মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইউপির নয়জন সদস্য জেলা প্রশাসক ও সদর ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে তাঁরা মাসুদ রানার অব্যাহতি চেয়ে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান অথবা প্রশাসক নিয়োগের দাবি করেছেন।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট গড়পাড়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আস্থাভাজন আফছার উদ্দিন সরকার পালিয়ে যান। এরপর পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দেওয়ান মাসুদ রানাকে ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে মাসুদ রানা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত কারও সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে এককভাবে বাস্তবায়ন করেন। এ নিয়ে পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের জন্য আসবাবপত্র কেনার একটি প্রকল্পে ১৪টি অফিশিয়াল টেবিল, ১৩টি আর্মড ভিজিটর চেয়ার ও ৫০টি প্লাস্টিক চেয়ার কেনার কথা থাকলেও মাসুদ রানা তা না করে বরাদ্দ করা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। পরিষদে নিম্নমানের ফার্নিচার সরবরাহ করে অটবি ব্র্যান্ডের ভুয়া ভাউচার দাখিল করার অভিযোগ রয়েছে। ট্যাক্স আদায় করা ৫০ হাজার টাকা পরিষদের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। চৌকিদার ট্যাক্স থেকে সংগ্রহ করা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিজের নামে ‘অগ্রিম বেতন’ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
এ ছাড়া ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রের আয় থেকেও মাসিক ভিত্তিতে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ, গত ঈদুল ফিতরের আগে ১৫০টি শাড়ি বিতরণের সময় পরিষদের প্রতিটি সদস্যকে ৪টি করে শাড়ি বরাদ্দ দিয়ে বাকি শাড়ি নিজের অনুসারী ও স্বজনদের মধ্যে বিতরণ, উন্নয়ন প্রকল্পের বণ্টনে স্বজনপ্রীতি, অধিকাংশ প্রকল্প নিজের ওয়ার্ডে বরাদ্দ, ৫৮০টি ভিজিএফ কার্ডের মধ্যে ৮০টি কার্ড সদস্যদের দিয়ে ৫০০ ভিজিএফ কার্ড নিজের ইচ্ছামতো বণ্টন করাসহ পরিষদের নতুন প্রকল্পের ১০-১৫ শতাংশ ঘুষ দাবি করার অভিযোগ রয়েছে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলাল হোসেন জানান, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাসুদ রানার অনিয়মের বিরুদ্ধে গত ১৫ এপ্রিল জেলা প্রশাসক এবং সদর ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই অভিযোগপত্রে আমিসহ আরও আটজন ইউপি সদস্য স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘পরিষদে আমরা সবাই সমান সদস্য হলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর মাসুদ রানা আমাদের গুরুত্ব না দিয়ে এককভাবে পরিষদ পরিচালনা করছেন। আমরা এমন বৈষম্য চাই না। আমরা মাসুদ রানার দুর্নীতির তদন্ত চাই।’
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান দেওয়ান মাসুদ রানা বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়গুলো কোনোভাবেই সত্য নয়। আমার ইউনিয়নের একজন লোক যদি বলতে পারে আমি অনৈতিকভাবে কারও কাছ থেকে ১ টাকা গ্রহণ করেছি। আমি স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে দেব।’ তাহলে আপনার বিরুদ্ধে নয়জন সদস্য অনাস্থা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ কেন দিয়েছেন—এমন প্রশ্নে মাসুদ রানা বলেন, ‘পরিষদের কয়েকজন সদস্য বলেছেন তাঁদের নাকি ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিযোগে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এরপর তাঁরা গত ১৫ মে তাঁদের অভিযোগ পুনরায় প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলার ইউএনও শেখ মেজবা-উল-সাবেরিন বলেন, ‘কিছুদিন আগে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটি তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় সম্প্রতি অভিযোগটি প্রত্যাহারের আরেকটি আবেদন এসেছে। সদস্যরা কেন অভিযোগ করলেন, এরপর পুনরায় কেন তা প্রত্যাহার করে নিলেন—দুটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’ জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অভিযোগের বিষয়টি ইউএনওর মাধ্যমে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইউপির নয়জন সদস্য জেলা প্রশাসক ও সদর ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে তাঁরা মাসুদ রানার অব্যাহতি চেয়ে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান অথবা প্রশাসক নিয়োগের দাবি করেছেন।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট গড়পাড়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আস্থাভাজন আফছার উদ্দিন সরকার পালিয়ে যান। এরপর পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দেওয়ান মাসুদ রানাকে ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে মাসুদ রানা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত কারও সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে এককভাবে বাস্তবায়ন করেন। এ নিয়ে পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের জন্য আসবাবপত্র কেনার একটি প্রকল্পে ১৪টি অফিশিয়াল টেবিল, ১৩টি আর্মড ভিজিটর চেয়ার ও ৫০টি প্লাস্টিক চেয়ার কেনার কথা থাকলেও মাসুদ রানা তা না করে বরাদ্দ করা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। পরিষদে নিম্নমানের ফার্নিচার সরবরাহ করে অটবি ব্র্যান্ডের ভুয়া ভাউচার দাখিল করার অভিযোগ রয়েছে। ট্যাক্স আদায় করা ৫০ হাজার টাকা পরিষদের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। চৌকিদার ট্যাক্স থেকে সংগ্রহ করা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিজের নামে ‘অগ্রিম বেতন’ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
এ ছাড়া ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রের আয় থেকেও মাসিক ভিত্তিতে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ, গত ঈদুল ফিতরের আগে ১৫০টি শাড়ি বিতরণের সময় পরিষদের প্রতিটি সদস্যকে ৪টি করে শাড়ি বরাদ্দ দিয়ে বাকি শাড়ি নিজের অনুসারী ও স্বজনদের মধ্যে বিতরণ, উন্নয়ন প্রকল্পের বণ্টনে স্বজনপ্রীতি, অধিকাংশ প্রকল্প নিজের ওয়ার্ডে বরাদ্দ, ৫৮০টি ভিজিএফ কার্ডের মধ্যে ৮০টি কার্ড সদস্যদের দিয়ে ৫০০ ভিজিএফ কার্ড নিজের ইচ্ছামতো বণ্টন করাসহ পরিষদের নতুন প্রকল্পের ১০-১৫ শতাংশ ঘুষ দাবি করার অভিযোগ রয়েছে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলাল হোসেন জানান, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাসুদ রানার অনিয়মের বিরুদ্ধে গত ১৫ এপ্রিল জেলা প্রশাসক এবং সদর ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই অভিযোগপত্রে আমিসহ আরও আটজন ইউপি সদস্য স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘পরিষদে আমরা সবাই সমান সদস্য হলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর মাসুদ রানা আমাদের গুরুত্ব না দিয়ে এককভাবে পরিষদ পরিচালনা করছেন। আমরা এমন বৈষম্য চাই না। আমরা মাসুদ রানার দুর্নীতির তদন্ত চাই।’
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান দেওয়ান মাসুদ রানা বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়গুলো কোনোভাবেই সত্য নয়। আমার ইউনিয়নের একজন লোক যদি বলতে পারে আমি অনৈতিকভাবে কারও কাছ থেকে ১ টাকা গ্রহণ করেছি। আমি স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে দেব।’ তাহলে আপনার বিরুদ্ধে নয়জন সদস্য অনাস্থা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ কেন দিয়েছেন—এমন প্রশ্নে মাসুদ রানা বলেন, ‘পরিষদের কয়েকজন সদস্য বলেছেন তাঁদের নাকি ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিযোগে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এরপর তাঁরা গত ১৫ মে তাঁদের অভিযোগ পুনরায় প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলার ইউএনও শেখ মেজবা-উল-সাবেরিন বলেন, ‘কিছুদিন আগে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটি তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় সম্প্রতি অভিযোগটি প্রত্যাহারের আরেকটি আবেদন এসেছে। সদস্যরা কেন অভিযোগ করলেন, এরপর পুনরায় কেন তা প্রত্যাহার করে নিলেন—দুটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’ জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অভিযোগের বিষয়টি ইউএনওর মাধ্যমে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় রাতের অন্ধকারে করা সড়ক সংস্কারকাজের (সিল কোট) অনিয়ম ভোরের আলোতেই ফাঁস হয়ে গেছে। সদ্য সিল কোট দেওয়া সড়কে আঙুল বোলালেই উঠে আসছে পিচ আর পাথর। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে।
৬ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নড়াইল-১ আসনে বিএনপি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করলেও হাল ছাড়তে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বি এম নাগিব হোসেন। এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের
৯ মিনিট আগে
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহি
১৩ মিনিট আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
১৬ মিনিট আগেসড়ক সংস্কারে অনিয়ম
নূরুন্নবী ফারুকী, ধামইরহাট (নওগাঁ)

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় রাতের অন্ধকারে করা সড়ক সংস্কারকাজের (সিল কোট) অনিয়ম ভোরের আলোতেই ফাঁস হয়ে গেছে। সদ্য সিল কোট দেওয়া সড়কে আঙুল বোলালেই উঠে আসছে পিচ আর পাথর। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে।
সড়ক সংস্কারে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান এবং ঠিকাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান গত শুক্রবার ধামইরহাট থেকে বদলি হন। তার আগের দিন (বৃহস্পতিবার) রাতে তড়িঘড়ি করে যেনতেনভাবে সড়ক সংস্কারকাজ করেন ঠিকাদার। অভিযোগ রয়েছে, বদলি হওয়ার আগে অনেকটা ‘জোর করে’ প্রকল্প নিয়ে ঠিকাদারকে দিয়ে কাজটি করান পৌর প্রশাসক শাহরিয়ার রহমান।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পৌরসভার অধীনে রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন (আরএফকিউ) টেন্ডারের মধ্য দিয়ে ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরের ৩৯৫ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শহিদুর ট্রেডার্স। তবে অতিরিক্ত আরও ৪৫৬ মিটার সড়ক সিল কোট করে প্রতিষ্ঠানটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় সদ্য সংস্কার করা সড়কে আঙুল বা পা দিয়ে সামান্য ঘষা দিলেই পিচসহ পাথর উঠে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। এমনটি রোলারও নিয়মমাফিক ব্যবহার করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির পেছনে ঠিকাদার শহিদুর রহমান, সাবেক ইউএনও এবং কয়েকজন প্রভাবশালী জড়িত। তদন্ত হলে সবকিছু বের হয়ে আসবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার ও পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুর রহমান বলেন, ‘আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করা হয়েছে ঠিক। তবে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই।’
এ বিষয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সজল কুমার অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার তৎকালীন ইউএনও শাহরিয়ার রহমান অনেকটা জোর করে ৪৫৬ মিটার সিল কোট সড়ক নির্মাণকাজের দায়িত্ব নেন। সেদিন ছুটি থাকায় এবং রাতের অন্ধকারে কাজ হওয়ায় পৌরসভা তা তদারকি করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ ওয়াদুদ বলেন, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুরের বিরুদ্ধে কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমন ঘটনার কোনো সত্যতা নেই। সত্যতা প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে বদলির কারণে পৌর প্রশাসক ও ইউএনও শাহরিয়ার রহমানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় রাতের অন্ধকারে করা সড়ক সংস্কারকাজের (সিল কোট) অনিয়ম ভোরের আলোতেই ফাঁস হয়ে গেছে। সদ্য সিল কোট দেওয়া সড়কে আঙুল বোলালেই উঠে আসছে পিচ আর পাথর। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে।
সড়ক সংস্কারে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান এবং ঠিকাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান গত শুক্রবার ধামইরহাট থেকে বদলি হন। তার আগের দিন (বৃহস্পতিবার) রাতে তড়িঘড়ি করে যেনতেনভাবে সড়ক সংস্কারকাজ করেন ঠিকাদার। অভিযোগ রয়েছে, বদলি হওয়ার আগে অনেকটা ‘জোর করে’ প্রকল্প নিয়ে ঠিকাদারকে দিয়ে কাজটি করান পৌর প্রশাসক শাহরিয়ার রহমান।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পৌরসভার অধীনে রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন (আরএফকিউ) টেন্ডারের মধ্য দিয়ে ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরের ৩৯৫ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শহিদুর ট্রেডার্স। তবে অতিরিক্ত আরও ৪৫৬ মিটার সড়ক সিল কোট করে প্রতিষ্ঠানটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় সদ্য সংস্কার করা সড়কে আঙুল বা পা দিয়ে সামান্য ঘষা দিলেই পিচসহ পাথর উঠে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। এমনটি রোলারও নিয়মমাফিক ব্যবহার করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির পেছনে ঠিকাদার শহিদুর রহমান, সাবেক ইউএনও এবং কয়েকজন প্রভাবশালী জড়িত। তদন্ত হলে সবকিছু বের হয়ে আসবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার ও পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুর রহমান বলেন, ‘আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করা হয়েছে ঠিক। তবে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই।’
এ বিষয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সজল কুমার অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার তৎকালীন ইউএনও শাহরিয়ার রহমান অনেকটা জোর করে ৪৫৬ মিটার সিল কোট সড়ক নির্মাণকাজের দায়িত্ব নেন। সেদিন ছুটি থাকায় এবং রাতের অন্ধকারে কাজ হওয়ায় পৌরসভা তা তদারকি করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ ওয়াদুদ বলেন, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুরের বিরুদ্ধে কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমন ঘটনার কোনো সত্যতা নেই। সত্যতা প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে বদলির কারণে পৌর প্রশাসক ও ইউএনও শাহরিয়ার রহমানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
১৮ মে ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নড়াইল-১ আসনে বিএনপি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করলেও হাল ছাড়তে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বি এম নাগিব হোসেন। এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের
৯ মিনিট আগে
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহি
১৩ মিনিট আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
১৬ মিনিট আগেনড়াইল প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নড়াইল-১ আসনে বিএনপি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করলেও হাল ছাড়তে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বি এম নাগিব হোসেন। এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের ভোট পেতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম সাজ্জাদ হোসেন। নড়াইল-২ আসনে বিএনপির মো. মনিরুল ইসলাম এবং জামায়াতের আতাউর রহমান বাচ্চু; দুজনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
নড়াইল-১ (সদরের একাংশ ও কালিয়া) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। এখানে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক বি এম নাগিব হোসেন। তিনিও হাল ছাড়তে রাজি নন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ কায়সার। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন আব্দুল আজিজ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের ভোট পেতে পারেন। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত মিছিল, সমাবেশসহ গণসংযোগ করছি। ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।’ ওবায়দুল্লাহ কায়সার বলেন, ‘আমাদের নীতি ও আদর্শের প্রতি জনগণ ব্যাপকভাবে সাড়া দিচ্ছে। নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত কালিয়া গড়ব।’
নড়াইল-২ (লোহাগড়া-সদরের একাংশ) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি মো. মনিরুল ইসলাম। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন তাজুল ইসলাম। গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থী নুর ইসলাম।
আতাউর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি। আপামর জনসাধারণের কাছে যাচ্ছি, তাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দল করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। কারাবরণ করেছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে মাঠে-ময়দানে কাজ করছি।’ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নড়াইল-১ আসনে বিএনপি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করলেও হাল ছাড়তে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বি এম নাগিব হোসেন। এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের ভোট পেতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম সাজ্জাদ হোসেন। নড়াইল-২ আসনে বিএনপির মো. মনিরুল ইসলাম এবং জামায়াতের আতাউর রহমান বাচ্চু; দুজনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
নড়াইল-১ (সদরের একাংশ ও কালিয়া) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। এখানে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক বি এম নাগিব হোসেন। তিনিও হাল ছাড়তে রাজি নন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ কায়সার। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন আব্দুল আজিজ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের ভোট পেতে পারেন। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত মিছিল, সমাবেশসহ গণসংযোগ করছি। ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।’ ওবায়দুল্লাহ কায়সার বলেন, ‘আমাদের নীতি ও আদর্শের প্রতি জনগণ ব্যাপকভাবে সাড়া দিচ্ছে। নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত কালিয়া গড়ব।’
নড়াইল-২ (লোহাগড়া-সদরের একাংশ) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি মো. মনিরুল ইসলাম। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন তাজুল ইসলাম। গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থী নুর ইসলাম।
আতাউর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি। আপামর জনসাধারণের কাছে যাচ্ছি, তাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দল করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। কারাবরণ করেছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে মাঠে-ময়দানে কাজ করছি।’ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।’

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
১৮ মে ২০২৫
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় রাতের অন্ধকারে করা সড়ক সংস্কারকাজের (সিল কোট) অনিয়ম ভোরের আলোতেই ফাঁস হয়ে গেছে। সদ্য সিল কোট দেওয়া সড়কে আঙুল বোলালেই উঠে আসছে পিচ আর পাথর। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে।
৬ মিনিট আগে
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহি
১৩ মিনিট আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
১৬ মিনিট আগেজাহিদ হাসান, যশোর

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। তবে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে, এ নিয়ে ভাবনায় রয়েছেন তাঁরা।
বছরে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার ফুল হাতবদল হয় এ বাজারে। চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে দেরিতে চাষাবাদ শুরু হলেও চাষিদের নিবিড় পরিচর্যায় মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাসসহ নানা ধরনের ফুল। গাছে গাঁদা ফুল ধরে রাখতে চলছে ভিটামিন ও বালাইনাশক স্প্রে। এর মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ফুলের দামও। বিজয় দিবসের আগে এ দাম আরও বাড়বে বলে আশা চাষিদের।
গদখালীর ফুলচাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা শীতের মৌসুমের বিশেষ দিবসগুলো ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের জন্য চাষিরা কয়েক মাস আগে থেকে খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে ফুলের দাম কম হলেও বিশেষ দিবসগুলোতে দাম বাড়বে বলে আশা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ফুলের বাজার।’
গদখালী মোকামে ফুল বিক্রি করতে আসা চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শীতকালে ফুলের উৎপাদন ও বিক্রি বাড়ে। এ বছরও আমরা ফুল বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছি। আজকে বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ তিন টাকা। বর্তমানে বাজারে গোলাপ ও গাঁদার দাম সবচেয়ে কম। আশা করছি, বিজয় দিবস উপলক্ষে সব ধরনের ফুলের দাম বাড়বে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ফুলের বাজার। দেশের পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে ফুলের বাজার চাঙা হবে।’
বৃহস্পতিবার গদখালী বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৩-৪ টাকা, রজনীগন্ধা ৮-১৫ টাকা, জারবেরা ৮-১০ টাকা, গাঁদা প্রতি হাজার ১০০ টাকা। গ্লাডিওলাস ৬-৮ টাকা, জারবেরা ৭-৮ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২-৩ টাকা। কৃষকেরা জানান, এখন গোলাপ ও রজনীগন্ধা ছাড়া সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগামী সপ্তাহ থেকে এই দুটি ফুলের দামও বাড়বে বলে জানান তাঁরা।
ঝিকরগাছার কুলিয়া গ্রামের চাষি আরিজুল ইসলাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে রজনীগন্ধা চাষ করেছি। প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি। আশা করছি, আরও প্রায় তিন লাখ টাকার ফুল বিক্রি হবে। মৌসুমের শুরুতে ফুলের দাম ভালো পাচ্ছি। বর্তমানে ১০-১২ টাকা দরে প্রতিটি রজনীগন্ধার স্টিক বিক্রি করলেও এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ২১ টাকা দরেও রজনীগন্ধা বিক্রি করেছি।’
পটুয়াপাড়া গ্রামের চাষি তৈয়ব আলী বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে গোপাল চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গোলাপ ফুলের উৎপাদন বেশি। বাজারে গোলাপের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। গাঁদা ফুলের দামেও ধস নেমেছে। আশা করছি, বিজয় দিবসের আগে আবার ফুলের দাম বাড়বে। এই মৌসুমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভবান হতে পারব।’
ফুল চাষ ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ডে, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ, ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্তবরণ উৎসব, পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এ বছরও ৫০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসগুলো জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয় না। তাই আমাদের ফুলের চাহিদা ও বিক্রি কমে যায়। তারপরও বাজার ধরার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি, দিবসগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরে প্রায় সাড়ে ৬০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১৩ ধরনের ফুলের চাষ হয়েছে। এ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ।

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। তবে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে, এ নিয়ে ভাবনায় রয়েছেন তাঁরা।
বছরে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার ফুল হাতবদল হয় এ বাজারে। চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে দেরিতে চাষাবাদ শুরু হলেও চাষিদের নিবিড় পরিচর্যায় মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাসসহ নানা ধরনের ফুল। গাছে গাঁদা ফুল ধরে রাখতে চলছে ভিটামিন ও বালাইনাশক স্প্রে। এর মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ফুলের দামও। বিজয় দিবসের আগে এ দাম আরও বাড়বে বলে আশা চাষিদের।
গদখালীর ফুলচাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা শীতের মৌসুমের বিশেষ দিবসগুলো ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের জন্য চাষিরা কয়েক মাস আগে থেকে খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে ফুলের দাম কম হলেও বিশেষ দিবসগুলোতে দাম বাড়বে বলে আশা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ফুলের বাজার।’
গদখালী মোকামে ফুল বিক্রি করতে আসা চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শীতকালে ফুলের উৎপাদন ও বিক্রি বাড়ে। এ বছরও আমরা ফুল বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছি। আজকে বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ তিন টাকা। বর্তমানে বাজারে গোলাপ ও গাঁদার দাম সবচেয়ে কম। আশা করছি, বিজয় দিবস উপলক্ষে সব ধরনের ফুলের দাম বাড়বে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ফুলের বাজার। দেশের পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে ফুলের বাজার চাঙা হবে।’
বৃহস্পতিবার গদখালী বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৩-৪ টাকা, রজনীগন্ধা ৮-১৫ টাকা, জারবেরা ৮-১০ টাকা, গাঁদা প্রতি হাজার ১০০ টাকা। গ্লাডিওলাস ৬-৮ টাকা, জারবেরা ৭-৮ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২-৩ টাকা। কৃষকেরা জানান, এখন গোলাপ ও রজনীগন্ধা ছাড়া সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগামী সপ্তাহ থেকে এই দুটি ফুলের দামও বাড়বে বলে জানান তাঁরা।
ঝিকরগাছার কুলিয়া গ্রামের চাষি আরিজুল ইসলাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে রজনীগন্ধা চাষ করেছি। প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি। আশা করছি, আরও প্রায় তিন লাখ টাকার ফুল বিক্রি হবে। মৌসুমের শুরুতে ফুলের দাম ভালো পাচ্ছি। বর্তমানে ১০-১২ টাকা দরে প্রতিটি রজনীগন্ধার স্টিক বিক্রি করলেও এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ২১ টাকা দরেও রজনীগন্ধা বিক্রি করেছি।’
পটুয়াপাড়া গ্রামের চাষি তৈয়ব আলী বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে গোপাল চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গোলাপ ফুলের উৎপাদন বেশি। বাজারে গোলাপের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। গাঁদা ফুলের দামেও ধস নেমেছে। আশা করছি, বিজয় দিবসের আগে আবার ফুলের দাম বাড়বে। এই মৌসুমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভবান হতে পারব।’
ফুল চাষ ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ডে, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ, ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্তবরণ উৎসব, পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এ বছরও ৫০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসগুলো জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয় না। তাই আমাদের ফুলের চাহিদা ও বিক্রি কমে যায়। তারপরও বাজার ধরার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি, দিবসগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরে প্রায় সাড়ে ৬০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১৩ ধরনের ফুলের চাষ হয়েছে। এ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
১৮ মে ২০২৫
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় রাতের অন্ধকারে করা সড়ক সংস্কারকাজের (সিল কোট) অনিয়ম ভোরের আলোতেই ফাঁস হয়ে গেছে। সদ্য সিল কোট দেওয়া সড়কে আঙুল বোলালেই উঠে আসছে পিচ আর পাথর। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে।
৬ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নড়াইল-১ আসনে বিএনপি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করলেও হাল ছাড়তে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বি এম নাগিব হোসেন। এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের
৯ মিনিট আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
১৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
সিআইডির প্রধান ছিবগাত উল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের মরদেহ শনাক্তের কাজ আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনে করা হবে। রায়েরবাজার কবরস্থানে ১১৪ জনের মতো জুলাই শহীদকে দাফন করা হয়েছে। তবে শনাক্তের প্রক্রিয়াটি একটু সময়সাপেক্ষ। শহীদদের দেহাবশেষ কবর থেকে তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য রায়েরবাজার কবরস্থানেই একটি অস্থায়ী ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী অজ্ঞাত শহীদদের লাশ উত্তোলনপূর্বক শনাক্তকরণ কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডিপ্রধান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী মরদেহগুলো কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। স্বজনেরা চাইলে মরদেহ তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হবে, যাতে তাঁরা কবরস্থ করতে পারেন অথবা মরদেহগুলো যথাযথ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন করা হবে।
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, কোনো দেশে এ ধরনের গণহত্যার ক্ষেত্রে তদন্ত ও লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য ‘মিনেসোটা প্রটোকল’ অনুসরণ করা হয়। সে অনুযায়ী এসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত ও তদন্তকাজ সম্পন্ন করা হবে। এ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তাই কবে নাগাদ শেষ হবে, সেটা বলা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রের মাধ্যমে বেআইনি হত্যার ফরেনসিক তদন্তের জাতিসংঘের নির্দেশিকা হচ্ছে মিনেসোটা প্রটোকল।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আর্জেন্টিনার ফরেনসিক অ্যানথ্রোপোলজিস্ট লুইস ফনডিব্রাইডারও উপস্থিত ছিলেন।
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস আর্জেন্টিনা থেকে ঢাকায় এসে পুরো কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি গত ৪০ বছরে ৬৫টি দেশে একই ধরনের কাজ করেছেন।
মরদেহ উত্তোলন থেকে শুরু করে পুনরায় দাফন পর্যন্ত নির্দিষ্ট ধাপে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে ছিবগাত উল্লাহ বলেন, আবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ১১৪টি কবর চিহ্নিত হয়েছে, যা বাস্তবে কমবেশি হতে পারে। মরদেহ তোলার পর ময়নাতদন্ত, বোন স্যাম্পল/টিস্যু সংগ্রহ, ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করা হবে।
মরদেহ নিতে কতজন স্বজন এখন পর্যন্ত আবেদন করেছেন—জানতে চাইলে ছিবগাত উল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ জন স্বজন আবেদন করেছেন। আরও কেউ থাকলে সিআইডিতে যোগাযোগ করতে পারবেন। সিআইডির হটলাইনে যোগাযোগ করলে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রায়েরবাজার কবরস্থানের যেখানে দাফন করা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেখানে মার্বেল পাথর, টাইলস দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ২ আগস্ট রায়েরবাজার কবরস্থান পরিদর্শনে গিয়ে অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রোববার সকালে অজ্ঞাতনামা শহীদদের মরদেহ তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সিআইডি।
সিআইডির প্রধান ছিবগাত উল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের মরদেহ শনাক্তের কাজ আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনে করা হবে। রায়েরবাজার কবরস্থানে ১১৪ জনের মতো জুলাই শহীদকে দাফন করা হয়েছে। তবে শনাক্তের প্রক্রিয়াটি একটু সময়সাপেক্ষ। শহীদদের দেহাবশেষ কবর থেকে তুলে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য রায়েরবাজার কবরস্থানেই একটি অস্থায়ী ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী অজ্ঞাত শহীদদের লাশ উত্তোলনপূর্বক শনাক্তকরণ কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডিপ্রধান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী মরদেহগুলো কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। স্বজনেরা চাইলে মরদেহ তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হবে, যাতে তাঁরা কবরস্থ করতে পারেন অথবা মরদেহগুলো যথাযথ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন করা হবে।
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, কোনো দেশে এ ধরনের গণহত্যার ক্ষেত্রে তদন্ত ও লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য ‘মিনেসোটা প্রটোকল’ অনুসরণ করা হয়। সে অনুযায়ী এসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত ও তদন্তকাজ সম্পন্ন করা হবে। এ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তাই কবে নাগাদ শেষ হবে, সেটা বলা যাচ্ছে না।
রাষ্ট্রের মাধ্যমে বেআইনি হত্যার ফরেনসিক তদন্তের জাতিসংঘের নির্দেশিকা হচ্ছে মিনেসোটা প্রটোকল।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আর্জেন্টিনার ফরেনসিক অ্যানথ্রোপোলজিস্ট লুইস ফনডিব্রাইডারও উপস্থিত ছিলেন।
ছিবগাত উল্লাহ বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস আর্জেন্টিনা থেকে ঢাকায় এসে পুরো কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি গত ৪০ বছরে ৬৫টি দেশে একই ধরনের কাজ করেছেন।
মরদেহ উত্তোলন থেকে শুরু করে পুনরায় দাফন পর্যন্ত নির্দিষ্ট ধাপে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে ছিবগাত উল্লাহ বলেন, আবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ১১৪টি কবর চিহ্নিত হয়েছে, যা বাস্তবে কমবেশি হতে পারে। মরদেহ তোলার পর ময়নাতদন্ত, বোন স্যাম্পল/টিস্যু সংগ্রহ, ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করা হবে।
মরদেহ নিতে কতজন স্বজন এখন পর্যন্ত আবেদন করেছেন—জানতে চাইলে ছিবগাত উল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ জন স্বজন আবেদন করেছেন। আরও কেউ থাকলে সিআইডিতে যোগাযোগ করতে পারবেন। সিআইডির হটলাইনে যোগাযোগ করলে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রায়েরবাজার কবরস্থানের যেখানে দাফন করা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেখানে মার্বেল পাথর, টাইলস দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ২ আগস্ট রায়েরবাজার কবরস্থান পরিদর্শনে গিয়ে অজ্ঞাতনামা শহীদদের পরিচয় শনাক্ত করতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
১৮ মে ২০২৫
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় রাতের অন্ধকারে করা সড়ক সংস্কারকাজের (সিল কোট) অনিয়ম ভোরের আলোতেই ফাঁস হয়ে গেছে। সদ্য সিল কোট দেওয়া সড়কে আঙুল বোলালেই উঠে আসছে পিচ আর পাথর। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে।
৬ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নড়াইল-১ আসনে বিএনপি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করলেও হাল ছাড়তে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বি এম নাগিব হোসেন। এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের
৯ মিনিট আগে
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহি
১৩ মিনিট আগে