Ajker Patrika

ঝিকরগাছায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

­ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরের ঝিকরগাছায় বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আশাদুল হক আশা (৪০) নামের একজন বিএনপি কর্মী গুরুতর আহত হন। কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার ছুটিপুর বাজারের জামতলা মোড়ে এই সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আশাদুল হককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতে তিনি মারা যান।

আশাদুল হক বালিয়া গ্রামের মৃত আতাউল হকের ছেলে। এ ঘটনায় তাঁর বড় ভাই মহিদুল ইসলামকে আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ এজাহারনামীয় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ওলিয়ার, সাহাঙ্গীর, রাকিব, জনাব আলী, আরব আলী ও আহমেদ আলী। তাঁদের বাড়ি ছুটিপুর, কাগমারী, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায়।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাড়ি বিক্রি করে আশাদুল হক আশা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। গত ৫ এপ্রিল তিনি ওমান থেকে এলাকায় ফেরেন। শনিবার বিকেলে জামতলা মোড় স্থানীয় বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বাজারে মহড়া দেন আশা ও তাঁর ভাই মহিদুল। এ সময় বিপ্লব নামের একজনের নেতৃত্বে বিএনপির অপর একটি পক্ষ তাঁদের বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী মহিদুল ইসলামের ছেলে শান্ত ইসলাম বলেন, ‘ছুটিপুর বাজারে জামতলা মোড়ে আমার বাবা ও চাচাকে মোহন, নসু, বিপ্লব, সাদ্দামসহ পাঁচজন মিলে কুপিয়ে আহত করেন। পরে অভিযুক্তরা তাঁদের ভ্যানের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে পাঠান।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামতলা বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুই পক্ষের উত্তেজনা চলছে। এ ঘটনার জের ধরেই এ সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড ঘটে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত ব্যক্তির পরিবার একটি মামলা করেছে। পুলিশ এজাহারনামীয় ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত

হোসেনপুর সংবাদদাতাকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
নিহত আনোয়ার। ছবি: সংগৃহীত
নিহত আনোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।/

নিহত আনোয়ার জেলার হোসেনপুর উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের আলমাস খানের বড় ছেলে। নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী প্রবাসী শফিক জানান, দুই মাস পর আনোয়ারের দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল।

গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. চান মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নিহত আনোয়ার ১০-১২ বছর আগে সৌদি আরবে গেছেন। সেখানে ফ্রি ভিসায় কাজ করতেন তিনি। গতকাল রাতে তাঁর পরিবার মৃত্যুর খবর পায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের মনিরামপুরের বাড়িতে মাতম

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৫
নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিলাপ করছেন স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে বিলাপ করছেন স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।

নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।

নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।

নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে আগুনে কিশোরের মৃত্যু, পুড়েছে ৫ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

চাঁদপুর প্রতিনিধি
দোকানের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দোকানের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাহার বাজারে জয়নালের মুদিদোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইমাম হোসেনের ফার্মেসি, নজরুল ইসলামের মাছের খাদ্যের দোকান, জহিরের ওয়ার্কশপ, রুবেলের সাইকেল গ্যারেজ এবং শাহ আলমের হার্ডওয়্যারের দোকান।

ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে আবারও শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।

ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’

আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত