ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
৩ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৯ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
২৬ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাস হত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় প্রধান অভিযুক্তসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

আজ শনিবার ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সদর সপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাতজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার, মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিঝুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)। তাঁদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির ফ্লোর ম্যানেজার এবং মিরাজ হোসেন আকন কোয়ালিটি ইনচার্জ।
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন। বিষয়টি বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানিয়ে দিপুকে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। হত্যাকারীরা কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা উপজেলায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অর্ধপোড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাস হত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় প্রধান অভিযুক্তসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

আজ শনিবার ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সদর সপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাতজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার, মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিঝুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)। তাঁদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির ফ্লোর ম্যানেজার এবং মিরাজ হোসেন আকন কোয়ালিটি ইনচার্জ।
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন। বিষয়টি বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানিয়ে দিপুকে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। হত্যাকারীরা কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা উপজেলায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অর্ধপোড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৯ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
২৬ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এমন কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি পদেও আছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
শিবির নেতা মোস্তাকুর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় আগে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে এই দুর্বৃত্তদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডেইলি স্টারের বহু কর্মী আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে উল্লেখ করে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নিব, ইনশা আল্লাহ। ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে মাত্র দুইটা। তার মধ্যে একটা রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
রাবি ভিপি ও শিবির নেতার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান বিন হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যেতে। যা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তা চলমান উগ্রতাকে আরও উসকে দেয়। তাঁরা ওই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশজুড়ে আওয়ামী নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হত্যাকাণ্ড ও অরাজকতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে, যা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এমন কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি পদেও আছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
শিবির নেতা মোস্তাকুর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় আগে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে এই দুর্বৃত্তদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডেইলি স্টারের বহু কর্মী আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে উল্লেখ করে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নিব, ইনশা আল্লাহ। ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে মাত্র দুইটা। তার মধ্যে একটা রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
রাবি ভিপি ও শিবির নেতার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান বিন হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যেতে। যা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তা চলমান উগ্রতাকে আরও উসকে দেয়। তাঁরা ওই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশজুড়ে আওয়ামী নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হত্যাকাণ্ড ও অরাজকতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে, যা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
৩ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
২৬ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
৩ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৯ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
৩ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৯ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
২৬ মিনিট আগে