আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রামের বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে ফিরে

‘ঘরের ভেতরত, বাইরত পানি। রান্দনের জায়গা নাই। টুলের ওপর চুলা থুইয়া পানিত দাঁড়ে রান্দি। কিন্তু ভাত খাওনের তরকারি নাই। কোনো বেলা লবণ দিয়া, কোনো বেলা কাটলের বিচি দিয়া ভাত খাওন লাগে। একবেলা রান্দি তিনবেলা খাই। খাওনের পানি আনা লাগে দূর থাইকা। খুব কষ্টে আছি।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের বানভাসি গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন (৫০)।
আজ রোববার দুপুরে রাবেয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির আঙিনায় নৌকা ওপর দাঁড়িয়ে কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন রাবেয়া। ঘরে তাঁর অসুস্থ ও বৃদ্ধ স্বামী সুলতান।
রাবেয়া জানান, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দী তাঁরা। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তিনি। শুধু রান্না আর তরকারির কষ্ট নয়, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শৌচাগার সংকট তাঁদের কষ্টের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। রোজগার না থাকায় বাজার-সদাই করার সামর্থ্য নেই তাঁদের।
রাবেয়া-সুলতান দম্পতির মতো মুসার চরের অন্য পরিবার তো বটেই, কুড়িগ্রামের শত শত বানভাসি পরিবারের অবস্থা এমনই। উঁচু স্থান কিংবা নৌকায় করে দিনাতিপাত করলেও বিশুদ্ধ পানি, তরিতরকারি আর গবাদিপশুর খাবার সংকট নিয়ে বিপাকে বানভাসি পরিবারগুলো। নদীর ঘোলা পানির সঙ্গে বসবাস করা পরিবারগুলো শুকনো স্থান, জ্বালানি, পর্যাপ্ত খাবার আর বিশুদ্ধ পানীয়-জলের অভাবে সংকটে দিনযাপন করছে।
মুসার চরের পরিবারগুলোর অবস্থা জেনে রওনা হই দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রামের উদ্দেশ্যে। সেখানকার ২৫ পরিবারের অবস্থা আরও করুণ। বসতঘরে হাঁটু থেকে বুক সমান উচ্চতায় পানি। টিউবওয়েল, শৌচাগার সব পানির নিচে। কোনো কোনো পরিবার গবাদিপশুসহ এক চালার নিচে বসবাস করছেন। সেই চালায় একসঙ্গে খাবারও খাচ্ছেন, রাত্রী যাপন করছেন। এমনকি বাড়িতে পোষা মুরগিগুলো তাঁদের সঙ্গে আবদ্ধ। এমনই এক পরিবার হযরত আলী আর লালবানু দম্পতির।
লালবানু জানান, তাদের কষ্টের সীমা নেই। প্রায় একমাস ধরে তারা পানিবন্দী। ঈদের আগে বাড়িতে পানি ওঠে। সেই পানি নেমে যেতে না যেতে আবারও বন্যার কবলে পড়ে তাঁদের গ্রামের সব কটি পরিবার। রান্না, জ্বালানি, গৃহস্থালি কর্ম এমনকি খাবার পানির সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা। শৌচাগার সংকটে নারী ও কিশোরীদের অবস্থা বেগতিক।
লালবানু বলেন, ‘থাকার কষ্ট, খাবার কষ্ট। রান্দনের খড়ি নাই। পানিও আনন লাগে দূরের চর থাইকা। আইজ কয়দিন থাইকা বাচ্চাগো লইয়া গরুর ঘরে গরুর লগে বসবাস করতাছি। এহানেই একবেলা রাইন্দা তিন বেলা খাই। এই কয়দিনে খালি একবার ১০ কেজি চাইল পাইছি। তরিতরকারি আর পানির খুব কষ্ট হইয়া গেছে।’
‘চাইরপাশে পানি। রাইতে শ্যালো নৌকার শব্দ শুনলে ডর লাগে। না জানি চোর আইসা বর্গা নেওয়া গরু দুইডা নিয়া যায়। আমগো কষ্ট আর সমস্যার শ্যাষ নাই।’ সংকটের সঙ্গে আতঙ্কের কথাও বলেন লালবানু।
দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রামের আরেক বানভাসি আমজাদ আলী (৬২)। তিনি একই সংকটের কথা জানিয়ে বলেন, ‘চাইলের সঙ্গে ডাইল আর আলু দিলে আমগো কিছুটা উপকার হইলো হয়। আর এহানকার মাইষের ভিটা উঁচা করি দিলে এতো কষ্ট কইরা থাকন লাগতো না।’
দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রাম থেকে ফিরে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর বালাডোবা, ফকিরের চরসহ কয়েকটি চরে গিয়ে বানভাসিদের নিদারুণ কষ্টের চিত্র দেখা গেছে। সবার মুখে খাবার পানি আর রান্নার সংকটের কথা। জ্বালানি, উঁচুস্থানের অভাবে রান্না আর গবাদিপশু নিয়ে পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। এর সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় চরে আবাদ করা চিনা, কাউন ও তিলসহ বিভিন্ন শস্য পানিতে তলিয়ে গেছে। সেগুলোর ফসল ঘরে তোলার কোনো আশা হারিয়েছে এসব চরবাসী।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় ৪৫ ইউনিয়নের ১৮৫ গ্রাম কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ১৮ হাজার পরিবারের ৬১ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। আজ রোববার পর্যন্ত জেলায় বন্যা দুর্গত ও ভাঙন কবলিতসহ ২২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে সরকার। আগামী কয়েক দিন নাগেশ্বরী, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজমান থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার প্রধান প্রধান নদ নদীর পানি হ্রাস পেয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নদনদীর পানি হ্রাস অব্যাহত ছিল। ওই সময়ে দুধকুমার নদের পানি কমে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং ধরলার পানি কমে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্রহ্মপুত্রের পানিও নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি প্রবাহ আরও কমতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে আসা পরিবারগুলো বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। আশা করছি আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
বানভাসিদের খাবার পানি ও তরকারি সংকটের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ জোরদার করার পাশাপাশি নগদ অর্থ দিয়ে বানভাসিদের জন্য ডাল ও আলু জাতীয় সবজি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘ঘরের ভেতরত, বাইরত পানি। রান্দনের জায়গা নাই। টুলের ওপর চুলা থুইয়া পানিত দাঁড়ে রান্দি। কিন্তু ভাত খাওনের তরকারি নাই। কোনো বেলা লবণ দিয়া, কোনো বেলা কাটলের বিচি দিয়া ভাত খাওন লাগে। একবেলা রান্দি তিনবেলা খাই। খাওনের পানি আনা লাগে দূর থাইকা। খুব কষ্টে আছি।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের বানভাসি গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন (৫০)।
আজ রোববার দুপুরে রাবেয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির আঙিনায় নৌকা ওপর দাঁড়িয়ে কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন রাবেয়া। ঘরে তাঁর অসুস্থ ও বৃদ্ধ স্বামী সুলতান।
রাবেয়া জানান, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দী তাঁরা। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তিনি। শুধু রান্না আর তরকারির কষ্ট নয়, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শৌচাগার সংকট তাঁদের কষ্টের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। রোজগার না থাকায় বাজার-সদাই করার সামর্থ্য নেই তাঁদের।
রাবেয়া-সুলতান দম্পতির মতো মুসার চরের অন্য পরিবার তো বটেই, কুড়িগ্রামের শত শত বানভাসি পরিবারের অবস্থা এমনই। উঁচু স্থান কিংবা নৌকায় করে দিনাতিপাত করলেও বিশুদ্ধ পানি, তরিতরকারি আর গবাদিপশুর খাবার সংকট নিয়ে বিপাকে বানভাসি পরিবারগুলো। নদীর ঘোলা পানির সঙ্গে বসবাস করা পরিবারগুলো শুকনো স্থান, জ্বালানি, পর্যাপ্ত খাবার আর বিশুদ্ধ পানীয়-জলের অভাবে সংকটে দিনযাপন করছে।
মুসার চরের পরিবারগুলোর অবস্থা জেনে রওনা হই দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রামের উদ্দেশ্যে। সেখানকার ২৫ পরিবারের অবস্থা আরও করুণ। বসতঘরে হাঁটু থেকে বুক সমান উচ্চতায় পানি। টিউবওয়েল, শৌচাগার সব পানির নিচে। কোনো কোনো পরিবার গবাদিপশুসহ এক চালার নিচে বসবাস করছেন। সেই চালায় একসঙ্গে খাবারও খাচ্ছেন, রাত্রী যাপন করছেন। এমনকি বাড়িতে পোষা মুরগিগুলো তাঁদের সঙ্গে আবদ্ধ। এমনই এক পরিবার হযরত আলী আর লালবানু দম্পতির।
লালবানু জানান, তাদের কষ্টের সীমা নেই। প্রায় একমাস ধরে তারা পানিবন্দী। ঈদের আগে বাড়িতে পানি ওঠে। সেই পানি নেমে যেতে না যেতে আবারও বন্যার কবলে পড়ে তাঁদের গ্রামের সব কটি পরিবার। রান্না, জ্বালানি, গৃহস্থালি কর্ম এমনকি খাবার পানির সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা। শৌচাগার সংকটে নারী ও কিশোরীদের অবস্থা বেগতিক।
লালবানু বলেন, ‘থাকার কষ্ট, খাবার কষ্ট। রান্দনের খড়ি নাই। পানিও আনন লাগে দূরের চর থাইকা। আইজ কয়দিন থাইকা বাচ্চাগো লইয়া গরুর ঘরে গরুর লগে বসবাস করতাছি। এহানেই একবেলা রাইন্দা তিন বেলা খাই। এই কয়দিনে খালি একবার ১০ কেজি চাইল পাইছি। তরিতরকারি আর পানির খুব কষ্ট হইয়া গেছে।’
‘চাইরপাশে পানি। রাইতে শ্যালো নৌকার শব্দ শুনলে ডর লাগে। না জানি চোর আইসা বর্গা নেওয়া গরু দুইডা নিয়া যায়। আমগো কষ্ট আর সমস্যার শ্যাষ নাই।’ সংকটের সঙ্গে আতঙ্কের কথাও বলেন লালবানু।
দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রামের আরেক বানভাসি আমজাদ আলী (৬২)। তিনি একই সংকটের কথা জানিয়ে বলেন, ‘চাইলের সঙ্গে ডাইল আর আলু দিলে আমগো কিছুটা উপকার হইলো হয়। আর এহানকার মাইষের ভিটা উঁচা করি দিলে এতো কষ্ট কইরা থাকন লাগতো না।’
দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রাম থেকে ফিরে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর বালাডোবা, ফকিরের চরসহ কয়েকটি চরে গিয়ে বানভাসিদের নিদারুণ কষ্টের চিত্র দেখা গেছে। সবার মুখে খাবার পানি আর রান্নার সংকটের কথা। জ্বালানি, উঁচুস্থানের অভাবে রান্না আর গবাদিপশু নিয়ে পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। এর সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় চরে আবাদ করা চিনা, কাউন ও তিলসহ বিভিন্ন শস্য পানিতে তলিয়ে গেছে। সেগুলোর ফসল ঘরে তোলার কোনো আশা হারিয়েছে এসব চরবাসী।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় ৪৫ ইউনিয়নের ১৮৫ গ্রাম কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ১৮ হাজার পরিবারের ৬১ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। আজ রোববার পর্যন্ত জেলায় বন্যা দুর্গত ও ভাঙন কবলিতসহ ২২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে সরকার। আগামী কয়েক দিন নাগেশ্বরী, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজমান থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার প্রধান প্রধান নদ নদীর পানি হ্রাস পেয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নদনদীর পানি হ্রাস অব্যাহত ছিল। ওই সময়ে দুধকুমার নদের পানি কমে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং ধরলার পানি কমে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্রহ্মপুত্রের পানিও নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি প্রবাহ আরও কমতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে আসা পরিবারগুলো বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। আশা করছি আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
বানভাসিদের খাবার পানি ও তরকারি সংকটের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ জোরদার করার পাশাপাশি নগদ অর্থ দিয়ে বানভাসিদের জন্য ডাল ও আলু জাতীয় সবজি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রামের বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে ফিরে

‘ঘরের ভেতরত, বাইরত পানি। রান্দনের জায়গা নাই। টুলের ওপর চুলা থুইয়া পানিত দাঁড়ে রান্দি। কিন্তু ভাত খাওনের তরকারি নাই। কোনো বেলা লবণ দিয়া, কোনো বেলা কাটলের বিচি দিয়া ভাত খাওন লাগে। একবেলা রান্দি তিনবেলা খাই। খাওনের পানি আনা লাগে দূর থাইকা। খুব কষ্টে আছি।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের বানভাসি গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন (৫০)।
আজ রোববার দুপুরে রাবেয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির আঙিনায় নৌকা ওপর দাঁড়িয়ে কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন রাবেয়া। ঘরে তাঁর অসুস্থ ও বৃদ্ধ স্বামী সুলতান।
রাবেয়া জানান, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দী তাঁরা। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তিনি। শুধু রান্না আর তরকারির কষ্ট নয়, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শৌচাগার সংকট তাঁদের কষ্টের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। রোজগার না থাকায় বাজার-সদাই করার সামর্থ্য নেই তাঁদের।
রাবেয়া-সুলতান দম্পতির মতো মুসার চরের অন্য পরিবার তো বটেই, কুড়িগ্রামের শত শত বানভাসি পরিবারের অবস্থা এমনই। উঁচু স্থান কিংবা নৌকায় করে দিনাতিপাত করলেও বিশুদ্ধ পানি, তরিতরকারি আর গবাদিপশুর খাবার সংকট নিয়ে বিপাকে বানভাসি পরিবারগুলো। নদীর ঘোলা পানির সঙ্গে বসবাস করা পরিবারগুলো শুকনো স্থান, জ্বালানি, পর্যাপ্ত খাবার আর বিশুদ্ধ পানীয়-জলের অভাবে সংকটে দিনযাপন করছে।
মুসার চরের পরিবারগুলোর অবস্থা জেনে রওনা হই দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রামের উদ্দেশ্যে। সেখানকার ২৫ পরিবারের অবস্থা আরও করুণ। বসতঘরে হাঁটু থেকে বুক সমান উচ্চতায় পানি। টিউবওয়েল, শৌচাগার সব পানির নিচে। কোনো কোনো পরিবার গবাদিপশুসহ এক চালার নিচে বসবাস করছেন। সেই চালায় একসঙ্গে খাবারও খাচ্ছেন, রাত্রী যাপন করছেন। এমনকি বাড়িতে পোষা মুরগিগুলো তাঁদের সঙ্গে আবদ্ধ। এমনই এক পরিবার হযরত আলী আর লালবানু দম্পতির।
লালবানু জানান, তাদের কষ্টের সীমা নেই। প্রায় একমাস ধরে তারা পানিবন্দী। ঈদের আগে বাড়িতে পানি ওঠে। সেই পানি নেমে যেতে না যেতে আবারও বন্যার কবলে পড়ে তাঁদের গ্রামের সব কটি পরিবার। রান্না, জ্বালানি, গৃহস্থালি কর্ম এমনকি খাবার পানির সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা। শৌচাগার সংকটে নারী ও কিশোরীদের অবস্থা বেগতিক।
লালবানু বলেন, ‘থাকার কষ্ট, খাবার কষ্ট। রান্দনের খড়ি নাই। পানিও আনন লাগে দূরের চর থাইকা। আইজ কয়দিন থাইকা বাচ্চাগো লইয়া গরুর ঘরে গরুর লগে বসবাস করতাছি। এহানেই একবেলা রাইন্দা তিন বেলা খাই। এই কয়দিনে খালি একবার ১০ কেজি চাইল পাইছি। তরিতরকারি আর পানির খুব কষ্ট হইয়া গেছে।’
‘চাইরপাশে পানি। রাইতে শ্যালো নৌকার শব্দ শুনলে ডর লাগে। না জানি চোর আইসা বর্গা নেওয়া গরু দুইডা নিয়া যায়। আমগো কষ্ট আর সমস্যার শ্যাষ নাই।’ সংকটের সঙ্গে আতঙ্কের কথাও বলেন লালবানু।
দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রামের আরেক বানভাসি আমজাদ আলী (৬২)। তিনি একই সংকটের কথা জানিয়ে বলেন, ‘চাইলের সঙ্গে ডাইল আর আলু দিলে আমগো কিছুটা উপকার হইলো হয়। আর এহানকার মাইষের ভিটা উঁচা করি দিলে এতো কষ্ট কইরা থাকন লাগতো না।’
দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রাম থেকে ফিরে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর বালাডোবা, ফকিরের চরসহ কয়েকটি চরে গিয়ে বানভাসিদের নিদারুণ কষ্টের চিত্র দেখা গেছে। সবার মুখে খাবার পানি আর রান্নার সংকটের কথা। জ্বালানি, উঁচুস্থানের অভাবে রান্না আর গবাদিপশু নিয়ে পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। এর সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় চরে আবাদ করা চিনা, কাউন ও তিলসহ বিভিন্ন শস্য পানিতে তলিয়ে গেছে। সেগুলোর ফসল ঘরে তোলার কোনো আশা হারিয়েছে এসব চরবাসী।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় ৪৫ ইউনিয়নের ১৮৫ গ্রাম কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ১৮ হাজার পরিবারের ৬১ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। আজ রোববার পর্যন্ত জেলায় বন্যা দুর্গত ও ভাঙন কবলিতসহ ২২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে সরকার। আগামী কয়েক দিন নাগেশ্বরী, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজমান থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার প্রধান প্রধান নদ নদীর পানি হ্রাস পেয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নদনদীর পানি হ্রাস অব্যাহত ছিল। ওই সময়ে দুধকুমার নদের পানি কমে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং ধরলার পানি কমে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্রহ্মপুত্রের পানিও নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি প্রবাহ আরও কমতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে আসা পরিবারগুলো বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। আশা করছি আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
বানভাসিদের খাবার পানি ও তরকারি সংকটের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ জোরদার করার পাশাপাশি নগদ অর্থ দিয়ে বানভাসিদের জন্য ডাল ও আলু জাতীয় সবজি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘ঘরের ভেতরত, বাইরত পানি। রান্দনের জায়গা নাই। টুলের ওপর চুলা থুইয়া পানিত দাঁড়ে রান্দি। কিন্তু ভাত খাওনের তরকারি নাই। কোনো বেলা লবণ দিয়া, কোনো বেলা কাটলের বিচি দিয়া ভাত খাওন লাগে। একবেলা রান্দি তিনবেলা খাই। খাওনের পানি আনা লাগে দূর থাইকা। খুব কষ্টে আছি।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের বানভাসি গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন (৫০)।
আজ রোববার দুপুরে রাবেয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির আঙিনায় নৌকা ওপর দাঁড়িয়ে কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন রাবেয়া। ঘরে তাঁর অসুস্থ ও বৃদ্ধ স্বামী সুলতান।
রাবেয়া জানান, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দী তাঁরা। পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তিনি। শুধু রান্না আর তরকারির কষ্ট নয়, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শৌচাগার সংকট তাঁদের কষ্টের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। রোজগার না থাকায় বাজার-সদাই করার সামর্থ্য নেই তাঁদের।
রাবেয়া-সুলতান দম্পতির মতো মুসার চরের অন্য পরিবার তো বটেই, কুড়িগ্রামের শত শত বানভাসি পরিবারের অবস্থা এমনই। উঁচু স্থান কিংবা নৌকায় করে দিনাতিপাত করলেও বিশুদ্ধ পানি, তরিতরকারি আর গবাদিপশুর খাবার সংকট নিয়ে বিপাকে বানভাসি পরিবারগুলো। নদীর ঘোলা পানির সঙ্গে বসবাস করা পরিবারগুলো শুকনো স্থান, জ্বালানি, পর্যাপ্ত খাবার আর বিশুদ্ধ পানীয়-জলের অভাবে সংকটে দিনযাপন করছে।
মুসার চরের পরিবারগুলোর অবস্থা জেনে রওনা হই দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রামের উদ্দেশ্যে। সেখানকার ২৫ পরিবারের অবস্থা আরও করুণ। বসতঘরে হাঁটু থেকে বুক সমান উচ্চতায় পানি। টিউবওয়েল, শৌচাগার সব পানির নিচে। কোনো কোনো পরিবার গবাদিপশুসহ এক চালার নিচে বসবাস করছেন। সেই চালায় একসঙ্গে খাবারও খাচ্ছেন, রাত্রী যাপন করছেন। এমনকি বাড়িতে পোষা মুরগিগুলো তাঁদের সঙ্গে আবদ্ধ। এমনই এক পরিবার হযরত আলী আর লালবানু দম্পতির।
লালবানু জানান, তাদের কষ্টের সীমা নেই। প্রায় একমাস ধরে তারা পানিবন্দী। ঈদের আগে বাড়িতে পানি ওঠে। সেই পানি নেমে যেতে না যেতে আবারও বন্যার কবলে পড়ে তাঁদের গ্রামের সব কটি পরিবার। রান্না, জ্বালানি, গৃহস্থালি কর্ম এমনকি খাবার পানির সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা। শৌচাগার সংকটে নারী ও কিশোরীদের অবস্থা বেগতিক।
লালবানু বলেন, ‘থাকার কষ্ট, খাবার কষ্ট। রান্দনের খড়ি নাই। পানিও আনন লাগে দূরের চর থাইকা। আইজ কয়দিন থাইকা বাচ্চাগো লইয়া গরুর ঘরে গরুর লগে বসবাস করতাছি। এহানেই একবেলা রাইন্দা তিন বেলা খাই। এই কয়দিনে খালি একবার ১০ কেজি চাইল পাইছি। তরিতরকারি আর পানির খুব কষ্ট হইয়া গেছে।’
‘চাইরপাশে পানি। রাইতে শ্যালো নৌকার শব্দ শুনলে ডর লাগে। না জানি চোর আইসা বর্গা নেওয়া গরু দুইডা নিয়া যায়। আমগো কষ্ট আর সমস্যার শ্যাষ নাই।’ সংকটের সঙ্গে আতঙ্কের কথাও বলেন লালবানু।
দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রামের আরেক বানভাসি আমজাদ আলী (৬২)। তিনি একই সংকটের কথা জানিয়ে বলেন, ‘চাইলের সঙ্গে ডাইল আর আলু দিলে আমগো কিছুটা উপকার হইলো হয়। আর এহানকার মাইষের ভিটা উঁচা করি দিলে এতো কষ্ট কইরা থাকন লাগতো না।’
দক্ষিণ-পূর্ব বালাডোবা গ্রাম থেকে ফিরে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর বালাডোবা, ফকিরের চরসহ কয়েকটি চরে গিয়ে বানভাসিদের নিদারুণ কষ্টের চিত্র দেখা গেছে। সবার মুখে খাবার পানি আর রান্নার সংকটের কথা। জ্বালানি, উঁচুস্থানের অভাবে রান্না আর গবাদিপশু নিয়ে পরিবারগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। এর সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় চরে আবাদ করা চিনা, কাউন ও তিলসহ বিভিন্ন শস্য পানিতে তলিয়ে গেছে। সেগুলোর ফসল ঘরে তোলার কোনো আশা হারিয়েছে এসব চরবাসী।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় ৪৫ ইউনিয়নের ১৮৫ গ্রাম কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ১৮ হাজার পরিবারের ৬১ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। আজ রোববার পর্যন্ত জেলায় বন্যা দুর্গত ও ভাঙন কবলিতসহ ২২ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে সরকার। আগামী কয়েক দিন নাগেশ্বরী, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজমান থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার প্রধান প্রধান নদ নদীর পানি হ্রাস পেয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নদনদীর পানি হ্রাস অব্যাহত ছিল। ওই সময়ে দুধকুমার নদের পানি কমে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং ধরলার পানি কমে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্রহ্মপুত্রের পানিও নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি প্রবাহ আরও কমতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে আসা পরিবারগুলো বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। আশা করছি আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
বানভাসিদের খাবার পানি ও তরকারি সংকটের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ জোরদার করার পাশাপাশি নগদ অর্থ দিয়ে বানভাসিদের জন্য ডাল ও আলু জাতীয় সবজি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পদ্মা সেতুতে এক বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কায় তোফায়েল মিয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েক যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার অধীন পদ্মা সেতুর ২৯ নম্বর পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান...
১৪ মিনিট আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘স্বাধীনতা যার জন্য, সেই মর্যাদা এখনো হয় নাই। এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। ভালো নির্বাচন হয়নি বলেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ভালো নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা সরকারের এইভাবে নির্মম পতন হতো না।’
২৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত যে মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন।’
১ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

পদ্মা সেতুতে এক বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কায় তোফায়েল মিয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আরও বেশ কয়েক যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার অধীন পদ্মা সেতুর ২৯ নম্বর পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তোফায়েল বসুমতি পরিবহন বাসের চালকের সহকারী (হেলপার)।
পুলিশ জানায়, রাত আনুমানিক পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী বসুমতি পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে পেছন দিক থেকে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী পদ্মা স্পেশাল পরিবহনের একটি বাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বসুমতি পরিবহনের সহকারী তোফায়েল নিহত হন।
দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য সেতুতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পদ্মা সেতু এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

পদ্মা সেতুতে এক বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কায় তোফায়েল মিয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আরও বেশ কয়েক যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার অধীন পদ্মা সেতুর ২৯ নম্বর পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তোফায়েল বসুমতি পরিবহন বাসের চালকের সহকারী (হেলপার)।
পুলিশ জানায়, রাত আনুমানিক পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী বসুমতি পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে পেছন দিক থেকে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী পদ্মা স্পেশাল পরিবহনের একটি বাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বসুমতি পরিবহনের সহকারী তোফায়েল নিহত হন।
দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য সেতুতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পদ্মা সেতু এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

‘ঘরের ভেতরত, বাইরত পানি। রান্দনের জায়গা নাই। টুলের ওপরা চুলা থুইয়া পানিত দাঁড়ে রান্দি। কিন্তু ভাত খাওনের তরকারি নাই। কোনো বেলা লবণ দিয়া, কোনো বেলা কাটলের বিচি দিয়া ভাত খাওন লাগে। একবেলা রান্দি তিনবেলা খাই। খাওনের পানি আনা লাগে দূর থাইকা। খুব কষ্টে আছি।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ
১৬ জুলাই ২০২৩
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান...
১৪ মিনিট আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘স্বাধীনতা যার জন্য, সেই মর্যাদা এখনো হয় নাই। এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। ভালো নির্বাচন হয়নি বলেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ভালো নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা সরকারের এইভাবে নির্মম পতন হতো না।’
২৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত যে মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন।’
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম. এ. জি ওসমানীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যাসহ বিবৃতিতে এসব বলা হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাঁর বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে শুধু পাকিস্তানি বাহিনীর কাজ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেছেন। এই নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানাতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে সময় আমি (পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী) দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছি, আমি জীবিত থাকব না মৃত থাকব, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি; সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ ছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরই সমালোচনা হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলসহ ছয়টি সংগঠন তাঁর পদত্যাগের দাবি করে। এ দাবিতে তাঁরা গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রাখেন। ফলে রাত প্রায় পৌনে ৯টা পর্যন্ত ভবনটিতে আটকা ছিলেন সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ২৪’র জুলাই আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম. এ. জি ওসমানীসহ সকল শহীদকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
ড. শামীম উদ্দিন খান একাডেমিক আলোচনার অংশ হিসেবে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে বেশ কয়েকটি রেফারেন্স টেনে আনেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদিরের লেখা ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীন’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘৬ ডিসেম্বর থেকে দৌঁড়ের উপর থাকা পাকিস্তানি বাহিনী ১৪ তারিখ এতগুলো লোকের বাসায় গিয়ে গিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ এ ছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনির চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনিরের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘পাকিস্তানিরা আমার বাবাকে হত্যা করেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, বক্তব্য পেশ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে উপ-উপাচার্য ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলতে গিয়ে ‘অবান্তর’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এটি ছিল অনিচ্ছাকৃত এবং তাৎক্ষণিক আলোচনার অংশ।
উল্লেখ্য, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র খ্যাত উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতের এক হোটেলকক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান তিনি। অন্যদিকে জাতীয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক প্রথিতযশা বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মহান এ দুই নেতার একজনের মৃত্যুর নয় বছর ও অন্যজনের আট বছর পর মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ফলে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিলেন এ প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তাঁরা বলছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিহাস বিকৃতি করছে। এক বিকৃতির ব্যাখ্যায় আরেক বিকৃতি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম. এ. জি ওসমানীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যাসহ বিবৃতিতে এসব বলা হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তাঁর বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে শুধু পাকিস্তানি বাহিনীর কাজ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেছেন। এই নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানাতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে সময় আমি (পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী) দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছি, আমি জীবিত থাকব না মৃত থাকব, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি; সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ ছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পরই সমালোচনা হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলসহ ছয়টি সংগঠন তাঁর পদত্যাগের দাবি করে। এ দাবিতে তাঁরা গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রাখেন। ফলে রাত প্রায় পৌনে ৯টা পর্যন্ত ভবনটিতে আটকা ছিলেন সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ২৪’র জুলাই আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম. এ. জি ওসমানীসহ সকল শহীদকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
ড. শামীম উদ্দিন খান একাডেমিক আলোচনার অংশ হিসেবে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে বেশ কয়েকটি রেফারেন্স টেনে আনেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদিরের লেখা ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীন’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘৬ ডিসেম্বর থেকে দৌঁড়ের উপর থাকা পাকিস্তানি বাহিনী ১৪ তারিখ এতগুলো লোকের বাসায় গিয়ে গিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’ এ ছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনির চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনিরের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘পাকিস্তানিরা আমার বাবাকে হত্যা করেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, বক্তব্য পেশ করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে উপ-উপাচার্য ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলতে গিয়ে ‘অবান্তর’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এটি ছিল অনিচ্ছাকৃত এবং তাৎক্ষণিক আলোচনার অংশ।
উল্লেখ্য, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র খ্যাত উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনৈতিক নেতা। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতের এক হোটেলকক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান তিনি। অন্যদিকে জাতীয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক প্রথিতযশা বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মহান এ দুই নেতার একজনের মৃত্যুর নয় বছর ও অন্যজনের আট বছর পর মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়। ফলে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিলেন এ প্রশ্ন তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তাঁরা বলছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিহাস বিকৃতি করছে। এক বিকৃতির ব্যাখ্যায় আরেক বিকৃতি করা হয়েছে।

‘ঘরের ভেতরত, বাইরত পানি। রান্দনের জায়গা নাই। টুলের ওপরা চুলা থুইয়া পানিত দাঁড়ে রান্দি। কিন্তু ভাত খাওনের তরকারি নাই। কোনো বেলা লবণ দিয়া, কোনো বেলা কাটলের বিচি দিয়া ভাত খাওন লাগে। একবেলা রান্দি তিনবেলা খাই। খাওনের পানি আনা লাগে দূর থাইকা। খুব কষ্টে আছি।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ
১৬ জুলাই ২০২৩
পদ্মা সেতুতে এক বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কায় তোফায়েল মিয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েক যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার অধীন পদ্মা সেতুর ২৯ নম্বর পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘স্বাধীনতা যার জন্য, সেই মর্যাদা এখনো হয় নাই। এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। ভালো নির্বাচন হয়নি বলেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ভালো নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা সরকারের এইভাবে নির্মম পতন হতো না।’
২৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত যে মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন।’
১ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘স্বাধীনতা যার জন্য, সেই মর্যাদা এখনো হয় নাই। এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। ভালো নির্বাচন হয়নি বলেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ভালো নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা সরকারের এইভাবে নির্মম পতন হতো না।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসের সরকারের যে কর্মকাণ্ড, যাদের নিয়ে উনি ওঠেন বসেন, তারাই বাংলাদেশ না। তারা বাংলাদেশের হয়তো ২৫ ভাগও না। সেই জন্য সার্বিকভাবে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে আমরা অবশ্যই নির্বাচন করব। কিন্তু কোনো পাতানো নির্বাচনে আমরা যাব না।’ এ সময় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘স্বাধীনতা যার জন্য, সেই মর্যাদা এখনো হয় নাই। এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। ভালো নির্বাচন হয়নি বলেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ভালো নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা সরকারের এইভাবে নির্মম পতন হতো না।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসের সরকারের যে কর্মকাণ্ড, যাদের নিয়ে উনি ওঠেন বসেন, তারাই বাংলাদেশ না। তারা বাংলাদেশের হয়তো ২৫ ভাগও না। সেই জন্য সার্বিকভাবে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে আমরা অবশ্যই নির্বাচন করব। কিন্তু কোনো পাতানো নির্বাচনে আমরা যাব না।’ এ সময় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

‘ঘরের ভেতরত, বাইরত পানি। রান্দনের জায়গা নাই। টুলের ওপরা চুলা থুইয়া পানিত দাঁড়ে রান্দি। কিন্তু ভাত খাওনের তরকারি নাই। কোনো বেলা লবণ দিয়া, কোনো বেলা কাটলের বিচি দিয়া ভাত খাওন লাগে। একবেলা রান্দি তিনবেলা খাই। খাওনের পানি আনা লাগে দূর থাইকা। খুব কষ্টে আছি।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ
১৬ জুলাই ২০২৩
পদ্মা সেতুতে এক বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কায় তোফায়েল মিয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েক যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার অধীন পদ্মা সেতুর ২৯ নম্বর পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান...
১৪ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত যে মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন।’
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত যে মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন। তাঁর লিখিত বইতে আমরা পড়েছি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে সমস্ত কল্পকাহিনি লেখা, এগুলো ১০০ ভাগের ৯০ ভাগ মিথ্যা। সুতরাং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ওই সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তারা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। এখন আমরা এটা জেনেছি। এত দিন আমাদের এই সত্য জানতে দেওয়া হয়নি।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিজয় র্যালিতে আমির হামজা এসব কথা বলেন।
আমির হামজা বলেন, ‘আজকের এই বিজয়ের র্যালি এই কারণে যে আমরা ১৯৭১ সালে এই দেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম। ভারতের যে আগ্রাসন, এর বিরুদ্ধে ছিলাম, এ কারণে আমাদের এরা বিরোধী বানিয়ে রেখেছিল। আগামীর বাংলাদেশকে আমরা ভারতের তাঁবেদারমুক্ত করব। আজকের এই র্যালির এটাই উদ্দেশ্য। আগামীতে দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকবে, ইনশা আল্লাহ।’
জামায়াতের প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, দল-মত, জাতি-বর্ণ-ধর্মনির্বিশেষে এ দেশে যারাই জন্ম নেবে, তারাই যেহেতু সম্মানিত নাগরিক; সুতরাং সবাইকে নিয়ে আমরা আবার এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমার মনে হয়, পেছনের ইতিহাস পেছন দিকে টানা ঠিক না। পেছনের সব ইতিহাস ভুলে আমরা নতুন ইতিহাস তৈরি করব। এখানে কোনো দল-মত না থাকাই ভালো, সবাই আমরা এক।’
এ সময় বিজয় র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, সহকারী সেক্রেটারি মাজহারুল হক, শহর জামায়াতের আমির এনামুল হকসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এদিকে আমির হামজার এমন মন্তব্যের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম টুকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক বক্তব্য আমরা আমলে নিই না, আর এগুলো নিয়ে আমাদের সমালোচনা করারও প্রয়োজন পড়ে না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চিরসত্য, সেটা সবাই জানে। উনি নির্বাচনে জেতার জন্য অনেক কিছু বলেন, আবার ক্ষমাও চান।’

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯৭১ সালের যে ভূমিকা, এত দিন পর্যন্ত যে মিথ্যা রচনা, আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন। তাঁর লিখিত বইতে আমরা পড়েছি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে সমস্ত কল্পকাহিনি লেখা, এগুলো ১০০ ভাগের ৯০ ভাগ মিথ্যা। সুতরাং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ওই সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তারা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। এখন আমরা এটা জেনেছি। এত দিন আমাদের এই সত্য জানতে দেওয়া হয়নি।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিজয় র্যালিতে আমির হামজা এসব কথা বলেন।
আমির হামজা বলেন, ‘আজকের এই বিজয়ের র্যালি এই কারণে যে আমরা ১৯৭১ সালে এই দেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম। ভারতের যে আগ্রাসন, এর বিরুদ্ধে ছিলাম, এ কারণে আমাদের এরা বিরোধী বানিয়ে রেখেছিল। আগামীর বাংলাদেশকে আমরা ভারতের তাঁবেদারমুক্ত করব। আজকের এই র্যালির এটাই উদ্দেশ্য। আগামীতে দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকবে, ইনশা আল্লাহ।’
জামায়াতের প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, দল-মত, জাতি-বর্ণ-ধর্মনির্বিশেষে এ দেশে যারাই জন্ম নেবে, তারাই যেহেতু সম্মানিত নাগরিক; সুতরাং সবাইকে নিয়ে আমরা আবার এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমার মনে হয়, পেছনের ইতিহাস পেছন দিকে টানা ঠিক না। পেছনের সব ইতিহাস ভুলে আমরা নতুন ইতিহাস তৈরি করব। এখানে কোনো দল-মত না থাকাই ভালো, সবাই আমরা এক।’
এ সময় বিজয় র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, সহকারী সেক্রেটারি মাজহারুল হক, শহর জামায়াতের আমির এনামুল হকসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এদিকে আমির হামজার এমন মন্তব্যের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম টুকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক বক্তব্য আমরা আমলে নিই না, আর এগুলো নিয়ে আমাদের সমালোচনা করারও প্রয়োজন পড়ে না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চিরসত্য, সেটা সবাই জানে। উনি নির্বাচনে জেতার জন্য অনেক কিছু বলেন, আবার ক্ষমাও চান।’

‘ঘরের ভেতরত, বাইরত পানি। রান্দনের জায়গা নাই। টুলের ওপরা চুলা থুইয়া পানিত দাঁড়ে রান্দি। কিন্তু ভাত খাওনের তরকারি নাই। কোনো বেলা লবণ দিয়া, কোনো বেলা কাটলের বিচি দিয়া ভাত খাওন লাগে। একবেলা রান্দি তিনবেলা খাই। খাওনের পানি আনা লাগে দূর থাইকা। খুব কষ্টে আছি।’ কথাগুলো বলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ
১৬ জুলাই ২০২৩
পদ্মা সেতুতে এক বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কায় তোফায়েল মিয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েক যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার অধীন পদ্মা সেতুর ২৯ নম্বর পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক বিবৃতিতে এবার মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সঙ্গে নেতৃত্বদানকারী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান...
১৪ মিনিট আগে
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘স্বাধীনতা যার জন্য, সেই মর্যাদা এখনো হয় নাই। এ দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। ভালো নির্বাচন হয়নি বলেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ভালো নির্বাচন হলে শেখ হাসিনা সরকারের এইভাবে নির্মম পতন হতো না।’
২৩ মিনিট আগে