজত থেকে একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয় এবং পরে পুলিশে দেওয়া হয়।

উদ্ধার করা পিস্তল। ছবি: ডিএমপি
উদ্ধার করা পিস্তল। ছবি: ডিএমপি

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচি থেকে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ জনতা খেলনা পিস্তলসহ একজনকে আটক করে। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাড়কাঁপানো শীতে চা-শ্রমিকদের দুর্ভোগ, পরনে নেই গরম কাপড়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
ঠান্ডার মধ্যে শীতবস্ত্র ছাড়াই কাজে বের হয়েছেন বাগানের চা-শ্রমিক নারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠান্ডার মধ্যে শীতবস্ত্র ছাড়াই কাজে বের হয়েছেন বাগানের চা-শ্রমিক নারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পৌষের মাঝামাঝিতে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। তীব্র শীতে খেটেখাওয়া মানুষ, বিশেষ করে জেলার ৯২টি চা-বাগানের শ্রমিকদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই কাজে যেতে হচ্ছে তাঁদের। শীত থেকে বাঁচার মতো প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ও নেই শ্রমিকদের। একই সঙ্গে ঠান্ডার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাগানের বয়স্ক থেকে শিশুরা।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে।

সূর্যের দেখা না মেলায় ও ঘন কুয়াশা থাকায় মৌলভীবাজারে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই ঠান্ডার মধ্যেই গাছ-গাছালিতে ঘেরা চা-বাগানগুলোয় সকাল থেকে কাজে নেমে পড়ছেন চা-শ্রমিকের। তাঁদের পরনে নেই পর্যাপ্ত গরম কাপড়। অনেকে ঠান্ডার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

চা-শ্রমিকেরা জানান, শীতের কারণে অনেক কষ্টে পড়েছেন তাঁরা। বাগান কর্তৃপক্ষ তাঁদের কোনো শীতবস্ত্র দেয় না। আর নিজেদের স্বল্প আয় দিয়ে গরম কাপড় কেনার সাধ্যও তাঁদের নেই। রাতে ঠান্ডার জন্য অনেকেই ঘুমাতে পারেন না। শীত নিবারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাত কাটাতে হয়। কেউ কেউ বস্তা বিছিয়ে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেন।

শমশেরনগর চা-বাগানের চা-শ্রমিক গীতা রবিদাস ও মায়া রবিদাস বলেন, ‘এই শীতে কাজ করা অনেক কষ্টের। আমরা চা-শ্রমিকেরা কোনো শীতবস্ত্র পাই না। বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা খুবই করুণ। ঠান্ডায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’

চা-শ্রমিকনেতা সীতারাম বিন বলেন, ‘প্রতিবছর শীতের সময় চা-শ্রমিকদের বেশি কষ্ট হয়। এমনিতেই শ্রীমঙ্গলসহ পুরো মৌলভীবাজার জেলায় শীত বেশি পড়ে। এ জেলায় ৯২টি চা-বাগান রয়েছে। কোনো বাগানের শ্রমিকদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। প্রতিদিন ঠান্ডার কারণে অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন চা-শ্রমিকেরা। বিশেষ করে শীতে বাগানের শিশু ও বৃদ্ধরা অনেক কষ্টে আছেন।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরেই এই অঞ্চলে শীতের দাপট বেড়েছে। বিশেষ করে রাতে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েক দিন একই রকম তাপমাত্রা থাকবে।

শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে ঠান্ডার রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। অনেকেই চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটছেন। কেউ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন।

মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন মো. মামুনুর রহমান বলেন, শীতের মধ্যে সবাইকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরতে হবে। বিশেষ করে এ সময় শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে বেশি করে গরম কাপড় পরিধান করে রাখতে হবে।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তৌহিদুজ্জামান পাভেল বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। কেউ আবেদন করলে তাদের শীতবস্ত্র দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে সদস্যপদ স্থগিত জামায়াত নেতার মনোনয়নপত্র দাখিল

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
জসিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
জসিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে সদস্যপদ স্থগিত হওয়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলন।

এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আখতারুল আলম ফারুক, খেলাফত মজলিসের মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মো. নূরে আলম সিদ্দিকী।

অপর দিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন প্রয়াত প্রকৌশলী শামছ উদ্দিনের স্ত্রী অধ্যক্ষ আখতার সুলতানা, ছেলে তানভীর আহমেদ রানা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল করিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এই আসনে নির্বাচনের জন্য ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন, তাঁর মধ্যে আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান মিলনকে মনোনয়ন দিলে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থকেরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা জামায়াত মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন ও অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থনে ‘ফুলবাড়িয়া ঐক্যবদ্ধ জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন।

এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সদস্যপদ (রুকনিয়াত) স্থগিত করে জামায়াতে ইসলামী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দল আমাকে মূল্যায়ন না করলেও মানুষের ভালোবাসায় প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনে সাধারণ মানুষ আমার ওপর আস্থা রাখবে।’

উল্লেখ্য, একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসন। মোট ভোটার ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৯ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জন নারী এবং হিজড়া দুজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত