Ajker Patrika

মাছ না পেয়ে হতাশা নিয়ে পাড়ে ফিরছেন জেলেরা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
মাছ না পেয়ে হতাশা নিয়ে পাড়ে ফিরছেন জেলেরা

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত সোমবার মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে পদ্মায় নেমেছেন জেলেরা। তবে আশানুরূপ মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয় তাঁদের। রুপালি ইলিশের পাশাপাশি নদীতে নানা ধরনের মাছ শিকারে জন্য নামেন তারা। তবে কোনো মাছ তাঁদের জালে আটকা পরছে না বলে জানিয়েছেন জেলেরা। 

এ দিকে উপজেলা মৎস্য বিভাগ বলছে, নদীতে হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় এমনটি হতে পারে। তা ছাড়া নদীর পানি কোনো কারণে বিষাক্ত হয়ে পড়ে এমনটি হতে পারে। 

জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা পদ্মা নদীতে জাল ফেলে ইলিশ মাছের পাশাপাশি নদীর কোনো মাছ না পাওয়ায় হতাশ জেলেরা। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা, উপজেলার আড়তে জেলেরা মাছ বিক্রি করে থাকেন। তবে নদীতে মাছ না পাওয়ায় সেসব জায়গায় এখন আর মাছ দিতে পারছেন না তাঁরা। 

উপজেলার ফিলিপনগর, চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর ও মরিচা ইউনিয়নের পদ্মার ঘাটে রোববার সকালে গিয়ে দেখা যায়, রাতভর নৌকা নিয়ে নদীতে জাল ফেলে খালি হাতে পাড়ে ফিরছেন জেলেরা। জালে ধরা পড়েছে মাত্র কয়েকটি জাটকা ইলিশ ও নদীর কিছু ছোট মাছ। 

মাছ না পেয়ে নদীর পাড়ে ফিরে আসছে মাছ ধরা নৌকাএ বিষয়ে মরিচা ইউনিয়নের জেলে আমিরুল জানান, গত কয়েক বছরে পদ্মায় ইলিশের এমন আকাল দেখা যায়নি। এর আগে নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ জালে ধরা পড়েছে। কিন্তু এ কয়দিন ইলিশ তো দূরের কথা নদীর কোনো কিছুর দেখা মিলছে না। 

ফিলিপনগর ইউনিয়নের মমিন নামে আরেক জেলে বলেন, এবার আর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য মাছও পাওয়া যাচ্ছে না আগের মতো। এখন খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। 

ফিলিপনগর ইউনিয়নের এক মাছ বিক্রেতা আলাউদ্দিন উদ্দিন বলেন, তিনি কয়েক দিন ধরে নদীতে মাছ কিনতে আসেন। তবে পরিমাণ মতো মাছ না থাকায় তিনি মাছ কিনে বাজারে যেতে পারছেন না। এখন এ রকম চলতে থাকলে পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা দায় হয়ে যাবে। 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম বলেন, সাগর থেকে মা ইলিশ স্রোতে উজানে ডিম ছাড়ার জন্য নদীতে আসে ডিম ছাড়া হয়ে গেলে আবার ফিরে যায়। তা ছাড়া নদীতে মাছের পরি মান কমে গেলেও এমনটি হতে পারে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...