কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুর দুপাশে সড়ক কেটে রেখেছেন ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ওপর বিকল্প জরাজীর্ণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। এভাবে প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও দেখা মিলেছে না সেতু নির্মাণকাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। প্রকৌশলী বলছেন, কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই।
জরাজীর্ণ বিকল্প সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন উল্টে পড়ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। আহত হচ্ছেন পথচারীরা। নষ্ট হচ্ছে যানবাহন ও পরিবহনের মালামাল। ফলে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমন চিত্র দেখা যায় উপজেলার পান্টি-বাঁশগ্রাম বাজার সড়কের চাঁদপুর ইউনিয়নের মহানগর পূর্বপাড়ায় তিন রাস্তা মোড় এলাকায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পথচারীদের অভিযোগ, প্রায় ছয় মাস আগে নতুন সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে সেতুটির দুপাশের সড়ক কেটে দিয়ে পালিয়েছেন ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ভেতর দিয়ে জরাজীর্ণ বিকল্প সড়ক তৈরি করা হয়েছে। সেই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে প্রতিনিয়ত মানুষ দুর্ঘটনা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সেতু এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর দুপাশের পাকা সংযোগ সড়ক কাটা রয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই কোনো সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। সেতুর পাশে খালের ওপর মূল সড়ক থেকে অনেক নিচু জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে বিকল্প সড়ক। যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে হেঁটে পার হচ্ছে। আর যানবাহনগুলো পথচারীরা ও যাত্রীরা ঠেলে ওপরে তুলছেন। ভারী মালবাহী যানবাহন প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকার সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।
সেতুটির পাশের মুদিদোকানি সজল বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিদিনই গাড়ি উল্টে অ্যাক্সিডেন্ট (দুর্ঘটনা) হচ্ছে। দোকান ফেলে বারবার ছুটে যায় গাড়ি ঠেলতে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। দ্রুত সমস্যাটির সমাধান হওয়া দরকার।’
ইজিবাইকের চালক রহমত আলী বলেন, ‘রাস্তাটি খুব ব্যস্ত। ২৪ ঘণ্টা গাড়ি চলে। খালের ওপর রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। যাত্রীদের নামিয়ে আবার যাত্রী দিয়েই ধাক্কা দিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। গাড়ি উল্টে প্রায় সময়ই আহত হচ্ছে অনেক মানুষ।’
বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের পেঁয়াজের ব্যবসায়ী রিপন আলী বলেন, ‘মালবোঝায় গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই। রাতে মানুষ গাড়ি নিয়ে গর্তে পড়ে যায়। সাত থেকে আট মাস ধরে এই দুর্ভোগ। কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।’
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পান্টি, চাঁদপুর ও বাগুলাট ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। এ ছাড়া পাশের ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা ও মাগুরা জেলার মানুষ কুষ্টিয়া শহরে যাওয়া আসা করে এ সড়ক দিয়ে।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজের ঠিকাদার জেলার মিরপুরের রিপন আলী। নির্মাণকাজের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। দৃশ্যমান কাজ না থাকায় বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার প্রকৌশলীকে না জানিয়ে সড়ক কেটে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার রিপন আলীকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ঠিকাদার বলেন, ‘রিপন ভাই আমার শ্রমিকদের দিয়ে সেতুর রাস্তা ভাঙার কাজ করেছিল। কিন্তু কবে কাজ করবেন তা জানি না। যত দূর জানি, কাজের মেয়াদ নেই।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কাজ বাতিলের জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার আমাদের না জানিয়ে রাতের আঁধারে সড়ক কেটে পালিয়েছেন। সেখানকার জনদুর্ভোগের বিষয় ইউএনও স্যার ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কাটা সড়ক সংস্কার করে চলাচল স্বাভাবিক করতে।’
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘সেতুর নামে খোঁজ নেই, রাস্তা কেটে উধাও ঠিকাদার। জনগণের কষ্টের শেষ নেই। দ্রুত সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুর দুপাশে সড়ক কেটে রেখেছেন ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ওপর বিকল্প জরাজীর্ণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। এভাবে প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও দেখা মিলেছে না সেতু নির্মাণকাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। প্রকৌশলী বলছেন, কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই।
জরাজীর্ণ বিকল্প সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন উল্টে পড়ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। আহত হচ্ছেন পথচারীরা। নষ্ট হচ্ছে যানবাহন ও পরিবহনের মালামাল। ফলে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমন চিত্র দেখা যায় উপজেলার পান্টি-বাঁশগ্রাম বাজার সড়কের চাঁদপুর ইউনিয়নের মহানগর পূর্বপাড়ায় তিন রাস্তা মোড় এলাকায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পথচারীদের অভিযোগ, প্রায় ছয় মাস আগে নতুন সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে সেতুটির দুপাশের সড়ক কেটে দিয়ে পালিয়েছেন ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ভেতর দিয়ে জরাজীর্ণ বিকল্প সড়ক তৈরি করা হয়েছে। সেই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে প্রতিনিয়ত মানুষ দুর্ঘটনা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সেতু এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর দুপাশের পাকা সংযোগ সড়ক কাটা রয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই কোনো সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। সেতুর পাশে খালের ওপর মূল সড়ক থেকে অনেক নিচু জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে বিকল্প সড়ক। যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে হেঁটে পার হচ্ছে। আর যানবাহনগুলো পথচারীরা ও যাত্রীরা ঠেলে ওপরে তুলছেন। ভারী মালবাহী যানবাহন প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকার সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।
সেতুটির পাশের মুদিদোকানি সজল বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিদিনই গাড়ি উল্টে অ্যাক্সিডেন্ট (দুর্ঘটনা) হচ্ছে। দোকান ফেলে বারবার ছুটে যায় গাড়ি ঠেলতে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। দ্রুত সমস্যাটির সমাধান হওয়া দরকার।’
ইজিবাইকের চালক রহমত আলী বলেন, ‘রাস্তাটি খুব ব্যস্ত। ২৪ ঘণ্টা গাড়ি চলে। খালের ওপর রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। যাত্রীদের নামিয়ে আবার যাত্রী দিয়েই ধাক্কা দিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। গাড়ি উল্টে প্রায় সময়ই আহত হচ্ছে অনেক মানুষ।’
বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের পেঁয়াজের ব্যবসায়ী রিপন আলী বলেন, ‘মালবোঝায় গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই। রাতে মানুষ গাড়ি নিয়ে গর্তে পড়ে যায়। সাত থেকে আট মাস ধরে এই দুর্ভোগ। কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।’
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পান্টি, চাঁদপুর ও বাগুলাট ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। এ ছাড়া পাশের ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা ও মাগুরা জেলার মানুষ কুষ্টিয়া শহরে যাওয়া আসা করে এ সড়ক দিয়ে।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজের ঠিকাদার জেলার মিরপুরের রিপন আলী। নির্মাণকাজের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। দৃশ্যমান কাজ না থাকায় বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার প্রকৌশলীকে না জানিয়ে সড়ক কেটে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার রিপন আলীকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ঠিকাদার বলেন, ‘রিপন ভাই আমার শ্রমিকদের দিয়ে সেতুর রাস্তা ভাঙার কাজ করেছিল। কিন্তু কবে কাজ করবেন তা জানি না। যত দূর জানি, কাজের মেয়াদ নেই।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কাজ বাতিলের জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার আমাদের না জানিয়ে রাতের আঁধারে সড়ক কেটে পালিয়েছেন। সেখানকার জনদুর্ভোগের বিষয় ইউএনও স্যার ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কাটা সড়ক সংস্কার করে চলাচল স্বাভাবিক করতে।’
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘সেতুর নামে খোঁজ নেই, রাস্তা কেটে উধাও ঠিকাদার। জনগণের কষ্টের শেষ নেই। দ্রুত সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুর দুপাশে সড়ক কেটে রেখেছেন ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ওপর বিকল্প জরাজীর্ণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। এভাবে প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও দেখা মিলেছে না সেতু নির্মাণকাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। প্রকৌশলী বলছেন, কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই।
জরাজীর্ণ বিকল্প সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন উল্টে পড়ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। আহত হচ্ছেন পথচারীরা। নষ্ট হচ্ছে যানবাহন ও পরিবহনের মালামাল। ফলে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমন চিত্র দেখা যায় উপজেলার পান্টি-বাঁশগ্রাম বাজার সড়কের চাঁদপুর ইউনিয়নের মহানগর পূর্বপাড়ায় তিন রাস্তা মোড় এলাকায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পথচারীদের অভিযোগ, প্রায় ছয় মাস আগে নতুন সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে সেতুটির দুপাশের সড়ক কেটে দিয়ে পালিয়েছেন ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ভেতর দিয়ে জরাজীর্ণ বিকল্প সড়ক তৈরি করা হয়েছে। সেই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে প্রতিনিয়ত মানুষ দুর্ঘটনা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সেতু এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর দুপাশের পাকা সংযোগ সড়ক কাটা রয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই কোনো সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। সেতুর পাশে খালের ওপর মূল সড়ক থেকে অনেক নিচু জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে বিকল্প সড়ক। যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে হেঁটে পার হচ্ছে। আর যানবাহনগুলো পথচারীরা ও যাত্রীরা ঠেলে ওপরে তুলছেন। ভারী মালবাহী যানবাহন প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকার সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।
সেতুটির পাশের মুদিদোকানি সজল বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিদিনই গাড়ি উল্টে অ্যাক্সিডেন্ট (দুর্ঘটনা) হচ্ছে। দোকান ফেলে বারবার ছুটে যায় গাড়ি ঠেলতে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। দ্রুত সমস্যাটির সমাধান হওয়া দরকার।’
ইজিবাইকের চালক রহমত আলী বলেন, ‘রাস্তাটি খুব ব্যস্ত। ২৪ ঘণ্টা গাড়ি চলে। খালের ওপর রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। যাত্রীদের নামিয়ে আবার যাত্রী দিয়েই ধাক্কা দিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। গাড়ি উল্টে প্রায় সময়ই আহত হচ্ছে অনেক মানুষ।’
বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের পেঁয়াজের ব্যবসায়ী রিপন আলী বলেন, ‘মালবোঝায় গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই। রাতে মানুষ গাড়ি নিয়ে গর্তে পড়ে যায়। সাত থেকে আট মাস ধরে এই দুর্ভোগ। কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।’
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পান্টি, চাঁদপুর ও বাগুলাট ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। এ ছাড়া পাশের ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা ও মাগুরা জেলার মানুষ কুষ্টিয়া শহরে যাওয়া আসা করে এ সড়ক দিয়ে।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজের ঠিকাদার জেলার মিরপুরের রিপন আলী। নির্মাণকাজের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। দৃশ্যমান কাজ না থাকায় বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার প্রকৌশলীকে না জানিয়ে সড়ক কেটে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার রিপন আলীকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ঠিকাদার বলেন, ‘রিপন ভাই আমার শ্রমিকদের দিয়ে সেতুর রাস্তা ভাঙার কাজ করেছিল। কিন্তু কবে কাজ করবেন তা জানি না। যত দূর জানি, কাজের মেয়াদ নেই।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কাজ বাতিলের জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার আমাদের না জানিয়ে রাতের আঁধারে সড়ক কেটে পালিয়েছেন। সেখানকার জনদুর্ভোগের বিষয় ইউএনও স্যার ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কাটা সড়ক সংস্কার করে চলাচল স্বাভাবিক করতে।’
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘সেতুর নামে খোঁজ নেই, রাস্তা কেটে উধাও ঠিকাদার। জনগণের কষ্টের শেষ নেই। দ্রুত সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুর দুপাশে সড়ক কেটে রেখেছেন ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ওপর বিকল্প জরাজীর্ণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। এভাবে প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও দেখা মিলেছে না সেতু নির্মাণকাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। প্রকৌশলী বলছেন, কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই।
জরাজীর্ণ বিকল্প সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন উল্টে পড়ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। আহত হচ্ছেন পথচারীরা। নষ্ট হচ্ছে যানবাহন ও পরিবহনের মালামাল। ফলে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমন চিত্র দেখা যায় উপজেলার পান্টি-বাঁশগ্রাম বাজার সড়কের চাঁদপুর ইউনিয়নের মহানগর পূর্বপাড়ায় তিন রাস্তা মোড় এলাকায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পথচারীদের অভিযোগ, প্রায় ছয় মাস আগে নতুন সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে সেতুটির দুপাশের সড়ক কেটে দিয়ে পালিয়েছেন ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ভেতর দিয়ে জরাজীর্ণ বিকল্প সড়ক তৈরি করা হয়েছে। সেই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে প্রতিনিয়ত মানুষ দুর্ঘটনা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সেতু এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর দুপাশের পাকা সংযোগ সড়ক কাটা রয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই কোনো সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। সেতুর পাশে খালের ওপর মূল সড়ক থেকে অনেক নিচু জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে বিকল্প সড়ক। যানবাহন থেকে যাত্রীরা নেমে হেঁটে পার হচ্ছে। আর যানবাহনগুলো পথচারীরা ও যাত্রীরা ঠেলে ওপরে তুলছেন। ভারী মালবাহী যানবাহন প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকার সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।
সেতুটির পাশের মুদিদোকানি সজল বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিদিনই গাড়ি উল্টে অ্যাক্সিডেন্ট (দুর্ঘটনা) হচ্ছে। দোকান ফেলে বারবার ছুটে যায় গাড়ি ঠেলতে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। দ্রুত সমস্যাটির সমাধান হওয়া দরকার।’
ইজিবাইকের চালক রহমত আলী বলেন, ‘রাস্তাটি খুব ব্যস্ত। ২৪ ঘণ্টা গাড়ি চলে। খালের ওপর রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। যাত্রীদের নামিয়ে আবার যাত্রী দিয়েই ধাক্কা দিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। গাড়ি উল্টে প্রায় সময়ই আহত হচ্ছে অনেক মানুষ।’
বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের পেঁয়াজের ব্যবসায়ী রিপন আলী বলেন, ‘মালবোঝায় গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই। রাতে মানুষ গাড়ি নিয়ে গর্তে পড়ে যায়। সাত থেকে আট মাস ধরে এই দুর্ভোগ। কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।’
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পান্টি, চাঁদপুর ও বাগুলাট ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। এ ছাড়া পাশের ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা ও মাগুরা জেলার মানুষ কুষ্টিয়া শহরে যাওয়া আসা করে এ সড়ক দিয়ে।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজের ঠিকাদার জেলার মিরপুরের রিপন আলী। নির্মাণকাজের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। দৃশ্যমান কাজ না থাকায় বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার প্রকৌশলীকে না জানিয়ে সড়ক কেটে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার রিপন আলীকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ঠিকাদার বলেন, ‘রিপন ভাই আমার শ্রমিকদের দিয়ে সেতুর রাস্তা ভাঙার কাজ করেছিল। কিন্তু কবে কাজ করবেন তা জানি না। যত দূর জানি, কাজের মেয়াদ নেই।’
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কাজ বাতিলের জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার আমাদের না জানিয়ে রাতের আঁধারে সড়ক কেটে পালিয়েছেন। সেখানকার জনদুর্ভোগের বিষয় ইউএনও স্যার ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কাটা সড়ক সংস্কার করে চলাচল স্বাভাবিক করতে।’
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘সেতুর নামে খোঁজ নেই, রাস্তা কেটে উধাও ঠিকাদার। জনগণের কষ্টের শেষ নেই। দ্রুত সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৪ ঘণ্টা আগেহাসান মাতুব্বর, ফরিদপুর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো দলগুলোও। আগামী নির্বাচনে জেলায় অন্তত ৩০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদসহ অন্তত ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চার আসনের দুটিতেই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভোটে প্রভাব ফেলবে না। বিভেদ ভুলে
সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবে।’ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন বলেন, ‘চার আসনেই আমাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এখন ইসলামি সমমনা ৮ দলের বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর-১
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন। তিন উপজেলার মধ্যে বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোট প্রায় সমান। আলফাডাঙ্গায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রভাব বাড়লেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সঙ্গে কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বহুদিন পরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। এটি কাজে লাগাতে দলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোট নেই। যারা দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলের জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন, একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইলিয়াস মোল্যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মো. জাকির হুসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হুসাইন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে ওয়ালিউর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন হাসিবুর রহমান অপু। সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল বাসার খান ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফরিদপুর-২
সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। নির্বাচনী প্রচারে বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আমির সোহরাব হোসেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন শাহ আকরাম আলী। ফরিদপুরে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মুরব্বি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি বক্তা হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শাহ আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আলেম-ওলামাদের সমর্থক বেশি। সেই হিসেবে চেষ্টা করছি ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী হতে। সভা-সমাবেশে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ফরিদপুর-৩
ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দখলে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে তাঁকে মেনে নিতে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছার অনুসারীরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশও করেছেন তাঁরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আমার বাবা এখান থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এটা প্রমাণিত যে ফরিদপুর সদরের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। তারা আবার বিএনপির শাসন ফেরাতে চায়।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুত তাওয়াব নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র হলেও তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে গত ১৯ অক্টোবর তাঁর গণসংযোগে বিএনপি সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি।
খেলাফত মজলিস থেকে আমজাদ হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে কামরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন থেকে কে এম সারোয়ার মনোনয়ন পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ নামের এক তরুণ। হাতেনাতে চাঁদাবাজ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর পৌরসভায় নিজ উদ্যোগে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ফরিদপুর-৪
ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে হলেও দল তাঁকে এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দেখা গেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাঙ্গা উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন স্থপতি মুজাহিদ বেগ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো দলগুলোও। আগামী নির্বাচনে জেলায় অন্তত ৩০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদসহ অন্তত ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চার আসনের দুটিতেই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভোটে প্রভাব ফেলবে না। বিভেদ ভুলে
সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবে।’ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন বলেন, ‘চার আসনেই আমাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এখন ইসলামি সমমনা ৮ দলের বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর-১
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন। তিন উপজেলার মধ্যে বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোট প্রায় সমান। আলফাডাঙ্গায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রভাব বাড়লেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সঙ্গে কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বহুদিন পরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। এটি কাজে লাগাতে দলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোট নেই। যারা দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলের জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন, একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইলিয়াস মোল্যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মো. জাকির হুসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হুসাইন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে ওয়ালিউর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন হাসিবুর রহমান অপু। সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল বাসার খান ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফরিদপুর-২
সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। নির্বাচনী প্রচারে বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আমির সোহরাব হোসেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন শাহ আকরাম আলী। ফরিদপুরে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মুরব্বি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি বক্তা হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শাহ আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আলেম-ওলামাদের সমর্থক বেশি। সেই হিসেবে চেষ্টা করছি ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী হতে। সভা-সমাবেশে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ফরিদপুর-৩
ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দখলে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে তাঁকে মেনে নিতে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছার অনুসারীরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশও করেছেন তাঁরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আমার বাবা এখান থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এটা প্রমাণিত যে ফরিদপুর সদরের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। তারা আবার বিএনপির শাসন ফেরাতে চায়।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুত তাওয়াব নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র হলেও তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে গত ১৯ অক্টোবর তাঁর গণসংযোগে বিএনপি সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি।
খেলাফত মজলিস থেকে আমজাদ হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে কামরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন থেকে কে এম সারোয়ার মনোনয়ন পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ নামের এক তরুণ। হাতেনাতে চাঁদাবাজ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর পৌরসভায় নিজ উদ্যোগে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ফরিদপুর-৪
ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে হলেও দল তাঁকে এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দেখা গেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাঙ্গা উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন স্থপতি মুজাহিদ বেগ।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুর দুপাশে সড়ক কেটে রেখেছে ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ওপর বিকল্প জরাজীর্ণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। এভাবে প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও দেখা মেলেছে না সেতুর...
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৪ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দিপু যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরাই তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানায় কর্মরত ওই শ্রমিকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অর্ধদগ্ধ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দিপু চন্দ্র দাস দুই বছর ধরে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেডে কাজ করছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।’
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নিহত দিপুর স্ত্রী মেঘনা রানী বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান আজ বাবা-হারা। অভাবের সংসার নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না। এই হত্যার বিচার চাই।’
আর দিপু চন্দ্র দাসের বোন চম্পা দাস বিলাপ করে বলেন, ‘আমার ভাই বিএ পাস। সে সাধারণ বাটন মোবাইল ব্যবহার করত। ধর্ম নিয়ে তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার মতো মানুষ সে নয়। উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল—এমন কথা শুনেছি। সেই কারণেই তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, কোম্পানির লোকজন চাইলে তাঁকে জনতার হাতে তুলে না দিয়ে পুলিশের কাছে দিতে পারতেন। তাহলে এমন নির্মম মৃত্যু হতো না।
নিহত দিপুর বাবা রবি চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার ছেলে ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমেই বিচার হতো। আমরা গরিব বলে ছেলের জীবন রক্ষা করতে পারিনি।’
এদিকে এই ঘটনার জেরে গতকাল শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভালুকা মডেল থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দিপু যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরাই তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানায় কর্মরত ওই শ্রমিকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অর্ধদগ্ধ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দিপু চন্দ্র দাস দুই বছর ধরে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেডে কাজ করছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।’
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নিহত দিপুর স্ত্রী মেঘনা রানী বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান আজ বাবা-হারা। অভাবের সংসার নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না। এই হত্যার বিচার চাই।’
আর দিপু চন্দ্র দাসের বোন চম্পা দাস বিলাপ করে বলেন, ‘আমার ভাই বিএ পাস। সে সাধারণ বাটন মোবাইল ব্যবহার করত। ধর্ম নিয়ে তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার মতো মানুষ সে নয়। উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল—এমন কথা শুনেছি। সেই কারণেই তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, কোম্পানির লোকজন চাইলে তাঁকে জনতার হাতে তুলে না দিয়ে পুলিশের কাছে দিতে পারতেন। তাহলে এমন নির্মম মৃত্যু হতো না।
নিহত দিপুর বাবা রবি চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার ছেলে ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমেই বিচার হতো। আমরা গরিব বলে ছেলের জীবন রক্ষা করতে পারিনি।’
এদিকে এই ঘটনার জেরে গতকাল শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভালুকা মডেল থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুর দুপাশে সড়ক কেটে রেখেছে ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ওপর বিকল্প জরাজীর্ণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। এভাবে প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও দেখা মেলেছে না সেতুর...
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৪ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুর দুপাশে সড়ক কেটে রেখেছে ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ওপর বিকল্প জরাজীর্ণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। এভাবে প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও দেখা মেলেছে না সেতুর...
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৪ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’
এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য পুরোনো সেতুর দুপাশে সড়ক কেটে রেখেছে ঠিকাদার। চলাচলের জন্য খালের ওপর বিকল্প জরাজীর্ণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। এভাবে প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হলেও দেখা মেলেছে না সেতুর...
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
৫ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
৩ ঘণ্টা আগে