Ajker Patrika

বৈশাখের রঙে রঙিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাবি সংবাদদাতা
বৈশাখের এই রঙিন রূপে নিজেকে রাঙিয়ে নিচ্ছেন এক বিদেশিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৈশাখের এই রঙিন রূপে নিজেকে রাঙিয়ে নিচ্ছেন এক বিদেশিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘আইলো আইলো আইলো রে, রঙে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে’ শিল্পী ইশতিয়াকের এ গানে জেগে উঠেছে বাংলার প্রতিটি প্রাণ। পুরোনো সব গ্লানি মুছে নতুন করে পথচলার তাড়না সবার। ভরা বৈশাখের ছোঁয়ায় জীবনের ম্লান হয়ে যাওয়া অধ্যায়গুলোকে সজীব করে নেওয়ার এই তো সুযোগ! দেশের সর্বত্রই জাগ্রত সে প্রাণের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। প্রতি বছর দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আমেজ থাকে সবচেয়ে বেশি।

নববর্ষকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা বৈশাখের সর্ববৃহৎ আকর্ষণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর, বটতলা, হাকিম চত্বর, নাটমণ্ডল ইত্যাদি নানা স্থানে নববর্ষকে ঘিরে থাকে নানা কর্মসূচি। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ সব কর্মসূচির অংশ হতে ছুটে আসে। রঙিন এসব উৎসবে যোগ দেয় বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন এবং প্রিয়জনদের নিয়ে।

নববর্ষকে নিজেদের মতো করে উদ্যাপন করে মানুষজন। কেনাকাটা, ছবি তোলা, পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হওয়া, চারুকলা-টিএসসি-বটতলায় বসে আড্ডা দেওয়াসহ নানা ব্যস্ততায় সময় কেটে যায়।

আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখের দুপুরে চারুকলা অনুষদে গিয়ে দেখা যায় উৎসবমুখর মানুষের হিড়িক। রঙে রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে চারুকলা। শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে সেজেগুজে বৈশাখের রঙিন এ দিনকে উপভোগ করছে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই। শোভাযাত্রায় বহন করা মোটিফগুলোর সঙ্গে ছবি তোলায় ব্যস্ত অনেকে। আবার অনেকে বকুলতলায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে হাস্যরসে মেতেছেন। একপাশে নাগরদোলায় চড়ছে কিশোর-কিশোরীরা। শিশুরা ব্যস্ত বিভিন্ন খেলনা নিয়ে।

চারুকলার সামনে ফুটপাতে বসেছে নানা দোকান। বাঁশি, বাদ্যযন্ত্র, চুড়ি, হাতপাখা শৌখিন নানা জিনিসের সমাহার ঘটেছে সেখানে। বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। নববর্ষ উপলক্ষে কেউ কেউ বিশেষ ছাড়ও দিচ্ছেন।

নানা বয়স-পেশা-ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে নানা রঙে রঙিন হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নানা বয়স-পেশা-ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে নানা রঙে রঙিন হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নববর্ষ উদ্যাপনে চারুকলায় এসেছেন শিল্পী ও ব্যবসায়ী জামিল আহমেদ চৌধুরী। তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ‘নববর্ষ বাঙালির প্রাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আনন্দ-মিলনের নব উপলক্ষ নববর্ষ। এ দেশীয় সংস্কৃতিকে ভিন্ন মাত্রায় ভালোবাসার সুযোগ আসে নববর্ষে। সে সুযোগকে কাজে লাগাতে আমরা ছুটে আসি এখানে। যেখানে নানা প্রান্ত থেকে বহু প্রাণের মিলন ঘটে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিসা নুজহাত বলেন, ‘বৈশাখের আনন্দ আমাদের মনে নবশক্তি জোগায়। মন খারাপের অবসান ঘটায়। আজ আমি সবকিছুতে অনেক বেশি আনন্দ পাচ্ছি। কেনাকাটা করতে গিয়েও বৈশাখ উপলক্ষে বিশেষ ছাড় পেয়েছি।’

নানা বয়স-পেশা-ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে নানা রঙে রঙিন হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নানা বয়স-পেশা-ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে নানা রঙে রঙিন হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মালিবাগ থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন হারুনুর রশিদ। মেয়েদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন শোভাযাত্রার মোটিফগুলো। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের নিয়ে প্রথমবার নববর্ষের উৎসবমুখর এমন পরিবেশে এসেছি। নতুন বছর বরণে এখানকার আয়োজন দেখে সন্তানদের সঙ্গে আমিও মুগ্ধ।’

এমন উৎসবমুখর সংস্কৃতি দেশের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়ুক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ দিকে টিএসসির পাশে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে খেলাঘর। দুপুরে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে নাচ-গানের বর্ণিল আমেজ দেখা যায় খেলাঘরের মঞ্চে।

নানা বয়স-পেশা-ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে নানা রঙে রঙিন হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নানা বয়স-পেশা-ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে নানা রঙে রঙিন হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এর আগে সকালে বটতলায় সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বৈশাখের আবহমান কালের আগমনী সংগীতগুলো পরিবেশনের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানান নববর্ষকে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরে উদিত হয় নববর্ষের সোনালি সূর্য।

দুপুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে নাটমণ্ডলের আয়োজন ছিল ব্যতিক্রমধর্মী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ নাটমণ্ডলে বৈশাখকে স্বাগত জানিয়ে মঞ্চ অভিনয়ের আয়োজন করে। উৎসুক মানুষের দৃষ্টিও এ দিকে নিবদ্ধ হয়। নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আয়োজন করা এ মঞ্চ অভিনয় দেখতে নাটমণ্ডলে মানুষ ভিড় করে।

এ দিকে বটতলায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ আয়োজন করেছে বৈশাখী মেলা। মেলায় বিভিন্ন স্টলে বই, পোশাক, খাবার, কসমেটিকস এবং বিভিন্ন শৌখিন পণ্য বিক্রি করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ উদ্যোক্তারা। গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আয়োজিত এ মেলা চলবে দিনভর। এ ছাড়াও নববর্ষের আনন্দকে দ্বিগুণ করতে মেলায় রাখা হয়েছে নাগরদোলা। নববর্ষে পান্তা ইলিশ খাওয়ার আবহমান কালের সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থাও করেছে সংগঠনটি।

নববর্ষ উপলক্ষে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ঐতিহ্যবাহী পান্তা ইলিশ ভোজসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৈশাখের আয়োজন প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত