ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাফিয়াদের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। ওই চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে জানিয়েছেন সেই নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা।
শাকিল মিয়া বলেন, একই এলাকার মুকবুল ঠাকুর ওরফে মুকুল ঠাকুর ও জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নুরু উদ্দিনের ফাঁদে পড়ে গত জানুয়ারিতে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাত্রাপথে লিবিয়ায় কুমিল্লার বাসিন্দা শরিফ হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে দুই মাস ১৭ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, ওই চক্রের মূল হোতা কুমিল্লার শরিফুল হোসেন। যিনি মাফিয়া শরিফ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ত্রিপোলির জোয়াইন নামক এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল ‘গেম ঘর’। যেখানে বন্দী রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। শরিফের দলে রয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইমন (২৮), মাদারীপুরের রাজৈরের বিজয় তালুকদার (যিনি খান নামে পরিচিত), সিলেটের সোহাগ, ভৈরবের ইমন মোল্লা ও মুন্সি মো. কুদরতল্লাহ। এর মধ্যে বিজয় তালুকদার মুক্তিপণের টাকা ওঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
শাকিল মিয়া আরও বলেন, যাত্রাপথে তাঁকে দুবাই নিয়ে ২৫ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে দুই দিনের যাত্রা শেষে নেওয়া হয় ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে প্রায় অর্ধশত লোককে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর মুকুল ঠাকুরকে ফোনে বিষয়গুলো জানান। তিনি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন পরিবারের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর সেখানে প্রায় এক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া হতো এবং রাতে খিচুড়ির মতো কিছু খাবার দেওয়া হতো। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেগুলো খাইতাম।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এক ব্যক্তি এসে আমাদের প্রস্তুত হতে বলে। প্রায় ৪০ দিন পর আমাদের সাগরপারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫২ জনকে একটি নৌকায় ওঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিউনিসিয়ায় সাগরপারে গিয়ে বলে এটা ইতালি এবং নামতে বলা হয়। তখন দালালকে ফোন দিলে আমাদের ওপরে উঠতে বলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়ার পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। সেখানে এক দিন আটকে রেখে পরদিন লিবিয়া পুলিশের (মিলিশিয়া) হাতে তুলে দেয়। সেখানে পাঁচ দিন একটি রুমে আটকে রাখা হয়। ঠিকমতো খাবার দিত না, নোংরা পানি খেতে দিত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কান্না করতাম।’
দালাল চক্র ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আটজনকে: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘সেখান থেকে চার-পাঁচজনকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আমিসহ আটজনকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। রাত ১টার দিকে একটি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন এক মাফিয়া এসে জানতে চায় আমরা কার লোক। তখন আমি বলি নুরু ও মুকুলের লোক। তখন মাফিয়া জানায়, সবাইকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নুরু ও মুকুল।’
নিয়ম করে দুই বেলা নির্যাতন করা হতো: শাকিল বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে বলে। তখন বাড়িতে জানাই, দালালেরা আমারে বিক্রি করে দিছে। দুই দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা না দিলে আমাকে মাইরা ফেলবে। ওই মুহূর্তে আমার বাবার ফোন কেটে গেলে তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একজন চেয়ারে বসে থাকে এবং আটজন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িতে ফোনে কথা বলতে বলে। তাদের শেখানো কথা না বললে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। এভাবে অন্ধকার একটি রুমে প্রতিদিন দুই বেলা করে ১৭ দিন নির্যাতন করে আমাকে। এরপর আমার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে ওই অন্ধকার রুম থেকে আমাকে বের করে। তখন আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারতাম না।’
টাকা না দিলে কিডনি কেটে বিক্রি করা হতো: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘ওই গেম ঘরে তিন-চার শ জনকে আটকে রাখা হয়। আমার কক্ষে ২৫ জনকে আটকে নির্যাতন করা হয়। কারও বাড়ি থেকে টাকা না দিলে খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হতো। এরপর তাদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। এসব কিডনি স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করে মাফিয়ারা। তাতে অনেকে মারা যান।’
মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় মাদারীপুর থেকে: শাকিলের মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাদারীপুরের রাজৈর থানার কলাগাছিয়া নামক এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। টাকা আদায়ের সময় শাকিলের পাশে বসে তাঁর বাবাকে ভিডিও কল দিয়ে নির্দেশনা দেন বিজয় তালুকদার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিজমা বিক্রি করে, ধারদেনা করে একাই একটি ব্যাগে ভরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। প্রথমে আমাকে ভাঙ্গার গোলচত্বরে যেতে বলে। সেখান থেকে ফোনে মাদারীপুরের দিকে যেতে বলে। এরপর কলাগাছিয়া কলেজের পাশ দিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে বলে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি এক লোক মাঠের মধ্যে খেত কোপাচ্ছে। তার কিছু দূরে বোরকা পরা এক নারীকে দেখা যায়। এ সময় একটি তালগাছের নিচে টাকার ব্যাগ রাখতে বলে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে টাকা রেখে চলে আসি।’

ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাফিয়াদের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। ওই চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে জানিয়েছেন সেই নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা।
শাকিল মিয়া বলেন, একই এলাকার মুকবুল ঠাকুর ওরফে মুকুল ঠাকুর ও জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নুরু উদ্দিনের ফাঁদে পড়ে গত জানুয়ারিতে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাত্রাপথে লিবিয়ায় কুমিল্লার বাসিন্দা শরিফ হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে দুই মাস ১৭ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, ওই চক্রের মূল হোতা কুমিল্লার শরিফুল হোসেন। যিনি মাফিয়া শরিফ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ত্রিপোলির জোয়াইন নামক এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল ‘গেম ঘর’। যেখানে বন্দী রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। শরিফের দলে রয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইমন (২৮), মাদারীপুরের রাজৈরের বিজয় তালুকদার (যিনি খান নামে পরিচিত), সিলেটের সোহাগ, ভৈরবের ইমন মোল্লা ও মুন্সি মো. কুদরতল্লাহ। এর মধ্যে বিজয় তালুকদার মুক্তিপণের টাকা ওঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
শাকিল মিয়া আরও বলেন, যাত্রাপথে তাঁকে দুবাই নিয়ে ২৫ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে দুই দিনের যাত্রা শেষে নেওয়া হয় ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে প্রায় অর্ধশত লোককে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর মুকুল ঠাকুরকে ফোনে বিষয়গুলো জানান। তিনি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন পরিবারের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর সেখানে প্রায় এক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া হতো এবং রাতে খিচুড়ির মতো কিছু খাবার দেওয়া হতো। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেগুলো খাইতাম।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এক ব্যক্তি এসে আমাদের প্রস্তুত হতে বলে। প্রায় ৪০ দিন পর আমাদের সাগরপারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫২ জনকে একটি নৌকায় ওঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিউনিসিয়ায় সাগরপারে গিয়ে বলে এটা ইতালি এবং নামতে বলা হয়। তখন দালালকে ফোন দিলে আমাদের ওপরে উঠতে বলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়ার পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। সেখানে এক দিন আটকে রেখে পরদিন লিবিয়া পুলিশের (মিলিশিয়া) হাতে তুলে দেয়। সেখানে পাঁচ দিন একটি রুমে আটকে রাখা হয়। ঠিকমতো খাবার দিত না, নোংরা পানি খেতে দিত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কান্না করতাম।’
দালাল চক্র ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আটজনকে: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘সেখান থেকে চার-পাঁচজনকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আমিসহ আটজনকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। রাত ১টার দিকে একটি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন এক মাফিয়া এসে জানতে চায় আমরা কার লোক। তখন আমি বলি নুরু ও মুকুলের লোক। তখন মাফিয়া জানায়, সবাইকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নুরু ও মুকুল।’
নিয়ম করে দুই বেলা নির্যাতন করা হতো: শাকিল বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে বলে। তখন বাড়িতে জানাই, দালালেরা আমারে বিক্রি করে দিছে। দুই দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা না দিলে আমাকে মাইরা ফেলবে। ওই মুহূর্তে আমার বাবার ফোন কেটে গেলে তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একজন চেয়ারে বসে থাকে এবং আটজন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িতে ফোনে কথা বলতে বলে। তাদের শেখানো কথা না বললে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। এভাবে অন্ধকার একটি রুমে প্রতিদিন দুই বেলা করে ১৭ দিন নির্যাতন করে আমাকে। এরপর আমার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে ওই অন্ধকার রুম থেকে আমাকে বের করে। তখন আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারতাম না।’
টাকা না দিলে কিডনি কেটে বিক্রি করা হতো: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘ওই গেম ঘরে তিন-চার শ জনকে আটকে রাখা হয়। আমার কক্ষে ২৫ জনকে আটকে নির্যাতন করা হয়। কারও বাড়ি থেকে টাকা না দিলে খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হতো। এরপর তাদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। এসব কিডনি স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করে মাফিয়ারা। তাতে অনেকে মারা যান।’
মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় মাদারীপুর থেকে: শাকিলের মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাদারীপুরের রাজৈর থানার কলাগাছিয়া নামক এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। টাকা আদায়ের সময় শাকিলের পাশে বসে তাঁর বাবাকে ভিডিও কল দিয়ে নির্দেশনা দেন বিজয় তালুকদার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিজমা বিক্রি করে, ধারদেনা করে একাই একটি ব্যাগে ভরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। প্রথমে আমাকে ভাঙ্গার গোলচত্বরে যেতে বলে। সেখান থেকে ফোনে মাদারীপুরের দিকে যেতে বলে। এরপর কলাগাছিয়া কলেজের পাশ দিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে বলে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি এক লোক মাঠের মধ্যে খেত কোপাচ্ছে। তার কিছু দূরে বোরকা পরা এক নারীকে দেখা যায়। এ সময় একটি তালগাছের নিচে টাকার ব্যাগ রাখতে বলে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে টাকা রেখে চলে আসি।’
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাফিয়াদের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। ওই চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে জানিয়েছেন সেই নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা।
শাকিল মিয়া বলেন, একই এলাকার মুকবুল ঠাকুর ওরফে মুকুল ঠাকুর ও জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নুরু উদ্দিনের ফাঁদে পড়ে গত জানুয়ারিতে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাত্রাপথে লিবিয়ায় কুমিল্লার বাসিন্দা শরিফ হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে দুই মাস ১৭ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, ওই চক্রের মূল হোতা কুমিল্লার শরিফুল হোসেন। যিনি মাফিয়া শরিফ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ত্রিপোলির জোয়াইন নামক এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল ‘গেম ঘর’। যেখানে বন্দী রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। শরিফের দলে রয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইমন (২৮), মাদারীপুরের রাজৈরের বিজয় তালুকদার (যিনি খান নামে পরিচিত), সিলেটের সোহাগ, ভৈরবের ইমন মোল্লা ও মুন্সি মো. কুদরতল্লাহ। এর মধ্যে বিজয় তালুকদার মুক্তিপণের টাকা ওঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
শাকিল মিয়া আরও বলেন, যাত্রাপথে তাঁকে দুবাই নিয়ে ২৫ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে দুই দিনের যাত্রা শেষে নেওয়া হয় ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে প্রায় অর্ধশত লোককে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর মুকুল ঠাকুরকে ফোনে বিষয়গুলো জানান। তিনি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন পরিবারের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর সেখানে প্রায় এক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া হতো এবং রাতে খিচুড়ির মতো কিছু খাবার দেওয়া হতো। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেগুলো খাইতাম।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এক ব্যক্তি এসে আমাদের প্রস্তুত হতে বলে। প্রায় ৪০ দিন পর আমাদের সাগরপারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫২ জনকে একটি নৌকায় ওঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিউনিসিয়ায় সাগরপারে গিয়ে বলে এটা ইতালি এবং নামতে বলা হয়। তখন দালালকে ফোন দিলে আমাদের ওপরে উঠতে বলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়ার পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। সেখানে এক দিন আটকে রেখে পরদিন লিবিয়া পুলিশের (মিলিশিয়া) হাতে তুলে দেয়। সেখানে পাঁচ দিন একটি রুমে আটকে রাখা হয়। ঠিকমতো খাবার দিত না, নোংরা পানি খেতে দিত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কান্না করতাম।’
দালাল চক্র ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আটজনকে: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘সেখান থেকে চার-পাঁচজনকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আমিসহ আটজনকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। রাত ১টার দিকে একটি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন এক মাফিয়া এসে জানতে চায় আমরা কার লোক। তখন আমি বলি নুরু ও মুকুলের লোক। তখন মাফিয়া জানায়, সবাইকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নুরু ও মুকুল।’
নিয়ম করে দুই বেলা নির্যাতন করা হতো: শাকিল বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে বলে। তখন বাড়িতে জানাই, দালালেরা আমারে বিক্রি করে দিছে। দুই দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা না দিলে আমাকে মাইরা ফেলবে। ওই মুহূর্তে আমার বাবার ফোন কেটে গেলে তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একজন চেয়ারে বসে থাকে এবং আটজন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িতে ফোনে কথা বলতে বলে। তাদের শেখানো কথা না বললে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। এভাবে অন্ধকার একটি রুমে প্রতিদিন দুই বেলা করে ১৭ দিন নির্যাতন করে আমাকে। এরপর আমার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে ওই অন্ধকার রুম থেকে আমাকে বের করে। তখন আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারতাম না।’
টাকা না দিলে কিডনি কেটে বিক্রি করা হতো: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘ওই গেম ঘরে তিন-চার শ জনকে আটকে রাখা হয়। আমার কক্ষে ২৫ জনকে আটকে নির্যাতন করা হয়। কারও বাড়ি থেকে টাকা না দিলে খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হতো। এরপর তাদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। এসব কিডনি স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করে মাফিয়ারা। তাতে অনেকে মারা যান।’
মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় মাদারীপুর থেকে: শাকিলের মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাদারীপুরের রাজৈর থানার কলাগাছিয়া নামক এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। টাকা আদায়ের সময় শাকিলের পাশে বসে তাঁর বাবাকে ভিডিও কল দিয়ে নির্দেশনা দেন বিজয় তালুকদার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিজমা বিক্রি করে, ধারদেনা করে একাই একটি ব্যাগে ভরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। প্রথমে আমাকে ভাঙ্গার গোলচত্বরে যেতে বলে। সেখান থেকে ফোনে মাদারীপুরের দিকে যেতে বলে। এরপর কলাগাছিয়া কলেজের পাশ দিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে বলে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি এক লোক মাঠের মধ্যে খেত কোপাচ্ছে। তার কিছু দূরে বোরকা পরা এক নারীকে দেখা যায়। এ সময় একটি তালগাছের নিচে টাকার ব্যাগ রাখতে বলে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে টাকা রেখে চলে আসি।’

ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মাফিয়াদের হাত থেকে বেঁচে ফেরেন।
লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। ওই চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। দেশে ফিরে জানিয়েছেন সেই নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা।
শাকিল মিয়া বলেন, একই এলাকার মুকবুল ঠাকুর ওরফে মুকুল ঠাকুর ও জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের নুরু উদ্দিনের ফাঁদে পড়ে গত জানুয়ারিতে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। যাত্রাপথে লিবিয়ায় কুমিল্লার বাসিন্দা শরিফ হোসেনের হাতে বন্দী হয়ে দুই মাস ১৭ দিন ধরে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, ওই চক্রের মূল হোতা কুমিল্লার শরিফুল হোসেন। যিনি মাফিয়া শরিফ নামে পরিচিত। লিবিয়ার ত্রিপোলির জোয়াইন নামক এলাকায় তাঁর রয়েছে বিশাল ‘গেম ঘর’। যেখানে বন্দী রেখে নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। শরিফের দলে রয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ইমন (২৮), মাদারীপুরের রাজৈরের বিজয় তালুকদার (যিনি খান নামে পরিচিত), সিলেটের সোহাগ, ভৈরবের ইমন মোল্লা ও মুন্সি মো. কুদরতল্লাহ। এর মধ্যে বিজয় তালুকদার মুক্তিপণের টাকা ওঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন।
শাকিল মিয়া আরও বলেন, যাত্রাপথে তাঁকে দুবাই নিয়ে ২৫ দিন রাখা হয়। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে দুই দিনের যাত্রা শেষে নেওয়া হয় ত্রিপোলি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে প্রায় অর্ধশত লোককে রাখা হয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর মুকুল ঠাকুরকে ফোনে বিষয়গুলো জানান। তিনি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন পরিবারের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে নেয় চক্রটি। এরপর সেখানে প্রায় এক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া হতো এবং রাতে খিচুড়ির মতো কিছু খাবার দেওয়া হতো। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সেগুলো খাইতাম।’
তিনি বলেন, ‘আবারও এক ব্যক্তি এসে আমাদের প্রস্তুত হতে বলে। প্রায় ৪০ দিন পর আমাদের সাগরপারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫২ জনকে একটি নৌকায় ওঠানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিউনিসিয়ায় সাগরপারে গিয়ে বলে এটা ইতালি এবং নামতে বলা হয়। তখন দালালকে ফোন দিলে আমাদের ওপরে উঠতে বলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিউনিসিয়ার পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। সেখানে এক দিন আটকে রেখে পরদিন লিবিয়া পুলিশের (মিলিশিয়া) হাতে তুলে দেয়। সেখানে পাঁচ দিন একটি রুমে আটকে রাখা হয়। ঠিকমতো খাবার দিত না, নোংরা পানি খেতে দিত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কান্না করতাম।’
দালাল চক্র ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আটজনকে: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘সেখান থেকে চার-পাঁচজনকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ দিন পর আমিসহ আটজনকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয়। রাত ১টার দিকে একটি ক্যাম্পে পৌঁছে দেয় পুলিশ। তখন এক মাফিয়া এসে জানতে চায় আমরা কার লোক। তখন আমি বলি নুরু ও মুকুলের লোক। তখন মাফিয়া জানায়, সবাইকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নুরু ও মুকুল।’
নিয়ম করে দুই বেলা নির্যাতন করা হতো: শাকিল বলেন, ‘মাফিয়ারা আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে বলে। তখন বাড়িতে জানাই, দালালেরা আমারে বিক্রি করে দিছে। দুই দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা না দিলে আমাকে মাইরা ফেলবে। ওই মুহূর্তে আমার বাবার ফোন কেটে গেলে তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। একজন চেয়ারে বসে থাকে এবং আটজন দাঁড়িয়ে থেকে বাড়িতে ফোনে কথা বলতে বলে। তাদের শেখানো কথা না বললে লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে। এভাবে অন্ধকার একটি রুমে প্রতিদিন দুই বেলা করে ১৭ দিন নির্যাতন করে আমাকে। এরপর আমার বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে ওই অন্ধকার রুম থেকে আমাকে বের করে। তখন আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারতাম না।’
টাকা না দিলে কিডনি কেটে বিক্রি করা হতো: শাকিলের ভাষ্যমতে, ‘ওই গেম ঘরে তিন-চার শ জনকে আটকে রাখা হয়। আমার কক্ষে ২৫ জনকে আটকে নির্যাতন করা হয়। কারও বাড়ি থেকে টাকা না দিলে খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হতো। এরপর তাদের কিডনি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হতো। এসব কিডনি স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করে মাফিয়ারা। তাতে অনেকে মারা যান।’
মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হয় মাদারীপুর থেকে: শাকিলের মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় মাদারীপুরের রাজৈর থানার কলাগাছিয়া নামক এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে। টাকা আদায়ের সময় শাকিলের পাশে বসে তাঁর বাবাকে ভিডিও কল দিয়ে নির্দেশনা দেন বিজয় তালুকদার। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে জমিজমা বিক্রি করে, ধারদেনা করে একাই একটি ব্যাগে ভরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। প্রথমে আমাকে ভাঙ্গার গোলচত্বরে যেতে বলে। সেখান থেকে ফোনে মাদারীপুরের দিকে যেতে বলে। এরপর কলাগাছিয়া কলেজের পাশ দিয়ে ফাঁকা মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে বলে। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি এক লোক মাঠের মধ্যে খেত কোপাচ্ছে। তার কিছু দূরে বোরকা পরা এক নারীকে দেখা যায়। এ সময় একটি তালগাছের নিচে টাকার ব্যাগ রাখতে বলে এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে টাকা রেখে চলে আসি।’

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
৮ মিনিট আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
২১ মিনিট আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩১ মিনিট আগে
কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা। সামনে উপজেলাজুড়ে বোরো ধান রোপণের মৌসুম শুরু হবে। তার আগে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন তাঁরা।
৩৪ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া
১০ অক্টোবর ২০২৪
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
২১ মিনিট আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩১ মিনিট আগে
কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা। সামনে উপজেলাজুড়ে বোরো ধান রোপণের মৌসুম শুরু হবে। তার আগে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন তাঁরা।
৩৪ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে, যা আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পেশাজীবীদের ভাষ্যমতে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ভাটা পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক স্বপন ইসলাম বলেন, ‘বাপু, হাত-পা তো জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। হ্যান্ডেল ধরলে মনে হয় যেন রড কামড়ে ধরছে। এই হিমেল বাতাসে শরীর কাঁপতিছে। ভাড়া-ভুতো কম, সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।’
বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডার চোটে দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট পাড়ার গৃহিণী অনামিকা খাতুন বলেন, ‘ভোরবেলা ঠান্ডা পানিতে হাত দেওয়া যায় না। রান্নাবান্না আর ঘরের কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে খুব ভয়ে আছি, কখন ঠান্ডা লেগে অসুখ-বিসুখ হয়।’
দিনমজুর সেতাব আলী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কামলা দিয়ে খাই। কিন্তু এই ঠান্ডায় মাঠে বা বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না। শরীর থরথর করে কাঁপে, কোদাল বা ঝুড়ি ধরা কষ্টের।’
টানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে বোরো ধানের বীজতলা এবং শীতকালীন শাকসবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষকদের আশঙ্কা, কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধানের বীজতলার কুয়াশা সকালে দড়ি টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। ছত্রাকনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি পরিমিত সেচ দিতে হবে।’
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ বৃদ্ধ এবং ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছে। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের প্রাদুর্ভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। তিনি প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। চুয়াডাঙ্গার বর্তমান তাপমাত্রা এই সীমার মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে, যা আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
পেশাজীবীদের ভাষ্যমতে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ভাটা পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক স্বপন ইসলাম বলেন, ‘বাপু, হাত-পা তো জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। হ্যান্ডেল ধরলে মনে হয় যেন রড কামড়ে ধরছে। এই হিমেল বাতাসে শরীর কাঁপতিছে। ভাড়া-ভুতো কম, সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।’
বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডার চোটে দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট পাড়ার গৃহিণী অনামিকা খাতুন বলেন, ‘ভোরবেলা ঠান্ডা পানিতে হাত দেওয়া যায় না। রান্নাবান্না আর ঘরের কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে খুব ভয়ে আছি, কখন ঠান্ডা লেগে অসুখ-বিসুখ হয়।’
দিনমজুর সেতাব আলী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কামলা দিয়ে খাই। কিন্তু এই ঠান্ডায় মাঠে বা বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করা যাচ্ছে না। শরীর থরথর করে কাঁপে, কোদাল বা ঝুড়ি ধরা কষ্টের।’
টানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে বোরো ধানের বীজতলা এবং শীতকালীন শাকসবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষকদের আশঙ্কা, কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার কৃষকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধানের বীজতলার কুয়াশা সকালে দড়ি টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। ছত্রাকনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহারের পাশাপাশি পরিমিত সেচ দিতে হবে।’
তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ বৃদ্ধ এবং ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছে। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের প্রাদুর্ভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে। তিনি প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। চুয়াডাঙ্গার বর্তমান তাপমাত্রা এই সীমার মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরে।

নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া
১০ অক্টোবর ২০২৪
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
৮ মিনিট আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩১ মিনিট আগে
কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা। সামনে উপজেলাজুড়ে বোরো ধান রোপণের মৌসুম শুরু হবে। তার আগে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন তাঁরা।
৩৪ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের হতাহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকার সদরঘাটে নিয়ে আসা হলে সেখানে লাশের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়। সদরঘাট নৌ থানার ইনচার্জ সোহাগ রানা গণমাধ্যমকে জানান, দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক বাবু লাল বৈদ্য জানান, ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চটি রাত ২টার দিকে হাইমচর এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় নদীতে প্রচণ্ড ঘন কুয়াশা থাকায় দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা-বরিশাল রুটের ‘এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চের সঙ্গে জাকির সম্রাট-৩-এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
বাবু লাল বৈদ্যের দেওয়া তথ্যমতে, সংঘর্ষের পরপরই ঘটনাস্থলে একজন যাত্রী নিহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটির যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে ‘এমভি কর্ণফুলী-৯’ নামক আরেকটি লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঢাকা যাওয়ার পথেই আরও একজন যাত্রীর মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে সদরঘাটে পৌঁছানোর পর নিহতের মোট সংখ্যা সাত জনে পৌঁছায়।
নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় চালকদের অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে।

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের হতাহত যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকার সদরঘাটে নিয়ে আসা হলে সেখানে লাশের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়। সদরঘাট নৌ থানার ইনচার্জ সোহাগ রানা গণমাধ্যমকে জানান, দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক বাবু লাল বৈদ্য জানান, ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চটি রাত ২টার দিকে হাইমচর এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় নদীতে প্রচণ্ড ঘন কুয়াশা থাকায় দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা-বরিশাল রুটের ‘এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চের সঙ্গে জাকির সম্রাট-৩-এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
বাবু লাল বৈদ্যের দেওয়া তথ্যমতে, সংঘর্ষের পরপরই ঘটনাস্থলে একজন যাত্রী নিহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটির যাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে ‘এমভি কর্ণফুলী-৯’ নামক আরেকটি লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঢাকা যাওয়ার পথেই আরও একজন যাত্রীর মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে সদরঘাটে পৌঁছানোর পর নিহতের মোট সংখ্যা সাত জনে পৌঁছায়।
নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় চালকদের অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হতে পারে।

নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া
১০ অক্টোবর ২০২৪
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
৮ মিনিট আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
২১ মিনিট আগে
কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা। সামনে উপজেলাজুড়ে বোরো ধান রোপণের মৌসুম শুরু হবে। তার আগে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন তাঁরা।
৩৪ মিনিট আগেনিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

উত্তরের জনপদ নওগাঁর নিয়ামতপুরে কয়েক দিন ধরে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। তাপমাত্রা ক্রমেই কমে যাওয়ার সঙ্গে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় রাতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। কুয়াশার কারণে অনেক দিন দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে জনজীবনের পাশাপাশি কৃষিকাজেও প্রভাব পড়ছে।
কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা। সামনে উপজেলাজুড়ে বোরো ধান রোপণের মৌসুম শুরু হবে। তার আগে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন তাঁরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, ঠান্ডা ও কুয়াশার প্রভাবে বোরো বীজতলা হলদে ও লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখলে বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে।
সরেজমিনে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বীজতলাই পলিথিনে ঢাকা। ভাবিচা গ্রামের কৃষক বিমল প্রামাণিক জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করবেন। সে জন্য আগেই বীজতলা তৈরি করেছেন। শীত ও কুয়াশা থেকে রক্ষার জন্য বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
একই গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল সরকার জানান, বীজ ফেলার আট দিন পর বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। ২২ দিন পর পলিথিন তুলে ফেলবেন। এতে বীজতলায় রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয় এবং রোপণের জন্য ভালো চারা পাওয়া যায়। পাশাপাশি পলিথিন ব্যবহার করায় কীটনাশক দিতে হয় না। ফলে বাড়তি খরচও কমে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলায় ‘কোল্ড ইনজুরি’ দেখা দেয়। এতে বীজ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না, অনেক সময় হলদে ও লাল হয়ে পচে যায়। পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখলে ভেতরের তাপমাত্রা কিছুটা উষ্ণ থাকে এবং চারাগাছ নষ্ট হয় না। এতে কৃষকেরা উপকৃত হন। বীজতলা রক্ষায় পলিথিন ব্যবহারের জন্য কৃষকদের আহ্বান জানান তিনি।

উত্তরের জনপদ নওগাঁর নিয়ামতপুরে কয়েক দিন ধরে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। তাপমাত্রা ক্রমেই কমে যাওয়ার সঙ্গে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় রাতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। কুয়াশার কারণে অনেক দিন দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে জনজীবনের পাশাপাশি কৃষিকাজেও প্রভাব পড়ছে।
কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা। সামনে উপজেলাজুড়ে বোরো ধান রোপণের মৌসুম শুরু হবে। তার আগে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। তবে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন তাঁরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, ঠান্ডা ও কুয়াশার প্রভাবে বোরো বীজতলা হলদে ও লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখলে বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে।
সরেজমিনে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বীজতলাই পলিথিনে ঢাকা। ভাবিচা গ্রামের কৃষক বিমল প্রামাণিক জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করবেন। সে জন্য আগেই বীজতলা তৈরি করেছেন। শীত ও কুয়াশা থেকে রক্ষার জন্য বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
একই গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল সরকার জানান, বীজ ফেলার আট দিন পর বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন। ২২ দিন পর পলিথিন তুলে ফেলবেন। এতে বীজতলায় রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হয় এবং রোপণের জন্য ভালো চারা পাওয়া যায়। পাশাপাশি পলিথিন ব্যবহার করায় কীটনাশক দিতে হয় না। ফলে বাড়তি খরচও কমে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলায় ‘কোল্ড ইনজুরি’ দেখা দেয়। এতে বীজ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না, অনেক সময় হলদে ও লাল হয়ে পচে যায়। পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখলে ভেতরের তাপমাত্রা কিছুটা উষ্ণ থাকে এবং চারাগাছ নষ্ট হয় না। এতে কৃষকেরা উপকৃত হন। বীজতলা রক্ষায় পলিথিন ব্যবহারের জন্য কৃষকদের আহ্বান জানান তিনি।

নির্যাতনের শিকার শাকিল মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ একদিন ফোন করে মুকুল ঠাকুর আমাদের ইতালি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। পরদিন সকালে চারজনকে গোপনে একটি গাড়িতে করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে জোয়ারা নামক এলাকায় নিয়ে যায়। ওই এলাকায় গেম ঘর নামক জায়গায় আমাদের ৪০ দিন রাখা হয়। এই ৪০ দিন আমাদের সকালে একটি করে রুটি দেওয়া
১০ অক্টোবর ২০২৪
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
৮ মিনিট আগে
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে আসায় সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক এবং সবজি বিক্রেতারা জীবিকার তাগিদে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
২১ মিনিট আগে
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩১ মিনিট আগে