খুলনা প্রতিনিধি

প্রায় দুই ডজন হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলা কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদারের বর্বতার নিরব সাক্ষী তার প্রাসাদোপম বাড়ি ‘স্বর্ণকমল’ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য গত মঙ্গলবার এই ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গার মজিদ সরণিতে ১০ কাঠা জমির ওপর তিনতলা ও একটি দোতলা বাড়ি নিয়ে এই স্বর্ণকমল।
এরশাদ শিকদারের মেজ ছেলে কামাল শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ১০ কাঠা জমির ওপর তাঁদের পুরোনো তিনতলা এবং একটি দোতলা বাড়ি ছিল। তাঁরা কয়েক দিন আগে পুরোনো তিনতলা ভবনটি শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন।
‘এখন দোতলা ভবনটির অর্ধেকের মতো অংশ ভাঙা হচ্ছে। ভেঙে ফেলা পাঁচ কাঠা জমির ওপর ১০ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’
অন্তত ২৪টি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এরশাদ শিকদারকে ২০০৪ সালের ১০ই মে খুলনা কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। তার আগে কয়েক বছর ধরে একের পর এক বেরিয়ে আসছিল হত্যা ও নির্যাতনের রোমহর্ষক সব কাহিনী। দ্রততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সবচাইতে আলোচিত একজন ব্যক্তিতে পরিণত হন এরশাদ শিকদার।
খুলনা ডকইয়ার্ডের সাধারণ কুলি থেকে ঘাট সর্দার বা কুলিদের সর্দার হয়ে উঠা এরশাদ শিকদারের উত্থান হয়েছিল মূলত এইচএম এরশাদের সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ১৯৮২ সালেই খুলনার এই এরশাদ ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেন। এরপর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শাসনেও তাঁর ক্ষমতায় ভাটা পড়েনি।
অনেককেই তিনি হত্যা করে মৃতদেহ গুম করে ফেলতেন। মৃতদেহ পাওয়া যেত না বলে মামলাও হতো না। কিন্তু ১৯৯৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে খুলনার এক যুবলীগ নেতা হত্যার অভিযোগ ওঠার পর পরিস্থিতি ঘুরে যায়। নিজের দেহরক্ষী তাঁর বিরুদ্ধে রাজস্বাক্ষী হন। সেই হত্যার অপরাধে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
এরশাদ শিকদার ১৯৭৭ সালের দিকে যখন খুলনার ঘাটে কুলি হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন, তখন তার ডাক নাম ছিল ‘রাঙ্গা চোর’। ওইসময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এরশাদ শিকদারের জন্ম ঝালকাঠির নলছিটিতে, ১৯৬৭ সালে তিনি খুলনায় চলে যান। সেখানে রেলস্টেশনে কুলির কাজের পাশাপাশি রেললাইনের পাত চুরি করে বিক্রি করতেন। এই কারণেই তাঁর নতুন নামকরণ।
সেই সময় তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে খুলনা রেল স্টেশন, চার ও পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতার পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এরশাদ শিকদার।
তাদের প্রশ্রয়ে এরশাদ শিকদার খুলনার ঘাট দখল করে সাম্রাজ্য তৈরি করতে শুরু করে। সেই সরকারে প্রশ্রয়েই তার উত্থান হতে শুরু করে। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে ক্ষমতার পাশাপাশি বরফকল, শহরে স্বর্ণকমল নামের প্রাসাদোপম বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে এরশাদ শিকার।
তাঁর অপরাধের কথা সবাই জানতো। কিন্তু কোথাও কোন প্রমাণ থাকতো না। কেউ তার বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস করতো না, কেউ সাক্ষী দিতে চাইতো না। এমনকি তিনি হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলায় মৃতদেহও পাওয়া যেত না।
১৯৮৮ সালে খুলনার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারও নির্বাচিত হন এরশাদ শিকদার। ফাঁসিতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন তিনি। কিন্তু কমিশনার হওয়ার পর তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থামেনি। রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করা, ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল করা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের অসংখ্য অপরাধে তিনি জড়িয়ে পড়েন।
এরশাদের পতনের পর বিএনপিতে যোগ দেন এরশাদ শিকদার। আবার ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। নিজের এতো অপরাদের মধ্যেও এরশাদ শিকদারকে গ্রেপ্তার হতে হয়নি। খুলনার কেন্দ্রস্থলে স্বর্ণকমল নাম একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন এরশাদ শিকদার, যেটিও তার নির্যাতনের অন্যতম কেন্দ্র বলে মনে করা হতো। সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এরশাদ শিকদারের ঘটনাপ্রবাহ সামনে আসার পর এই স্বর্ণকমল নামের বাড়িটি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়। আজো বহু মানুষ খুলনা গেলে শহরের অভিজাতক এলাকা সোনাডাঙ্গা রোডের এই বাড়িটির সামনে একবার ঢুঁ মারতে ভোলে না।
এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে ২৪টি হত্যাকাণ্ড করার সাক্ষ্য দিয়েছেন তার দেহরক্ষী। কিন্তু তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এরশাদ শিকদার ৬০টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা। এসব মৃতদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়া হতো অথবা ইটের ভাটায় পুড়িয়ে ফেলা হতো।
এরশাদ শিকদারের নির্যাতনের এসব গল্প নিয়ে ‘বরফ কলের গল্প’ শিরোনামে একটি ওয়েব সিরিজও হয়েছে।

প্রায় দুই ডজন হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলা কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদারের বর্বতার নিরব সাক্ষী তার প্রাসাদোপম বাড়ি ‘স্বর্ণকমল’ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য গত মঙ্গলবার এই ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গার মজিদ সরণিতে ১০ কাঠা জমির ওপর তিনতলা ও একটি দোতলা বাড়ি নিয়ে এই স্বর্ণকমল।
এরশাদ শিকদারের মেজ ছেলে কামাল শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) ১০ কাঠা জমির ওপর তাঁদের পুরোনো তিনতলা এবং একটি দোতলা বাড়ি ছিল। তাঁরা কয়েক দিন আগে পুরোনো তিনতলা ভবনটি শ্রমিক দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন।
‘এখন দোতলা ভবনটির অর্ধেকের মতো অংশ ভাঙা হচ্ছে। ভেঙে ফেলা পাঁচ কাঠা জমির ওপর ১০ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’
অন্তত ২৪টি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এরশাদ শিকদারকে ২০০৪ সালের ১০ই মে খুলনা কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। তার আগে কয়েক বছর ধরে একের পর এক বেরিয়ে আসছিল হত্যা ও নির্যাতনের রোমহর্ষক সব কাহিনী। দ্রততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সবচাইতে আলোচিত একজন ব্যক্তিতে পরিণত হন এরশাদ শিকদার।
খুলনা ডকইয়ার্ডের সাধারণ কুলি থেকে ঘাট সর্দার বা কুলিদের সর্দার হয়ে উঠা এরশাদ শিকদারের উত্থান হয়েছিল মূলত এইচএম এরশাদের সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ১৯৮২ সালেই খুলনার এই এরশাদ ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেন। এরপর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শাসনেও তাঁর ক্ষমতায় ভাটা পড়েনি।
অনেককেই তিনি হত্যা করে মৃতদেহ গুম করে ফেলতেন। মৃতদেহ পাওয়া যেত না বলে মামলাও হতো না। কিন্তু ১৯৯৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে খুলনার এক যুবলীগ নেতা হত্যার অভিযোগ ওঠার পর পরিস্থিতি ঘুরে যায়। নিজের দেহরক্ষী তাঁর বিরুদ্ধে রাজস্বাক্ষী হন। সেই হত্যার অপরাধে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
এরশাদ শিকদার ১৯৭৭ সালের দিকে যখন খুলনার ঘাটে কুলি হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন, তখন তার ডাক নাম ছিল ‘রাঙ্গা চোর’। ওইসময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এরশাদ শিকদারের জন্ম ঝালকাঠির নলছিটিতে, ১৯৬৭ সালে তিনি খুলনায় চলে যান। সেখানে রেলস্টেশনে কুলির কাজের পাশাপাশি রেললাইনের পাত চুরি করে বিক্রি করতেন। এই কারণেই তাঁর নতুন নামকরণ।
সেই সময় তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে খুলনা রেল স্টেশন, চার ও পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতার পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এরশাদ শিকদার।
তাদের প্রশ্রয়ে এরশাদ শিকদার খুলনার ঘাট দখল করে সাম্রাজ্য তৈরি করতে শুরু করে। সেই সরকারে প্রশ্রয়েই তার উত্থান হতে শুরু করে। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে ক্ষমতার পাশাপাশি বরফকল, শহরে স্বর্ণকমল নামের প্রাসাদোপম বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে এরশাদ শিকার।
তাঁর অপরাধের কথা সবাই জানতো। কিন্তু কোথাও কোন প্রমাণ থাকতো না। কেউ তার বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস করতো না, কেউ সাক্ষী দিতে চাইতো না। এমনকি তিনি হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলায় মৃতদেহও পাওয়া যেত না।
১৯৮৮ সালে খুলনার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারও নির্বাচিত হন এরশাদ শিকদার। ফাঁসিতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন তিনি। কিন্তু কমিশনার হওয়ার পর তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থামেনি। রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করা, ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল করা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের অসংখ্য অপরাধে তিনি জড়িয়ে পড়েন।
এরশাদের পতনের পর বিএনপিতে যোগ দেন এরশাদ শিকদার। আবার ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। নিজের এতো অপরাদের মধ্যেও এরশাদ শিকদারকে গ্রেপ্তার হতে হয়নি। খুলনার কেন্দ্রস্থলে স্বর্ণকমল নাম একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন এরশাদ শিকদার, যেটিও তার নির্যাতনের অন্যতম কেন্দ্র বলে মনে করা হতো। সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এরশাদ শিকদারের ঘটনাপ্রবাহ সামনে আসার পর এই স্বর্ণকমল নামের বাড়িটি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়। আজো বহু মানুষ খুলনা গেলে শহরের অভিজাতক এলাকা সোনাডাঙ্গা রোডের এই বাড়িটির সামনে একবার ঢুঁ মারতে ভোলে না।
এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে ২৪টি হত্যাকাণ্ড করার সাক্ষ্য দিয়েছেন তার দেহরক্ষী। কিন্তু তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এরশাদ শিকদার ৬০টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা। এসব মৃতদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়া হতো অথবা ইটের ভাটায় পুড়িয়ে ফেলা হতো।
এরশাদ শিকদারের নির্যাতনের এসব গল্প নিয়ে ‘বরফ কলের গল্প’ শিরোনামে একটি ওয়েব সিরিজও হয়েছে।

হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
১৫ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
২১ মিনিট আগে
রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
বরিশাল নগরে দত্তক নেওয়া এক কিশোরীকে (১৪) শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এডলিন বিশ্বাস (৪০) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর পুলিশ লাইনস আমবাগান এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন থানার এসআই
২ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’
এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’
এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ভেঙে ফেলা হচ্ছে খুনি এরশাদ শিকদারের ‘স্বর্ণকমল’। খুলনার সোনাডাঙ্গার মজিদ সরণিতে অবস্থিত এই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৩
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
২১ মিনিট আগে
রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
বরিশাল নগরে দত্তক নেওয়া এক কিশোরীকে (১৪) শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এডলিন বিশ্বাস (৪০) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর পুলিশ লাইনস আমবাগান এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন থানার এসআই
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন। তিনি গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা। হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুরে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সব কাগজপত্র ব্যবস্থা করলে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তাঁর জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যান।
এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী তাঁকে একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করছে।
হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, শহীদ শফিকের জানাজা নামাজ বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে হালুয়াঘাটে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ হলুয়াঘাটের এক আহত জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
নিহত শফিকুলের ছোট বোনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরদেহ হালুয়াঘাটে নেওয়ার জন্য একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা গাজীপুরে শফিকের জানাজা শেষে হালুয়াঘাটের উদ্দেশে রওনা হই। বুধবার জানাজা শেষে তাঁর দাফন করা হবে।’
শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, সরকার থেকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে জুলাই যোদ্ধা শফিক বিদেশ যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি গুলির স্থানে ইনফেকশন হয়, যে কারণে জ্বর আসে। পরে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিক মারা যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিউমোনিয়া ও গুলির স্থানে ইনফেকশনের কারণে তিনি মারা গেছেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, জুলাই যোদ্ধা শফিক গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলিনুর খান বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহে হালুয়াঘাটে আনার জন্য ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় তাঁর জানাজা হবে। সেখানে উপস্থিত থেকে যথাযথ মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন। তিনি গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা। হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুরে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সব কাগজপত্র ব্যবস্থা করলে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তাঁর জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যান।
এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী তাঁকে একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করছে।
হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, শহীদ শফিকের জানাজা নামাজ বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে হালুয়াঘাটে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ হলুয়াঘাটের এক আহত জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
নিহত শফিকুলের ছোট বোনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরদেহ হালুয়াঘাটে নেওয়ার জন্য একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা গাজীপুরে শফিকের জানাজা শেষে হালুয়াঘাটের উদ্দেশে রওনা হই। বুধবার জানাজা শেষে তাঁর দাফন করা হবে।’
শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, সরকার থেকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে জুলাই যোদ্ধা শফিক বিদেশ যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি গুলির স্থানে ইনফেকশন হয়, যে কারণে জ্বর আসে। পরে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিক মারা যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিউমোনিয়া ও গুলির স্থানে ইনফেকশনের কারণে তিনি মারা গেছেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, জুলাই যোদ্ধা শফিক গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলিনুর খান বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহে হালুয়াঘাটে আনার জন্য ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় তাঁর জানাজা হবে। সেখানে উপস্থিত থেকে যথাযথ মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভেঙে ফেলা হচ্ছে খুনি এরশাদ শিকদারের ‘স্বর্ণকমল’। খুলনার সোনাডাঙ্গার মজিদ সরণিতে অবস্থিত এই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৩
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
১৫ মিনিট আগে
রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
বরিশাল নগরে দত্তক নেওয়া এক কিশোরীকে (১৪) শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এডলিন বিশ্বাস (৪০) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর পুলিশ লাইনস আমবাগান এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন থানার এসআই
২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী।
প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জমান চৌধুরী বলেন, যে স্থাপত্য প্রকৌশল সংস্থা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে আর্কিটেক্টের কাজ করেছিল, সে সংস্থাকে দিয়েই এবার বেগম খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ানো ও বাঁধাই করা হচ্ছে, যাতে মূল নকশায় কোনো ধরনের পরিবর্তন না আসে।
বসত আর্কিটেক্ট প্রকৌশল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁরা ২০০২ সালে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানের এই মাজার নতুনভাবে সংস্কার করেন। যেখানে একটি অতি সুন্দর ব্রিজ নির্মাণসহ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার ও মাজার প্রাঙ্গণ ফুটিয়ে তোলা হয়। আজ সেই সুন্দর স্থাপনার অবয়ব ঠিক রেখেই শহীদ জিয়ার কবরের ঠিক পূর্ব পাশে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য নতুন করে খবর খোঁড়া হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জমান চৌধুরী জানান, আজ মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা কবর খোঁড়া ও তাতে মার্বেল পাথর স্থাপন করাসহ আনুষঙ্গিক কাজ সেরে ফেলতে চান। কাল সকাল নাগাদ হয়তো কিছু কাজ করা হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে বসত আর্কিটেক্ট প্রকৌশল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ২০০২ সালে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার সংস্কার করা হয়, তখন সেভাবে কোনো নির্দেশনা তাঁরা পাননি। নাহয় তখনই বেগম খালেদা জিয়ার কবরের জন্য সেভাবে জায়গা রেখে দুটি কবরের জায়গা করে রাখতে পারতেন।
এখন কেন করছেন, এর জবাবে মাসুদুর রহমান জানান, আগে সেভাবে নির্দেশনা ছিল না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের আজ সকালে শহীদ জিয়ার কবরের পাশে বেগম খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ার জন্য অনুরোধ করা হলে তাঁরা সেভাবে কাজ শুরু করেন।
প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান আরও জানান, তাঁর সৌভাগ্য হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ডিজাইনসহ স্থাপত্যশৈলী নির্মাণের। সেই সৌভাগ্যক্রমে এবার বেগম খালেদা জিয়ার কবরের স্থাপত্যশৈলীর কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে।
মাসুদুর রহমান জানান, শহীদ জিয়ার মতো বেগম খালেদা জিয়ার কবরেও সেই সাধারণ মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হবে এবং একই ডিজাইনে থাকবে সবুজ ঘাস। তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার নতুন কবরের জন্য শহীদ জিয়ার মাজারের মূল নকশায় কোনো পরিবর্তন হবে না।

রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী।
প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জমান চৌধুরী বলেন, যে স্থাপত্য প্রকৌশল সংস্থা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে আর্কিটেক্টের কাজ করেছিল, সে সংস্থাকে দিয়েই এবার বেগম খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ানো ও বাঁধাই করা হচ্ছে, যাতে মূল নকশায় কোনো ধরনের পরিবর্তন না আসে।
বসত আর্কিটেক্ট প্রকৌশল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁরা ২০০২ সালে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানের এই মাজার নতুনভাবে সংস্কার করেন। যেখানে একটি অতি সুন্দর ব্রিজ নির্মাণসহ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার ও মাজার প্রাঙ্গণ ফুটিয়ে তোলা হয়। আজ সেই সুন্দর স্থাপনার অবয়ব ঠিক রেখেই শহীদ জিয়ার কবরের ঠিক পূর্ব পাশে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য নতুন করে খবর খোঁড়া হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জমান চৌধুরী জানান, আজ মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা কবর খোঁড়া ও তাতে মার্বেল পাথর স্থাপন করাসহ আনুষঙ্গিক কাজ সেরে ফেলতে চান। কাল সকাল নাগাদ হয়তো কিছু কাজ করা হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে বসত আর্কিটেক্ট প্রকৌশল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ২০০২ সালে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার সংস্কার করা হয়, তখন সেভাবে কোনো নির্দেশনা তাঁরা পাননি। নাহয় তখনই বেগম খালেদা জিয়ার কবরের জন্য সেভাবে জায়গা রেখে দুটি কবরের জায়গা করে রাখতে পারতেন।
এখন কেন করছেন, এর জবাবে মাসুদুর রহমান জানান, আগে সেভাবে নির্দেশনা ছিল না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের আজ সকালে শহীদ জিয়ার কবরের পাশে বেগম খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ার জন্য অনুরোধ করা হলে তাঁরা সেভাবে কাজ শুরু করেন।
প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান আরও জানান, তাঁর সৌভাগ্য হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ডিজাইনসহ স্থাপত্যশৈলী নির্মাণের। সেই সৌভাগ্যক্রমে এবার বেগম খালেদা জিয়ার কবরের স্থাপত্যশৈলীর কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে।
মাসুদুর রহমান জানান, শহীদ জিয়ার মতো বেগম খালেদা জিয়ার কবরেও সেই সাধারণ মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হবে এবং একই ডিজাইনে থাকবে সবুজ ঘাস। তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার নতুন কবরের জন্য শহীদ জিয়ার মাজারের মূল নকশায় কোনো পরিবর্তন হবে না।

ভেঙে ফেলা হচ্ছে খুনি এরশাদ শিকদারের ‘স্বর্ণকমল’। খুলনার সোনাডাঙ্গার মজিদ সরণিতে অবস্থিত এই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৩
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
১৫ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
২১ মিনিট আগে
বরিশাল নগরে দত্তক নেওয়া এক কিশোরীকে (১৪) শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এডলিন বিশ্বাস (৪০) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর পুলিশ লাইনস আমবাগান এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন থানার এসআই
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল নগরে দত্তক নেওয়া এক কিশোরীকে (১৪) শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এডলিন বিশ্বাস (৪০) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর পুলিশ লাইনস আমবাগান এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন থানার এসআই আবদুল মাজেদ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন এডলিন বিশ্বাস (৪০) ও জনি বিশ্বাস।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর আগে দত্তক নেওয়া এক শিশুকে মারধর করতেন এডলিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গত কদিন ধরে ওই কিশোরীকে যৌন নিপীড়ন চালায় এডলিনের ভাই জনি বিশ্বাস। কিশোরীকে যৌন নিপীড়নে জনিকে সহায়তা করতেন বোন এডলিন। দীর্ঘদিন ধরে এমন কাজ চললে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে গোপনে ওই কন্যাশিশু বিষয়টি সরকারি জরুরি সেবা (৯৯৯) নম্বরে কল করে পুলিশকে জানায়।
রাতেই অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার বাদী এসআই আবদুল মাজেদ বলেন, শিশুটিকে ছোটবেলায় দত্তক নেয় এডলিনের পরিবার। বর্তমানে মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। বাসার কাজ করানোর পাশাপাশি অনেক দিন ধরে মেয়েটির ওপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালান এডলিন ও তাঁর ভাই জনি। সোমবার মেয়েটি সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে জানায়। অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মামুন উল ইসলাম বলেন, এক শিশুকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের মামলায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার আরেকজন আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বরিশাল নগরে দত্তক নেওয়া এক কিশোরীকে (১৪) শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এডলিন বিশ্বাস (৪০) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর পুলিশ লাইনস আমবাগান এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন থানার এসআই আবদুল মাজেদ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন এডলিন বিশ্বাস (৪০) ও জনি বিশ্বাস।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর আগে দত্তক নেওয়া এক শিশুকে মারধর করতেন এডলিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গত কদিন ধরে ওই কিশোরীকে যৌন নিপীড়ন চালায় এডলিনের ভাই জনি বিশ্বাস। কিশোরীকে যৌন নিপীড়নে জনিকে সহায়তা করতেন বোন এডলিন। দীর্ঘদিন ধরে এমন কাজ চললে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে গোপনে ওই কন্যাশিশু বিষয়টি সরকারি জরুরি সেবা (৯৯৯) নম্বরে কল করে পুলিশকে জানায়।
রাতেই অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার বাদী এসআই আবদুল মাজেদ বলেন, শিশুটিকে ছোটবেলায় দত্তক নেয় এডলিনের পরিবার। বর্তমানে মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। বাসার কাজ করানোর পাশাপাশি অনেক দিন ধরে মেয়েটির ওপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালান এডলিন ও তাঁর ভাই জনি। সোমবার মেয়েটি সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে জানায়। অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মামুন উল ইসলাম বলেন, এক শিশুকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের মামলায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার আরেকজন আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ভেঙে ফেলা হচ্ছে খুনি এরশাদ শিকদারের ‘স্বর্ণকমল’। খুলনার সোনাডাঙ্গার মজিদ সরণিতে অবস্থিত এই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৩
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
১৫ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
২১ মিনিট আগে
রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে