এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ‘দোষারোপের রাজনীতি’। নেতা–কর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়েছেন। একপক্ষ আরেক পক্ষকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করছে। স্বদলীয় প্রতিপক্ষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
বর্তমান পরিস্থিতিতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বনাম সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের সমর্থকদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটছে। উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে থানা-পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে পৌর শহরের বটতলা চত্বরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। দুপুরে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিলে শেষে একই স্থানে সমাবেশ করেন নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকেরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা ইসলামপুর রেলস্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান নেন ইসলামপুর-জামালপুর মহাসড়কের ডেফলা ঘাট এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনে নির্বাচন করার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর রাজনৈতিক কার্যক্রম পালন করে আসছেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব।
অপর দিকে, একই আসনে প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ এস এম আব্দুল হালিমকে উপস্থাপন করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল রাজনৈতিক কার্যক্রম পালন করে আসছেন।
বিএনপির এক অংশের নেতা–কর্মী নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলকে সমর্থন দিচ্ছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুর হাতে রয়েছে দলটির উপজেলা শাখার অঙ্গসংগঠনের কমিটি।
ভবিষ্যতে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে নিতে দলের মধ্যে অবস্থান মজবুত করতে চলছে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা। দিন যতই যাচ্ছে, ততই মাথা চাড়া দিচ্ছে দলীয় আধিপত্যের আধিক্য। দোষারোপ করছে একপক্ষ অন্যপক্ষে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামপুর এম এ সামাদ পারভেজ মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান বিপুলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও চড়থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে নবাবের সমর্থক পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের মালিকানাধীন রেলস্টেশন রোডের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
পরদিন বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ওই কলেজ পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে লাঞ্ছনা ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা ধর্মকুড়ার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে জড় হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরাতন মার্কাজ মসজিদ মোড় এলাকায় নেতা–কর্মীরা পৌঁছা মাত্রই তাঁদের ওপর হামলা চালায় চালানো হয়।
এতে গুরুতর আহত হন উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ বালা, চরপুটিমারী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. পলাশ। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেন।
একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের নেতৃত্বে একটি মিছিল বিক্ষোভ বের হয়। মিছিলটি থানা গেটসংলগ্ন সড়ক থেকে বের করে ইসলামপুর বাজারসহ প্রদক্ষিণ শেষে থানা মোড় বটতলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন নেতা–কর্মীরা।
পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাহবুবুল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক হাতেম আলী সাদা, নবী নেওয়াজ খান লোহানীর সমর্থক জাকিউল ইসলাম তিব্বত, মনির খান লোহানী এবং সাকাওয়াত হোসেন সুজন।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন দমাতে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোসহ মারধরের অভিযোগে ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আওয়ামী লীগের ৩১ নেতা-কর্মীর নামে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় সোনা মিয়া ফারাজি এবং পিয়াস মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ওই দুজনকে বিএনপির কর্মী দাবি করে ৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন ডাকেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী।
অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে লেখা হয়, তথাকথিত ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুর নির্দেশে এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব এবং তথাকথিত ইসলামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ঢালীর পরামর্শে পাথর্শী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোনা ফারাজী ও পাথর্শী ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মো. পিয়াসকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী পক্ষের দুই কর্মী হলেন সোনা ফারাজী ও মো. পিয়াস।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল এবং পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন।
এর দুই দিন পর সংবাদ সম্মেলন ডেকে ওই দুই ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করেন বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নবাব।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মনোনয়ন বড় বিষয় না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তাঁকে মেনে নেব। তবে দলের নাম ভাঙিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। একটি পক্ষ দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বলেন, ‘রাজনৈতিক ফায়দা নিতে আমাদের বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। হীন উদ্দেশ্যে কতিপয় নেতা–কর্মী দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।’
উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে দ্রুত রাজনৈতিক বিরোধ সুরাহা না করা হলে, যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা জরুরি।’
ইসলামপুর থানার (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ বলেন, যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে থানা-পুলিশসহ সেনাবাহিনীর টহল দল মাঠে রয়েছে।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ‘দোষারোপের রাজনীতি’। নেতা–কর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়েছেন। একপক্ষ আরেক পক্ষকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করছে। স্বদলীয় প্রতিপক্ষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
বর্তমান পরিস্থিতিতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বনাম সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের সমর্থকদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটছে। উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে থানা-পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে পৌর শহরের বটতলা চত্বরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। দুপুরে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিলে শেষে একই স্থানে সমাবেশ করেন নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকেরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা ইসলামপুর রেলস্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান নেন ইসলামপুর-জামালপুর মহাসড়কের ডেফলা ঘাট এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনে নির্বাচন করার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর রাজনৈতিক কার্যক্রম পালন করে আসছেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব।
অপর দিকে, একই আসনে প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ এস এম আব্দুল হালিমকে উপস্থাপন করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল রাজনৈতিক কার্যক্রম পালন করে আসছেন।
বিএনপির এক অংশের নেতা–কর্মী নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলকে সমর্থন দিচ্ছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুর হাতে রয়েছে দলটির উপজেলা শাখার অঙ্গসংগঠনের কমিটি।
ভবিষ্যতে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে নিতে দলের মধ্যে অবস্থান মজবুত করতে চলছে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা। দিন যতই যাচ্ছে, ততই মাথা চাড়া দিচ্ছে দলীয় আধিপত্যের আধিক্য। দোষারোপ করছে একপক্ষ অন্যপক্ষে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামপুর এম এ সামাদ পারভেজ মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান বিপুলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও চড়থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে নবাবের সমর্থক পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের মালিকানাধীন রেলস্টেশন রোডের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
পরদিন বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ওই কলেজ পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে লাঞ্ছনা ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা ধর্মকুড়ার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে জড় হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরাতন মার্কাজ মসজিদ মোড় এলাকায় নেতা–কর্মীরা পৌঁছা মাত্রই তাঁদের ওপর হামলা চালায় চালানো হয়।
এতে গুরুতর আহত হন উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ বালা, চরপুটিমারী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. পলাশ। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেন।
একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের নেতৃত্বে একটি মিছিল বিক্ষোভ বের হয়। মিছিলটি থানা গেটসংলগ্ন সড়ক থেকে বের করে ইসলামপুর বাজারসহ প্রদক্ষিণ শেষে থানা মোড় বটতলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন নেতা–কর্মীরা।
পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাহবুবুল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক হাতেম আলী সাদা, নবী নেওয়াজ খান লোহানীর সমর্থক জাকিউল ইসলাম তিব্বত, মনির খান লোহানী এবং সাকাওয়াত হোসেন সুজন।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন দমাতে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোসহ মারধরের অভিযোগে ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আওয়ামী লীগের ৩১ নেতা-কর্মীর নামে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় সোনা মিয়া ফারাজি এবং পিয়াস মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ওই দুজনকে বিএনপির কর্মী দাবি করে ৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন ডাকেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী।
অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে লেখা হয়, তথাকথিত ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুর নির্দেশে এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব এবং তথাকথিত ইসলামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ঢালীর পরামর্শে পাথর্শী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোনা ফারাজী ও পাথর্শী ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মো. পিয়াসকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী পক্ষের দুই কর্মী হলেন সোনা ফারাজী ও মো. পিয়াস।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল এবং পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন।
এর দুই দিন পর সংবাদ সম্মেলন ডেকে ওই দুই ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করেন বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নবাব।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মনোনয়ন বড় বিষয় না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তাঁকে মেনে নেব। তবে দলের নাম ভাঙিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। একটি পক্ষ দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বলেন, ‘রাজনৈতিক ফায়দা নিতে আমাদের বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। হীন উদ্দেশ্যে কতিপয় নেতা–কর্মী দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।’
উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে দ্রুত রাজনৈতিক বিরোধ সুরাহা না করা হলে, যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা জরুরি।’
ইসলামপুর থানার (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ বলেন, যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে থানা-পুলিশসহ সেনাবাহিনীর টহল দল মাঠে রয়েছে।
এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ‘দোষারোপের রাজনীতি’। নেতা–কর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়েছেন। একপক্ষ আরেক পক্ষকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করছে। স্বদলীয় প্রতিপক্ষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
বর্তমান পরিস্থিতিতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বনাম সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের সমর্থকদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটছে। উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে থানা-পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে পৌর শহরের বটতলা চত্বরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। দুপুরে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিলে শেষে একই স্থানে সমাবেশ করেন নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকেরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা ইসলামপুর রেলস্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান নেন ইসলামপুর-জামালপুর মহাসড়কের ডেফলা ঘাট এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনে নির্বাচন করার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর রাজনৈতিক কার্যক্রম পালন করে আসছেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব।
অপর দিকে, একই আসনে প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ এস এম আব্দুল হালিমকে উপস্থাপন করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল রাজনৈতিক কার্যক্রম পালন করে আসছেন।
বিএনপির এক অংশের নেতা–কর্মী নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলকে সমর্থন দিচ্ছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুর হাতে রয়েছে দলটির উপজেলা শাখার অঙ্গসংগঠনের কমিটি।
ভবিষ্যতে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে নিতে দলের মধ্যে অবস্থান মজবুত করতে চলছে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা। দিন যতই যাচ্ছে, ততই মাথা চাড়া দিচ্ছে দলীয় আধিপত্যের আধিক্য। দোষারোপ করছে একপক্ষ অন্যপক্ষে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামপুর এম এ সামাদ পারভেজ মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান বিপুলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও চড়থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে নবাবের সমর্থক পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের মালিকানাধীন রেলস্টেশন রোডের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
পরদিন বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ওই কলেজ পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে লাঞ্ছনা ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা ধর্মকুড়ার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে জড় হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরাতন মার্কাজ মসজিদ মোড় এলাকায় নেতা–কর্মীরা পৌঁছা মাত্রই তাঁদের ওপর হামলা চালায় চালানো হয়।
এতে গুরুতর আহত হন উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ বালা, চরপুটিমারী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. পলাশ। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেন।
একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের নেতৃত্বে একটি মিছিল বিক্ষোভ বের হয়। মিছিলটি থানা গেটসংলগ্ন সড়ক থেকে বের করে ইসলামপুর বাজারসহ প্রদক্ষিণ শেষে থানা মোড় বটতলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন নেতা–কর্মীরা।
পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাহবুবুল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক হাতেম আলী সাদা, নবী নেওয়াজ খান লোহানীর সমর্থক জাকিউল ইসলাম তিব্বত, মনির খান লোহানী এবং সাকাওয়াত হোসেন সুজন।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন দমাতে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোসহ মারধরের অভিযোগে ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আওয়ামী লীগের ৩১ নেতা-কর্মীর নামে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় সোনা মিয়া ফারাজি এবং পিয়াস মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ওই দুজনকে বিএনপির কর্মী দাবি করে ৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন ডাকেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী।
অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে লেখা হয়, তথাকথিত ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুর নির্দেশে এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব এবং তথাকথিত ইসলামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ঢালীর পরামর্শে পাথর্শী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোনা ফারাজী ও পাথর্শী ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মো. পিয়াসকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী পক্ষের দুই কর্মী হলেন সোনা ফারাজী ও মো. পিয়াস।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল এবং পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন।
এর দুই দিন পর সংবাদ সম্মেলন ডেকে ওই দুই ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করেন বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নবাব।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মনোনয়ন বড় বিষয় না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তাঁকে মেনে নেব। তবে দলের নাম ভাঙিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। একটি পক্ষ দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বলেন, ‘রাজনৈতিক ফায়দা নিতে আমাদের বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। হীন উদ্দেশ্যে কতিপয় নেতা–কর্মী দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।’
উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে দ্রুত রাজনৈতিক বিরোধ সুরাহা না করা হলে, যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা জরুরি।’
ইসলামপুর থানার (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ বলেন, যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে থানা-পুলিশসহ সেনাবাহিনীর টহল দল মাঠে রয়েছে।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ‘দোষারোপের রাজনীতি’। নেতা–কর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়েছেন। একপক্ষ আরেক পক্ষকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করছে। স্বদলীয় প্রতিপক্ষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
বর্তমান পরিস্থিতিতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বনাম সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের সমর্থকদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটছে। উভয় পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে থানা-পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে পৌর শহরের বটতলা চত্বরে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। দুপুরে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিলে শেষে একই স্থানে সমাবেশ করেন নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকেরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা ইসলামপুর রেলস্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান নেন ইসলামপুর-জামালপুর মহাসড়কের ডেফলা ঘাট এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনে নির্বাচন করার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বাবু কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর রাজনৈতিক কার্যক্রম পালন করে আসছেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব।
অপর দিকে, একই আসনে প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ এস এম আব্দুল হালিমকে উপস্থাপন করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল রাজনৈতিক কার্যক্রম পালন করে আসছেন।
বিএনপির এক অংশের নেতা–কর্মী নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলকে সমর্থন দিচ্ছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুর হাতে রয়েছে দলটির উপজেলা শাখার অঙ্গসংগঠনের কমিটি।
ভবিষ্যতে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ভাগিয়ে নিতে দলের মধ্যে অবস্থান মজবুত করতে চলছে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা। দিন যতই যাচ্ছে, ততই মাথা চাড়া দিচ্ছে দলীয় আধিপত্যের আধিক্য। দোষারোপ করছে একপক্ষ অন্যপক্ষে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামপুর এম এ সামাদ পারভেজ মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান বিপুলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও চড়থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে নবাবের সমর্থক পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের মালিকানাধীন রেলস্টেশন রোডের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
পরদিন বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ওই কলেজ পরিচালনা কমিটিকে কেন্দ্র করে লাঞ্ছনা ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবের সমর্থকেরা ধর্মকুড়ার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে জড় হতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরাতন মার্কাজ মসজিদ মোড় এলাকায় নেতা–কর্মীরা পৌঁছা মাত্রই তাঁদের ওপর হামলা চালায় চালানো হয়।
এতে গুরুতর আহত হন উপজেলার চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ বালা, চরপুটিমারী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. পলাশ। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেন।
একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাবকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলের নেতৃত্বে একটি মিছিল বিক্ষোভ বের হয়। মিছিলটি থানা গেটসংলগ্ন সড়ক থেকে বের করে ইসলামপুর বাজারসহ প্রদক্ষিণ শেষে থানা মোড় বটতলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন নেতা–কর্মীরা।
পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাহবুবুল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক হাতেম আলী সাদা, নবী নেওয়াজ খান লোহানীর সমর্থক জাকিউল ইসলাম তিব্বত, মনির খান লোহানী এবং সাকাওয়াত হোসেন সুজন।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন দমাতে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানোসহ মারধরের অভিযোগে ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আওয়ামী লীগের ৩১ নেতা-কর্মীর নামে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় সোনা মিয়া ফারাজি এবং পিয়াস মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ওই দুজনকে বিএনপির কর্মী দাবি করে ৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন ডাকেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী।
অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে লেখা হয়, তথাকথিত ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাবুর নির্দেশে এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব এবং তথাকথিত ইসলামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম ঢালীর পরামর্শে পাথর্শী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোনা ফারাজী ও পাথর্শী ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মো. পিয়াসকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী পক্ষের দুই কর্মী হলেন সোনা ফারাজী ও মো. পিয়াস।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল এবং পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন।
এর দুই দিন পর সংবাদ সম্মেলন ডেকে ওই দুই ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করেন বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম নবাব।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মনোনয়ন বড় বিষয় না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তাঁকে মেনে নেব। তবে দলের নাম ভাঙিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। একটি পক্ষ দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বলেন, ‘রাজনৈতিক ফায়দা নিতে আমাদের বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। হীন উদ্দেশ্যে কতিপয় নেতা–কর্মী দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।’
উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে দ্রুত রাজনৈতিক বিরোধ সুরাহা না করা হলে, যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা জরুরি।’
ইসলামপুর থানার (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ বলেন, যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে থানা-পুলিশসহ সেনাবাহিনীর টহল দল মাঠে রয়েছে।

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
১ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে দেখিয়ে দিয়েছি যে চাইলেই ঢাকার ভেতরে ওয়াটারওয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ডিএনসিসির পক্ষ থেকে কনাই নদ উদ্ধার করে নৌচলাচল উপযোগী ৯ কিলোমিটার নদে প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগে ফিল্ড স্টাডি ও পরে উচ্ছেদ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
উত্তরাবাসীর পক্ষে বক্তব্যে কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস ডিএনসিসির প্রশাসকের এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে হারিয়ে যাওয়া কনাই নদের প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
পাউবোর বোর্ড সদস্য আমিনুর রসুল বলেন, নতুন করে ৯ কিলোমিটার নৌপথ যুক্ত হলো। এখন এটি রক্ষার দায়িত্ব এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডে ফ্লোটিং মার্কেট দেখতে যাই, অথচ ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলো উদ্ধার করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুললে এর চেয়েও সুন্দর পর্যটন এলাকা তৈরি করা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এ বি এম শামসুল আলমসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা গ্যাজেটিয়ার এবং ১৯৬০ সালের ঢাকা ম্যাপে রাজধানীর ভেতরে কনাই, নড়াই, দেবদোলাই, জিরানি প্রভৃতি নদ-নদীর অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সময়ের ব্যবধানে এসব নদী হারিয়ে যায়। ডিএনসিসির উদ্যোগে আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার নদ খনন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কনাই নদ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে নদটি ‘খিদির খাল’ নামে পরিচিত। কনাই নদ আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে গড়ান চটবাড়ি হয়ে দ্বিগুণ খাল অতিক্রম করে তুরাগ নদে মিলিত হয়েছে।

রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমরা হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে দেখিয়ে দিয়েছি যে চাইলেই ঢাকার ভেতরে ওয়াটারওয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ডিএনসিসির পক্ষ থেকে কনাই নদ উদ্ধার করে নৌচলাচল উপযোগী ৯ কিলোমিটার নদে প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগে ফিল্ড স্টাডি ও পরে উচ্ছেদ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
উত্তরাবাসীর পক্ষে বক্তব্যে কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস ডিএনসিসির প্রশাসকের এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে হারিয়ে যাওয়া কনাই নদের প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
পাউবোর বোর্ড সদস্য আমিনুর রসুল বলেন, নতুন করে ৯ কিলোমিটার নৌপথ যুক্ত হলো। এখন এটি রক্ষার দায়িত্ব এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডে ফ্লোটিং মার্কেট দেখতে যাই, অথচ ঢাকার চারপাশের নদ-নদীগুলো উদ্ধার করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুললে এর চেয়েও সুন্দর পর্যটন এলাকা তৈরি করা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এ বি এম শামসুল আলমসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকা গ্যাজেটিয়ার এবং ১৯৬০ সালের ঢাকা ম্যাপে রাজধানীর ভেতরে কনাই, নড়াই, দেবদোলাই, জিরানি প্রভৃতি নদ-নদীর অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সময়ের ব্যবধানে এসব নদী হারিয়ে যায়। ডিএনসিসির উদ্যোগে আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার নদ খনন কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কনাই নদ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে নদটি ‘খিদির খাল’ নামে পরিচিত। কনাই নদ আবদুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে গড়ান চটবাড়ি হয়ে দ্বিগুণ খাল অতিক্রম করে তুরাগ নদে মিলিত হয়েছে।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ‘দোষারোপের রাজনীতি’। নেতা–কর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়েছেন। স্বদলীয় প্রতিপক্ষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান অলি, পানছড়ি (খাগড়াছড়ি)

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী। এতে শিক্ষার্থী থেকে রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কর্মজীবী—সবাই ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি অটোরিকশা সমিতির আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে সাত শতাধিক যান। বাকি অটোরিকশাগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে রাস্তায় চলাচল করায় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অটোরিকশাচালকদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তাঁরা এ পেশায় এসেছেন। চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কাজ না থাকায় ইজিবাইক চালাতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই নিয়ম না জেনে গাড়ি চালান।’
আরেক চালক তাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স, নিবন্ধন ও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে চালকদেরও সুবিধা হতো। সরকার যদি সহজভাবে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বলেন, দোকানে পণ্য আনা-নেওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হয়। হাটের দিনগুলোতে বাজার এলাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমল বিকাশ চাকমা জানায়, মাত্র ১০ মিনিটের পথ অটোরিকশার ভিড়ে অনেক সময় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। হাটের দিনে বাজার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।
স্থানীয়দের দাবি, অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, নিবন্ধন কার্যকর করা এবং বাজার এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, অধিকাংশ চালকেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই এবং সড়ক আইন সম্পর্কে ধারণাও সীমিত। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ কোনো নিয়মই তাঁরা মানেন না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, পানছড়িতে অটোরিকশার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কখনো কখনো জরুরি রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে, অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার এলাকায় পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নির্ধারণ এবং অটোরিকশা সমিতির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী। এতে শিক্ষার্থী থেকে রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কর্মজীবী—সবাই ভোগান্তির শিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। এর মধ্যে চারটি অটোরিকশা সমিতির আওতায় নিবন্ধিত রয়েছে সাত শতাধিক যান। বাকি অটোরিকশাগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে রাস্তায় চলাচল করায় নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অটোরিকশাচালকদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাবে তাঁরা এ পেশায় এসেছেন। চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কাজ না থাকায় ইজিবাইক চালাতে বাধ্য হয়েছি। প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকেই নিয়ম না জেনে গাড়ি চালান।’
আরেক চালক তাজুল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স, নিবন্ধন ও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলে চালকদেরও সুবিধা হতো। সরকার যদি সহজভাবে লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খায়ের বলেন, দোকানে পণ্য আনা-নেওয়ায় মারাত্মক সমস্যা হয়। হাটের দিনগুলোতে বাজার এলাকায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। পানছড়ি বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমল বিকাশ চাকমা জানায়, মাত্র ১০ মিনিটের পথ অটোরিকশার ভিড়ে অনেক সময় আধা ঘণ্টা লেগে যায়। হাটের দিনে বাজার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।
স্থানীয়দের দাবি, অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, নিবন্ধন কার্যকর করা এবং বাজার এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার না হলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, অধিকাংশ চালকেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই এবং সড়ক আইন সম্পর্কে ধারণাও সীমিত। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ কোনো নিয়মই তাঁরা মানেন না। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনুতোষ চাকমা বলেন, পানছড়িতে অটোরিকশার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কখনো কখনো জরুরি রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে আটকে থাকে, অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার এলাকায় পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড নির্ধারণ এবং অটোরিকশা সমিতির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ‘দোষারোপের রাজনীতি’। নেতা–কর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়েছেন। স্বদলীয় প্রতিপক্ষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে দলীয় কৌশল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দিন আহমেদকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সাবেক এই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ব্যবসায়িক সহযোগী হিসেবে থাকারও অভিযোগ তুলেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে জসিম উদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির অনেকে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। এ জন্য তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।
আসন তিনটিতে এই পাঁচজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে দলীয় অন্তর্কোন্দলের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের বর্তমান দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফুটন্ত উনুন থেকে জ্বলন্ত কড়াইয়ে পড়েছি আমরা। বিপ্লবের পরও আগের একই চেহারা দেখা যাচ্ছে প্রার্থী মনোনয়নে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মাসে রাউজান উপজেলায় ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ১৩টি। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁরা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন। আধিপত্য বিস্তার এবং বালুমহাল ও পাহাড় কাটার মাটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ছাড়া গত ১৬ মাসে গুলিবিনিময়ের ৩২টি ঘটনায় অর্ধশত লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আসনটিতে প্রথম দফায় বিএনপির কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে গোলাম আকবর খোন্দকারকেও।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা আমাকে বাদ দেওয়াসংক্রান্ত দলীয় নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি। আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী।’
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজানে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে রেখে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের প্রার্থী লেয়াকত আলী বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলাম। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপির অধিকাংশ ভোটার আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে।’

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ‘দোষারোপের রাজনীতি’। নেতা–কর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়েছেন। স্বদলীয় প্রতিপক্ষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
১ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
১ ঘণ্টা আগে
বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে...
২ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

বড় জাহাজ থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল খালাস করে সময় ও ব্যয় কমাতে নেওয়া হয়েছে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইদ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্প। ৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দেড় বছর আগে। কিন্তু পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় অলস পড়ে আছে বৃহৎ এই জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) উদ্যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। এর পর থেকে এটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় যন্ত্রাংশের কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা-২) উপসচিব আসমা আরা বেগম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট আগে নির্মাণ করা হলে এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুত কাজে লাগানো যেত। শোধনাগার সম্প্রসারণের কাজ আগে হলে এখন আর এটি বসিয়ে রাখতে হতো না।
প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সাগরে একটি ভাসমান মুরিং (বিশেষায়িত বয়া) বসানো হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে মহেশখালী স্টোরেজ ট্যাংক হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটিতে অপরিশোধিত, অন্যটিতে পরিশোধিত তেল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি পাম্পিং স্টেশন, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর ও একাধিক স্টোরেজ ট্যাংকও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এখনো সনাতন পদ্ধতিতে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হচ্ছে। বর্তমানে বড় ট্যাংকার থেকে প্রথমে ছোট ট্যাংকারে তেল স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেগুলো জেটিতে এনে পাইপের মাধ্যমে খালাস করা হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসপিএম চালু হলে এক লাখ টন জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তেল খালাস করা সম্ভব হতো। সনাতন পদ্ধতিতে সেখানে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ দিন। ইতিপূর্বে এই পদ্ধতিতে তেল খালাস করতে গিয়ে ট্যাংকারে বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
বিপিসির পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। তবে এটি এখনো পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (পিটিপিএলসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিচালনার দায় নিতে রাজি নয় প্রতিষ্ঠানটি। পিটিপিএলসির উপমহাব্যবস্থাপক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি এখনো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজের ঠিকাদার ছিল চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (সিপিপিইসি)। অপারেশন ও মেইনটেন্যান্সের দায়িত্বও তাদের দেওয়ার কথা ছিল। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। দরপত্রের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের উদ্যোগ নেয় বিপিসি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া মেলেনি। প্রকল্প পরিচালক ও ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ হাসনাতকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (পরিকল্পনা) অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, প্রকল্পটি অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স ঠিকাদার নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে প্রায় ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়, যা ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের মতে, অপরিশোধিত তেল আমদানি ও মজুত সক্ষমতা না বাড়ালে এসপিএম প্রকল্প পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হওয়ার কথা। পরিবহন, তেল খালাসের খরচ ও নানা অপচয় কমে এ অর্থ সাশ্রয় হবে।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ‘দোষারোপের রাজনীতি’। নেতা–কর্মীরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়েছেন। স্বদলীয় প্রতিপক্ষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলাসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার করে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরায় ডিএনসিসি আয়োজন করে ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্যাপন অনুষ্ঠান’।
১ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাজারে ঢুকলেই থেমে যায় যানবাহনের গতি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ভিড়ে যানজটে প্রতিদিনই অচল হয়ে পড়ছে সড়ক। অনুমোদনহীন যান, প্রশিক্ষণহীন চালক আর যত্রতত্র পার্কিংয়ে সীমান্তঘেঁষা এই মফস্বল শহরের বাজার এলাকা এখন স্থায়ী যানজটের ফাঁদে বন্দী।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ‘রক্তাক্ত জনপদ’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে দীর্ঘদিনের একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকার—দুজনকেই বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে