রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুরে ২০ টাকায় টিকিট কেটে চায়না ম্যান্ডারিন জাতের বাহারি কমলাবাগান ঘুরে দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে প্রতিদিন। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার উপচে পড়া ভিড়। সারি সারি চায়না কমলায় ভরপুর বাগান দেখে বিমোহিত দর্শনার্থীরা। উদ্যোক্তারাও বেশ আনন্দে আছেন মানুষের এমন আগ্রহে।
উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে মিশ্র বাগানে চাষ করা হয়েছে ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং জাতের কমলা। চার উদ্যোক্তা মিলে এখানে এই মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এই বাগানেই রয়েছে অন্তত ১০ জাতের আম, ড্রাগন, বল সুন্দরী বরইসহ বেশ কিছু ফলের গাছ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে মানুষের নজর আটকায় হলুদ টসটসে ম্যান্ডারিন কমলার থোকায়।
গতকাল শনিবার বিকেলে বাগান ঘুরে দারুণ কমলার দেখা মিলেছে। সারি করে লাগানো কমলার চারার ফাঁক দিয়ে হাঁটার পথ রয়েছে। তিন বছর আগে রোপণ করা কমলার চারাগুলো এখন প্রাপ্তবয়স্ক। প্রায় সব গাছে কমলা ধরেছে। কোনো গাছে খুব বেশি কমলা এসেছে। একসঙ্গে ডালে ডালে ঝুলে আছে অসংখ্য ম্যান্ডারিন জাতের হলুদ কাঁচা রঙের বাহারি কমলা। গাছে গাছে ঝুলছে রসে টইটম্বুর পাকা কমলার থোকা। বাগান ঘুরে দেখার সুযোগে ক্রেতাদের মধ্যে ভিন্ন একটা আনন্দ দেখা গেছে।
স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কমলাবাগানে এসে দেখি অসাধারণ সুন্দর। বাগানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। আমাদের এই মাটিতে এত সুন্দর বাগান করেছে। উনার মাধ্যমে আরও বেশি কৃষক উৎসাহিত হবে।’
ঢাকা থেকে আসা দর্শনার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘গত বছর অনলাইনে দেখার পর বাগান পরিদর্শনে আসি। সে সময় কমলা পাইনি। এ বছর স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসলাম। খুবই সুন্দর লাগছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর কমলা।’

দর্শনার্থী লিপি বলেন, ‘বাগানে এসে কমলা দেখতে পারলাম। অনেক ভালো লাগছে। এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। বিক্রি শুরু হলে কিনতে আসব।’
দর্শনার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সবাইকে নিয়ে কমলা বাগান পরিদর্শনে এসেছি। আমাদের শ্রীপুরে এমন একটি পরিবেশে বিভিন্ন জেলার মানুষ আসছে। এতে আমাদের অনেক আনন্দ হচ্ছে।’
কমলাবাগানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা মো. সবুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এই বাগানে ১০০টি দার্জিলিং কমলা ও ১০০টি চায়না ম্যান্ডারিন জাতের চারা রোপণ করা হয়েছিল। মাওলানা অলিউল্লাহ বাইজিদ, ফারুক আহমেদ, আব্দুল মতিন ও আইনুল হক মিলে ২০২১ সালে বাগানটি শুরু করেন। পরে তাঁরা এই বাগানের নাম রাখেন তাওয়াক্কালনা ফ্রুট অ্যান্ড অ্যাগ্রো লিমিটেড।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এই বাগানে দুই জাতের কমলা রয়েছে। চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা। এ ছাড়াও বিভিন্ন জাতের আম, বল সুন্দরী বরই, সফেদা, জাম্বুরা ও ড্রাগন ফল চাষ করা হয়েছে।’

সবুজ মিয়া বলেন, ‘১৫ দিন ধরে অনেক দর্শনার্থী কমলা বাগানে আসছেন। চায়না ম্যান্ডারিন কমলাগাছের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ গাছে আশানুরূপ ফলন এসেছে। দর্শনার্থীরা বাগান ঘুরে দেখছেন, ছবি তুলছেন। বেশ ভালো লাগছে মানুষের আগ্রহ দেখে।’
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, ‘ব্যক্তি উদ্যোগে চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা চাষে চার উদ্যোক্তা বেশ সফল হয়েছেন। তাঁদের বাগানের কমলার মান চমৎকার। কমলা আকার ও রঙে খুবই সুন্দর হয়েছে। তাঁদের এমন সাফল্য অন্যদের আগ্রহী করবে কমলা চাষে।’
সুমাইয়া সুলতানা আরও বলেন, ‘শ্রীপুরে অন্তত ৮ হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হচ্ছে। আমাদের এই আবহাওয়া চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা চাষে বেশ উপযোগী। কমলার আকার, রং ও স্বাদে চমৎকার হয়। আমরা কৃষদের উদ্বুদ্ধ করছি কমলা চাষে। এতে লাভও পাবে কৃষক। সতেজ ও পরিপক্ব কমলা পেতে ক্রেতারা বাগান থেকে কমলা নিতে পারেন উপযুক্ত দামে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে ২০ টাকায় টিকিট কেটে চায়না ম্যান্ডারিন জাতের বাহারি কমলাবাগান ঘুরে দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে প্রতিদিন। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার উপচে পড়া ভিড়। সারি সারি চায়না কমলায় ভরপুর বাগান দেখে বিমোহিত দর্শনার্থীরা। উদ্যোক্তারাও বেশ আনন্দে আছেন মানুষের এমন আগ্রহে।
উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে মিশ্র বাগানে চাষ করা হয়েছে ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং জাতের কমলা। চার উদ্যোক্তা মিলে এখানে এই মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এই বাগানেই রয়েছে অন্তত ১০ জাতের আম, ড্রাগন, বল সুন্দরী বরইসহ বেশ কিছু ফলের গাছ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে মানুষের নজর আটকায় হলুদ টসটসে ম্যান্ডারিন কমলার থোকায়।
গতকাল শনিবার বিকেলে বাগান ঘুরে দারুণ কমলার দেখা মিলেছে। সারি করে লাগানো কমলার চারার ফাঁক দিয়ে হাঁটার পথ রয়েছে। তিন বছর আগে রোপণ করা কমলার চারাগুলো এখন প্রাপ্তবয়স্ক। প্রায় সব গাছে কমলা ধরেছে। কোনো গাছে খুব বেশি কমলা এসেছে। একসঙ্গে ডালে ডালে ঝুলে আছে অসংখ্য ম্যান্ডারিন জাতের হলুদ কাঁচা রঙের বাহারি কমলা। গাছে গাছে ঝুলছে রসে টইটম্বুর পাকা কমলার থোকা। বাগান ঘুরে দেখার সুযোগে ক্রেতাদের মধ্যে ভিন্ন একটা আনন্দ দেখা গেছে।
স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কমলাবাগানে এসে দেখি অসাধারণ সুন্দর। বাগানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। আমাদের এই মাটিতে এত সুন্দর বাগান করেছে। উনার মাধ্যমে আরও বেশি কৃষক উৎসাহিত হবে।’
ঢাকা থেকে আসা দর্শনার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘গত বছর অনলাইনে দেখার পর বাগান পরিদর্শনে আসি। সে সময় কমলা পাইনি। এ বছর স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসলাম। খুবই সুন্দর লাগছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর কমলা।’

দর্শনার্থী লিপি বলেন, ‘বাগানে এসে কমলা দেখতে পারলাম। অনেক ভালো লাগছে। এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। বিক্রি শুরু হলে কিনতে আসব।’
দর্শনার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সবাইকে নিয়ে কমলা বাগান পরিদর্শনে এসেছি। আমাদের শ্রীপুরে এমন একটি পরিবেশে বিভিন্ন জেলার মানুষ আসছে। এতে আমাদের অনেক আনন্দ হচ্ছে।’
কমলাবাগানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা মো. সবুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এই বাগানে ১০০টি দার্জিলিং কমলা ও ১০০টি চায়না ম্যান্ডারিন জাতের চারা রোপণ করা হয়েছিল। মাওলানা অলিউল্লাহ বাইজিদ, ফারুক আহমেদ, আব্দুল মতিন ও আইনুল হক মিলে ২০২১ সালে বাগানটি শুরু করেন। পরে তাঁরা এই বাগানের নাম রাখেন তাওয়াক্কালনা ফ্রুট অ্যান্ড অ্যাগ্রো লিমিটেড।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এই বাগানে দুই জাতের কমলা রয়েছে। চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা। এ ছাড়াও বিভিন্ন জাতের আম, বল সুন্দরী বরই, সফেদা, জাম্বুরা ও ড্রাগন ফল চাষ করা হয়েছে।’

সবুজ মিয়া বলেন, ‘১৫ দিন ধরে অনেক দর্শনার্থী কমলা বাগানে আসছেন। চায়না ম্যান্ডারিন কমলাগাছের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ গাছে আশানুরূপ ফলন এসেছে। দর্শনার্থীরা বাগান ঘুরে দেখছেন, ছবি তুলছেন। বেশ ভালো লাগছে মানুষের আগ্রহ দেখে।’
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, ‘ব্যক্তি উদ্যোগে চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা চাষে চার উদ্যোক্তা বেশ সফল হয়েছেন। তাঁদের বাগানের কমলার মান চমৎকার। কমলা আকার ও রঙে খুবই সুন্দর হয়েছে। তাঁদের এমন সাফল্য অন্যদের আগ্রহী করবে কমলা চাষে।’
সুমাইয়া সুলতানা আরও বলেন, ‘শ্রীপুরে অন্তত ৮ হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হচ্ছে। আমাদের এই আবহাওয়া চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা চাষে বেশ উপযোগী। কমলার আকার, রং ও স্বাদে চমৎকার হয়। আমরা কৃষদের উদ্বুদ্ধ করছি কমলা চাষে। এতে লাভও পাবে কৃষক। সতেজ ও পরিপক্ব কমলা পেতে ক্রেতারা বাগান থেকে কমলা নিতে পারেন উপযুক্ত দামে।
রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুরে ২০ টাকায় টিকিট কেটে চায়না ম্যান্ডারিন জাতের বাহারি কমলাবাগান ঘুরে দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে প্রতিদিন। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার উপচে পড়া ভিড়। সারি সারি চায়না কমলায় ভরপুর বাগান দেখে বিমোহিত দর্শনার্থীরা। উদ্যোক্তারাও বেশ আনন্দে আছেন মানুষের এমন আগ্রহে।
উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে মিশ্র বাগানে চাষ করা হয়েছে ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং জাতের কমলা। চার উদ্যোক্তা মিলে এখানে এই মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এই বাগানেই রয়েছে অন্তত ১০ জাতের আম, ড্রাগন, বল সুন্দরী বরইসহ বেশ কিছু ফলের গাছ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে মানুষের নজর আটকায় হলুদ টসটসে ম্যান্ডারিন কমলার থোকায়।
গতকাল শনিবার বিকেলে বাগান ঘুরে দারুণ কমলার দেখা মিলেছে। সারি করে লাগানো কমলার চারার ফাঁক দিয়ে হাঁটার পথ রয়েছে। তিন বছর আগে রোপণ করা কমলার চারাগুলো এখন প্রাপ্তবয়স্ক। প্রায় সব গাছে কমলা ধরেছে। কোনো গাছে খুব বেশি কমলা এসেছে। একসঙ্গে ডালে ডালে ঝুলে আছে অসংখ্য ম্যান্ডারিন জাতের হলুদ কাঁচা রঙের বাহারি কমলা। গাছে গাছে ঝুলছে রসে টইটম্বুর পাকা কমলার থোকা। বাগান ঘুরে দেখার সুযোগে ক্রেতাদের মধ্যে ভিন্ন একটা আনন্দ দেখা গেছে।
স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কমলাবাগানে এসে দেখি অসাধারণ সুন্দর। বাগানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। আমাদের এই মাটিতে এত সুন্দর বাগান করেছে। উনার মাধ্যমে আরও বেশি কৃষক উৎসাহিত হবে।’
ঢাকা থেকে আসা দর্শনার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘গত বছর অনলাইনে দেখার পর বাগান পরিদর্শনে আসি। সে সময় কমলা পাইনি। এ বছর স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসলাম। খুবই সুন্দর লাগছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর কমলা।’

দর্শনার্থী লিপি বলেন, ‘বাগানে এসে কমলা দেখতে পারলাম। অনেক ভালো লাগছে। এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। বিক্রি শুরু হলে কিনতে আসব।’
দর্শনার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সবাইকে নিয়ে কমলা বাগান পরিদর্শনে এসেছি। আমাদের শ্রীপুরে এমন একটি পরিবেশে বিভিন্ন জেলার মানুষ আসছে। এতে আমাদের অনেক আনন্দ হচ্ছে।’
কমলাবাগানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা মো. সবুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এই বাগানে ১০০টি দার্জিলিং কমলা ও ১০০টি চায়না ম্যান্ডারিন জাতের চারা রোপণ করা হয়েছিল। মাওলানা অলিউল্লাহ বাইজিদ, ফারুক আহমেদ, আব্দুল মতিন ও আইনুল হক মিলে ২০২১ সালে বাগানটি শুরু করেন। পরে তাঁরা এই বাগানের নাম রাখেন তাওয়াক্কালনা ফ্রুট অ্যান্ড অ্যাগ্রো লিমিটেড।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এই বাগানে দুই জাতের কমলা রয়েছে। চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা। এ ছাড়াও বিভিন্ন জাতের আম, বল সুন্দরী বরই, সফেদা, জাম্বুরা ও ড্রাগন ফল চাষ করা হয়েছে।’

সবুজ মিয়া বলেন, ‘১৫ দিন ধরে অনেক দর্শনার্থী কমলা বাগানে আসছেন। চায়না ম্যান্ডারিন কমলাগাছের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ গাছে আশানুরূপ ফলন এসেছে। দর্শনার্থীরা বাগান ঘুরে দেখছেন, ছবি তুলছেন। বেশ ভালো লাগছে মানুষের আগ্রহ দেখে।’
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, ‘ব্যক্তি উদ্যোগে চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা চাষে চার উদ্যোক্তা বেশ সফল হয়েছেন। তাঁদের বাগানের কমলার মান চমৎকার। কমলা আকার ও রঙে খুবই সুন্দর হয়েছে। তাঁদের এমন সাফল্য অন্যদের আগ্রহী করবে কমলা চাষে।’
সুমাইয়া সুলতানা আরও বলেন, ‘শ্রীপুরে অন্তত ৮ হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হচ্ছে। আমাদের এই আবহাওয়া চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা চাষে বেশ উপযোগী। কমলার আকার, রং ও স্বাদে চমৎকার হয়। আমরা কৃষদের উদ্বুদ্ধ করছি কমলা চাষে। এতে লাভও পাবে কৃষক। সতেজ ও পরিপক্ব কমলা পেতে ক্রেতারা বাগান থেকে কমলা নিতে পারেন উপযুক্ত দামে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে ২০ টাকায় টিকিট কেটে চায়না ম্যান্ডারিন জাতের বাহারি কমলাবাগান ঘুরে দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে প্রতিদিন। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার উপচে পড়া ভিড়। সারি সারি চায়না কমলায় ভরপুর বাগান দেখে বিমোহিত দর্শনার্থীরা। উদ্যোক্তারাও বেশ আনন্দে আছেন মানুষের এমন আগ্রহে।
উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে মিশ্র বাগানে চাষ করা হয়েছে ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং জাতের কমলা। চার উদ্যোক্তা মিলে এখানে এই মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এই বাগানেই রয়েছে অন্তত ১০ জাতের আম, ড্রাগন, বল সুন্দরী বরইসহ বেশ কিছু ফলের গাছ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে মানুষের নজর আটকায় হলুদ টসটসে ম্যান্ডারিন কমলার থোকায়।
গতকাল শনিবার বিকেলে বাগান ঘুরে দারুণ কমলার দেখা মিলেছে। সারি করে লাগানো কমলার চারার ফাঁক দিয়ে হাঁটার পথ রয়েছে। তিন বছর আগে রোপণ করা কমলার চারাগুলো এখন প্রাপ্তবয়স্ক। প্রায় সব গাছে কমলা ধরেছে। কোনো গাছে খুব বেশি কমলা এসেছে। একসঙ্গে ডালে ডালে ঝুলে আছে অসংখ্য ম্যান্ডারিন জাতের হলুদ কাঁচা রঙের বাহারি কমলা। গাছে গাছে ঝুলছে রসে টইটম্বুর পাকা কমলার থোকা। বাগান ঘুরে দেখার সুযোগে ক্রেতাদের মধ্যে ভিন্ন একটা আনন্দ দেখা গেছে।
স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কমলাবাগানে এসে দেখি অসাধারণ সুন্দর। বাগানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। আমাদের এই মাটিতে এত সুন্দর বাগান করেছে। উনার মাধ্যমে আরও বেশি কৃষক উৎসাহিত হবে।’
ঢাকা থেকে আসা দর্শনার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘গত বছর অনলাইনে দেখার পর বাগান পরিদর্শনে আসি। সে সময় কমলা পাইনি। এ বছর স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসলাম। খুবই সুন্দর লাগছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর কমলা।’

দর্শনার্থী লিপি বলেন, ‘বাগানে এসে কমলা দেখতে পারলাম। অনেক ভালো লাগছে। এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। বিক্রি শুরু হলে কিনতে আসব।’
দর্শনার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সবাইকে নিয়ে কমলা বাগান পরিদর্শনে এসেছি। আমাদের শ্রীপুরে এমন একটি পরিবেশে বিভিন্ন জেলার মানুষ আসছে। এতে আমাদের অনেক আনন্দ হচ্ছে।’
কমলাবাগানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা মো. সবুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এই বাগানে ১০০টি দার্জিলিং কমলা ও ১০০টি চায়না ম্যান্ডারিন জাতের চারা রোপণ করা হয়েছিল। মাওলানা অলিউল্লাহ বাইজিদ, ফারুক আহমেদ, আব্দুল মতিন ও আইনুল হক মিলে ২০২১ সালে বাগানটি শুরু করেন। পরে তাঁরা এই বাগানের নাম রাখেন তাওয়াক্কালনা ফ্রুট অ্যান্ড অ্যাগ্রো লিমিটেড।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এই বাগানে দুই জাতের কমলা রয়েছে। চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা। এ ছাড়াও বিভিন্ন জাতের আম, বল সুন্দরী বরই, সফেদা, জাম্বুরা ও ড্রাগন ফল চাষ করা হয়েছে।’

সবুজ মিয়া বলেন, ‘১৫ দিন ধরে অনেক দর্শনার্থী কমলা বাগানে আসছেন। চায়না ম্যান্ডারিন কমলাগাছের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ গাছে আশানুরূপ ফলন এসেছে। দর্শনার্থীরা বাগান ঘুরে দেখছেন, ছবি তুলছেন। বেশ ভালো লাগছে মানুষের আগ্রহ দেখে।’
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, ‘ব্যক্তি উদ্যোগে চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা চাষে চার উদ্যোক্তা বেশ সফল হয়েছেন। তাঁদের বাগানের কমলার মান চমৎকার। কমলা আকার ও রঙে খুবই সুন্দর হয়েছে। তাঁদের এমন সাফল্য অন্যদের আগ্রহী করবে কমলা চাষে।’
সুমাইয়া সুলতানা আরও বলেন, ‘শ্রীপুরে অন্তত ৮ হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হচ্ছে। আমাদের এই আবহাওয়া চায়না ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা চাষে বেশ উপযোগী। কমলার আকার, রং ও স্বাদে চমৎকার হয়। আমরা কৃষদের উদ্বুদ্ধ করছি কমলা চাষে। এতে লাভও পাবে কৃষক। সতেজ ও পরিপক্ব কমলা পেতে ক্রেতারা বাগান থেকে কমলা নিতে পারেন উপযুক্ত দামে।

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২৩ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে মিশ্র বাগানে চাষ করা হয়েছে ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং জাতের কমলা। চার উদ্যোক্তা মিলে এখানে এই মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এই বাগানে রয়েছে অন্তত ১০ জাতের আম, ড্রাগন, বল সুন্দরী বরইসহ বেশ কিছু ফলের গাছ।
৫ দিন আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে মিশ্র বাগানে চাষ করা হয়েছে ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং জাতের কমলা। চার উদ্যোক্তা মিলে এখানে এই মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এই বাগানে রয়েছে অন্তত ১০ জাতের আম, ড্রাগন, বল সুন্দরী বরইসহ বেশ কিছু ফলের গাছ।
৫ দিন আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে মিশ্র বাগানে চাষ করা হয়েছে ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং জাতের কমলা। চার উদ্যোক্তা মিলে এখানে এই মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এই বাগানে রয়েছে অন্তত ১০ জাতের আম, ড্রাগন, বল সুন্দরী বরইসহ বেশ কিছু ফলের গাছ।
৫ দিন আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২৩ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে মিশ্র বাগানে চাষ করা হয়েছে ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং জাতের কমলা। চার উদ্যোক্তা মিলে এখানে এই মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তোলেন। এই বাগানে রয়েছে অন্তত ১০ জাতের আম, ড্রাগন, বল সুন্দরী বরইসহ বেশ কিছু ফলের গাছ।
৫ দিন আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২৩ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে