খোরশেদ আলম সাগর, লালমনিরহাট

বুদ্ধি, শারীরিক ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গড়ে তোলা করিমপুর নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের করিমপুরে নিজ গ্রামে এ বিদ্যালয় গড়ে তোলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মায়ের নামে করা এ বিদ্যালয়েও নুরুজ্জামান এবং তাঁর পরিবার দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে চাকরির নামে টাকা আদায়; এমনকি জমি লিখে নেওয়ারও অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ওই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। নামকাওয়াস্তে পাঠদান চললেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিশেষ ক্ষমতায় দেশের একমাত্র প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় হিসেবে এটি এমপিওভুক্ত হয়।
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে পরিচালিত হয়। এগুলো সাধারণত কোনো নিবন্ধিত সংস্থার ব্যানারে গড়ে ওঠা। এ জন্য নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের অর্থে গড়ে তোলা হয় নুরজাহান সামছুন্নাহার উন্নয়ন সংস্থা। ওই সংস্থার সভাপতি করা হয় সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাই শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুকে। পদাধিকারবলে তিনিই বিদ্যালয়ের সভাপতি হন আর তাঁর স্ত্রী জেসমিন আখতার পলিকে করা হয় প্রধান শিক্ষক।
এদিকে প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা ও পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি গড়ে তুললেও এমপিও করানোর সময় চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় অনেককে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার টাকা দিয়ে কেউ বিদ্যালয়ে যোগদান না করেও তিন মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। এমন ঘটনার শিকার সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) মোহাইমুনুল হাসান প্রতিকার চেয়ে ৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মোহাইমুনুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে সভাপতি শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টু তাঁর (মোহাইমুনুল) বাবা আজিজুল ইসলামের কাছ থেকে ৫৪ শতাংশ জমি লিখে নেন। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর যোগদানপত্র নিয়ে নিয়মিত চাকরি করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু এমপিওভুক্ত হলে তাঁর পদে রঞ্জু মিয়া নামের একজন নতুন শিক্ষকের নাম আসে। এমপিও প্রকাশের পরদিন থেকে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। পরে টাকা ও জমি ফেরত চাইলে মোহাইমুনুলকে মেরে ফেলার হুমকি দেন সাবেক মন্ত্রীর ভাই ভুট্টু।
এ ছাড়া রবিউল ইসলাম, জপা রানী ও হাসিনা বেগম শিক্ষা সহায়ক পদে প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে চাকরি করলেও এমপিওতে তাঁদের নাম নেই। আবার অফিস সহকারী পদে চাকরি শুরু করা রেখা খাতুনকে করা হয় শিক্ষা সহায়ক (আয়া)। আর অফিস সহকারী পদে নাম আসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিটন মিয়ার বোন হালিমা বেগমের। এমএ পাস হরিদাস সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেও এমপিওতে নাম আসে শিক্ষা সহায়ক (আয়া) পদে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভুট্টুর স্ত্রী জেসমিন আখতার পলি ঢাকায় বসবাস করলেও নিয়মিত বিদ্যালয়ে হাজিরা দেখানো হচ্ছিল। তবে সরকার পতনের পর তিনি এখন এলাকায় থাকছেন। তা ছাড়া প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে হলে প্রতিবন্ধী ধরন (বুদ্ধি, বাক্, দৃষ্টি) বিষয়ক ৬ মাসের বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ আবশ্যক হলেও কারও প্রশিক্ষণ সনদ নেই। তবে পটপরিবর্তন হওয়ায় সবাই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন বলে বিদ্যালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান জেসমিন আখতার পলির কাছে বিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবটাই জানতেন তাঁর স্বামী সভাপতি শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টু। সম্প্রতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি রংপুর কারাগারে রয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক পলি দাবি করেন, প্রতিষ্ঠার সময় ২০০ জনের মতো শিক্ষার্থী ছিল; পরে কমে গেছে। তবে কাগজ-কলমে ২২৩ শিক্ষার্থীর পাঠদানে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে।
এদিকে সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালে সেই হোস্টেল দুটিও নির্মাণ করা হয় সাবেক মন্ত্রীর নিজ উপজেলা কালীগঞ্জে। বালক হোস্টেল ব্যবহার হচ্ছে সাবেক মন্ত্রীর মায়ের নামের বিদ্যালয়ের অফিস। বালিকা হোস্টেল ব্যবহার করছে তাঁর ভাইয়ের বিদ্যালয়। হোস্টেল নির্মাণ করা হলেও এর জনবল নিয়োগ দেননি সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সমাজসেবা অধিপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান কোনো তথ্য দিতে না পেরে বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য অফিসে এ-সংক্রান্ত কোনো ফাইল নেই। তবে শুনেছি, হোস্টেলের ফাইল মন্ত্রীর ছোট ভাই শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুর কাছে। যিনি এখন কারাগারে রয়েছেন। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টির কোনো নথি নেই অফিসে। মূলত বিগত সময়ে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরাই সব বলতে পারবেন।’

বুদ্ধি, শারীরিক ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গড়ে তোলা করিমপুর নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের করিমপুরে নিজ গ্রামে এ বিদ্যালয় গড়ে তোলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মায়ের নামে করা এ বিদ্যালয়েও নুরুজ্জামান এবং তাঁর পরিবার দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে চাকরির নামে টাকা আদায়; এমনকি জমি লিখে নেওয়ারও অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ওই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। নামকাওয়াস্তে পাঠদান চললেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিশেষ ক্ষমতায় দেশের একমাত্র প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় হিসেবে এটি এমপিওভুক্ত হয়।
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে পরিচালিত হয়। এগুলো সাধারণত কোনো নিবন্ধিত সংস্থার ব্যানারে গড়ে ওঠা। এ জন্য নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের অর্থে গড়ে তোলা হয় নুরজাহান সামছুন্নাহার উন্নয়ন সংস্থা। ওই সংস্থার সভাপতি করা হয় সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাই শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুকে। পদাধিকারবলে তিনিই বিদ্যালয়ের সভাপতি হন আর তাঁর স্ত্রী জেসমিন আখতার পলিকে করা হয় প্রধান শিক্ষক।
এদিকে প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা ও পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি গড়ে তুললেও এমপিও করানোর সময় চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় অনেককে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার টাকা দিয়ে কেউ বিদ্যালয়ে যোগদান না করেও তিন মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। এমন ঘটনার শিকার সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) মোহাইমুনুল হাসান প্রতিকার চেয়ে ৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মোহাইমুনুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে সভাপতি শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টু তাঁর (মোহাইমুনুল) বাবা আজিজুল ইসলামের কাছ থেকে ৫৪ শতাংশ জমি লিখে নেন। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর যোগদানপত্র নিয়ে নিয়মিত চাকরি করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু এমপিওভুক্ত হলে তাঁর পদে রঞ্জু মিয়া নামের একজন নতুন শিক্ষকের নাম আসে। এমপিও প্রকাশের পরদিন থেকে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। পরে টাকা ও জমি ফেরত চাইলে মোহাইমুনুলকে মেরে ফেলার হুমকি দেন সাবেক মন্ত্রীর ভাই ভুট্টু।
এ ছাড়া রবিউল ইসলাম, জপা রানী ও হাসিনা বেগম শিক্ষা সহায়ক পদে প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে চাকরি করলেও এমপিওতে তাঁদের নাম নেই। আবার অফিস সহকারী পদে চাকরি শুরু করা রেখা খাতুনকে করা হয় শিক্ষা সহায়ক (আয়া)। আর অফিস সহকারী পদে নাম আসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিটন মিয়ার বোন হালিমা বেগমের। এমএ পাস হরিদাস সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেও এমপিওতে নাম আসে শিক্ষা সহায়ক (আয়া) পদে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভুট্টুর স্ত্রী জেসমিন আখতার পলি ঢাকায় বসবাস করলেও নিয়মিত বিদ্যালয়ে হাজিরা দেখানো হচ্ছিল। তবে সরকার পতনের পর তিনি এখন এলাকায় থাকছেন। তা ছাড়া প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে হলে প্রতিবন্ধী ধরন (বুদ্ধি, বাক্, দৃষ্টি) বিষয়ক ৬ মাসের বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ আবশ্যক হলেও কারও প্রশিক্ষণ সনদ নেই। তবে পটপরিবর্তন হওয়ায় সবাই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন বলে বিদ্যালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান জেসমিন আখতার পলির কাছে বিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবটাই জানতেন তাঁর স্বামী সভাপতি শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টু। সম্প্রতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি রংপুর কারাগারে রয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক পলি দাবি করেন, প্রতিষ্ঠার সময় ২০০ জনের মতো শিক্ষার্থী ছিল; পরে কমে গেছে। তবে কাগজ-কলমে ২২৩ শিক্ষার্থীর পাঠদানে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে।
এদিকে সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালে সেই হোস্টেল দুটিও নির্মাণ করা হয় সাবেক মন্ত্রীর নিজ উপজেলা কালীগঞ্জে। বালক হোস্টেল ব্যবহার হচ্ছে সাবেক মন্ত্রীর মায়ের নামের বিদ্যালয়ের অফিস। বালিকা হোস্টেল ব্যবহার করছে তাঁর ভাইয়ের বিদ্যালয়। হোস্টেল নির্মাণ করা হলেও এর জনবল নিয়োগ দেননি সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সমাজসেবা অধিপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান কোনো তথ্য দিতে না পেরে বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য অফিসে এ-সংক্রান্ত কোনো ফাইল নেই। তবে শুনেছি, হোস্টেলের ফাইল মন্ত্রীর ছোট ভাই শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুর কাছে। যিনি এখন কারাগারে রয়েছেন। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টির কোনো নথি নেই অফিসে। মূলত বিগত সময়ে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরাই সব বলতে পারবেন।’
খোরশেদ আলম সাগর, লালমনিরহাট

বুদ্ধি, শারীরিক ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গড়ে তোলা করিমপুর নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের করিমপুরে নিজ গ্রামে এ বিদ্যালয় গড়ে তোলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মায়ের নামে করা এ বিদ্যালয়েও নুরুজ্জামান এবং তাঁর পরিবার দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে চাকরির নামে টাকা আদায়; এমনকি জমি লিখে নেওয়ারও অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ওই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। নামকাওয়াস্তে পাঠদান চললেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিশেষ ক্ষমতায় দেশের একমাত্র প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় হিসেবে এটি এমপিওভুক্ত হয়।
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে পরিচালিত হয়। এগুলো সাধারণত কোনো নিবন্ধিত সংস্থার ব্যানারে গড়ে ওঠা। এ জন্য নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের অর্থে গড়ে তোলা হয় নুরজাহান সামছুন্নাহার উন্নয়ন সংস্থা। ওই সংস্থার সভাপতি করা হয় সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাই শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুকে। পদাধিকারবলে তিনিই বিদ্যালয়ের সভাপতি হন আর তাঁর স্ত্রী জেসমিন আখতার পলিকে করা হয় প্রধান শিক্ষক।
এদিকে প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা ও পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি গড়ে তুললেও এমপিও করানোর সময় চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় অনেককে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার টাকা দিয়ে কেউ বিদ্যালয়ে যোগদান না করেও তিন মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। এমন ঘটনার শিকার সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) মোহাইমুনুল হাসান প্রতিকার চেয়ে ৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মোহাইমুনুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে সভাপতি শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টু তাঁর (মোহাইমুনুল) বাবা আজিজুল ইসলামের কাছ থেকে ৫৪ শতাংশ জমি লিখে নেন। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর যোগদানপত্র নিয়ে নিয়মিত চাকরি করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু এমপিওভুক্ত হলে তাঁর পদে রঞ্জু মিয়া নামের একজন নতুন শিক্ষকের নাম আসে। এমপিও প্রকাশের পরদিন থেকে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। পরে টাকা ও জমি ফেরত চাইলে মোহাইমুনুলকে মেরে ফেলার হুমকি দেন সাবেক মন্ত্রীর ভাই ভুট্টু।
এ ছাড়া রবিউল ইসলাম, জপা রানী ও হাসিনা বেগম শিক্ষা সহায়ক পদে প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে চাকরি করলেও এমপিওতে তাঁদের নাম নেই। আবার অফিস সহকারী পদে চাকরি শুরু করা রেখা খাতুনকে করা হয় শিক্ষা সহায়ক (আয়া)। আর অফিস সহকারী পদে নাম আসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিটন মিয়ার বোন হালিমা বেগমের। এমএ পাস হরিদাস সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেও এমপিওতে নাম আসে শিক্ষা সহায়ক (আয়া) পদে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভুট্টুর স্ত্রী জেসমিন আখতার পলি ঢাকায় বসবাস করলেও নিয়মিত বিদ্যালয়ে হাজিরা দেখানো হচ্ছিল। তবে সরকার পতনের পর তিনি এখন এলাকায় থাকছেন। তা ছাড়া প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে হলে প্রতিবন্ধী ধরন (বুদ্ধি, বাক্, দৃষ্টি) বিষয়ক ৬ মাসের বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ আবশ্যক হলেও কারও প্রশিক্ষণ সনদ নেই। তবে পটপরিবর্তন হওয়ায় সবাই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন বলে বিদ্যালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান জেসমিন আখতার পলির কাছে বিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবটাই জানতেন তাঁর স্বামী সভাপতি শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টু। সম্প্রতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি রংপুর কারাগারে রয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক পলি দাবি করেন, প্রতিষ্ঠার সময় ২০০ জনের মতো শিক্ষার্থী ছিল; পরে কমে গেছে। তবে কাগজ-কলমে ২২৩ শিক্ষার্থীর পাঠদানে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে।
এদিকে সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালে সেই হোস্টেল দুটিও নির্মাণ করা হয় সাবেক মন্ত্রীর নিজ উপজেলা কালীগঞ্জে। বালক হোস্টেল ব্যবহার হচ্ছে সাবেক মন্ত্রীর মায়ের নামের বিদ্যালয়ের অফিস। বালিকা হোস্টেল ব্যবহার করছে তাঁর ভাইয়ের বিদ্যালয়। হোস্টেল নির্মাণ করা হলেও এর জনবল নিয়োগ দেননি সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সমাজসেবা অধিপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান কোনো তথ্য দিতে না পেরে বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য অফিসে এ-সংক্রান্ত কোনো ফাইল নেই। তবে শুনেছি, হোস্টেলের ফাইল মন্ত্রীর ছোট ভাই শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুর কাছে। যিনি এখন কারাগারে রয়েছেন। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টির কোনো নথি নেই অফিসে। মূলত বিগত সময়ে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরাই সব বলতে পারবেন।’

বুদ্ধি, শারীরিক ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গড়ে তোলা করিমপুর নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের করিমপুরে নিজ গ্রামে এ বিদ্যালয় গড়ে তোলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মায়ের নামে করা এ বিদ্যালয়েও নুরুজ্জামান এবং তাঁর পরিবার দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে চাকরির নামে টাকা আদায়; এমনকি জমি লিখে নেওয়ারও অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ওই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। নামকাওয়াস্তে পাঠদান চললেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিশেষ ক্ষমতায় দেশের একমাত্র প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় হিসেবে এটি এমপিওভুক্ত হয়।
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে পরিচালিত হয়। এগুলো সাধারণত কোনো নিবন্ধিত সংস্থার ব্যানারে গড়ে ওঠা। এ জন্য নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের অর্থে গড়ে তোলা হয় নুরজাহান সামছুন্নাহার উন্নয়ন সংস্থা। ওই সংস্থার সভাপতি করা হয় সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাই শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুকে। পদাধিকারবলে তিনিই বিদ্যালয়ের সভাপতি হন আর তাঁর স্ত্রী জেসমিন আখতার পলিকে করা হয় প্রধান শিক্ষক।
এদিকে প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা ও পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি গড়ে তুললেও এমপিও করানোর সময় চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় অনেককে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার টাকা দিয়ে কেউ বিদ্যালয়ে যোগদান না করেও তিন মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। এমন ঘটনার শিকার সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) মোহাইমুনুল হাসান প্রতিকার চেয়ে ৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মোহাইমুনুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে সভাপতি শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টু তাঁর (মোহাইমুনুল) বাবা আজিজুল ইসলামের কাছ থেকে ৫৪ শতাংশ জমি লিখে নেন। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর যোগদানপত্র নিয়ে নিয়মিত চাকরি করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু এমপিওভুক্ত হলে তাঁর পদে রঞ্জু মিয়া নামের একজন নতুন শিক্ষকের নাম আসে। এমপিও প্রকাশের পরদিন থেকে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। পরে টাকা ও জমি ফেরত চাইলে মোহাইমুনুলকে মেরে ফেলার হুমকি দেন সাবেক মন্ত্রীর ভাই ভুট্টু।
এ ছাড়া রবিউল ইসলাম, জপা রানী ও হাসিনা বেগম শিক্ষা সহায়ক পদে প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে চাকরি করলেও এমপিওতে তাঁদের নাম নেই। আবার অফিস সহকারী পদে চাকরি শুরু করা রেখা খাতুনকে করা হয় শিক্ষা সহায়ক (আয়া)। আর অফিস সহকারী পদে নাম আসে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিটন মিয়ার বোন হালিমা বেগমের। এমএ পাস হরিদাস সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেও এমপিওতে নাম আসে শিক্ষা সহায়ক (আয়া) পদে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভুট্টুর স্ত্রী জেসমিন আখতার পলি ঢাকায় বসবাস করলেও নিয়মিত বিদ্যালয়ে হাজিরা দেখানো হচ্ছিল। তবে সরকার পতনের পর তিনি এখন এলাকায় থাকছেন। তা ছাড়া প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে হলে প্রতিবন্ধী ধরন (বুদ্ধি, বাক্, দৃষ্টি) বিষয়ক ৬ মাসের বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ আবশ্যক হলেও কারও প্রশিক্ষণ সনদ নেই। তবে পটপরিবর্তন হওয়ায় সবাই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন বলে বিদ্যালয়ের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান জেসমিন আখতার পলির কাছে বিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবটাই জানতেন তাঁর স্বামী সভাপতি শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টু। সম্প্রতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি রংপুর কারাগারে রয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক পলি দাবি করেন, প্রতিষ্ঠার সময় ২০০ জনের মতো শিক্ষার্থী ছিল; পরে কমে গেছে। তবে কাগজ-কলমে ২২৩ শিক্ষার্থীর পাঠদানে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে।
এদিকে সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালে সেই হোস্টেল দুটিও নির্মাণ করা হয় সাবেক মন্ত্রীর নিজ উপজেলা কালীগঞ্জে। বালক হোস্টেল ব্যবহার হচ্ছে সাবেক মন্ত্রীর মায়ের নামের বিদ্যালয়ের অফিস। বালিকা হোস্টেল ব্যবহার করছে তাঁর ভাইয়ের বিদ্যালয়। হোস্টেল নির্মাণ করা হলেও এর জনবল নিয়োগ দেননি সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সমাজসেবা অধিপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান কোনো তথ্য দিতে না পেরে বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য অফিসে এ-সংক্রান্ত কোনো ফাইল নেই। তবে শুনেছি, হোস্টেলের ফাইল মন্ত্রীর ছোট ভাই শামছুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুর কাছে। যিনি এখন কারাগারে রয়েছেন। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টির কোনো নথি নেই অফিসে। মূলত বিগত সময়ে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরাই সব বলতে পারবেন।’

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেপিরোজপুর প্রতিনিধি

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়ক আলামিন হোসেন প্রমুখ।
জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিরোজপুর প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন।

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়ক আলামিন হোসেন প্রমুখ।
জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিরোজপুর প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন।

বুদ্ধি, শারীরিক ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গড়ে তোলা করিমপুর নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের করিমপুরে নিজ গ্রামে এ বিদ্যালয় গড়ে তোলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশের মতো চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন ফুলপুরের শিক্ষার্থীরাও। রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন তাঁরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামের এক কৃষক শহীদ হন।
আন্দোলনের শক্তি সঞ্চার করতে ফুলপুর গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ‘পানি লাগবে কারও পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনব, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ সাঈদ ঘরে ঘরে’ এমন নানা উক্তি লেখেন শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে লেখা এসব উক্তি মুছে ফেলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জুলাই যোদ্ধা সামাদ খান নাঈম বলেন, ‘দু-তিন দিন ধরে দেখছি, আমাদের অঙ্কিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কারা এ কাজটি করেছে জানি না; তবে তা খুব খারাপ হয়েছে। এটা আশা করিনি। আমরা আন্দোলনের ফাঁকে ফাঁকে এগুলো এঁকেছিলাম। এখন ইচ্ছে করলেই তা আঁকা সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, জুলাই আন্দোলনের কোনো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়নি। তবে প্যানা পোস্টার ছিল, সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা শহরের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে কোনো গ্রাফিতি ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অঙ্কিত গ্রাফিতি ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে স্থানীয় জুলাই যোদ্ধা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের পরামর্শক্রমে নতুনভাবে গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্দেশ্যে চুন দিয়ে সাদা করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর এই গ্রাফিতি ছাত্র-ছাত্রী ও জুলাই যোদ্ধাদের সমন্বয়ে নতুন করে আঁকা হবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ জানায় উপজেলা প্রশাসন।
ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘কোনো কিছু মুছে দিয়ে লিখে দেওয়া প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অঙ্কিত লেখার মাধ্যমে সাহস সঞ্চার করেছিলেন। তাই ইতিহাস মুছে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশের মতো চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন ফুলপুরের শিক্ষার্থীরাও। রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন তাঁরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামের এক কৃষক শহীদ হন।
আন্দোলনের শক্তি সঞ্চার করতে ফুলপুর গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ‘পানি লাগবে কারও পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনব, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ সাঈদ ঘরে ঘরে’ এমন নানা উক্তি লেখেন শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে লেখা এসব উক্তি মুছে ফেলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জুলাই যোদ্ধা সামাদ খান নাঈম বলেন, ‘দু-তিন দিন ধরে দেখছি, আমাদের অঙ্কিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কারা এ কাজটি করেছে জানি না; তবে তা খুব খারাপ হয়েছে। এটা আশা করিনি। আমরা আন্দোলনের ফাঁকে ফাঁকে এগুলো এঁকেছিলাম। এখন ইচ্ছে করলেই তা আঁকা সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, জুলাই আন্দোলনের কোনো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়নি। তবে প্যানা পোস্টার ছিল, সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা শহরের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে কোনো গ্রাফিতি ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অঙ্কিত গ্রাফিতি ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে স্থানীয় জুলাই যোদ্ধা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের পরামর্শক্রমে নতুনভাবে গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্দেশ্যে চুন দিয়ে সাদা করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর এই গ্রাফিতি ছাত্র-ছাত্রী ও জুলাই যোদ্ধাদের সমন্বয়ে নতুন করে আঁকা হবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ জানায় উপজেলা প্রশাসন।
ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘কোনো কিছু মুছে দিয়ে লিখে দেওয়া প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অঙ্কিত লেখার মাধ্যমে সাহস সঞ্চার করেছিলেন। তাই ইতিহাস মুছে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

বুদ্ধি, শারীরিক ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গড়ে তোলা করিমপুর নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের করিমপুরে নিজ গ্রামে এ বিদ্যালয় গড়ে তোলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
৭ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

বুদ্ধি, শারীরিক ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গড়ে তোলা করিমপুর নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের করিমপুরে নিজ গ্রামে এ বিদ্যালয় গড়ে তোলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে আসলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমি মনে করি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম একটা দিন। এই দিনে আমরা যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধকালীন গৌরবগাথা, আমাদের সেই অসামান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, আমাদের দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেগুলো সব মনে পড়ে।’
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে আসলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমি মনে করি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম একটা দিন। এই দিনে আমরা যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধকালীন গৌরবগাথা, আমাদের সেই অসামান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, আমাদের দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেগুলো সব মনে পড়ে।’
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

বুদ্ধি, শারীরিক ও বাক্প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য গড়ে তোলা করিমপুর নুরজাহান সামছুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের করিমপুরে নিজ গ্রামে এ বিদ্যালয় গড়ে তোলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে