Ajker Patrika

অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে ঝুঁকি

সাইফুল আলম তুহিন, ত্রিশাল
অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে ঝুঁকি

ত্রিশালের ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কের রেল ক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার তিন বছর ধরে নষ্ট। ফলে অরক্ষিত রেল ক্রসিংটি দিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছে যানবাহন ও পথচারীরা। অন্যদিকে ক্রসিংটিতে নেই কোনো ট্রাফিক বক্স। এ কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গেটম্যানকে। স্থানীয় জনসাধারণ ও যানবাহনের চালকদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যারিয়ার স্থাপনসহ ক্রসিংয়ের সার্বক্ষণিক রক্ষণাবেক্ষণ করার।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের আউলিয়া নগরে ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কের ব্যারিয়ার নষ্ট। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে পথচারীসহ ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করছে। ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকাগামী এ রেলপথে দিন-রাতের বিভিন্ন সময়ে ট্রেন যাতায়াত করে। ট্রাফিক গেটম্যান লোহার শিকল দিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। দিনের বেলা শিকল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও রাতের বেলা পড়তে হয় সমস্যায়। অনেকে লোহার শিকল না দেখে রেলক্রসিং পারাপার হচ্ছেন। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আকবর মিয়া বলেন, রেলক্রসিংয়ে গেট আটকানোর জন্য স্থাপন করা ব্যারিয়ার অনেক দিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আমরা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছি। লোহার শিকল দিয়ে আটকালেও অনেকেই তা মানছে না। এখানে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। গেটম্যান থাকলেও তিনি সব সময় দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এটা ঠিক না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’

সাধারণ পথচারীরা জানান, রেলক্রসিংটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এর আগে অনেকেই এখানে বিপদে পড়েছেন। লোহার শিকল অনেকের চোখেই তা পড়ছে না। গেটম্যান অনেক সময় না থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক যানবাহনের লাইট না থাকার কারণে রাতের বেলায় আরও বেশি সমস্যা হয়। শিকল দেখাই যায় না। এ কারণে গাড়ি না থামিয়ে শিকল ছিঁড়ে নিয়ে চলে যান অনেক চালক। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বড় একটা দুর্ঘটনা না ঘটার আগে কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে না।’

স্কুলশিক্ষার্থী হাসান বলে, ‘আমাদের স্কুল রেলস্টেশনের কাছাকাছি। তাই এ পথ দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। গেটম্যান লোহার শিকল দিয়ে রাস্তা আটকান। শিকল অনেক সময় দেখা যায় না, তাই দুর্ঘটনা লেগেই আছে। আমাদেরও পারাপারে অনেক সমস্যা হয়। কখন যেন ট্রেন চলে আসে সে ভয়ে থাকি।’

স্থানীয় কয়েকজন দোকানদার জানান, ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কে ছোট-বড় কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। দিনে-রাতে অনেক ট্রেন চলে। আগে রাস্তা আটকানোর ব্যারিয়ার ভালো ছিল। তিন বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে ব্যারিয়ারটি। রেল কর্তৃপক্ষ নজর না দিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। আর গেটম্যান সব সময় থাকেন না। কয়েক দিন আগে এক মোটরসাইকেলের আরোহী দ্রুত গতিতে পার হতে চাইলে শিকলে আটকে ব্যথা পান। এমন ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে।

ট্রাফিক গেটম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এখানে দুটি ব্যারিয়ার ছিল। একটি অনেক দিন ধরেই নষ্ট। আরেকটি জং ধরে ভেঙে পড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণে লোহার শিকল দিয়ে কোনোরকমে আটকানোর ব্যবস্থা করছি। কিন্তু অনেকেই লোহার শিকল অতিক্রম করে চলে যান। মানতে চান না।’ মোশারফ হোসেন আরও বলেন, বিশেষ করে রাতের বেলা শিকল না দেখে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হন। আর এখানে কোনো ট্রাফিক বক্স নেই। যার কারণে রোদ, বৃষ্টিতে বসে থাকা যায় না। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েছি।

আউলিয়ানগর স্টেশনে যোগাযোগ করলে ওই সময় দায়িত্বরত রায়হান বলেন, ‘এটা আমাদের রেলওয়ে ট্রাফিক বিভাগের আন্ডারে। আমি তাদের অনেকবার এ বিষয়ে জানিয়েছি। তারা বলেছে বাজেট নেই। অনেক দিন ধরে ব্যারিয়ার নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আর এখানে গেটম্যান আছে কিন্তু ট্রাফিক বক্স না থাকার কারণে অসুবিধা হচ্ছে। আমরা অনেক দিন নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন গেটম্যান লোহার শিকল দিয়ে ক্রসিংয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছেন।’

জানতে চাইলে আউলিয়ানগর রেলস্টেশনের মাস্টার হাসান আজিজুর রহমান বলেন, ‘এটা দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। আপাতত লোহার শিকল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এখানে ট্রাফিক বক্সের কোনো ব্যবস্থা নেই। গেটম্যানের সমস্যা হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। তাঁদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ এজাজ জানান, নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম শামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকিতে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

বার্ষিক বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মীর প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক) এবং অন্য ১ হাজার ৪৬৭ জনের ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন; প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী; উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হেড অব মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ, সাবরিন মারুফ তিন্নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়। এতে যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় অবরোধকারীরা ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোয় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এখনো প্রধান খুনিসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃশ্যমান বিচার চাই। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে।’

মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে। তবে ওসমান হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।’

বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী    
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র‍্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১২টি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি চিকন পাইপসহ অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব এসব তথ্য জানায়। র‍্যাব জানায়, আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে চুনিয়াপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর বসতবাড়ির পশ্চিম পাশে গোয়ালঘরের পেছনে রান্নার লাকড়ির নিচে, একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে এবং জয়নালের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে এসব অস্ত্র উদ্ধার হয়।

উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলোর উৎস বা মালিকানা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে র‍্যাব জানিয়েছে। তাই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে অস্ত্রগুলো তানোর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দেবাশীষ চক্রবর্তী (৩৫) নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার আঠারো মাইল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মধুসূদন চক্রবর্তীর ছেলে। এ ঘটনায় চালক মো. আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডুমুরিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বলেন, আজ সকালে মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমান আরোহীসহ তালা থেকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। ৮টা ২০ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলটি ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল মোড়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী গুরুতর আহত হলে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানকার চিকিৎসক দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত মোটরসাইকেলচালক আতিয়ার রহমানকে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত