Ajker Patrika

শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে খুবি শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন

খুবি প্রতিনিধি
শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে খুবি শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। শাবিপ্রবির অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে এ প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদী চত্বরে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা অনশন পালন করেছেন  শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, শাবিপ্রবি উপাচার্য এখনো শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি মেনে পদত্যাগ না করে বরং শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের অনশনের ১১৫ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। ফলে যেকোনো সময় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ সময় তারা অনতিবিলম্বে শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।

অনশনরত বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'একজন উপাচার্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। শিক্ষার্থীরা যে অভিভাবককে চায় না তাহলে তিনি কীভাবে থাকেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়। জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় চলে এ বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে একজন ভিসি কতটা নিষ্ঠুর, কতটা স্বৈরাচারী হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে হামলা করতে পারে। আমরা অনতিবিলম্বে শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ চাই।'

ইংরেজি ডিসিপ্লিনের আরেক শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ বলেন, 'শাবিপ্রবির ভিসি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা চালিয়ে একটি ঘৃণিত কাজ করেছেন। আমরা মনে করি তিনি এখন তার পদে থাকার জন্য যোগ্য নয়। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। আমরা অতি শিগগিরই তার পদত্যাগ চাই।'

অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'শাবিপ্রবি ভিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি না চায় তাহলে শাবিপ্রবির ভিসি একদিনও তার পদে থাকতে পারেন না। আমাদের একটাই দাবি অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'যতক্ষণ পর্যন্ত শাহজালালের ভিসি পদত্যাগ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে।'

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ১১ দিন ধরে উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের প্রথম ছয় দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত বুধবার বেলা তিনটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী।

শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রায় সবার শরীরে জ্বর। এমন শারীরিক অবস্থার মধ্যেও এ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে অনড় তাঁরা। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন কয়েকজন অনশনকারী শিক্ষার্থী।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আলোচনায় সংকট উত্তরণের আভাস পাওয়া যায়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গঙ্গাচড়ায় হাত-পা বাঁধা যুবকের মরদেহ উদ্ধার

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে মডেল থানা-পুলিশ।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের গিড়িয়ারপাড় এলাকার একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে তামাকখেতে পানি দিতে এসে এক কৃষক ডোবার পাশে ইউড্রেনের ভেতরে একটি জুতা দেখতে পান। পরে তিনি ইউড্রেনের ভেতরে একজন মানুষ পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান।

স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে গিয়ে দেখেন, ইউড্রেনের ভেতরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ পড়ে আছে। পরে ৯৯৯ নম্বরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত যুবকের নাম রবিউল ইসলাম (৩০)। তিনি রংপুর সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কেরানীর হাট বখতিয়ারপুর এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে। রবিউল একটি বেসরকারি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। পাশাপাশি জীবিকার তাগিদে মিশুক অটো চালাতেন।

রবিউলের বড় ভাই বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অটো বিক্রির উদ্দেশ্যে রবিউল বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আজ সকালে হাজিরহাট থানায় বিষয়টি জানাতে আসলে জানতে পারি, গঙ্গাচড়ার গিড়িয়ারপাড় এলাকায় একজন অজ্ঞাত যুবকের লাশ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করি।’

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর ছবুর বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী মাসুদের ভোট না করার ঘোষণায় ক্ষুব্ধ দল

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী মাসুদের ভোট না করার ঘোষণায় ক্ষুব্ধ দল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে দেশব্যাপী নেতাদের মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা চললেও অবাক করা উল্টো কাণ্ড ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে। আসনটিতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেলেও হঠাৎ করে ভোট না করার ঘোষণা দিয়েছেন কিছুদিন আগে বিএনপিতে যোগদান করা ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ।

গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হাজির হয়ে ভোট না করার ঘোষণা দেন মাসুদ। তাঁর এই ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিএনপির নেতারা।

মাসুদুজ্জামান মাসুদের ওই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না তিনি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন। আমরা জানার চেষ্টা করছি ঠিক কী কারণে সরে দাঁড়ালেন তিনি।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন। আমরা এখন দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকব। দেখব দল কী সিদ্ধান্ত দেয়, দল যেই সিদ্ধান্ত দেবে, তা মেনে নেব। দিন শেষে আমরা ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে একই কমিটির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ‘এটা হতাশাজনক। আমরা তাঁর জন্য মাঠ প্রস্তুত করেছি। নির্বাচনে অবশ্যই তিনি জয়লাভ করবেন ইনশা আল্লাহ। এমন গোছানো মাঠ ছেড়ে মাসুদুজ্জামান কেন বেরিয়ে যাচ্ছেন, আমরা জানি না। তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন এই প্রত্যাশা করি।’

এদিকে মাসুদুজ্জামান মাসুদের মনোনয়নপ্রাপ্তির পরেও নির্বাচন না করার ঘোষণা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। গুঞ্জনের মধ্যে রয়েছে ৫ আসনে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন হতে যাচ্ছে, জোটের কাছে আসন হস্তান্তর করা হবে ও হুমকি-ধমকির কারণে নিরাপত্তাঝুঁকি ইত্যাদি।

গত ৩ নভেম্বর প্রথম ধাপে ঘোষণা করা ২৩৭ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই আসনে আরও একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। সদ্য বিএনপিতে যোগদান করা ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে পরিচিত মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন ছিল বেশ অপ্রত্যাশিত। এর কারণ, ৫ আগস্টের আগেই তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনে অর্থায়নের অভিযোগ তুলেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ৫ আগস্টের পর বিএনপির কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত হতে শুরু করেন তিনি। ধারাবাহিক প্রচার-প্রচারণা ও কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন।

একই আসনে অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ বেশ কয়েকজন। তবে মনোনয়ন ঘোষণার আগেই অধিকাংশ বিএনপির নেতাকে তাঁর পক্ষে নিয়ে আসতে সক্ষম হওয়ায় মনোনয়ন জোটে তাঁর ভাগ্যেই।

মনোনয়ন লাভের পরপরই তাঁর বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছিলেন মনোনয়নবঞ্চিতরা। মাঠে আন্দোলনে না নামলেও ঘরোয়া বৈঠকে তাঁর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। তাঁকে ওসমান পরিবারের দোসর আখ্যা দেন। যদিও বিরোধী সেই বলয় ভেঙে কয়েকজন যোগ দিয়েছেন মাসুদুজ্জামানের নির্বাচনী ক্যাম্পে। পুরো ৫ আসন যখন মাসুদুজ্জামানের প্রায় নিয়ন্ত্রণে, ঠিক তখনই নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে বিস্ময় তৈরি করেছেন জেলাজুড়ে।

কে এই মাসুদুজ্জামান

মাসুদুজ্জামান মাসুদ শিল্পপতি হিসেবে পরিচিত। মডেল ডি ক্যাপিটাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। ছিলেন ব্যবসায়ীদের সংগঠন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এবং বিকেএমইএর পরিচালক। এ ছাড়া বেসরকারি সিটিজেনস ব্যাংকের পরিচালক তিনি। তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ফিফার তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। গত বিশ্বকাপ ফুটবলে তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুলসংখ্যক জার্সি ও লোগো সরবরাহ করা হয়েছিল।

ব্যবসার বাইরে ক্রীড়াজগতেও বিচরণ রয়েছে মাসুদুজ্জামানের। তিনি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান। সম্প্রতি বিসিবি নির্বাচনে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ সময়ে সরে দাঁড়ান। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যও মাসুদ।

যেসব কারণ বললেন মাসুদুজ্জামান

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন মাসুদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনটা করব না, আমি মনোনয়ন ফরম কিনব না। পারিবারিক কারণে এবং নিরাপত্তাসহ একাধিক কারণে এই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি। সব কথা হয়তো এখানে বলা যাবে না। কিন্তু আমি বাধ্য হয়েছি। আমি আমার নেতা-কর্মী ও আমার শহর-বন্দরের বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এই আসনে যিনিই নির্বাচন করবেন, তাঁর পক্ষে আমার সমর্থন থাকবে।’ এ সময় সংবাদকর্মীরা কারণ জানার জন্য একাধিক প্রশ্ন করলেও তিনি কৌশলী উত্তর দেন।

মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমি জানি, আমার এই সিদ্ধান্তে নেতা-কর্মীরা সবাই কষ্ট পাবে। কিন্তু আমার সিকিউরিটি কনসার্ন হচ্ছে আমার পরিবার। আমার পরিবারের সাথে এই জায়গায় নেগোসিয়েশন করতে পারছি না। তবে বিষয়টা এমন না যে সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না সেই কারণে সরে যাচ্ছি। এখানে ব্যক্তিগত বিষয় আছে, যা বলতে পারছি না।’

মনোনয়ন পাওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। নারায়ণগঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর জন্য মোটা অঙ্কের বাজেট প্রস্তুত করেছে তারা। আমি আমার দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিষয়টি অবগত করেছি।’

তবে মাসুদের সেই সংবাদ সম্মেলনের পরে এমন কোনো মামলা হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিয়ানমারে পাচারকালে সিমেন্টবোঝাই ২ ট্রলারসহ আটক ২৩

কক্সবাজার প্রতিনিধি
সিমেন্টবোঝাই ট্রলারসহ আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
সিমেন্টবোঝাই ট্রলারসহ আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

সাগরপথে মিয়ানমারে অবৈধভাবে পাচারের সময় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় অভিযান চালিয়ে দুটি সিমেন্টবোঝাই ট্রলারসহ ২৩ জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এ সময় দুই ট্রলার থেকে ১ হাজার ৭৫০ বস্তা সিমেন্ট উদ্ধার করা হয়।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নৌবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদে একটি পাচারকারী চক্রের ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচারের খবর পায় নৌবাহিনী। এ সময় বঙ্গোপসাগরে টহলে থাকা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ শহীদ মহিবুল্লাহ কুতুবদিয়া বাতিঘর হতে ৪৬ মাইল অদূরে সন্দেহজনক দুটি কাঠের ট্রলার দেখতে পায়। নৌবাহিনীর জাহাজ ট্রলার দুটি তল্লাশির লক্ষ্যে থামার সংকেত দিলে পালানোর চেষ্টা করে।

পরে নৌবাহিনীর জাহাজ মহিবুল্লাহ ধাওয়া করে ‘এফবি আজিজুল হক’ ও ‘এফবি রুনা আক্তার’ নামের দুটি ট্রলার আটক করে। আটক ট্রলারগুলো তল্লাশি করে ১ হাজার ৭৫০ বস্তা বাংলাদেশি ডায়মন্ড সিমেন্ট ও ৩২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ সময় চোরাকারবারি দলের ২৩ সদস্যকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা নৌবাহিনীকে জানিয়েছেন, অধিক মুনাফা লাভের আশায় সিমেন্টগুলো মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে জব্দ করা মালামাল ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হত্যা মামলায় বিয়ানীবাজার পৌর আ. লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি
কাজী আব্দুল বাছিত। ছবি: সংগৃহীত
কাজী আব্দুল বাছিত। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল বাছিতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার খাসড়ীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর অংশ হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিয়ানীবাজার থানায় তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট হত্যা মামলা রয়েছে। ওই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত