Ajker Patrika

ফের ‘ভুল’ ইনজেকশনে রোগীর মৃত্যু, এবারও চাকরির বিনিময়ে দফারফা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৪৮
স্থানীয় নেতাদের নিয়ে দফারফায় বসেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্থানীয় নেতাদের নিয়ে দফারফায় বসেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘ভুল’ চিকিৎসায় ২৫ দিনের ব্যবধানে আবারও এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে বিনয় বিহারি সেন (৬৮) নামের ওই রোগীকে একটি ইনজেকশন দেওয়ার দুই থেকে তিন মিনিট পর তিনি মারা যান।

ঘটনার পরপরই হাসপাতালটির চিকিৎসক ও নার্সেরা পালিয়ে যান। এ সময় রোগীর চিকিৎসার কাগজপত্র গায়েব করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নিহতের স্বজনেরা কার্ডিওলজি বিভাগে ভাঙচুর চালান।

এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার। এরপর গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর উপস্থিতিতে নিহতের বড় ছেলে তনয় সেনকে আউটসোর্সিংয়ে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে ঘটনাটির দফারফা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। পরিচালকের প্রতিশ্রুতির পর ভুল ইনজেকশনে মৃত্যুর অভিযোগটি লিখিত দিয়ে প্রত্যাহার করে নেন তনয় সেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার হৃদ্রোগের সমস্যা নিয়ে জেলা শহরের সতাল এলাকার মৃত নয়ন বিহারি সেনের ছেলে বিনয় বিহারি সেন হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নিতে যান। পরে মুজিবুর রহমানের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ওই দিন দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসার পর গতকাল সোমবার সকাল থেকেই তিনি সুস্থতা অনুভব করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে রোগীর ছাড়পত্র পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স আয়েশা সিদ্দিকা তাঁকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশ করার ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে তিনি মারা যান। এ সময় কার্ডিওলজি বিভাগে ছিলেন তৌফিক নামের একজন চিকিৎসক।

ঘটনার পর গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, রাজনীতিবিদদের সামনে বিনয় বিহারি সেনের ছেলে তনয় সেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘হাসপাতালের নার্স ৩-৪টি সিরিঞ্জে ইনজেকশন ভরে একটি ট্রেতে করে ভেতর থেকে নিয়ে আসেন। এর মধ্য থেকে একটি ইনজেকশন বাবার শরীরে পুশ করেন। এরপর দুই থেকে আড়াই মিনিটের মধ্যে বাবা মারা যান। ভুল ইনজেকশন যে দিয়েছে, এটা আমি শতভাগ নিশ্চিত।’

বিনয় বিহারি সেনের আরেক ছেলে হৃদয় সেন বলেন, ‘ইনজেকশন পুশ করার পর বাবার অবস্থা খারাপ দেখে নার্স দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে আমরা নার্স ও চিকিৎসক খুঁজতে থাকি। আমি জানতে চাই বাবাকে কী ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। কিন্তু কেউ আমাকে কোনো তথ্য দেননি। একপর্যায়ে আমি হাসপাতালের কার্ডিওলজি কক্ষের গ্লাস ভাঙচুর করি। এ ফাঁকে হাসপাতালের লোকজন চিকিৎসক ও নার্সদের কৌশলে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।’

জানতে চাইলে হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইনজেকশন পুশ করার সময় আমি ছিলাম না। এর আগে আমরা রাউন্ড দিয়েছি, কী কী ওষুধ দিতে হবে নার্সকে আমরা বলে দিয়েছি। সেভাবেই ওষুধ দেওয়ার কথা নার্সদের।’

পরে রাতেই হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের মধ্যস্থতায় দফারফার মাধ্যমে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন বিনয় বিহারি সেনের ছেলে তনয় সেন।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে তনয় সেনকে মোবাইল ফোনে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দেওয়া চাকরির প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করিনি।’

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘ভুল চিকিৎসায় আগের দুটি মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এবারের ঘটনাটি ভুল চিকিৎসা কি না, তদন্তের পর বলা যাবে।’

দফারফার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলোতে টাকা লেনদেন হয়েছে কি না, আমি জানি না।’ তবে আউটসোর্সিংয়ে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তদন্তে প্রমাণিত বিষয়গুলোতে বিভাগীয় শাস্তি হয়। এখন রোগীর পরিবারেরা যদি মীমাংসা করে ফেলেন এতে তো আমার কোনো দায় নেই।’

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রোগীর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

জানা গেছে, এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই রোগীকে ‘ভুল’ ইনজেকশন পুশ করার ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে যন্ত্রণায় তাঁরা মারা যান। তাঁরা হলেন জেলার কটিয়াদী উপজেলার ধুলদিয়া এলাকার ফালু মিয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান মল্লিক (৩২) ও নিকলী উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের আবদুল কাদিরের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২২)। ওই সময়ও দুই রোগীর মৃত্যুর ঘটনাটি দুই পরিবারকে ৩ লাখ করে মোট ৬ লাখ টাকা এবং দুই রোগীর স্ত্রীদের আউটসোর্সিংয়ের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে দফারফা হয়। ওই মধ্যস্থতার নেতৃত্বেও ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার। তবে ওই সময় টাকা লেনদেনের বিষয়টি দুটি পক্ষই অস্বীকার করে। তবে আউটসোর্সিংয়ে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসের বিষয়টি স্বীকার করেন হেলিশ রঞ্জন সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

খুলনা প্রতিনিধি
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেইলি স্টারে লুটপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ২০২৫ সালের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অধীনে এ মামলা দাখিল করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে সমবেত হয়। তারা পত্রিকাটির বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী স্লোগান দিতে থাকে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্টের মাধ্যমে হামলার আহ্বান জানায়।

রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে হামলাকারীরা সাংবাদিক ও কর্মচারীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ভবনের মূল গেট ও কাচের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। ভবনের বিভিন্ন তলা পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বহু আসবাব নিচে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে বলা হয়, হামলায় ভবনের ভেতরে থাকা দুই শতাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সার্ভার, প্রিন্টার, স্টুডিও সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নষ্ট হয়, যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের লকারে থাকা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লুট করা হয়। ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লিফট, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনেও ক্ষতি করা হয়।

আসামিদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে ‘দ্য ডেইলি স্টার ভবনে’ সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের আনুমানিক মূল্য ৪০,০০,০০,০০০ (চল্লিশ কোটি টাকা)। যাচাই-বাছাই শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের হিসাব আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

সন্ত্রাসীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে দ্য ডেইলি স্টারের তৃতীয় তলায় স্টোরে সংরক্ষিত হিসাব বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নথি, জাতীয় রাজস্ব বিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর-সম্পর্কিত যাবতীয় নথি এবং নিউজ পেপার আর্কাইভস পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

হামলার সময় প্রমাণ নষ্টের উদ্দেশ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযানে ভবনের ভেতর থেকে অন্তত ৩০ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।

সন্ত্রাসীদের হামলার কারণে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৯ ডিসেম্বর পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। অনলাইন কার্যক্রম ১৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

মামলার এজাহারে ডেইলি স্টার জানিয়েছে, এই হামলার সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ফেনী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাহিদ সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনটি উত্তর শিবপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, নিহত যুবক হেডফোন কানে রেললাইনে হাঁটছিলেন। পরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণঅধিকার পরিষদ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত
হাফিজুল ইসলাম হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত কমল মুন্সীর ছেলে। তিনি গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর আড়কান্দি ও পাড়ামোহনপুরসহ আশপাশের এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাশে বালুর ব্যবসা চলছিল। হাফিজুল ইসলামও ওই কাজে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাতে একটি ড্রেজারের বাল্কহেডের ইঞ্জিন অংশে চার সহযোগীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ ও চৌহালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল প্রামাণিক জানান, নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর হাফিজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসে তিনি বালুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন।

এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত