Ajker Patrika

ছাত্রদল নেতার হাত–পায়ের রগ কেটে জখম, অভিযোগ সংগঠনের নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১: ৪২
ছাত্রদল নেতার হাত–পায়ের রগ কেটে জখম, অভিযোগ সংগঠনের নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে

নেত্রকোনায় পৌর ছাত্রদলের এক নেতার হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকার শ্যামলী হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত ছাত্রদল নেতার নাম মশিউর রহমান বাপ্পী। তিনি শহরের কুড়পার এলাকার মনু মিয়া মাস্টারের ছেলে ও নেত্রকোনা পৌর ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক। 

জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে হামলার পর আহত ছাত্রদল নেতার জবানবন্দিতে তার ওপর হামলার জন্য নিজ সংগঠনের নেতা–কর্মীদের দায়ী করেছেন বলে জানা গেছে। 

পুলিশ ও বিএনপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার রাতে সদর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে যান বাপ্পী। সেখানে রাত ১২টার দিকে তাঁর ওপর হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। হামলাকারীরা বাপ্পীর হাত ও পায়ের রগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার ডাক–চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। 

স্থানীয়রা দ্রুত বাপ্পীকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ৩টার দিকে বাপ্পীকে মুমূর্ষু অবস্থায় শ্যামলী হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। 

তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর হামলাকারীদের বিষয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন বাপ্পী। তার একটি ভিডিও আজকের পত্রিকার প্রতিনিধির কাছে এসেছে। 

৩৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে আহত বাপ্পীকে বলতে শোনা যায়, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন সুমনসহ সদর উপজেলা ছাত্রদল ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে আরও ১৫-২০ জন ছিল বলেও জানান বাপ্পী। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জমান দুদু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি হামলার পর ধারণ করা বাপ্পীর জবানবন্দি। তার বক্তব্যে জানা গেছে–হামলাকারী কারা। হামলাকারী বেশ কয়েকজন ছাত্রদল নেতার নাম বলেছে বাপ্পী। সে জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে যেসব হামলাকারীর নাম বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ 

তিনি বলেন, ‘বাপ্পী দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ একজন মেধাবী ছাত্র নেতা। সংকটকালীন সময়ে সাহসী ভূমিকা নিয়ে জেলায় ছাত্রদলকে সংগঠিত করে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করেছে। তাকে এভাবে নৃশংসভাবে যারা জখম করেছে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হলে এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস আর কেউ পাবে না।’

জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি বলেন, ‘বাপ্পীকে যেভাবে নৃশংসভাবে কুপিয়ে পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছে এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। কুপিয়ে শরীর এত ক্ষতবিক্ষত করেছে যে তাকানো যায় না। কোন মানুষ অন্য মানুষকে এভাবে কোপাতে পারে এটা ভাবা যায় না।’ 

তিনি বলেন, ‘আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বাপ্পীর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। বাপ্পীকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।’ 

আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি আরও বলেন, বাপ্পীর জবানবন্দির ভিডিওটি আমিও দেখেছি। হয়তো কোন গ্রপিং বা দলীয় কোন্দল ছিল। তবে হামলাকারী কারা আমার জানি না। যেই হোক তদন্তের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। 

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহাবুব চোধুরীর মোবাইলে কল করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন-বাপ্পীর বিষয়টি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয়। বাপ্পী ষড়যন্ত্রের শিকার। প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন করে দায়ীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি। আহত ছাত্রদল নেতার পরিবারের লোকজন ঢাকায় থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে ঘটনা তদন্তের পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চৌদ্দগ্রামে ঘন কুয়াশায় দুই লরির সংঘর্ষ, চালক ও সহযোগী নিহত

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪২
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আজ ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে দুই লরির সংঘর্ষে চালক ও তাঁর সহযোগী (হেলপার) নিহত হয়েছেন। নিহত চালক আব্দুল জব্বার (৩১) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরকমলা গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে এবং হেলপার শাকিল (২২) নোয়াখালীর চরজব্বার থানার চর মহিউদ্দিন গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।

চৌদ্দগ্রাম মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রামমুখী একটি লরিকে পেছনে থাকা আরেকটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের লরির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুল জব্বার মারা যান। গুরুতর আহত হেলপার শাকিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরও মৃত্যু হয়।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন জানান, আহত হেলপারকে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এসআই ফারুক হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানার ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশাজনিত কারণে আজ রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমনকারী একাধিক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বিলম্বে অবতরণ ও উড্ডয়ন করেছে। তবে এদিন কোনো ফ্লাইট ডাইভার্ট (অন্য স্থানে অবতরণ) করা হয়নি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ বলেন, আজ ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রানওয়ের দৃশ্যমান অবস্থা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বর্তমানে দৃশ্যমান অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় ফ্লাইট পরিচালনা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় সব ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

বিলম্বিত ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করছে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির জন্য এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভ্রমণের আগে নিজ নিজ ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদা না দেওয়ায় হাতিয়ায় ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় মেহরাজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের এই ঘটনায় হাতিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় ইউনুছ মাঝিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ইউনুছ মাঝি ও তাঁর সহযোগীরা মেহরাজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর সকালে মেহরাজ উদ্দিন তাঁর চাল ভাঙার মেশিনে কাজ করার সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে মেহরাজ উদ্দিনের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপ দেয়। এতে মাথার হাড় ও খুলি মারাত্মকভাবে জখম হয়। এ ছাড়া লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ এস এম আরিফ বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের মাথার আঘাত খুবই গুরুতর। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মেহরাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন ধরে ইউনুছ মাঝি, তাঁর ছেলে হাসান ও রাজু এবং পাশের এলাকার আয়াত হোসেন তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এর আগেও তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ও ভাতিজা সাকিব আলম জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নুরনবী। বর্তমানে গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকতেন নাজমুল। তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কোয়ালিটি সুপারভাইজার ছিলেন তিনি।

সাকিব আলম আরও জানান, রাতে গ্রাম থেকে তাঁকে ফোনে জানানো হয়, নাজমুল উত্তরার হাউস বিল্ডিংয়ের জয়নাল মার্কেট নতুন গেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছেন। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখতে পান। আহত অবস্থায় নাজমুলকে পথচারীরা সেখানে নিয়ে এসেছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।

পথচারীদের বরাতে সাকিব আরও বলেন, হাউস বিল্ডিং এলাকার জয়নাল মার্কেটে নতুন গেট এলাকার রেললাইনে দুই দিক থেকে দুটি ট্রেন আসায় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নাজমুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তবে তিনি সেখান দিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন, কেউ তা বলতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত