Ajker Patrika

‘অবসরের টাকাটা পেলে বাকি জীবন ভালোভাবে চলতে পারতাম’

আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ৫৯
‘অবসরের টাকাটা পেলে বাকি জীবন ভালোভাবে চলতে পারতাম’

শিক্ষকতা পেশা শেষ হয়েছে প্রায় চার বছর আগে। এখনো পাননি অবসর ভাতার টাকা। সংসার চালাতে ওষুধের দোকানে কাজ করেন অমিয় কুমার বিশ্বাস। সেখান থেকে প্রতিদিন পান ৫০ টাকা। এতে অসুস্থ স্ত্রীর ওষুধপত্র কিনে সংসার চলে না তাঁর। অমিয় বলেন, ‘অবসরের টাকাটা পেলে বাকি জীবন ভালোভাবে চলতে পারতাম।’ 

আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’। দিবসটি সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অমিয় কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে। 

যশোরের ঝিকরগাছা সরকারি বহুমুখী (এমএল) মডেল হাই স্কুল থেকে ২০২০ সালে অমিয় কুমার বিশ্বাস অবসরে যান। ২০ বছর তিনি এই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) পদে চাকরি করেছেন। শিক্ষকতার বয়স শেষ হওয়ার পরপরই অমিয় সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করে অবসর ভাতা ও কল্যাণ ফান্ডের টাকা পেতে আবেদন করেন। বছর দু-এক পর কল্যাণ ফান্ডের লাখ তিনেক টাকা পেলেও অবসর ভাতার টাকার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেও সুফল মিলছে না। 

অমিয় কুমার ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগরের নিতাই বিশ্বাসের ছেলে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। ১৯৭৫ সালে এমএল মডেল হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৭৮ সালে শহীদ মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে যশোর সরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। এরপর প্রায় এক যুগ বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। পরে তিনি ঝিকরগাছা সরকারি বহুমুখী (এমএল) মডেল হাই স্কুলের ভকেশনাল শাখায় সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল পদে) পদে যোগ দেন। 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অমিয় কুমার বাবার সম্পদ হিসেবে পান বসতভিটার দুই শতক জমি। কর্মজীবনের শুরুতেই স্ত্রী উত্তরা বিশ্বাস হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। ওই সময় স্ত্রীর হার্টে একটি অস্ত্রোপচার করতে হয়। পরে স্ত্রীর প্রতিদিনের ওষুধ কেনা ও সংসার চালাতে মাসিক বেতন-ভাতার টাকা সঞ্চয় করার সুযোগ হয়নি। তাঁদের দাম্পত্যে একমাত্র ছেলেসন্তান রয়েছে। তিনি মামার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করেন। অমিয়র স্ত্রীর হার্টে আরও একটি অস্ত্রোপচার করতে হয়। এসব কারণে কর্মজীবনের শেষে এসে সঞ্চয়শূন্য হয়েছেন তিনি। 

এদিকে, অমিয় কুমার ২০২০ সালে ঝিকরগাছা সরকারি বহুমুখী (এমএল) মডেল হাইস্কুল থেকে অবসরে গেলেও ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণে গেজেটভুক্ত হয়। কিন্তু তখন পর্যন্ত শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণে গেজেটভুক্ত হয়নি। এতে ২০২০ সালে অমিয় কুমার বিশ্বাস বেসরকারি শিক্ষক হিসেবে অবসরে যান। 

ঝিকরগাছা বাজারের একটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দোকানে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে অমিয় কুমার বিশ্বাসের বিভিন্ন কষ্টের কথা। তিনি এই হোমিওপ্যাথিকের দোকানে প্রতিদিন বিকেলে বসেন। প্রতিদিন পান ৫০ টাকা করে। অবশ্য সেখান থেকে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সহযোগিতাও পান। এই ৫০ টাকা দিয়ে যেখানে খাবার জোগাড় করা কষ্টকর, সেখানে মাছ-মাংসের কথা ভাবা দুঃস্বপ্নের মতো বিষয় বলে জানান অমিয়। 

অমিয় কুমার বলেন, ‘এখন যা আয় হয় তা দিয়ে চলতে হয়, তবে মাঝেমধ্যে স্বল্প পরিমাণ মাছ কিনলেও মাংসটা কেনার সক্ষমতা থাকে না বেশি সময়। অবসর ভাতার টাকাটা পেলে তা দিয়ে হয়তো বাকি জীবনটা আরেকটু ভালোভাবে চলতে পারতাম।’ 

কৃষ্ণনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী দেশসেরা শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘অমিয় স্যার অবসরের টাকা না পাওয়ায় খুব অনটনের মধ্যে জীবন যাপন করেন। টাকাটা পেলে তাঁর কষ্ট দূর হতো।’ 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আগে সাধারণত তিন-চার বছর বা এরও বেশি সময় লাগত। বিষয়টি জানিয়ে আমরা অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছি, খুব শিগগির হয়তো টাকা পেয়ে যাবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না’

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।

এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’

প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’

তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষকের ঘরে ১২ ফুট লম্বা গাঁজার গাছ, আটক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।

পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জেলে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত