Ajker Patrika

দাফনের ১৫ দিন পর কুয়েট শিক্ষকের মরদেহ উত্তোলন

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ০০
দাফনের ১৫ দিন পর কুয়েট শিক্ষকের মরদেহ উত্তোলন

মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটনের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর কুয়েট শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে ওই শিক্ষকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। 

সেলিম হোসেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম এলাকার মো. শুকুর আলীর ছেলে। 

খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ সাজাদ, খুলনা খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস, কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার, কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফারহান লাবিবের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

এ সময় পুলিশ, সংবাদকর্মী, নিহতের বাবা, স্বজন ও শত শত এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অধ্যাপকের স্ত্রী নাছরিন আক্তার ঘটনাস্থলে আসেননি বলে জানান স্বজনেরা। 

পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠােনা হয়। 

এ বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘কোর্টের নির্দেশে ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় মরদেহ উত্তোলনে বিলম্ব হয়েছে।’ 

কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘খানজাহান আলী থানা মরদেহ উত্তোলন করেছে। কুমারখালী থানার পুলিশ শুধু আইনি কাজে সহযোগিতা করেছে।’ 

কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফারহান লাবিব বলেন, ‘মরদেহ উত্তোলন করে কুষ্টিয়া মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজই বাঁশগ্রাম কবরস্থানে দাফন করা হবে।’ 

তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ সাজাদ। 

সেলিম হোসেনের বাবা মো. শকুর আলী বলেন, ‘পুলিশ মামলা আমলে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় আমি মরদেহ তুলতে রাজি হয়েছি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’ 

নিহত অধ্যাপকের ছোট দুই বোন শিউলি ও শ্যামলী বলেন, ‘ভাইয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁকে ছাত্রলীগের ছেলেরা হত্যা করেছে। আমরা সবার ফাঁসি চাই।’ 

উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিচুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়। 

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর অধ্যাপক সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের পাশের ভাড়া বাসায় মারা যান। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়া তাঁর মরদেহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম কবরস্থানে দাফন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই: মাহফুজ আলম

আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমনপীড়নের পুনরাবৃত্তি

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সুব্রত বাইন। ছবি: সংগৃহীত
সুব্রত বাইন। ছবি: সংগৃহীত

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিনকে (বীথি) কুমিল্লা থেকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। গতকাল সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরের জেলখানা মোড় এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

খাদিজা ইয়াসমিন বীথির বিরুদ্ধে অপরাধ চক্রের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন এবং পলাতক সহযোগীদের সহায়তার মতো গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে তাঁর সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল রাতে র‍্যাব-১১–এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন বীথি কুমিল্লায় অবস্থান করছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে নগরের জেলখানা সড়কে আমরা অভিযান চালাই। এ সময় তাঁকে আটক করা হয়। আটকের পর রাতেই তাঁকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন বর্তমানে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। গত ৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, গতকাল কুমিল্লা কারাগারে বাবার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যেই খাদিজা ইয়াসমিন কুমিল্লা এসেছিলেন।

সূত্রটি আরও জানায়, আটক খাদিজা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে অপরাধ চক্রের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন এবং বাবার পলাতক সহযোগীদের সহায়তার বিষয়ে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। এসব বিষয়ে গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এর বাইরে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মে কুষ্টিয়া থেকে যৌথ বাহিনী শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী থেকে সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই: মাহফুজ আলম

আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমনপীড়নের পুনরাবৃত্তি

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ময়মনসিংহবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ময়মনসিংহবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ সারা দেশের মতো ময়মনসিংহে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার ভোরের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনি ও নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রথমে বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ফারাহ শাম্মী, তারপর রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া এবং জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা জেলা ও মহানগর সংসদ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক সিকদার বলেন, ‘জাতি আজ এই বিজয়ের আনন্দের দিনে গভীর কৃতজ্ঞতা ও পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সন্তানদের। আগামীর নতুন প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে নতুন বাংলাদেশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে, এমনটি প্রত্যাশা আমাদের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই: মাহফুজ আলম

আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমনপীড়নের পুনরাবৃত্তি

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ১৬
হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার কবির। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার কবির। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন–র‍্যাব।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন পাগলা এলাকা থেকে কবীর ওরফে দাতভাঙ্গা কবীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাত ১২টায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‍্যাব-১১।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১-এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাঈম উল হক।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত সোমবার রাতে নারায়গঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁকে পল্টন–থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে।

ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচার চালাচ্ছিলেন। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে গতকাল সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।

তদন্ত–সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ওসমান হাদিকে গুলি করেছিলেন। ফয়সাল করিম এখনো পলাতক।

ফয়সাল করিমের স্ত্রী পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাসহ মোট ছয়জন।

র‍্যাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কবিরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রাম। ফয়সাল করিমের বাড়িও পটুয়াখালীতে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কবির ৫ ডিসেম্বর ফয়সল করিমের সঙ্গে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন। ফুটেজ দেখানোর পর কবির সেটি স্বীকার করেছেন।

কবির রাজধানীর আদাবর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি ওয়ার্ড শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। হামলার পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘরে লুকিয়ে ছিলেন।

র‌্যাব-১১–এর কোম্পানি কমান্ডার মো. নাঈম উল হক বলেন, কবিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই: মাহফুজ আলম

আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমনপীড়নের পুনরাবৃত্তি

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুবর্ণচরে নদীভাঙন: ২ বছরে ভিটেমাটি হারা চার হাজার পরিবার

  • ভুক্তভোগীদের জন্য নেই সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ।
  • প্রশাসনের কাছে নির্ভরযোগ্য কোনো তালিকা নেই।
মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর (নোয়াখালী) 
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৬
মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি। সম্প্রতি নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বোয়ালখালী স্লুইসগেট এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি। সম্প্রতি নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বোয়ালখালী স্লুইসগেট এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের উপযোগী হয়ে ওঠেনি।

বাংলাদেশ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)-এর হিসাবে, গত ৭০ বছরে নোয়াখালীতে প্রায় ২০০ বর্গকিলোমিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি। তবে এই ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়ায় যারা সব হারায়, তাদের জন্য থাকে কেবল হাহাকার।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীভাঙনে নিঃস্ব মানুষের জন্য সরকারিভাবে কোনো আলাদা সুযোগ-সুবিধা নেই। নেই পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ। এমনকি কত মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছে, তারও কোনো নির্ভরযোগ্য তালিকা তৈরি করা হয়নি।

জানা গেছে, মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই বছরে এই দুই ইউনিয়নে অন্তত তিন হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আরও বিস্তৃত হওয়ায় মোট ভিটেমাটি হারানো পরিবারের সংখ্যা প্রায় চার হাজার।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, চরক্লার্ক ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হেমায়েতপুরের একটি অংশ, চর বায়েজিদ মৌজা, চর খন্দকার, আলেমপুর, সৈয়দপুর, চর নোমান সমাজ ও চর মোজাম্মেল মৌজাসহ অন্তত ১০টি এলাকা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি, চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের (সিডিএসপি) ৭/৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং বন বিভাগের রোপণ করা নানা প্রজাতির গাছ।

এক বছর আগে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চর খন্দকার এলাকায় সাবেক ২ নম্বর কাটাখালী স্লুইসগেট নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে জোয়ারের সময় পানি দ্রুত উত্তর দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে সোলেমান বাজারসহ আশপাশের এলাকাও নতুন করে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার।

জানতে চাইলে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল বাশার জানান, ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। উপদেষ্টা পর্যায়েও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

সুবর্ণচরের সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী বাবলু বলেন, ভাঙা-গড়া প্রকৃতির নিয়ম হলেও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জেগে ওঠা চরে তাঁদের পুরোনো অবস্থান বা জীবন ফিরে পান না। নদীশাসন এবং জেগে ওঠা চরে বসতি স্থাপন নিয়ে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা জরুরি। নদী ভাঙলে শুধু মানুষের ঘরবাড়ি নয়, জনপদের চিহ্নও মুছে যায়।

এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমান বলেন, মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের ভাঙনের বিষয়টি প্রশাসনের জানা আছে। তবে এখনো পর্যন্ত কত পরিবার গৃহহীন হয়েছে, তার কোনো তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই: মাহফুজ আলম

আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমনপীড়নের পুনরাবৃত্তি

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত