ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শহরে গণসমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দ্রুত ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান।
কর্মসূচি থেকে বক্তারা শরীয়তপুর ও মাদারীপুরে বিভাগ বাস্তবায়নবিরোধী আন্দোলনকে ‘আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন’ এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।
‘ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণের’ ব্যানারে আজ সকাল ১০টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে গণসমাবেশ শুরু হয়। পরে বেলা ১১টায় পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড় ও হাসিবুল হাসান লাবলু সড়ক হয়ে পুনরায় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ডে উল্লেখ করা হয়, ‘ফরিদপুর বিভাগ নিয়ে টালবাহানা মানব না’, ‘ফরিদপুরের সাথে বৈষম্য মানি না, মানব না’, ‘ফরিদপুর বিভাগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে’।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ১৯৮৫ সালে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসা সাংবাদিক ও লেখক মফিজ ইমাম মিলন। তিনি বলেন, একসময় ফরিদপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল বরিশাল জেলা। ১৮৯৩ সালে বরিশালকে আলাদা করা হয়। সেই বরিশাল আজ বিভাগীয় শহর, ময়মনসিংহকে বিভাগ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক ফরিদপুরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা দল-মতনির্বিশেষে সকলে একসঙ্গে আন্দোলন করে যাব। যত দিন বিভাগ বাস্তবায়ন না হবে, তত দিন মাঠ ছাড়ব না।
ফরিদপুর উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ফরিদপুর বিভাগ ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন উন্নয়ন কমিটির নামে আমাদের যাত্রা শুরু ১৯৮৫ সাল থেকে। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে এসেছি। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এই সরকারের আমলে ফরিদপুর বিভাগের কার্যক্রম শুরু হবে। তাহলে ঐতিহাসিক ফরিদপুরের পুনঃমর্যাদা অধিষ্ঠিত হবে।’

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ফরিদপুরকে বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বঞ্চিত করেছিল। ফরিদপুরের বড় রিজিওনাল অফিসগুলো গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বিভাগবিরোধী আন্দোলন করছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে আন্দোলন করছে। এই সরকার তাদের ফাঁদে পড়ে বিভাগ বাস্তবায়ন না করলে কঠোর আন্দোলন করারও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী শহিদুল ইসলাম বাবুল। তিনি এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, ‘এ দাবি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দাবি নয়, এটা ফরিদপুরের ২৫ লাখ মানুষের দাবি। বাংলাদেশের ১০টি পুরোনো জেলার মধ্যে ফরিদপুর একটি। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু ফরিদপুর অবহেলায় রয়ে যায়। এই পুরোনো জেলা রাজনীতিতে, কৃষ্টিতে, সংস্কৃতিতে, জনসংখ্যা ও ভৌগোলিকভাবে পদ্মার এপারে ঢাকার সঙ্গে থাকার কোনো যুক্তি নেই।’
শহিদুল ইসলাম দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই সরকারের আমলে ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত দিতে হবে। এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ভাঙ্গা-ফরিদপুর সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ, দৌলতদিয়া-আরিচায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ জন্য তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য দেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল প্রতিনিধি, তরুণ সংগঠক ও শিক্ষার্থী নেতারা।

ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শহরে গণসমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দ্রুত ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান।
কর্মসূচি থেকে বক্তারা শরীয়তপুর ও মাদারীপুরে বিভাগ বাস্তবায়নবিরোধী আন্দোলনকে ‘আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন’ এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।
‘ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণের’ ব্যানারে আজ সকাল ১০টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে গণসমাবেশ শুরু হয়। পরে বেলা ১১টায় পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড় ও হাসিবুল হাসান লাবলু সড়ক হয়ে পুনরায় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ডে উল্লেখ করা হয়, ‘ফরিদপুর বিভাগ নিয়ে টালবাহানা মানব না’, ‘ফরিদপুরের সাথে বৈষম্য মানি না, মানব না’, ‘ফরিদপুর বিভাগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে’।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ১৯৮৫ সালে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসা সাংবাদিক ও লেখক মফিজ ইমাম মিলন। তিনি বলেন, একসময় ফরিদপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল বরিশাল জেলা। ১৮৯৩ সালে বরিশালকে আলাদা করা হয়। সেই বরিশাল আজ বিভাগীয় শহর, ময়মনসিংহকে বিভাগ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক ফরিদপুরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা দল-মতনির্বিশেষে সকলে একসঙ্গে আন্দোলন করে যাব। যত দিন বিভাগ বাস্তবায়ন না হবে, তত দিন মাঠ ছাড়ব না।
ফরিদপুর উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ফরিদপুর বিভাগ ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন উন্নয়ন কমিটির নামে আমাদের যাত্রা শুরু ১৯৮৫ সাল থেকে। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে এসেছি। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এই সরকারের আমলে ফরিদপুর বিভাগের কার্যক্রম শুরু হবে। তাহলে ঐতিহাসিক ফরিদপুরের পুনঃমর্যাদা অধিষ্ঠিত হবে।’

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ফরিদপুরকে বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বঞ্চিত করেছিল। ফরিদপুরের বড় রিজিওনাল অফিসগুলো গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বিভাগবিরোধী আন্দোলন করছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে আন্দোলন করছে। এই সরকার তাদের ফাঁদে পড়ে বিভাগ বাস্তবায়ন না করলে কঠোর আন্দোলন করারও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী শহিদুল ইসলাম বাবুল। তিনি এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, ‘এ দাবি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দাবি নয়, এটা ফরিদপুরের ২৫ লাখ মানুষের দাবি। বাংলাদেশের ১০টি পুরোনো জেলার মধ্যে ফরিদপুর একটি। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু ফরিদপুর অবহেলায় রয়ে যায়। এই পুরোনো জেলা রাজনীতিতে, কৃষ্টিতে, সংস্কৃতিতে, জনসংখ্যা ও ভৌগোলিকভাবে পদ্মার এপারে ঢাকার সঙ্গে থাকার কোনো যুক্তি নেই।’
শহিদুল ইসলাম দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই সরকারের আমলে ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত দিতে হবে। এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ভাঙ্গা-ফরিদপুর সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ, দৌলতদিয়া-আরিচায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ জন্য তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য দেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল প্রতিনিধি, তরুণ সংগঠক ও শিক্ষার্থী নেতারা।
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শহরে গণসমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দ্রুত ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান।
কর্মসূচি থেকে বক্তারা শরীয়তপুর ও মাদারীপুরে বিভাগ বাস্তবায়নবিরোধী আন্দোলনকে ‘আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন’ এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।
‘ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণের’ ব্যানারে আজ সকাল ১০টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে গণসমাবেশ শুরু হয়। পরে বেলা ১১টায় পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড় ও হাসিবুল হাসান লাবলু সড়ক হয়ে পুনরায় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ডে উল্লেখ করা হয়, ‘ফরিদপুর বিভাগ নিয়ে টালবাহানা মানব না’, ‘ফরিদপুরের সাথে বৈষম্য মানি না, মানব না’, ‘ফরিদপুর বিভাগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে’।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ১৯৮৫ সালে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসা সাংবাদিক ও লেখক মফিজ ইমাম মিলন। তিনি বলেন, একসময় ফরিদপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল বরিশাল জেলা। ১৮৯৩ সালে বরিশালকে আলাদা করা হয়। সেই বরিশাল আজ বিভাগীয় শহর, ময়মনসিংহকে বিভাগ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক ফরিদপুরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা দল-মতনির্বিশেষে সকলে একসঙ্গে আন্দোলন করে যাব। যত দিন বিভাগ বাস্তবায়ন না হবে, তত দিন মাঠ ছাড়ব না।
ফরিদপুর উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ফরিদপুর বিভাগ ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন উন্নয়ন কমিটির নামে আমাদের যাত্রা শুরু ১৯৮৫ সাল থেকে। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে এসেছি। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এই সরকারের আমলে ফরিদপুর বিভাগের কার্যক্রম শুরু হবে। তাহলে ঐতিহাসিক ফরিদপুরের পুনঃমর্যাদা অধিষ্ঠিত হবে।’

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ফরিদপুরকে বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বঞ্চিত করেছিল। ফরিদপুরের বড় রিজিওনাল অফিসগুলো গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বিভাগবিরোধী আন্দোলন করছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে আন্দোলন করছে। এই সরকার তাদের ফাঁদে পড়ে বিভাগ বাস্তবায়ন না করলে কঠোর আন্দোলন করারও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী শহিদুল ইসলাম বাবুল। তিনি এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, ‘এ দাবি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দাবি নয়, এটা ফরিদপুরের ২৫ লাখ মানুষের দাবি। বাংলাদেশের ১০টি পুরোনো জেলার মধ্যে ফরিদপুর একটি। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু ফরিদপুর অবহেলায় রয়ে যায়। এই পুরোনো জেলা রাজনীতিতে, কৃষ্টিতে, সংস্কৃতিতে, জনসংখ্যা ও ভৌগোলিকভাবে পদ্মার এপারে ঢাকার সঙ্গে থাকার কোনো যুক্তি নেই।’
শহিদুল ইসলাম দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই সরকারের আমলে ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত দিতে হবে। এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ভাঙ্গা-ফরিদপুর সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ, দৌলতদিয়া-আরিচায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ জন্য তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য দেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল প্রতিনিধি, তরুণ সংগঠক ও শিক্ষার্থী নেতারা।

ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শহরে গণসমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দ্রুত ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান।
কর্মসূচি থেকে বক্তারা শরীয়তপুর ও মাদারীপুরে বিভাগ বাস্তবায়নবিরোধী আন্দোলনকে ‘আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন’ এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।
‘ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণের’ ব্যানারে আজ সকাল ১০টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে গণসমাবেশ শুরু হয়। পরে বেলা ১১টায় পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড় ও হাসিবুল হাসান লাবলু সড়ক হয়ে পুনরায় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ডে উল্লেখ করা হয়, ‘ফরিদপুর বিভাগ নিয়ে টালবাহানা মানব না’, ‘ফরিদপুরের সাথে বৈষম্য মানি না, মানব না’, ‘ফরিদপুর বিভাগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে’।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ১৯৮৫ সালে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসা সাংবাদিক ও লেখক মফিজ ইমাম মিলন। তিনি বলেন, একসময় ফরিদপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল বরিশাল জেলা। ১৮৯৩ সালে বরিশালকে আলাদা করা হয়। সেই বরিশাল আজ বিভাগীয় শহর, ময়মনসিংহকে বিভাগ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক ফরিদপুরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা দল-মতনির্বিশেষে সকলে একসঙ্গে আন্দোলন করে যাব। যত দিন বিভাগ বাস্তবায়ন না হবে, তত দিন মাঠ ছাড়ব না।
ফরিদপুর উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ফরিদপুর বিভাগ ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন উন্নয়ন কমিটির নামে আমাদের যাত্রা শুরু ১৯৮৫ সাল থেকে। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে এসেছি। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এই সরকারের আমলে ফরিদপুর বিভাগের কার্যক্রম শুরু হবে। তাহলে ঐতিহাসিক ফরিদপুরের পুনঃমর্যাদা অধিষ্ঠিত হবে।’

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ফরিদপুরকে বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বঞ্চিত করেছিল। ফরিদপুরের বড় রিজিওনাল অফিসগুলো গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বিভাগবিরোধী আন্দোলন করছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে আন্দোলন করছে। এই সরকার তাদের ফাঁদে পড়ে বিভাগ বাস্তবায়ন না করলে কঠোর আন্দোলন করারও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৪ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী শহিদুল ইসলাম বাবুল। তিনি এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, ‘এ দাবি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দাবি নয়, এটা ফরিদপুরের ২৫ লাখ মানুষের দাবি। বাংলাদেশের ১০টি পুরোনো জেলার মধ্যে ফরিদপুর একটি। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু ফরিদপুর অবহেলায় রয়ে যায়। এই পুরোনো জেলা রাজনীতিতে, কৃষ্টিতে, সংস্কৃতিতে, জনসংখ্যা ও ভৌগোলিকভাবে পদ্মার এপারে ঢাকার সঙ্গে থাকার কোনো যুক্তি নেই।’
শহিদুল ইসলাম দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই সরকারের আমলে ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত দিতে হবে। এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ভাঙ্গা-ফরিদপুর সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ, দৌলতদিয়া-আরিচায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ জন্য তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য দেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সুশীল প্রতিনিধি, তরুণ সংগঠক ও শিক্ষার্থী নেতারা।

ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, আসলে কি বলব স্বাস্থ্য সেবাটা পুরাটাই একটা উদ্ভট উটের পিঠে চলতেছে। এ রকম মনে হয় আমার কাছে। হ্যাঁ আমি সাব সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত উঠে আসছি। সাব সেন্টারে দেখি যেকোনো ওষুধপত্র চুরি হয়ে যায়। সব জায়গায় দুর্নীতি, এসব চিন্তা-ভাবনা করে আমার আসলে কাজ করার আর মানসিকতাই নাই।
৪ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সেই সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে পাবনা আমলি আদালত-২-এর বিচারক তরিকুল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী আইনজীবী মোশফেকা জাহান কণিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির বাবা দুলাল মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদার রফিকের অধীনে মাদ্রাসা ভবনের নির্মাণকাজ করছিল আমার ছেলেসহ ছয়জন। কাজের সময় হঠাৎ বাঁশের মাচা ভেঙে পাঁচতলা ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় রাসেল। সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের বাঁধের পোল এলাকার একটি কবরস্থান থেকে পাঁচটি রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর কারণ জানালেন অব্যাহতি পাওয়া চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ। ঘটনার পরদিনই সামনে এসেছে কেন ১৭ বছরেও তিনি পদোন্নতি পাননি—তার পেছনের কারণগুলো।
এর আগে গতকাল শনিবার ডিজি হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ডা. ধনদেবের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় এবং অসদাচরণের অভিযোগে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয়।
ঘটনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. ধনদেব। তিনি অভিযোগ করেন, অব্যবস্থাপনা, মিসম্যানেজমেন্ট এবং কর্তৃপক্ষের অবহেলায় স্বাস্থ্যসেবা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে। বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা পুরোপুরি উদ্ভট এক উটের পিঠে চলছে। ২০১৩ সালে এমএস করেছি, কিন্তু অপারেশন করার সুযোগও পাইনি। ১৭ বছর পর গিয়ে সহকারী অধ্যাপক হলাম।’
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমরা সবসময় মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকি যে কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে আমি এখানে আছি। এ পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা বা কেউ কারো সঙ্গে মিসবিহেব করছেন, ক্যাজুয়ালটিতে ভাঙচুর হয়েছে বা কোনো কিছু এরকম হয়নি।
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমি খুব সুষ্ঠুভাবেই পরিচালনা করছি। আমাদের পরিচালক স্যার, সহকারী পরিচালক স্যার এবং ডেপুটি ডিরেক্টর স্যারের তত্ত্বাবধানে আমরা খুব সুন্দরভাবেই চালাচ্ছি। ডিজির কাছ থেকে গুরুজনের মতো ব্যবহার আশা করেছিলাম। কিন্তু তিনি এসে কী কী সমস্যা, সেগুলো জানতে না চেয়ে ভেতরে কেন টেবিল, এ নিয়ে কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি তিনবার উনাকে নাম বলার পরেও উনি আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলছিলেন। আমার কিন্তু চাকরি বেশিদিন নাই। আর এক বছর পরেই আমি পিআরএলে চলে যাব। আমি অনেক সিনিয়র ২০১৩-তে আমি এমএস করেছি, আমাকে ২০২৫-সহকারী অধ্যাপক বানাইলো। আমি জেনারেল সার্জারিতে অপারেশন থিয়েটারে হাসপাতালের ভেতরে কোনো অপারেশন করার সুযোগই পাইনি। সেই সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য হয়নি আমার। যেটাই হোক, এই যে প্রেক্ষাপট এটার জন্য দায়ী আমি মনে করি কর্তৃপক্ষের অবহেলা। মানে আমাদের এ রকম আরও ম্যানপাওয়ার আছে যেগুলো আমরা কাজে লাগাইতে ব্যর্থ। আমাদের সঠিক লোককে সঠিক জায়গায় কাজে আমরা দিতে পারি না।
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, আসলে কি বলব স্বাস্থ্য সেবাটা পুরাটাই একটা উদ্ভট উটের পিঠে চলতেছে। এ রকম মনে হয় আমার কাছে। হ্যাঁ আমি সাব সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত উঠে আসছি। সাব সেন্টারে দেখি যেকোনো ওষুধপত্র চুরি হয়ে যায়। সব জায়গায় দুর্নীতি, এসব চিন্তা-ভাবনা করে আমার আসলে কাজ করার আর মানসিকতাই নাই। আমি সাসপেনশন চাই। আমি সরকারি চাকরি করতে চাই না।
কেন পদোন্নতি পাননি ধনদেব বর্মণ?
ঘটনার পর অনুসন্ধানে জানা গেছে, পদোন্নতির নিয়ম মানেননি বলেই ডা. ধনদেব এত বছর পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি নিয়মিত বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) জমা দেননি। ফাউন্ডেশন ট্রেনিং সম্পন্ন করেননি। ডিপার্টমেন্টাল পরীক্ষা ও সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় অংশ নেননি। ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন করার সুবিধা পেতে তিনি নিজের পদোন্নতির আবেদনও দীর্ঘদিন করেননি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘ডা. ধনদেব পদোন্নতির কোনো ক্রাইটেরিয়া পূরণ করেননি। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি পদোন্নতি পাননি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে চলতি বছরের ২৯ জুলাই পদোন্নতি দিলে তিনি সহকারী অধ্যাপক হন।’

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর কারণ জানালেন অব্যাহতি পাওয়া চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ। ঘটনার পরদিনই সামনে এসেছে কেন ১৭ বছরেও তিনি পদোন্নতি পাননি—তার পেছনের কারণগুলো।
এর আগে গতকাল শনিবার ডিজি হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ডা. ধনদেবের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় এবং অসদাচরণের অভিযোগে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয়।
ঘটনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. ধনদেব। তিনি অভিযোগ করেন, অব্যবস্থাপনা, মিসম্যানেজমেন্ট এবং কর্তৃপক্ষের অবহেলায় স্বাস্থ্যসেবা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে। বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা পুরোপুরি উদ্ভট এক উটের পিঠে চলছে। ২০১৩ সালে এমএস করেছি, কিন্তু অপারেশন করার সুযোগও পাইনি। ১৭ বছর পর গিয়ে সহকারী অধ্যাপক হলাম।’
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমরা সবসময় মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকি যে কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে আমি এখানে আছি। এ পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা বা কেউ কারো সঙ্গে মিসবিহেব করছেন, ক্যাজুয়ালটিতে ভাঙচুর হয়েছে বা কোনো কিছু এরকম হয়নি।
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমি খুব সুষ্ঠুভাবেই পরিচালনা করছি। আমাদের পরিচালক স্যার, সহকারী পরিচালক স্যার এবং ডেপুটি ডিরেক্টর স্যারের তত্ত্বাবধানে আমরা খুব সুন্দরভাবেই চালাচ্ছি। ডিজির কাছ থেকে গুরুজনের মতো ব্যবহার আশা করেছিলাম। কিন্তু তিনি এসে কী কী সমস্যা, সেগুলো জানতে না চেয়ে ভেতরে কেন টেবিল, এ নিয়ে কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি তিনবার উনাকে নাম বলার পরেও উনি আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলছিলেন। আমার কিন্তু চাকরি বেশিদিন নাই। আর এক বছর পরেই আমি পিআরএলে চলে যাব। আমি অনেক সিনিয়র ২০১৩-তে আমি এমএস করেছি, আমাকে ২০২৫-সহকারী অধ্যাপক বানাইলো। আমি জেনারেল সার্জারিতে অপারেশন থিয়েটারে হাসপাতালের ভেতরে কোনো অপারেশন করার সুযোগই পাইনি। সেই সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য হয়নি আমার। যেটাই হোক, এই যে প্রেক্ষাপট এটার জন্য দায়ী আমি মনে করি কর্তৃপক্ষের অবহেলা। মানে আমাদের এ রকম আরও ম্যানপাওয়ার আছে যেগুলো আমরা কাজে লাগাইতে ব্যর্থ। আমাদের সঠিক লোককে সঠিক জায়গায় কাজে আমরা দিতে পারি না।
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, আসলে কি বলব স্বাস্থ্য সেবাটা পুরাটাই একটা উদ্ভট উটের পিঠে চলতেছে। এ রকম মনে হয় আমার কাছে। হ্যাঁ আমি সাব সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত উঠে আসছি। সাব সেন্টারে দেখি যেকোনো ওষুধপত্র চুরি হয়ে যায়। সব জায়গায় দুর্নীতি, এসব চিন্তা-ভাবনা করে আমার আসলে কাজ করার আর মানসিকতাই নাই। আমি সাসপেনশন চাই। আমি সরকারি চাকরি করতে চাই না।
কেন পদোন্নতি পাননি ধনদেব বর্মণ?
ঘটনার পর অনুসন্ধানে জানা গেছে, পদোন্নতির নিয়ম মানেননি বলেই ডা. ধনদেব এত বছর পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি নিয়মিত বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) জমা দেননি। ফাউন্ডেশন ট্রেনিং সম্পন্ন করেননি। ডিপার্টমেন্টাল পরীক্ষা ও সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় অংশ নেননি। ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন করার সুবিধা পেতে তিনি নিজের পদোন্নতির আবেদনও দীর্ঘদিন করেননি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘ডা. ধনদেব পদোন্নতির কোনো ক্রাইটেরিয়া পূরণ করেননি। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি পদোন্নতি পাননি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে চলতি বছরের ২৯ জুলাই পদোন্নতি দিলে তিনি সহকারী অধ্যাপক হন।’

ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শহরে গণসমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দ্রুত ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সেই সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে পাবনা আমলি আদালত-২-এর বিচারক তরিকুল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী আইনজীবী মোশফেকা জাহান কণিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির বাবা দুলাল মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদার রফিকের অধীনে মাদ্রাসা ভবনের নির্মাণকাজ করছিল আমার ছেলেসহ ছয়জন। কাজের সময় হঠাৎ বাঁশের মাচা ভেঙে পাঁচতলা ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় রাসেল। সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের বাঁধের পোল এলাকার একটি কবরস্থান থেকে পাঁচটি রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেপাবনা প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সেই সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে পাবনা আমলি আদালত-২-এর বিচারক তরিকুল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী আইনজীবী মোশফেকা জাহান কণিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোশফেকা জাহান কণিকা বলেন, ‘আজ আসামির জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। বিচারক শুনানি শেষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন। এটি জামিনযোগ্য অপরাধ হওয়ায় এবং নারী বিবেচনায় নিয়ে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। পরবর্তী হাজিরার তারিখ আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি।’
কণিকা আরও বলেন, ‘এখন মামলার তদন্ত হবে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হবে। আমরা যদি দেখি অভিযোগপত্র বা তদন্ত সঠিকভাবে হয়নি, তখন নারাজি আবেদনসহ পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেব। আমরা চাই তদন্ত সঠিকভাবে হোক।’
পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের (PAW) স্থানীয় প্রতিনিধি প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী হিসেবে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। সঠিক বিচারের জন্য ভবিষ্যতে মামলাটি চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রতিবাদ হলো নিষ্ঠুরতা বা হিংস্রতার বিরুদ্ধে; ওই আসামির বিরুদ্ধে নয়। নিষ্ঠুরতা ও হিংস্রতার বিরুদ্ধে একটা শাস্তি হলে অনেকেই সতর্ক হবে।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের কোনায় থাকত টম নামের একটি কুকুর। কয়েক দিন আগে টম আটটি বাচ্চা প্রসব করে। গত সোমবার সকাল থেকে তার ছানাগুলো না পেয়ে পাগলপ্রায় অবস্থায় ছোটাছুটি করতে দেখা যায় মা কুকুরকে।
পরে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা জানতে পারেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী জীবন্ত আটটি কুকুরছানাকে বস্তায় ভরে রোববার রাতের কোনো এক সময় ফেলে দেন উপজেলা পরিষদের পুকুরে। পরদিন সোমবার সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় কুকুরছানাগুলোর মরদেহ।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে নিশি রহমানকে আসামি দিয়ে থানায় একটি মামলা করেন। পরে রাতেই ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পরদিন বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন।

পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সেই সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে পাবনা আমলি আদালত-২-এর বিচারক তরিকুল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী আইনজীবী মোশফেকা জাহান কণিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোশফেকা জাহান কণিকা বলেন, ‘আজ আসামির জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। বিচারক শুনানি শেষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন। এটি জামিনযোগ্য অপরাধ হওয়ায় এবং নারী বিবেচনায় নিয়ে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। পরবর্তী হাজিরার তারিখ আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি।’
কণিকা আরও বলেন, ‘এখন মামলার তদন্ত হবে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হবে। আমরা যদি দেখি অভিযোগপত্র বা তদন্ত সঠিকভাবে হয়নি, তখন নারাজি আবেদনসহ পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেব। আমরা চাই তদন্ত সঠিকভাবে হোক।’
পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের (PAW) স্থানীয় প্রতিনিধি প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী হিসেবে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। সঠিক বিচারের জন্য ভবিষ্যতে মামলাটি চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রতিবাদ হলো নিষ্ঠুরতা বা হিংস্রতার বিরুদ্ধে; ওই আসামির বিরুদ্ধে নয়। নিষ্ঠুরতা ও হিংস্রতার বিরুদ্ধে একটা শাস্তি হলে অনেকেই সতর্ক হবে।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের কোনায় থাকত টম নামের একটি কুকুর। কয়েক দিন আগে টম আটটি বাচ্চা প্রসব করে। গত সোমবার সকাল থেকে তার ছানাগুলো না পেয়ে পাগলপ্রায় অবস্থায় ছোটাছুটি করতে দেখা যায় মা কুকুরকে।
পরে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা জানতে পারেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী জীবন্ত আটটি কুকুরছানাকে বস্তায় ভরে রোববার রাতের কোনো এক সময় ফেলে দেন উপজেলা পরিষদের পুকুরে। পরদিন সোমবার সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় কুকুরছানাগুলোর মরদেহ।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে নিশি রহমানকে আসামি দিয়ে থানায় একটি মামলা করেন। পরে রাতেই ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পরদিন বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন।

ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শহরে গণসমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দ্রুত ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, আসলে কি বলব স্বাস্থ্য সেবাটা পুরাটাই একটা উদ্ভট উটের পিঠে চলতেছে। এ রকম মনে হয় আমার কাছে। হ্যাঁ আমি সাব সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত উঠে আসছি। সাব সেন্টারে দেখি যেকোনো ওষুধপত্র চুরি হয়ে যায়। সব জায়গায় দুর্নীতি, এসব চিন্তা-ভাবনা করে আমার আসলে কাজ করার আর মানসিকতাই নাই।
৪ মিনিট আগে
নিহত ব্যক্তির বাবা দুলাল মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদার রফিকের অধীনে মাদ্রাসা ভবনের নির্মাণকাজ করছিল আমার ছেলেসহ ছয়জন। কাজের সময় হঠাৎ বাঁশের মাচা ভেঙে পাঁচতলা ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় রাসেল। সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের বাঁধের পোল এলাকার একটি কবরস্থান থেকে পাঁচটি রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বহুতল ভবনে নির্মাণকাজ করার সময় পাঁচতলা থেকে পড়ে মো. রাসেল নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াইদেরচালা গ্রামের জামিয়া আহমাদিয়া এতিমখানা মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নির্মাণশ্রমিক মো. রাসেল মিয়া (২৫) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার শালুয়াদী গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার ২ নম্বর সিঅ্যান্ডবি এলাকায় ভাড়া থেকে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
নিহত ব্যক্তির বাবা দুলাল মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদার রফিকের অধীনে মাদ্রাসা ভবনের নির্মাণকাজ করছিল আমার ছেলেসহ ছয়জন। কাজের সময় হঠাৎ বাঁশের মাচা ভেঙে পাঁচতলা ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় রাসেল। সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’
ঠিকাদার মো. রফিক বলেন, ‘বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ আমার তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। ছয়জন নির্মাণশ্রমিক কাজ করছিল। হঠাৎ একজন মাচা ভেঙে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। পরে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জামিয়া আহমাদিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি হুসাইন আহমাদ বলেন, কাজ করার সময় একজন শ্রমিক নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। খবর শুনে ছাত্র-শিক্ষকেরা এগিয়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা থানায় এসেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্তের জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বহুতল ভবনে নির্মাণকাজ করার সময় পাঁচতলা থেকে পড়ে মো. রাসেল নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াইদেরচালা গ্রামের জামিয়া আহমাদিয়া এতিমখানা মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নির্মাণশ্রমিক মো. রাসেল মিয়া (২৫) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার শালুয়াদী গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার ২ নম্বর সিঅ্যান্ডবি এলাকায় ভাড়া থেকে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
নিহত ব্যক্তির বাবা দুলাল মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদার রফিকের অধীনে মাদ্রাসা ভবনের নির্মাণকাজ করছিল আমার ছেলেসহ ছয়জন। কাজের সময় হঠাৎ বাঁশের মাচা ভেঙে পাঁচতলা ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় রাসেল। সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’
ঠিকাদার মো. রফিক বলেন, ‘বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ আমার তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। ছয়জন নির্মাণশ্রমিক কাজ করছিল। হঠাৎ একজন মাচা ভেঙে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। পরে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জামিয়া আহমাদিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি হুসাইন আহমাদ বলেন, কাজ করার সময় একজন শ্রমিক নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। খবর শুনে ছাত্র-শিক্ষকেরা এগিয়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা থানায় এসেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্তের জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শহরে গণসমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দ্রুত ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, আসলে কি বলব স্বাস্থ্য সেবাটা পুরাটাই একটা উদ্ভট উটের পিঠে চলতেছে। এ রকম মনে হয় আমার কাছে। হ্যাঁ আমি সাব সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত উঠে আসছি। সাব সেন্টারে দেখি যেকোনো ওষুধপত্র চুরি হয়ে যায়। সব জায়গায় দুর্নীতি, এসব চিন্তা-ভাবনা করে আমার আসলে কাজ করার আর মানসিকতাই নাই।
৪ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সেই সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে পাবনা আমলি আদালত-২-এর বিচারক তরিকুল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী আইনজীবী মোশফেকা জাহান কণিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের বাঁধের পোল এলাকার একটি কবরস্থান থেকে পাঁচটি রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের বাঁধের পোল এলাকার একটি কবরস্থান থেকে পাঁচটি রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে চন্দ্রগঞ্জ-বেগমগঞ্জ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অস্ত্র কেনাবেচা করছিল। সম্প্রতি চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। সেখানে ডিবি পুলিশের অভিযানে একটি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় এবারের অভিযান। তবে পুলিশ অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রগুলো কবরস্থানে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফয়েজুল আজীম নোমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অস্ত্রগুলো একেবারে নতুন। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের বাঁধের পোল এলাকার একটি কবরস্থান থেকে পাঁচটি রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে চন্দ্রগঞ্জ-বেগমগঞ্জ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অস্ত্র কেনাবেচা করছিল। সম্প্রতি চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। সেখানে ডিবি পুলিশের অভিযানে একটি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় এবারের অভিযান। তবে পুলিশ অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রগুলো কবরস্থানে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফয়েজুল আজীম নোমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি রাইফেল ও একটি এলজি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অস্ত্রগুলো একেবারে নতুন। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

ফরিদপুর বিভাগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে শহরে গণসমাবেশ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দ্রুত ফরিদপুর বিভাগ বাস্তবায়ন করার জোর দাবি জানান।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, আসলে কি বলব স্বাস্থ্য সেবাটা পুরাটাই একটা উদ্ভট উটের পিঠে চলতেছে। এ রকম মনে হয় আমার কাছে। হ্যাঁ আমি সাব সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত উঠে আসছি। সাব সেন্টারে দেখি যেকোনো ওষুধপত্র চুরি হয়ে যায়। সব জায়গায় দুর্নীতি, এসব চিন্তা-ভাবনা করে আমার আসলে কাজ করার আর মানসিকতাই নাই।
৪ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সেই সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে পাবনা আমলি আদালত-২-এর বিচারক তরিকুল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তাকারী আইনজীবী মোশফেকা জাহান কণিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
নিহত ব্যক্তির বাবা দুলাল মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদার রফিকের অধীনে মাদ্রাসা ভবনের নির্মাণকাজ করছিল আমার ছেলেসহ ছয়জন। কাজের সময় হঠাৎ বাঁশের মাচা ভেঙে পাঁচতলা ভবন থেকে নিচে পড়ে যায় রাসেল। সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তিরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।’
১ ঘণ্টা আগে