Ajker Patrika

স্বপ্না খাতুনের সাপ-আতঙ্ক কাটাতে দুই দিন ধরে চলল মনসামঙ্গল গান

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ২৩: ০৬
স্বপ্না খাতুনের সাপ-আতঙ্ক কাটাতে দুই দিন ধরে চলল মনসামঙ্গল গান

গত এক বছর ধরে স্বপ্না খাতুন (২০) সাপের আতঙ্কে ভুগছেন। সাত-আটবার তাঁকে সাপে কেটেছে বলে দাবি তাঁর। সাপে কাটার দাগও শরীরে দেখিয়েছেন। কিন্তু সেই সাপ তিনি ছাড়া আর কেউ দেখতে পান না। ওঝা, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েও কোনো সমাধান না পেয়ে, মা-বাবা মানত করেন মনসামঙ্গলের গান। তাঁদের বিশ্বাস, এতেই সেরে যাবে সমস্যা।

অবশেষে গতকাল শনিবার রাত ১০টা থেকে আজ রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে মনসামঙ্গলের গান। আয়োজনটি ছিল মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামে স্বপ্না খাতুনদের বাড়িতে। এই আয়োজন গ্রামের মানুষের ঢল নামে।

স্থানীয়রা বলছে, নানা রোগ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের মানত করা হয়। সাপের আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে মানত করা হয়েছে মনসামঙ্গল গান। মনসামঙ্গল গান হবে, তাই শুনতে এসেছেন তাঁরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীরা বিভিন্ন গান গাইছেন আর তালে তালে নাচছেন। গ্রামের মানুষও বেশ উপভোগ করেছেন সেটি।

স্বপ্না খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এক বছর ধরে সাপের সমস্যায় ভুগছি। সাপে কাটে কিন্তু শরীরে বিষ ধরে না। এযাবৎ আমাকে সাত থেকে আটবার সাপে কেটেছে। ডাক্তার ও ওঝা দেখিয়েছি, কোনো ফল পাইনি। গান মানত করার পরে আমি আর সাপ দেখতেও পায়নি, সাপেও কাটে না।’ 

স্বপ্না আরও বলেন, ‘এই গানের জন্য সাত রকম ফল, সাত রকম মিষ্টি, সাত রকম ফুল, গুড়ের লাড্ডু, নারকেলের লাড্ডুসহ বিভিন্ন জিনিস গোছানো লাগে।’ 

স্বপ্না খাতুনের মা হোসনে আরার দাবি, মানত পূরণের পর মেয়ে এখন বেশ ভালো আছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়েকে সাপে প্রায় ভোগান্তি দেয়। কিন্তু আমার মেয়ে ছাড়া অন্য কেউ সাপ দেখতে পায় না। অনেক জায়গায় গিয়েছি, কিন্তু কোনো সমাধান পায়নি। তাই শেষে গান মানত করেছি। মেয়ে এখন অনেক ভালো আছে।’ 

হোসনে আরা খাতুনের স্বামী আব্দুল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়েকে সাত থেকে আটবার সাপে কেটেছে। অনেক জায়গায় দেখিয়েছি কোনো ফল পাইনি। তা ছাড়া আমরা সাপও দেখতে পাই না। তবে সাপে কাটা দাগ হয়। আমার মেয়ে ছাড়া কেউ এই সাপ দেখতে পায় না। তাই কোনো পথ না পেয়ে এই গান মানত করেছি। এখন আমার মেয়ে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছে।’

এ নিয়ে কথা হয় গানের দলের প্রধান মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা মনসামঙ্গল গান। সাপের উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে এই গান গাওয়া হয়। আমি ৩৫ বছর ধরে এই গানের জগতে আছি। বিভিন্ন জায়গায় গান গেয়ে থাকি। আর এ গান দিলে সাপের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।’ 

তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও ওঝা আব্দুল গনি বলছেন, ‘গান মানত করে যদি সাপের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া যেত, তাহলে গ্রামে গ্রামে এর প্রচলন বেড়ে যেত। তাই গান মানত করে সাপের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া আদৌ সম্ভব না।’ 

অবশ্য এ ধরনের মানতকে কুসংস্কার বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।

উল্লেখ্য, মনসা হলেন একজন পৌরাণিক দেবী। দেবী দেবীভাগবত পুরাণসহ আরও অনেক পুরাণে মনসার উল্লেখ পাওয়া যায়। তিনি নাগদেবী। অবিভক্ত বঙ্গ, ঝাড়খণ্ডের অঙ্গ-প্রদেশ, বিহারের মিথিলা এবং আসামে মনসা দেবীর পূজা বেশ ঘটা করে উদ্‌যাপন করা হয়। বিষধর প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা ও বিষের প্রতিকার পেতে, প্রজনন ও ঐশ্বর্য লাভের উদ্দেশ্যে তার পূজা করা হয়। 

পুরাণ অনুযায়ী, মনসা শিবের স্বীকৃত কন্যা, নাগ-রাজ (সর্পরাজ) বাসুকীর ভগিনী (বোন) এবং ঋষি জরৎকারুর (জগৎকারু) স্ত্রী। তাঁর অপর নামগুলো হলো বিষহরি বা বিষহরা (বিষ ধ্বংসকারিণী), নিত্যা (চিরন্তনী) ও পদ্মাবতী। তার সঙ্গে মিসরীয় দেবী আইসিসের মিল রয়েছে। 

আষাঢ় মাসের কৃষ্ণাপঞ্চমী তিথিকে বলা হয় নাগ পঞ্চমী। এ সময় বাড়ির উঠানে সিজগাছ স্থাপন করে মনসাদেবীর পূজা করা হয়। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণাপঞ্চমী তিথিতেও মনসাপূজার বিধান আছে। প্রধানত, সর্পদংশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে বা সর্পদংশনের প্রতিকার পেতে মনসার পূজা করা হয়। 

বাংলা অঞ্চলেই মনসার পূজা সর্বাধিক জনপ্রিয়। নিম্নবর্ণীয় হিন্দুদের কাছে মনসা একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রজনন দেবী। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে মনসার সঙ্গে নেতোর (যিনি নেতা, নেতিধোপানি, নেতলসুন্দরী ইত্যাদি নামেও পরিচিত) পূজাও করা হয়। 

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে পুরো শ্রাবণ মাস মনসা পূজা হয়। পূজা উপলক্ষে হয় পালাগান ‘সয়লা’। এই পালার বিষয় হলো পদ্মপুরাণ বা মনসামঙ্গল। 

নাগপঞ্চমী তিথি, শ্রাবণ সংক্রান্তি, ডাক সংক্রান্তি ও অন্য দিনে মনসার পূজা প্রচলিত। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে শ্রাবণ (জুলাই-অাগস্ট) মাসে এই উৎসব পালিত হয়। বাঙালি হিন্দু মেয়েরা এদিন উপবাস করে ব্রত পালন করেন এবং সাপের গর্তে দুধ ঢালেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানযাত্রী নিহত

কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 
ট্রাক ও ভ্যান ঘিরে স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ট্রাক ও ভ্যান ঘিরে স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত ভ্যানের এক যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সীমান্তবাজারের পাটাগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও তিন ভ্যানযাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির নাম চাঁন মিয়া (৬৫)। তিনি উপজেলার গান্ধাইল উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদ্রাসার সরকারি পাঠ্যপুস্তক নিয়ে একটি ট্রাক সিরাজগঞ্জ-কাজীপুর আঞ্চলিক সড়ক হয়ে কাজীপুরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি সীমান্তবাজারের উত্তরে পাটাগ্রাম সড়কের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানে থাকা এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই

মারা যান। তিনজন আহত হন। স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস ও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। ওসি বলেন, মরদেহটি পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাফিক পুলিশকে ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়া অটোরিকশাচালক গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গ্রেপ্তার সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. মাঈন উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. মাঈন উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. মাঈন উদ্দিনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

আজ সোমবার রাজধানীর রমনা থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, কাকরাইল মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করে সিএনজি চালিয়ে যান চালক মাঈন উদ্দিন। বাধা দিতে গেলে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে টেনে ২০০ মিটার নিয়ে যায়। এরপর ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের একটি টিম আজ রমনা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রাফিক সিগন্যালে থামানোর সংকেত দেওয়ার পর এক ট্রাফিক কর্মীকে সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় কয়েক শ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়ার একটি ভয়াবহ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে ফারহান রহমান নামের এক ব্যক্তি ফেসবুক পোস্টে বলেন, কারওয়ান বাজারে সাধারণ ট্রাফিক সিগন্যালে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মী সিএনজিটিকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু চালক নির্দেশ অমান্য করে অন্য যানবাহনের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ওই ট্রাফিক কর্মী সিএনজিটির পাশে দৌড়ে একপর্যায়ে গাড়িটি ধরে ফেলেন। গাড়িটি চলতে থাকায় তাঁকে প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে তিনি ভিডিওটি ও সিএনজির রেজিস্ট্রেশন নম্বর বাংলামোটরের একজন পুলিশ সার্জেন্টকে সরবরাহ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন

পাবনা প্রতিনিধি
ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠন ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করে।

বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন থেকে প্রতি মাসে একদিন ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা হবে। নিজেদের ক্যাম্পাস, নিজেদের কর্মস্থলকে নিজেরাই পরিষ্কার রাখি—এই অঙ্গীকার থেকে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।’

এরপর বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে সবাই পুরো ক্যাম্পাস পরিষ্কারকাজে হাত লাগান। এ সময় ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, হল প্রভোস্ট ড. মো. শাহজাহান আলী, ড. জিন্নাত রেহানা, লায়লা আরজুমান্দ বানু, শিক্ষক একরামুল হকসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া রোভার স্কাউট ও গ্রিন ভয়েসের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সবাই কর্মসূচি চলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বক্তব্য: চবি ভিসি-প্রোভিসি ৭ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ, ছাত্রদল-শিবিরের উত্তেজনা

চবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৩
চবির সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে আজ সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও। ছবি: আজকের পত্রিকা
চবির সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে আজ সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে সাত ঘণ্টা ধরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে দুপুর থেকে উপাচার্য (ভিসি), সহ-উপাচার্যসহ (প্রোভিসি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ রয়েছেন।

আজ সোমবার বেলা ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন চবি শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানায় গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংগঠন। রাত ৮টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

এদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা শিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে দেখা যায়। অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে প্রধান ফটকে স্থানীয় বিএনপি-ছাত্রদলের কর্মীরা অবস্থান নেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে।

গতকাল রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় চবির সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটা রীতিমতো অবান্তর’ বলে মন্তব্য করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে অধ্যাপক শামীম খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ করেন।

চবির সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে আজ সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও। ছবি: আজকের পত্রিকা
চবির সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে আজ সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও। ছবি: আজকের পত্রিকা

অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের এই বক্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গতকাল রাতে বিক্ষোভ-মিছিল করে শাখা ছাত্রদল। এর ধারাবাহিকতায় আজ তাঁর পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়।

পাল্টাপাল্টি অবস্থান, থমথমে পরিস্থিতি

দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেওয়ার চার ঘণ্টা পর বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) প্রতিনিধিরা। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) ইব্রাহিম রনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের একটি বক্তব্যকে ঘিরে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন শুনে চাকসুর প্রতিনিধিদের জানিয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি সৃষ্টি করা কোনো ছাত্রসংগঠনের কাজ হতে পারে না।’

পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশে এসে বিক্ষোভ-মিছিল করেন শাখা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি বাক্যবিনিময় হলে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উভয় পাশে এসে জড়ে হয়ে বিক্ষোভ করেন।

চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় চলে সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায়, জামায়াতের টাকায় নয়। গতকাল (রোববার) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সহ-উপাচার্য শামীম উদ্দিন খান স্যার পাকিস্তানিদের যোদ্ধা বলেছেন। অথচ এই পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের জনগণকে হত্যা করেছে। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। তাঁর ওই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ ছাড়া আমরা তালা খুলব না।’

চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ‘ছাত্রদল পুরোনো সংস্কৃতিতে ফিরছে। তারা চবি প্রশাসনকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করছে। ছাত্রদলের এরূপ ঘৃণ্য কাজকে আমরা মন থেকে ঘৃণা করি। তারা যদি এই সংস্কৃতি থেকে ফিরে না আসে, ছাত্রশিবির তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।’

প্রধান ফটকে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকিবুল হাসান চৌধুরী তকী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার ছাত্রদল প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরাও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে শিবিরের অবস্থানের কথা জানতে পেরে আমরা এখানে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এখনই চলে যাচ্ছি।’

চবির সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে আজ সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও। ছবি: আজকের পত্রিকা
চবির সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে আজ সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও। ছবি: আজকের পত্রিকা

সহ-উপাচার্যের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল প্রশাসন

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সহ-উপাচার্যের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বক্তব্য দেওয়ার সময় সহ-উপাচার্য অনিচ্ছাকৃতভাবে ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলতে গিয়ে ‘অবান্তর’ শব্দ ব্যবহার করেন; যা ভুল ব্যাখ্যার জন্ম দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সহ­-উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে মুজিবনগর সরকারের ভ্রাম্যমাণ রাষ্ট্রদূত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদিরের লেখা ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীন’ গ্রন্থ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীরের একটি সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এখনো হয়নি।’ এ ছাড়া ১৯৭২ সালে নিখোঁজ চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘জহির রায়হান শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেলে এ বিষয়ে অনেক অজানা তথ্য সামনে আসতে পারত।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় পূর্ণ আস্থাশীল। তবে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে জনমনে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সহ-উপাচার্যের বক্তব্যটির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’

এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হয়, তবে তিনি সাড়া দেননি।

জানতে চাইলে চবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে আছি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব হচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত