মাগুরায় শিশু ধর্ষণ
মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরার সেই আট বছরের শিশুটিকে একাই ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তার বড় বোনের শ্বশুর ও মামলার প্রধান আসামি। কিন্তু তা মানতে রাজি নন শিশুটির মা ও মামলার বাদী। তাঁর দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে প্রধান অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেরাও জড়িত ছিলেন।
শিশুটির মায়ের সঙ্গে গতকাল রোববার বিকেলে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা মেয়ের বাপকে নিয়ে ব্যস্ত আছি। সে গত ৯ মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। মেয়েটা মারা যাওয়ার পর আরও ব্রেন বিগড়ে গেছে। তাকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া চলছে। তাকে সুস্থ করলে আমাদের আয়ের একটা গতি হবে। তাই মামলায় কী হচ্ছে না হচ্ছে ভালো জানি না। মাঝেমধ্যে পুলিশ আসে, নানা কিছু শুনতে পাই, এই পর্যন্তই।’
মামলার প্রধান অভিযুক্তের জবানবন্দিকেই কেন একমাত্র সত্য ধরে নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাদী। তিনি বলেন, ‘সে তো এসব খারাপ কাজ করেছে, তাহলে সে যা বলল তাকেই আপনারা মনে করতেছেন ক্যান সত্যি? সে তো তার ছেলে ও বউরে বাঁচানোর চেষ্টা করার জন্য এসব কথা বলিছে। এসব মিথ্যা জবানবন্দি আমরা মানি না। আমরা আদালতে এসব উকিলের মাধ্যমে তুলি ধরব। তয় মেয়ের বাপ সুস্থ হলি মামলার বিষয়ে আমরা সময় দিতে পারব।’
১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় প্রধান আসামির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে আসামি জানান, তিনি সকালে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং এ সময় চিৎকার আটকাতে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টেনে ধরেছিলেন।
এ বিষয়ে শিশুটির মা বলেন, ‘গলায় ওড়না প্যাঁচানোর দাগ আমার বড় মেয়ে সকাল ৯টায় দেখেনি। ওরা সবাই মিলে অকাজ করে মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আর এটা সকাল ১০টার দিকে প্রকাশ পায়। প্রধান আসামির স্ত্রী পটোল তুলতে যায়নি। সে ঘরেই ছিল বলে আমার বড় মেয়ে আগেই বলেছে। ঘটনা রাতের বলে বড় মেয়ে আমাদের জানায়ছে, সকালে তা প্রকাশ পায়। (জবানবন্দিতে) দিনের বেলা ঘটনার কথা কইছে। কারণ, প্রধান আসামির ছেলে ও বউ বাইরে থাকার কথা বলে যাতে দোষ ঢাকা যায়। রাতের কথা কলি তো সবাই ধরা খেয়ে যাবে। আমরা সব আসামির ফাঁসি চাই।’
শিশুটির বড় বোন ঘটনার পর কয়েকটি গণমাধ্যমে জানিয়েছিল, রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর শিশুটিকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে সে। তখন শিশুটিকে মেঝে থেকে খাটে ওঠায় সে। তবে তখন সে কিছু খেয়াল করেননি। পরে সকালে শিশুটি একবার বাইরে বের হলেও পরে বোনের সামনেই মেঝেতে শুয়ে পড়ে অচেতন হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে বাদী বলেন, ‘আমার বড় মেয়ে যা এর আগে বলেছে তা মিথ্যা নয়।’
মামলার এজাহারে শিশুটির মায়ের অভিযোগ ও গ্রেপ্তার প্রধান আসামির জবানবন্দিতে মিল না থাকায় বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছে পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রেপ্তার আসামিরা এক কথা বলছেন। কিন্তু ভুক্তভোগী শিশুটির বোন একেকবার একেক কথা বলছে। যে কারণে কোনটা সত্য তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে প্রধান আসামি ছাড়া এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় আর কারও সম্পৃক্ততা পাননি তাঁরা।
এই বিষয়ে রোববার মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ইতিমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় বাকি আসামিরা জড়িত ছিলেন কি না, সেটি ডিএনএ ও ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত, শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় চলতি মাসের ৬ তারিখে। অচেতন অবস্থায় তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল, এরপর ফরিদপুর হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে মারা যায় শিশুটি।
ধর্ষণের ঘটনায় ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বড় বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। চারজনই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

মাগুরার সেই আট বছরের শিশুটিকে একাই ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তার বড় বোনের শ্বশুর ও মামলার প্রধান আসামি। কিন্তু তা মানতে রাজি নন শিশুটির মা ও মামলার বাদী। তাঁর দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে প্রধান অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেরাও জড়িত ছিলেন।
শিশুটির মায়ের সঙ্গে গতকাল রোববার বিকেলে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা মেয়ের বাপকে নিয়ে ব্যস্ত আছি। সে গত ৯ মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। মেয়েটা মারা যাওয়ার পর আরও ব্রেন বিগড়ে গেছে। তাকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া চলছে। তাকে সুস্থ করলে আমাদের আয়ের একটা গতি হবে। তাই মামলায় কী হচ্ছে না হচ্ছে ভালো জানি না। মাঝেমধ্যে পুলিশ আসে, নানা কিছু শুনতে পাই, এই পর্যন্তই।’
মামলার প্রধান অভিযুক্তের জবানবন্দিকেই কেন একমাত্র সত্য ধরে নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাদী। তিনি বলেন, ‘সে তো এসব খারাপ কাজ করেছে, তাহলে সে যা বলল তাকেই আপনারা মনে করতেছেন ক্যান সত্যি? সে তো তার ছেলে ও বউরে বাঁচানোর চেষ্টা করার জন্য এসব কথা বলিছে। এসব মিথ্যা জবানবন্দি আমরা মানি না। আমরা আদালতে এসব উকিলের মাধ্যমে তুলি ধরব। তয় মেয়ের বাপ সুস্থ হলি মামলার বিষয়ে আমরা সময় দিতে পারব।’
১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় প্রধান আসামির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে আসামি জানান, তিনি সকালে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং এ সময় চিৎকার আটকাতে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টেনে ধরেছিলেন।
এ বিষয়ে শিশুটির মা বলেন, ‘গলায় ওড়না প্যাঁচানোর দাগ আমার বড় মেয়ে সকাল ৯টায় দেখেনি। ওরা সবাই মিলে অকাজ করে মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আর এটা সকাল ১০টার দিকে প্রকাশ পায়। প্রধান আসামির স্ত্রী পটোল তুলতে যায়নি। সে ঘরেই ছিল বলে আমার বড় মেয়ে আগেই বলেছে। ঘটনা রাতের বলে বড় মেয়ে আমাদের জানায়ছে, সকালে তা প্রকাশ পায়। (জবানবন্দিতে) দিনের বেলা ঘটনার কথা কইছে। কারণ, প্রধান আসামির ছেলে ও বউ বাইরে থাকার কথা বলে যাতে দোষ ঢাকা যায়। রাতের কথা কলি তো সবাই ধরা খেয়ে যাবে। আমরা সব আসামির ফাঁসি চাই।’
শিশুটির বড় বোন ঘটনার পর কয়েকটি গণমাধ্যমে জানিয়েছিল, রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর শিশুটিকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে সে। তখন শিশুটিকে মেঝে থেকে খাটে ওঠায় সে। তবে তখন সে কিছু খেয়াল করেননি। পরে সকালে শিশুটি একবার বাইরে বের হলেও পরে বোনের সামনেই মেঝেতে শুয়ে পড়ে অচেতন হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে বাদী বলেন, ‘আমার বড় মেয়ে যা এর আগে বলেছে তা মিথ্যা নয়।’
মামলার এজাহারে শিশুটির মায়ের অভিযোগ ও গ্রেপ্তার প্রধান আসামির জবানবন্দিতে মিল না থাকায় বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছে পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রেপ্তার আসামিরা এক কথা বলছেন। কিন্তু ভুক্তভোগী শিশুটির বোন একেকবার একেক কথা বলছে। যে কারণে কোনটা সত্য তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে প্রধান আসামি ছাড়া এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় আর কারও সম্পৃক্ততা পাননি তাঁরা।
এই বিষয়ে রোববার মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ইতিমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় বাকি আসামিরা জড়িত ছিলেন কি না, সেটি ডিএনএ ও ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত, শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় চলতি মাসের ৬ তারিখে। অচেতন অবস্থায় তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল, এরপর ফরিদপুর হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে মারা যায় শিশুটি।
ধর্ষণের ঘটনায় ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বড় বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। চারজনই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ
মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরার সেই আট বছরের শিশুটিকে একাই ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তার বড় বোনের শ্বশুর ও মামলার প্রধান আসামি। কিন্তু তা মানতে রাজি নন শিশুটির মা ও মামলার বাদী। তাঁর দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে প্রধান অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেরাও জড়িত ছিলেন।
শিশুটির মায়ের সঙ্গে গতকাল রোববার বিকেলে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা মেয়ের বাপকে নিয়ে ব্যস্ত আছি। সে গত ৯ মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। মেয়েটা মারা যাওয়ার পর আরও ব্রেন বিগড়ে গেছে। তাকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া চলছে। তাকে সুস্থ করলে আমাদের আয়ের একটা গতি হবে। তাই মামলায় কী হচ্ছে না হচ্ছে ভালো জানি না। মাঝেমধ্যে পুলিশ আসে, নানা কিছু শুনতে পাই, এই পর্যন্তই।’
মামলার প্রধান অভিযুক্তের জবানবন্দিকেই কেন একমাত্র সত্য ধরে নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাদী। তিনি বলেন, ‘সে তো এসব খারাপ কাজ করেছে, তাহলে সে যা বলল তাকেই আপনারা মনে করতেছেন ক্যান সত্যি? সে তো তার ছেলে ও বউরে বাঁচানোর চেষ্টা করার জন্য এসব কথা বলিছে। এসব মিথ্যা জবানবন্দি আমরা মানি না। আমরা আদালতে এসব উকিলের মাধ্যমে তুলি ধরব। তয় মেয়ের বাপ সুস্থ হলি মামলার বিষয়ে আমরা সময় দিতে পারব।’
১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় প্রধান আসামির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে আসামি জানান, তিনি সকালে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং এ সময় চিৎকার আটকাতে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টেনে ধরেছিলেন।
এ বিষয়ে শিশুটির মা বলেন, ‘গলায় ওড়না প্যাঁচানোর দাগ আমার বড় মেয়ে সকাল ৯টায় দেখেনি। ওরা সবাই মিলে অকাজ করে মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আর এটা সকাল ১০টার দিকে প্রকাশ পায়। প্রধান আসামির স্ত্রী পটোল তুলতে যায়নি। সে ঘরেই ছিল বলে আমার বড় মেয়ে আগেই বলেছে। ঘটনা রাতের বলে বড় মেয়ে আমাদের জানায়ছে, সকালে তা প্রকাশ পায়। (জবানবন্দিতে) দিনের বেলা ঘটনার কথা কইছে। কারণ, প্রধান আসামির ছেলে ও বউ বাইরে থাকার কথা বলে যাতে দোষ ঢাকা যায়। রাতের কথা কলি তো সবাই ধরা খেয়ে যাবে। আমরা সব আসামির ফাঁসি চাই।’
শিশুটির বড় বোন ঘটনার পর কয়েকটি গণমাধ্যমে জানিয়েছিল, রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর শিশুটিকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে সে। তখন শিশুটিকে মেঝে থেকে খাটে ওঠায় সে। তবে তখন সে কিছু খেয়াল করেননি। পরে সকালে শিশুটি একবার বাইরে বের হলেও পরে বোনের সামনেই মেঝেতে শুয়ে পড়ে অচেতন হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে বাদী বলেন, ‘আমার বড় মেয়ে যা এর আগে বলেছে তা মিথ্যা নয়।’
মামলার এজাহারে শিশুটির মায়ের অভিযোগ ও গ্রেপ্তার প্রধান আসামির জবানবন্দিতে মিল না থাকায় বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছে পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রেপ্তার আসামিরা এক কথা বলছেন। কিন্তু ভুক্তভোগী শিশুটির বোন একেকবার একেক কথা বলছে। যে কারণে কোনটা সত্য তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে প্রধান আসামি ছাড়া এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় আর কারও সম্পৃক্ততা পাননি তাঁরা।
এই বিষয়ে রোববার মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ইতিমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় বাকি আসামিরা জড়িত ছিলেন কি না, সেটি ডিএনএ ও ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত, শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় চলতি মাসের ৬ তারিখে। অচেতন অবস্থায় তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল, এরপর ফরিদপুর হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে মারা যায় শিশুটি।
ধর্ষণের ঘটনায় ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বড় বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। চারজনই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

মাগুরার সেই আট বছরের শিশুটিকে একাই ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তার বড় বোনের শ্বশুর ও মামলার প্রধান আসামি। কিন্তু তা মানতে রাজি নন শিশুটির মা ও মামলার বাদী। তাঁর দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে প্রধান অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেরাও জড়িত ছিলেন।
শিশুটির মায়ের সঙ্গে গতকাল রোববার বিকেলে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা মেয়ের বাপকে নিয়ে ব্যস্ত আছি। সে গত ৯ মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। মেয়েটা মারা যাওয়ার পর আরও ব্রেন বিগড়ে গেছে। তাকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া চলছে। তাকে সুস্থ করলে আমাদের আয়ের একটা গতি হবে। তাই মামলায় কী হচ্ছে না হচ্ছে ভালো জানি না। মাঝেমধ্যে পুলিশ আসে, নানা কিছু শুনতে পাই, এই পর্যন্তই।’
মামলার প্রধান অভিযুক্তের জবানবন্দিকেই কেন একমাত্র সত্য ধরে নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাদী। তিনি বলেন, ‘সে তো এসব খারাপ কাজ করেছে, তাহলে সে যা বলল তাকেই আপনারা মনে করতেছেন ক্যান সত্যি? সে তো তার ছেলে ও বউরে বাঁচানোর চেষ্টা করার জন্য এসব কথা বলিছে। এসব মিথ্যা জবানবন্দি আমরা মানি না। আমরা আদালতে এসব উকিলের মাধ্যমে তুলি ধরব। তয় মেয়ের বাপ সুস্থ হলি মামলার বিষয়ে আমরা সময় দিতে পারব।’
১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায় প্রধান আসামির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে আসামি জানান, তিনি সকালে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং এ সময় চিৎকার আটকাতে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টেনে ধরেছিলেন।
এ বিষয়ে শিশুটির মা বলেন, ‘গলায় ওড়না প্যাঁচানোর দাগ আমার বড় মেয়ে সকাল ৯টায় দেখেনি। ওরা সবাই মিলে অকাজ করে মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আর এটা সকাল ১০টার দিকে প্রকাশ পায়। প্রধান আসামির স্ত্রী পটোল তুলতে যায়নি। সে ঘরেই ছিল বলে আমার বড় মেয়ে আগেই বলেছে। ঘটনা রাতের বলে বড় মেয়ে আমাদের জানায়ছে, সকালে তা প্রকাশ পায়। (জবানবন্দিতে) দিনের বেলা ঘটনার কথা কইছে। কারণ, প্রধান আসামির ছেলে ও বউ বাইরে থাকার কথা বলে যাতে দোষ ঢাকা যায়। রাতের কথা কলি তো সবাই ধরা খেয়ে যাবে। আমরা সব আসামির ফাঁসি চাই।’
শিশুটির বড় বোন ঘটনার পর কয়েকটি গণমাধ্যমে জানিয়েছিল, রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর শিশুটিকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে সে। তখন শিশুটিকে মেঝে থেকে খাটে ওঠায় সে। তবে তখন সে কিছু খেয়াল করেননি। পরে সকালে শিশুটি একবার বাইরে বের হলেও পরে বোনের সামনেই মেঝেতে শুয়ে পড়ে অচেতন হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে বাদী বলেন, ‘আমার বড় মেয়ে যা এর আগে বলেছে তা মিথ্যা নয়।’
মামলার এজাহারে শিশুটির মায়ের অভিযোগ ও গ্রেপ্তার প্রধান আসামির জবানবন্দিতে মিল না থাকায় বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছে পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রেপ্তার আসামিরা এক কথা বলছেন। কিন্তু ভুক্তভোগী শিশুটির বোন একেকবার একেক কথা বলছে। যে কারণে কোনটা সত্য তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে প্রধান আসামি ছাড়া এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় আর কারও সম্পৃক্ততা পাননি তাঁরা।
এই বিষয়ে রোববার মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ইতিমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় বাকি আসামিরা জড়িত ছিলেন কি না, সেটি ডিএনএ ও ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত, শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় চলতি মাসের ৬ তারিখে। অচেতন অবস্থায় তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল, এরপর ফরিদপুর হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে মারা যায় শিশুটি।
ধর্ষণের ঘটনায় ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বড় বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। চারজনই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেটঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

মাগুরার সেই আট বছরের শিশুটিকে একাই ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তার বড় বোনের শ্বশুর ও মামলার প্রধান আসামি। কিন্তু তা মানতে রাজি নন শিশুটির মা ও মামলার বাদী। তাঁর দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে প্রধান অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেরাও জড়িত ছিলেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মাগুরার সেই আট বছরের শিশুটিকে একাই ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তার বড় বোনের শ্বশুর ও মামলার প্রধান আসামি। কিন্তু তা মানতে রাজি নন শিশুটির মা ও মামলার বাদী। তাঁর দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে প্রধান অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেরাও জড়িত ছিলেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

মাগুরার সেই আট বছরের শিশুটিকে একাই ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তার বড় বোনের শ্বশুর ও মামলার প্রধান আসামি। কিন্তু তা মানতে রাজি নন শিশুটির মা ও মামলার বাদী। তাঁর দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে প্রধান অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেরাও জড়িত ছিলেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

মাগুরার সেই আট বছরের শিশুটিকে একাই ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তার বড় বোনের শ্বশুর ও মামলার প্রধান আসামি। কিন্তু তা মানতে রাজি নন শিশুটির মা ও মামলার বাদী। তাঁর দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে প্রধান অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেরাও জড়িত ছিলেন।
২৪ মার্চ ২০২৫
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে