যশোর প্রতিনিধি

যশোরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছেন। তবে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার লাইন চোখে পড়েনি। এমনকি কিছুক্ষণ পরপর দু’একজন করে ভোটারকে ভোট দিতে আসতে দেখা গেছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেরই একই অবস্থা। এদিকে ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার না জানা ও আঙুলের ছাপ মেশিনে না মেলার কারণে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোটাররা।
নির্বাচন কমিশন ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৬ প্রার্থী। এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়ছেন তাঁরা। নিজ দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন ৮ জন। এর মধ্যে স্থানীয় সংসদ কাজী নাবিল আহমেদর সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন দোয়াত কলম প্রতীকের আনোয়ার হোসেন বিপুল।
জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সমর্থন নিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আনারস প্রতীক নিয়ে। শালিক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ এবং জোড়া ফুল প্রতীকে সমর্থন পেতে ছুটছেন সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম।
কাপ পিরিচ প্রতীক শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও ঘোড়া প্রতীক একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার। আর ভোটের মাঠে নামমাত্র আছেন হেলিকপ্টার প্রতীকের আরিফুল ইসলাম হীরা। এ ছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন।
সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও শহরের কয়েকটি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা উপস্থিতি বেড়েছে। সেটিও আশঙ্কাজনক নয়। পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। ইভিএমে ভোট দিতে এসে অনেকেই ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
শহরের মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ ভোট দিতে আসেন রুমা রায়। কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে আঙুলের ছাপ না মেলায় বিপাকে পড়েন। তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষণ থেকে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারিনি। এখন ন্যাশনাল আইডি কার্ড আনতে যাচ্ছি।’
বেজপাড়া থেকে আসা গোবিন্দ নাথ নামে আরেক ভোটার বলেন, ‘মেশিনে তো খুব সমস্যা হচ্ছে, কাজ করছে না। কী সমস্যা হচ্ছে। জানতে চাইলে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, ‘এই কেন্দ্রের সবাই নারী ভোটার। তারা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। মাছ কাটাসহ বিভিন্ন কাজ করার কারণে তাদের অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না। তাই বারবার মেশিনে চাপ দিতে হচ্ছে। এ কারণে ভোটগ্রহণ বিলম্ব হচ্ছে।’
বেলা ১২টার দিকে যশোর জিলা স্কুলে গিয়ে কোনো ভোটারের লাইন দেখা যায়নি। দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশ মাঠে বেঞ্চে বসে সময় কাটাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে দু’একজন আসছেন তাঁরা ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মখলেচুর রহমান বলেন, ‘জিলা স্কুলের পুরুষ কেন্দ্রে দুই হাজার ৭৯০ ভোটার। বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৭০ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোটারের উপস্থিতি কম। অনেকের হাতের আঙুলের ছাপ না মেলাতে দেরি হচ্ছে। তবে সবাই ভোট দিয়েই যাচ্ছেন।’
সদরের শীলা রায় চৌধুরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এস এম আশিক আজমেদ বলেন, ’ এই কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৩৯৭। ভোট গ্রহণের প্রথম দুই ঘণ্টাতে ২১৩ ভোট পড়ে। কিছুক্ষণ লোডশেডিং হলে একটি কক্ষে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আধা ঘণ্টা পর অন্য মেশিন দিয়ে আবারও ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে ইভিএমের সমস্যা হলেও সেটা তেমনভাবে বোঝা যাচ্ছে না।’
সদরের ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের ২১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ভোটার ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৮৯। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৪ হাজার ৭৩০, মহিলা ৩ লাখ ৩ হাজার ৫২ ও হিজড়া ৭ জন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৩ হাজার ৩৫০ আনসার সদস্য, ২ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের চারটি টিম দায়িত্ব পালন করছে। সেই সঙ্গে নিয়োজিত রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
আঙুলের ছাপ না মেলার বিষয়ে তিনি বলেন, বয়স্কদের আঙুলের রেখা মুছে যাওয়ার কারণে এই সমস্যার তৈরি হয়েছে। তবে একাধিকবার চেষ্টার পর অনেকের ভোট হয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বয়স্ক ভোটারদের ভোট নিশ্চিতের চেষ্টা করার ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।’

যশোরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছেন। তবে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার লাইন চোখে পড়েনি। এমনকি কিছুক্ষণ পরপর দু’একজন করে ভোটারকে ভোট দিতে আসতে দেখা গেছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেরই একই অবস্থা। এদিকে ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার না জানা ও আঙুলের ছাপ মেশিনে না মেলার কারণে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোটাররা।
নির্বাচন কমিশন ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৬ প্রার্থী। এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়ছেন তাঁরা। নিজ দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন ৮ জন। এর মধ্যে স্থানীয় সংসদ কাজী নাবিল আহমেদর সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন দোয়াত কলম প্রতীকের আনোয়ার হোসেন বিপুল।
জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সমর্থন নিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আনারস প্রতীক নিয়ে। শালিক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ এবং জোড়া ফুল প্রতীকে সমর্থন পেতে ছুটছেন সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম।
কাপ পিরিচ প্রতীক শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও ঘোড়া প্রতীক একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার। আর ভোটের মাঠে নামমাত্র আছেন হেলিকপ্টার প্রতীকের আরিফুল ইসলাম হীরা। এ ছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন।
সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও শহরের কয়েকটি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা উপস্থিতি বেড়েছে। সেটিও আশঙ্কাজনক নয়। পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। ইভিএমে ভোট দিতে এসে অনেকেই ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
শহরের মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ ভোট দিতে আসেন রুমা রায়। কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে আঙুলের ছাপ না মেলায় বিপাকে পড়েন। তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষণ থেকে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারিনি। এখন ন্যাশনাল আইডি কার্ড আনতে যাচ্ছি।’
বেজপাড়া থেকে আসা গোবিন্দ নাথ নামে আরেক ভোটার বলেন, ‘মেশিনে তো খুব সমস্যা হচ্ছে, কাজ করছে না। কী সমস্যা হচ্ছে। জানতে চাইলে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, ‘এই কেন্দ্রের সবাই নারী ভোটার। তারা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। মাছ কাটাসহ বিভিন্ন কাজ করার কারণে তাদের অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না। তাই বারবার মেশিনে চাপ দিতে হচ্ছে। এ কারণে ভোটগ্রহণ বিলম্ব হচ্ছে।’
বেলা ১২টার দিকে যশোর জিলা স্কুলে গিয়ে কোনো ভোটারের লাইন দেখা যায়নি। দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশ মাঠে বেঞ্চে বসে সময় কাটাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে দু’একজন আসছেন তাঁরা ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মখলেচুর রহমান বলেন, ‘জিলা স্কুলের পুরুষ কেন্দ্রে দুই হাজার ৭৯০ ভোটার। বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৭০ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোটারের উপস্থিতি কম। অনেকের হাতের আঙুলের ছাপ না মেলাতে দেরি হচ্ছে। তবে সবাই ভোট দিয়েই যাচ্ছেন।’
সদরের শীলা রায় চৌধুরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এস এম আশিক আজমেদ বলেন, ’ এই কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৩৯৭। ভোট গ্রহণের প্রথম দুই ঘণ্টাতে ২১৩ ভোট পড়ে। কিছুক্ষণ লোডশেডিং হলে একটি কক্ষে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আধা ঘণ্টা পর অন্য মেশিন দিয়ে আবারও ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে ইভিএমের সমস্যা হলেও সেটা তেমনভাবে বোঝা যাচ্ছে না।’
সদরের ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের ২১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ভোটার ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৮৯। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৪ হাজার ৭৩০, মহিলা ৩ লাখ ৩ হাজার ৫২ ও হিজড়া ৭ জন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৩ হাজার ৩৫০ আনসার সদস্য, ২ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের চারটি টিম দায়িত্ব পালন করছে। সেই সঙ্গে নিয়োজিত রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
আঙুলের ছাপ না মেলার বিষয়ে তিনি বলেন, বয়স্কদের আঙুলের রেখা মুছে যাওয়ার কারণে এই সমস্যার তৈরি হয়েছে। তবে একাধিকবার চেষ্টার পর অনেকের ভোট হয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বয়স্ক ভোটারদের ভোট নিশ্চিতের চেষ্টা করার ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।’
যশোর প্রতিনিধি

যশোরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছেন। তবে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার লাইন চোখে পড়েনি। এমনকি কিছুক্ষণ পরপর দু’একজন করে ভোটারকে ভোট দিতে আসতে দেখা গেছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেরই একই অবস্থা। এদিকে ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার না জানা ও আঙুলের ছাপ মেশিনে না মেলার কারণে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোটাররা।
নির্বাচন কমিশন ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৬ প্রার্থী। এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়ছেন তাঁরা। নিজ দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন ৮ জন। এর মধ্যে স্থানীয় সংসদ কাজী নাবিল আহমেদর সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন দোয়াত কলম প্রতীকের আনোয়ার হোসেন বিপুল।
জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সমর্থন নিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আনারস প্রতীক নিয়ে। শালিক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ এবং জোড়া ফুল প্রতীকে সমর্থন পেতে ছুটছেন সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম।
কাপ পিরিচ প্রতীক শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও ঘোড়া প্রতীক একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার। আর ভোটের মাঠে নামমাত্র আছেন হেলিকপ্টার প্রতীকের আরিফুল ইসলাম হীরা। এ ছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন।
সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও শহরের কয়েকটি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা উপস্থিতি বেড়েছে। সেটিও আশঙ্কাজনক নয়। পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। ইভিএমে ভোট দিতে এসে অনেকেই ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
শহরের মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ ভোট দিতে আসেন রুমা রায়। কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে আঙুলের ছাপ না মেলায় বিপাকে পড়েন। তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষণ থেকে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারিনি। এখন ন্যাশনাল আইডি কার্ড আনতে যাচ্ছি।’
বেজপাড়া থেকে আসা গোবিন্দ নাথ নামে আরেক ভোটার বলেন, ‘মেশিনে তো খুব সমস্যা হচ্ছে, কাজ করছে না। কী সমস্যা হচ্ছে। জানতে চাইলে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, ‘এই কেন্দ্রের সবাই নারী ভোটার। তারা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। মাছ কাটাসহ বিভিন্ন কাজ করার কারণে তাদের অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না। তাই বারবার মেশিনে চাপ দিতে হচ্ছে। এ কারণে ভোটগ্রহণ বিলম্ব হচ্ছে।’
বেলা ১২টার দিকে যশোর জিলা স্কুলে গিয়ে কোনো ভোটারের লাইন দেখা যায়নি। দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশ মাঠে বেঞ্চে বসে সময় কাটাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে দু’একজন আসছেন তাঁরা ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মখলেচুর রহমান বলেন, ‘জিলা স্কুলের পুরুষ কেন্দ্রে দুই হাজার ৭৯০ ভোটার। বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৭০ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোটারের উপস্থিতি কম। অনেকের হাতের আঙুলের ছাপ না মেলাতে দেরি হচ্ছে। তবে সবাই ভোট দিয়েই যাচ্ছেন।’
সদরের শীলা রায় চৌধুরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এস এম আশিক আজমেদ বলেন, ’ এই কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৩৯৭। ভোট গ্রহণের প্রথম দুই ঘণ্টাতে ২১৩ ভোট পড়ে। কিছুক্ষণ লোডশেডিং হলে একটি কক্ষে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আধা ঘণ্টা পর অন্য মেশিন দিয়ে আবারও ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে ইভিএমের সমস্যা হলেও সেটা তেমনভাবে বোঝা যাচ্ছে না।’
সদরের ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের ২১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ভোটার ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৮৯। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৪ হাজার ৭৩০, মহিলা ৩ লাখ ৩ হাজার ৫২ ও হিজড়া ৭ জন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৩ হাজার ৩৫০ আনসার সদস্য, ২ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের চারটি টিম দায়িত্ব পালন করছে। সেই সঙ্গে নিয়োজিত রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
আঙুলের ছাপ না মেলার বিষয়ে তিনি বলেন, বয়স্কদের আঙুলের রেখা মুছে যাওয়ার কারণে এই সমস্যার তৈরি হয়েছে। তবে একাধিকবার চেষ্টার পর অনেকের ভোট হয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বয়স্ক ভোটারদের ভোট নিশ্চিতের চেষ্টা করার ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।’

যশোরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছেন। তবে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার লাইন চোখে পড়েনি। এমনকি কিছুক্ষণ পরপর দু’একজন করে ভোটারকে ভোট দিতে আসতে দেখা গেছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেরই একই অবস্থা। এদিকে ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার না জানা ও আঙুলের ছাপ মেশিনে না মেলার কারণে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোটাররা।
নির্বাচন কমিশন ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১৬ প্রার্থী। এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়ছেন তাঁরা। নিজ দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন ৮ জন। এর মধ্যে স্থানীয় সংসদ কাজী নাবিল আহমেদর সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন দোয়াত কলম প্রতীকের আনোয়ার হোসেন বিপুল।
জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সমর্থন নিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আনারস প্রতীক নিয়ে। শালিক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ এবং জোড়া ফুল প্রতীকে সমর্থন পেতে ছুটছেন সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম।
কাপ পিরিচ প্রতীক শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও ঘোড়া প্রতীক একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার। আর ভোটের মাঠে নামমাত্র আছেন হেলিকপ্টার প্রতীকের আরিফুল ইসলাম হীরা। এ ছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন।
সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও শহরের কয়েকটি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা উপস্থিতি বেড়েছে। সেটিও আশঙ্কাজনক নয়। পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। ইভিএমে ভোট দিতে এসে অনেকেই ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
শহরের মধুসূদন তারাপ্রসন্ন বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ ভোট দিতে আসেন রুমা রায়। কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে আঙুলের ছাপ না মেলায় বিপাকে পড়েন। তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষণ থেকে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারিনি। এখন ন্যাশনাল আইডি কার্ড আনতে যাচ্ছি।’
বেজপাড়া থেকে আসা গোবিন্দ নাথ নামে আরেক ভোটার বলেন, ‘মেশিনে তো খুব সমস্যা হচ্ছে, কাজ করছে না। কী সমস্যা হচ্ছে। জানতে চাইলে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, ‘এই কেন্দ্রের সবাই নারী ভোটার। তারা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। মাছ কাটাসহ বিভিন্ন কাজ করার কারণে তাদের অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না। তাই বারবার মেশিনে চাপ দিতে হচ্ছে। এ কারণে ভোটগ্রহণ বিলম্ব হচ্ছে।’
বেলা ১২টার দিকে যশোর জিলা স্কুলে গিয়ে কোনো ভোটারের লাইন দেখা যায়নি। দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশ মাঠে বেঞ্চে বসে সময় কাটাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে দু’একজন আসছেন তাঁরা ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মখলেচুর রহমান বলেন, ‘জিলা স্কুলের পুরুষ কেন্দ্রে দুই হাজার ৭৯০ ভোটার। বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৭০ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোটারের উপস্থিতি কম। অনেকের হাতের আঙুলের ছাপ না মেলাতে দেরি হচ্ছে। তবে সবাই ভোট দিয়েই যাচ্ছেন।’
সদরের শীলা রায় চৌধুরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এস এম আশিক আজমেদ বলেন, ’ এই কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৩৯৭। ভোট গ্রহণের প্রথম দুই ঘণ্টাতে ২১৩ ভোট পড়ে। কিছুক্ষণ লোডশেডিং হলে একটি কক্ষে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আধা ঘণ্টা পর অন্য মেশিন দিয়ে আবারও ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে ইভিএমের সমস্যা হলেও সেটা তেমনভাবে বোঝা যাচ্ছে না।’
সদরের ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের ২১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। মোট ভোটার ৬ লাখ ৭ হাজার ৭৮৯। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৪ হাজার ৭৩০, মহিলা ৩ লাখ ৩ হাজার ৫২ ও হিজড়া ৭ জন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৩ হাজার ৩৫০ আনসার সদস্য, ২ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য, ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের চারটি টিম দায়িত্ব পালন করছে। সেই সঙ্গে নিয়োজিত রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
আঙুলের ছাপ না মেলার বিষয়ে তিনি বলেন, বয়স্কদের আঙুলের রেখা মুছে যাওয়ার কারণে এই সমস্যার তৈরি হয়েছে। তবে একাধিকবার চেষ্টার পর অনেকের ভোট হয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বয়স্ক ভোটারদের ভোট নিশ্চিতের চেষ্টা করার ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।’

একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ‘অফিস দখল’কে কেন্দ্র করে জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. মাসুম ও ফাহিম খান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দক্ষিণখান ফায়দাবাদ এলাকা থেকে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩ ঘণ্টা আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৩ ঘণ্টা আগেমেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা

একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা। দুই আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনটি ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল। ২০০৮ সালের পর থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের হাতে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন জহুরুল ইসলাম। এনসিপি থেকে আলোচনায় আছেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা ফারুক এহসান। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) প্রার্থী হতে পারেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তৌহিদ হোসেন। ২০ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন অফিস ঘোষিত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, এখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৭১ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫০৩ জন।
মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গা শহরে বাইপাস সড়ক, আলমডাঙ্গায় বড় হাসপাতাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করব। শিল্পকারখানা গড়ে তুলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা এই অঞ্চলের অবকাঠামো, ব্যবসা-বাণিজ্য, শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্তদের জন্য একটি গ্যারান্টি হবে। ধানের শীষ বিজয়ী হলে আধুনিক ও জনবান্ধব মডেল শহর গড়ে তুলব।’
অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর মানুষ সন্ত্রাসমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, জনগণের এই তিন প্রত্যাশায় ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা প্রস্তুত। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ১৯৯১ সালে জামায়াতের টিকিটে নির্বাচিত হন হাবিবুর রহমান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন হাজী মো. মোজাম্মেল হক। ২০০৮ সাল থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান সজীব। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে আলোচনায় আছেন শেখ সেলিম। আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩১ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৩ জন।
মাহমুদ হাসান খান বাবু ব্যবসায়ী নেতা হওয়ায় এলাকায় তাঁর যাতায়াত অপেক্ষাকৃত কম। তবে ভোটকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতের রুহুল আমিন আগে থেকেই এলাকায় সক্রিয়। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, এখানে বিএনপি ও জামায়াত দুই দলের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে।
মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘জেলার উন্নয়নে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা, প্রতি উপজেলায় ৫০ শয্যার হাসপাতালগুলোকে ২০০ শয্যা করার বিষয়ে আমরা কাজ করব। বেকারত্ব দূরীকরণে দলীয় কর্মসূচির আলোকে কাজ করব।’
জামায়াতের রুহুল আমিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছি। মানুষের জন্য কাজ করেছি। নির্বাচনের জন্য আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। আমাদের প্রত্যাশা, এবার বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন হবে।’

একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা। দুই আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনটি ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল। ২০০৮ সালের পর থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের হাতে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন জহুরুল ইসলাম। এনসিপি থেকে আলোচনায় আছেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মোল্লা ফারুক এহসান। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) প্রার্থী হতে পারেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তৌহিদ হোসেন। ২০ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন অফিস ঘোষিত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, এখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৭১ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫০৩ জন।
মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গা শহরে বাইপাস সড়ক, আলমডাঙ্গায় বড় হাসপাতাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করব। শিল্পকারখানা গড়ে তুলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা এই অঞ্চলের অবকাঠামো, ব্যবসা-বাণিজ্য, শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্তদের জন্য একটি গ্যারান্টি হবে। ধানের শীষ বিজয়ী হলে আধুনিক ও জনবান্ধব মডেল শহর গড়ে তুলব।’
অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর মানুষ সন্ত্রাসমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, জনগণের এই তিন প্রত্যাশায় ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা প্রস্তুত। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ১৯৯১ সালে জামায়াতের টিকিটে নির্বাচিত হন হাবিবুর রহমান। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন হাজী মো. মোজাম্মেল হক। ২০০৮ সাল থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান সজীব। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে আলোচনায় আছেন শেখ সেলিম। আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩১ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৩ জন।
মাহমুদ হাসান খান বাবু ব্যবসায়ী নেতা হওয়ায় এলাকায় তাঁর যাতায়াত অপেক্ষাকৃত কম। তবে ভোটকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতের রুহুল আমিন আগে থেকেই এলাকায় সক্রিয়। সাধারণ ভোটাররা বলছেন, এখানে বিএনপি ও জামায়াত দুই দলের মধ্যে শক্ত লড়াই হবে।
মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘জেলার উন্নয়নে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা, প্রতি উপজেলায় ৫০ শয্যার হাসপাতালগুলোকে ২০০ শয্যা করার বিষয়ে আমরা কাজ করব। বেকারত্ব দূরীকরণে দলীয় কর্মসূচির আলোকে কাজ করব।’
জামায়াতের রুহুল আমিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছি। মানুষের জন্য কাজ করেছি। নির্বাচনের জন্য আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। আমাদের প্রত্যাশা, এবার বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন হবে।’

যশোরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছেন। তবে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
০৫ জুন ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় ‘অফিস দখল’কে কেন্দ্র করে জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. মাসুম ও ফাহিম খান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দক্ষিণখান ফায়দাবাদ এলাকা থেকে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩ ঘণ্টা আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৩ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় ‘অফিস দখল’কে কেন্দ্র করে জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. মাসুম ও ফাহিম খান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দক্ষিণখান ফায়দাবাদ এলাকা থেকে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলসের অফিসে সংগঠনটির প্রস্তাবিত সহসংগঠক ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও সদস্য মো. ইয়াসিনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই ইউসুফ আলী রেদওয়ান বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জুলাই রেভেলসের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দক্ষিণখান থেকে মাসুম ও ফাহিম নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারের অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাই রেভেলসের সদস্যদের ওপর হামলার ‘মূল হোতা’ উত্তরা পূর্ব থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ। নেপথ্যে রয়েছে, জুলাই রেভেলস অফিসটি দখল। জানা গেছে, উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের জুলাই রেভেলসের বর্তমান অফিসটি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে উত্তরা পূর্ব থানা শ্রমিক লীগের অফিস ছিল। সেটি নিয়ন্ত্রণ করত সন্ত্রাসী আলতাফ ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ। তিনি দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।
৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আলতাফ ও তাঁর নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। এই সুযোগে শ্রমিক লীগের অফিসটি দখল করে ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও তাঁর সংগঠনের লোকজন। পরে ওই অফিসে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি টাঙিয়ে জুলাই রেভেলস নামের একটি সংগঠন করা হয়।
জানা যায়, সম্প্রতি আলতাফ ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ উত্তরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আঁতাত করে প্রকাশ্যে আসেন। সেই সঙ্গে শ্রমিক লীগের অফিসটি দখল করে গড়া জুলাই রেভেলসের অফিসটি খালি করে দিতে বলেন। কিন্তু রেদওয়ান ও তাঁর সংগঠনের লোকজন এতে নারাজ ছিল; যা নিয়ে আলতাফ ও রেদওয়ানের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরেই আলতাফ ও তাঁর সহযোগীরা রেদওয়ানকে কুপিয়ে জখম করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোর্শেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের আগে এক কক্ষের অফিসটি ছিল শ্রমিক লীগের। শ্রমিক লীগের সেই অফিস দখল করে জুলাই রেভেলসের কার্যালয় করা হয়েছে। এদিকে শ্রমিক লীগের আলতাফ বিএনপির লোকজনের সঙ্গে মিল দিয়ে প্রকাশ্যে এসে ওই অফিস ফেরত চেয়েছিল। কিন্তু জুলাই রেভেলসের সদস্যরা সেটি না দেওয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
ওসি আরও জানান, আহত রেদওয়ান বাদী হয়ে আলতাফকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মাসুম ও ফাহিমও এজাহারভুক্ত আসামি।

রাজধানীর উত্তরায় ‘অফিস দখল’কে কেন্দ্র করে জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. মাসুম ও ফাহিম খান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দক্ষিণখান ফায়দাবাদ এলাকা থেকে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলসের অফিসে সংগঠনটির প্রস্তাবিত সহসংগঠক ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও সদস্য মো. ইয়াসিনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই ইউসুফ আলী রেদওয়ান বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জুলাই রেভেলসের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দক্ষিণখান থেকে মাসুম ও ফাহিম নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারের অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাই রেভেলসের সদস্যদের ওপর হামলার ‘মূল হোতা’ উত্তরা পূর্ব থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ। নেপথ্যে রয়েছে, জুলাই রেভেলস অফিসটি দখল। জানা গেছে, উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের জুলাই রেভেলসের বর্তমান অফিসটি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে উত্তরা পূর্ব থানা শ্রমিক লীগের অফিস ছিল। সেটি নিয়ন্ত্রণ করত সন্ত্রাসী আলতাফ ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ। তিনি দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।
৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আলতাফ ও তাঁর নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। এই সুযোগে শ্রমিক লীগের অফিসটি দখল করে ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও তাঁর সংগঠনের লোকজন। পরে ওই অফিসে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি টাঙিয়ে জুলাই রেভেলস নামের একটি সংগঠন করা হয়।
জানা যায়, সম্প্রতি আলতাফ ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ উত্তরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আঁতাত করে প্রকাশ্যে আসেন। সেই সঙ্গে শ্রমিক লীগের অফিসটি দখল করে গড়া জুলাই রেভেলসের অফিসটি খালি করে দিতে বলেন। কিন্তু রেদওয়ান ও তাঁর সংগঠনের লোকজন এতে নারাজ ছিল; যা নিয়ে আলতাফ ও রেদওয়ানের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরেই আলতাফ ও তাঁর সহযোগীরা রেদওয়ানকে কুপিয়ে জখম করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোর্শেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের আগে এক কক্ষের অফিসটি ছিল শ্রমিক লীগের। শ্রমিক লীগের সেই অফিস দখল করে জুলাই রেভেলসের কার্যালয় করা হয়েছে। এদিকে শ্রমিক লীগের আলতাফ বিএনপির লোকজনের সঙ্গে মিল দিয়ে প্রকাশ্যে এসে ওই অফিস ফেরত চেয়েছিল। কিন্তু জুলাই রেভেলসের সদস্যরা সেটি না দেওয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
ওসি আরও জানান, আহত রেদওয়ান বাদী হয়ে আলতাফকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মাসুম ও ফাহিমও এজাহারভুক্ত আসামি।

যশোরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছেন। তবে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
০৫ জুন ২০২৪
একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
৪ মিনিট আগে
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩ ঘণ্টা আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৩ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার এক বিএডিসির সারের ডিলার অবৈধ উপায়ে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর এলাকার তাওহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ডিএপি ১১ বস্তা ও এমওপি ৯ বস্তা সার বিক্রি করেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএডিসি সার ডিলার মডার্ন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইকবাল বিশ্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে সার কেনার অপরাধে ক্রেতা তাওহীদ হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার এক বিএডিসির সারের ডিলার অবৈধ উপায়ে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর এলাকার তাওহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ডিএপি ১১ বস্তা ও এমওপি ৯ বস্তা সার বিক্রি করেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএডিসি সার ডিলার মডার্ন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইকবাল বিশ্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে সার কেনার অপরাধে ক্রেতা তাওহীদ হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

যশোরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছেন। তবে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
০৫ জুন ২০২৪
একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ‘অফিস দখল’কে কেন্দ্র করে জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. মাসুম ও ফাহিম খান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দক্ষিণখান ফায়দাবাদ এলাকা থেকে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানতে চাইলে বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তাঁর ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
নাসরিনের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানতে চাইলে বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তাঁর ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
নাসরিনের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

যশোরে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছেন। তবে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
০৫ জুন ২০২৪
একসময় চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই ছিল বিএনপির আধিপত্য। আগামী নির্বাচনেও দৃশ্যত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে এগিয়ে বিএনপি। তবে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে দলটিকে। সেখানে দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় ‘অফিস দখল’কে কেন্দ্র করে জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. মাসুম ও ফাহিম খান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দক্ষিণখান ফায়দাবাদ এলাকা থেকে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৩ ঘণ্টা আগে