Ajker Patrika

তিন ফসলি হরিণা বিল আবাসন ব্যবসায়ীদের দখলে

জাহিদ হাসান, যশোর 
যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের হরিণার বিলের তিন ফসলি জমি ভরাট করে বিক্রি হচ্ছে প্লট আকারে। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের হরিণার বিলের তিন ফসলি জমি ভরাট করে বিক্রি হচ্ছে প্লট আকারে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘেরের পর এবার আবাসন ব্যবসায়ের আগ্রাসনে উজাড় হচ্ছে যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের হরিণার বিলের তিন ফসলি জমি। প্রাকৃতিক এই জলাধার ভরাট করে প্লট আকারে জমি বিক্রি করছে আবাসন ব্যবসায়ীরা। আইন ভেঙে অবাধে চলছে জমির শ্রেণি পরিবর্তন। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন। বছরজুড়ে জলাবদ্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদনও।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই বিলের কৃষিজমিতে মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া বিল ভরাট করে প্লট বিক্রির পাশাপাশি ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ ব্যবসা চলছে। স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে বিলের বিপুল কৃষিজমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। এতে একসময়ের শস্য ও মৎস্যসম্পদে পরিপূর্ণ বিলটির প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

সদর উপজেলার চাঁচড়া ও রামনগর ইউনিয়ন এলাকাজুড়ে হরিণার বিল। ইউনিয়ন পরিষদ দুটির দেওয়া তথ্যমতে, বিলটি প্রায় ১৭ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত। সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এই বিলের আয়তন প্রায় ৫০৭ হেক্টর। আবাদি জমি প্রায় ৪৮৫ হেক্টর।

কৃষি ও ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, হরিণার বিল মূলত ধান আবাদ এলাকা। বিলের চাঁচড়া ও শংকরপুর অংশে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠেছে। নামে-বেনামে বিভিন্ন হাউজিং প্রকল্প গড়ে তুলে প্রাকৃতিক জলাশয়টি ভরাট করে প্লট আকারে ফসলি জমি বিক্রি চলছে। এ ক্ষেত্রে জমির শ্রেণি পরিবর্তনে ভূমি অফিসের কোনো অনুমতিও নেওয়া হচ্ছে না। ইচ্ছেমাফিক মাটি ফেলে বিল ভরাট চলছে। শংকরপুর বাস টার্মিনাল, যশোর মেডিকেল কলেজের আশপাশে, চাঁচড়ার ভাতুড়িয়া ও মাহিদিয়া এলাকায় বিল ভরাট করে সবচেয়ে বেশি জমি বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে গেলে চাঁচড়ার ভাতুড়িয়া বাজার পার হলে সাইনবোর্ডে প্লট আকারে জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন নজরে পড়ে। গ্রিন ভিউ হাউজিং সিটি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সাইনবোর্ড দেখা যায়। ভাতুড়িয়া বাজার পেরিয়ে দেখা যায় প্লট আকারে জমি বিক্রির সাইনবোর্ড। রাস্তার পাশে থাকা ওই সাইনবোর্ডের বর্ণনা অনুযায়ী বিলের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েক বিঘা জমি মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। বিভিন্ন মাপের প্লট আকারে বিক্রি চলছে। বিলের মধ্যে বিদ্যুতের একটি বড় টাওয়ারের পাশে প্লট করে জমি বিক্রি করা হচ্ছে।

সেখানে অবস্থানরত কয়েকজনের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জমি বিক্রি করছেন। জমি বিক্রিকারী ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ। মাঠে কাজ করে জীবন চালাই। এসব ক্ষমতাধর ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু বলার সাহস নেই আমাদের।’ পত্রিকায় নাম প্রকাশ করা হবে না বলে আশ্বস্ত করলেও তাঁরা মুখ খুলতে রাজি হননি।

যশোর শহরের বড় একটি অংশের পানি ড্রেনেজ সিস্টেমের মাধ্যমে হরিণার বিলে গিয়ে পড়ে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই জলাধার শুধু পানি নিষ্কাশন নয়; ধান উৎপাদনেরও বিশাল একটি ক্ষেত্র। আর এভাবে ভরাটের মুখে বিলটি বছরজুড়ে জলাবদ্ধ থাকে।

স্থানীয়রা জানান, ৭ বিঘার বেশি জমি ভরাট করেছেন গ্রিন ভিউ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আরও ৮ বিঘা জমি ভরাট করা হবে। এই প্রকল্প আরও সম্প্রসারণ করে ৫০ বিঘায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রকল্পটির মালিকদের।

জানা গেছে, প্রথমে ৩৫টি প্লট নিয়ে যাত্রা শুরু হয় প্রকল্পটির। সেটি ৭৩টি প্লটে উন্নীত হবে শিগগির। মাটি দিয়ে বিল ভরাটের প্রক্রিয়া চলছে। আসছে ডিসেম্বরের মধ্যে মাটি ভরাট সম্পন্ন হবে। প্রকল্পে বিভিন্ন মাপের প্লট রয়েছে। ৩ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট, সাড়ে ৪ শতক ও ৪ দশমিক ৬৮ শতকের প্লট আছে। ১৮ ফুটবিশিষ্ট রাস্তার পাশে প্লট নিলে ১৫ লাখ টাকা এবং ২২ ফুটের রাস্তার পাশের প্লটের দাম ২০ লাখ টাকার ওপর।

গ্রিন ভিউ হাউজিং সিটির ব্যবস্থাপক আব্দুল্লা হেল বাকী জানান, ছোট পরিসরে আবাসন প্রকল্পটি পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্পের আয়তন ২৯ বিঘার ওপর হলে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এই প্রকল্প ওই রকম আয়তনের নয়। যখন সে রকম আয়তনের হবে; তখন অনুমোদন নেওয়া হবে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত একটা অনুমতি নেওয়া আছে।

স্থানীয়রা জানান, বিল ভরাট করে ওই হাউজিং প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা নির্মাণ করায় বিলের একটি অংশে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিলের কালাবাগা ও রূপদিয়ার কয়েক শ বিঘা জমি থেকে বৃষ্টির পর আর পানি সরছে না।

স্থানীয়দের ভাষ্য, হাউজিং ও মাদ্রাসার পাশে সারা বছর এখন পানি জমে থাকছে। যে কারণে সেখানে কোনো ফসলই আবাদ করা যাচ্ছে না। ২০২০ সালের পর বিল ভরাট করে ওই মাদ্রাসা ও হাউজিং প্রকল্প শুরু হয়। এগুলোর উদ্যোক্তারা প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তি হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। বিলের জমি তাঁদের কারণে অনাবাদি হয়ে পড়লেও কিছু করতে পারছেন না। তবে এসব তথ্যদাতার কেউ নাম প্রকাশ করতে চাননি। রোষানলে পড়ার আশঙ্কায় প্রতিবেদনে নাম না উল্লেখ করার শর্ত দেন তাঁরা।

চাঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইউনিয়ন এলাকায় ভবন নির্মাণের জন্য নকশার অনুমোদন নিতে হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এ ক্ষেত্রে আবেদন করতে হয়। কিন্তু আবু বকর হাফিজিয়া ও এতিমখানা এসব নিয়ম অনুসরণ করেনি।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কর্মকর্তাকে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বলবেন। এ ক্ষেত্রে যদি আইনের ব্যত্যয় দেখা গেলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের মনিরামপুরের বাড়িতে মাতম

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিলাপ করছেন স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিলাপ করছেন স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।

নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।

নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।

নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে আগুনে কিশোরের মৃত্যু, পুড়েছে ৫ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

চাঁদপুর প্রতিনিধি
দোকানের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দোকানের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাহার বাজারে জয়নালের মুদিদোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইমাম হোসেনের ফার্মেসি, নজরুল ইসলামের মাছের খাদ্যের দোকান, জহিরের ওয়ার্কশপ, রুবেলের সাইকেল গ্যারেজ এবং শাহ আলমের হার্ডওয়্যারের দোকান।

ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে আবারও শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।

ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’

আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতের চেয়েও কাজ না পাওয়ার কষ্ট বেশি

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।

মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’

আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’

ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনী সমঝোতা: এখনো হিসাব মেলাচ্ছে জামায়াত ও এনসিপি

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত