রাসেল মাহমুদ, ঝিনাইদহ থেকে

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার বেঁচে নেই—প্রমাণ ছাড়া এ তথ্য মানতে পারছে না তাঁর নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মানুষ। কলকাতায় এমপিকে হত্যা করা হয়েছে—দুই দেশের পুলিশ এমন তথ্য দিলেও তাঁর কাছের লোকজন বলছেন, লাশ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি তাঁকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্নও আছে কারও কারও মনে। গতকাল সোমবার এমপি আনারের এলাকা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার নতুন বাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী মো. জিন্নাহর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করে হত্যার ঘটনায় জড়িত এমন কয়েকজনকে ধরেছে, কিন্তু কোনো আলামত পায়নি। তদন্ত করছে, কিন্তু এখনো কোনো কিছু পায়নি। মিডিয়ায় শুধু দেখতেছি একটা ব্যাগে করে লিফটে উঠতেছে। এখন আসলে ঘটনা কী? মারা গেছেন, নাকি আত্মগোপনে আছেন, তা পরিষ্কার না।’
কালীগঞ্জের নিমতলা এলাকার মো. আমিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসই হচ্ছে না তাঁকে এভাবে মেরে ফেলেছে। সরকারিভাবে এখনো ঘোষণাও দিতেছে না যে মেরে ফেলছে। আমরা একটা ধোঁয়াশার মধ্যে আছি।’
শৈলেন মুখার্জি নামের এক চায়ের দোকানি বলেন, ‘তার চেহারা এখনো চোখে ভাসছে। মনে তো হচ্ছে না সে (আনার) নাই। আমার মনে হয়, কেউ তাকে আটকে রাখছে। হয়তো বিশাল অঙ্কের টাকার ব্যাপার-স্যাপার।’
শুধু স্থানীয় সাধারণ লোকজনই নয়, এমপি আনারের পরিবার বা পরিচিতরাও এখনো তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে। গত রোববারও এমপির ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর বাবার মৃত্যুর প্রমাণ হিসেবে বাবার ব্যবহৃত জিনিস অথবা অন্তত এক টুকরা মাংস চান তাঁরা।
ডরিন বলেন, পরনে শার্ট, প্যান্ট ও জুতা ছিল। চোখে সব সময় চশমা পরতেন, পকেটে টুপি এবং ছোট একটা চিরুনি, হাতে দুটি আংটি এবং একটি ব্রেসলেট থাকত। এসবের একটি জিনিস হলেও দেখাতে হবে। কিছু না কিছু একটা পাওয়া যাবেই। না হলে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।
আনোয়ারুল আজীমের স্কুলজীবনের বন্ধু মো. জয়নাল আবেদীন। তাঁর কাছেও বন্ধুর মৃত্যুটা অবিশ্বাস্য ঠেকছে এখনো। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার স্কুলজীবনের বন্ধু। মানুষের কাছে সে অনেক জনপ্রিয়। কেউ বলবে না সে খারাপ ছিল। তার মৃত্যু হয়েছে কি হয়নি, এখনো বলা যাবে না। কারণ এখনো পর্যন্ত তার লাশ বা কোনো কিছুই পায়নি। তাহলে নিহত হয়েছে শনাক্ত করবে কী করে? তাই মৃত্যুটা এখনো রহস্যজনক।’
চিকিৎসার কথা বলে কলকাতায় গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে পুলিশ জানায়, ১৩ মে কলকাতায় খুন হন আনোয়ারুল আজীম। সোনা চোরাচালানের টাকার দ্বন্দ্বে কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আমানউল্লাহ ওরফে শিমুলসহ তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্যদিকে মরদেহের খোঁজ পেতে নানা জায়গায় চষে বেড়াচ্ছে কলকাতার পুলিশ। তবে এখনো আনারের মরদেহের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার বেঁচে নেই—প্রমাণ ছাড়া এ তথ্য মানতে পারছে না তাঁর নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মানুষ। কলকাতায় এমপিকে হত্যা করা হয়েছে—দুই দেশের পুলিশ এমন তথ্য দিলেও তাঁর কাছের লোকজন বলছেন, লাশ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি তাঁকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্নও আছে কারও কারও মনে। গতকাল সোমবার এমপি আনারের এলাকা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার নতুন বাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী মো. জিন্নাহর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করে হত্যার ঘটনায় জড়িত এমন কয়েকজনকে ধরেছে, কিন্তু কোনো আলামত পায়নি। তদন্ত করছে, কিন্তু এখনো কোনো কিছু পায়নি। মিডিয়ায় শুধু দেখতেছি একটা ব্যাগে করে লিফটে উঠতেছে। এখন আসলে ঘটনা কী? মারা গেছেন, নাকি আত্মগোপনে আছেন, তা পরিষ্কার না।’
কালীগঞ্জের নিমতলা এলাকার মো. আমিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসই হচ্ছে না তাঁকে এভাবে মেরে ফেলেছে। সরকারিভাবে এখনো ঘোষণাও দিতেছে না যে মেরে ফেলছে। আমরা একটা ধোঁয়াশার মধ্যে আছি।’
শৈলেন মুখার্জি নামের এক চায়ের দোকানি বলেন, ‘তার চেহারা এখনো চোখে ভাসছে। মনে তো হচ্ছে না সে (আনার) নাই। আমার মনে হয়, কেউ তাকে আটকে রাখছে। হয়তো বিশাল অঙ্কের টাকার ব্যাপার-স্যাপার।’
শুধু স্থানীয় সাধারণ লোকজনই নয়, এমপি আনারের পরিবার বা পরিচিতরাও এখনো তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে। গত রোববারও এমপির ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর বাবার মৃত্যুর প্রমাণ হিসেবে বাবার ব্যবহৃত জিনিস অথবা অন্তত এক টুকরা মাংস চান তাঁরা।
ডরিন বলেন, পরনে শার্ট, প্যান্ট ও জুতা ছিল। চোখে সব সময় চশমা পরতেন, পকেটে টুপি এবং ছোট একটা চিরুনি, হাতে দুটি আংটি এবং একটি ব্রেসলেট থাকত। এসবের একটি জিনিস হলেও দেখাতে হবে। কিছু না কিছু একটা পাওয়া যাবেই। না হলে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।
আনোয়ারুল আজীমের স্কুলজীবনের বন্ধু মো. জয়নাল আবেদীন। তাঁর কাছেও বন্ধুর মৃত্যুটা অবিশ্বাস্য ঠেকছে এখনো। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার স্কুলজীবনের বন্ধু। মানুষের কাছে সে অনেক জনপ্রিয়। কেউ বলবে না সে খারাপ ছিল। তার মৃত্যু হয়েছে কি হয়নি, এখনো বলা যাবে না। কারণ এখনো পর্যন্ত তার লাশ বা কোনো কিছুই পায়নি। তাহলে নিহত হয়েছে শনাক্ত করবে কী করে? তাই মৃত্যুটা এখনো রহস্যজনক।’
চিকিৎসার কথা বলে কলকাতায় গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে পুলিশ জানায়, ১৩ মে কলকাতায় খুন হন আনোয়ারুল আজীম। সোনা চোরাচালানের টাকার দ্বন্দ্বে কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আমানউল্লাহ ওরফে শিমুলসহ তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্যদিকে মরদেহের খোঁজ পেতে নানা জায়গায় চষে বেড়াচ্ছে কলকাতার পুলিশ। তবে এখনো আনারের মরদেহের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৪ ঘণ্টা আগে