Ajker Patrika

ইজতেমা ময়দানে ৩ জন নিহতের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ০৫
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের লেকভিউতে জেস্টি কিচেনে সংবাদ সম্মেলন করে জুবায়েরপন্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের লেকভিউতে জেস্টি কিচেনে সংবাদ সম্মেলন করে জুবায়েরপন্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের দখলকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সার্বিক বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থান পরিষ্কার করতে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে উভয়পক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পৃথক স্থানে জুবায়েরপন্থী বা শুরায়ে নেজামের অংশ এবং ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী অংশ সংবাদ সম্মেলন করে।

রাজধানীর গুলশানের লেকভিউতে জেস্টি কিচেনে সংবাদ সম্মেলন করে শুরায়ে নেজাম। তাঁরা ইজতেমা ময়দানে নির্ধারিত সময়েই বিশ্ব ইজতেমা পালন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সাদপন্থীরা ইজতেমা করতে চাইলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাঁরা সাদপন্থীদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণারও দাবি জানিয়েছেন।

এ সময় হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, সাদপন্থীদের হামলায় তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। এই হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা করা হবে। মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা করার অনুমতি না থাকলেও তাঁরা জোর করে ঢুকে প্রশাসনের আদেশ অমান্য করেছেন। সাদপন্থীরা যদি ইজতেমা মাঠ দখলের চেষ্টা করেন, তাহলে সাধারণ মুসল্লিরা তাঁদের প্রতিহত করবেন। নির্ধারিত সময়েই বিশ্ব ইজতেমা পালন করা হবে। সাদপন্থীরা ইজতেমা করতে চাইলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে ঘোষণা করেন তিনি। তিনি সাদ অনুসারীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে তাঁদের নিষিদ্ধ ঘোষণারও দাবি জানান।

অপর দিকে বেলা আড়াইটায় ঢাকার মিরপুর-১–এর কিয়াংশি চায়নিজ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা। তাঁরা ইজতেমা ময়দানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য শুরায়ে নেজামের অনুসারীদের দায়ী করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।

সম্মেলনে বক্তারা তাবলিগে সৃষ্ট বিভক্তি, মামুনুল হক ও জুবায়েরপন্থীদের নৃশংস হামলা এবং তাবলিগ নিয়ন্ত্রণের ষড়যন্ত্রের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন।

তাঁরা আরও বলেন, ১৭ ডিসেম্বর জুবায়েরপন্থীদের পরিকল্পিত হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাদপন্থী তাবলিগ জামাতের মুরব্বিরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, তাবলিগে মামুনুল হক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পক্ষগুলোর হস্তক্ষেপ ও বিভক্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় ঢাকার মিরপুর-১ এর কিয়াংশি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় ঢাকার মিরপুর-১ এর কিয়াংশি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

তাঁরা অভিযোগ করেন, ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে মামুনুল হক ‘তুরাগ নদ রক্তে লাল’ করার ঘোষণা দেন। এ ধরনের বক্তব্য দেশের ধর্মীয় পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলছে। তা ছাড়া, জুবায়েরপন্থীদের সহিংস কর্মকাণ্ড এবং উসকানিমূলক বক্তব্যের পর থেকে সারা দেশে সাদপন্থীদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে। আমরা তাবলিগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং মাদ্রাসারছাত্রদের ব্যবহারের মাধ্যমে সংঘাত সৃষ্টির চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মামুনুল হক ও তাঁর অনুসারীরা রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব কাজে লাগিয়ে তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন। এর ফলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো—আগামী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে দেওয়া, ইজতেমা ময়দান সরকারের নিয়ন্ত্রণে রেখে সাদপন্থীদের ইজতেমার আগে ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া, আগামী বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা নিশ্চিত করা, সারা দেশে সাদপন্থীদের ওপর আক্রমণ ও নির্যাতন বন্ধ করাসহ মসজিদে-মসজিদে বাধা সৃষ্টি রোধে কার্যকর নেওয়া এবং তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

এতে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জিয়া বিন কাসেম, মুফতি মুআজ বিন নূর, মুফতি শফিউল্লাহ, মুফতি আজিমুদ্দীন, মাওলানা আনাস প্রমুখ।

ময়দান ও আশপাশের এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ ও সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ময়দান ছেড়ে গেছে উভয়পক্ষ। ময়দানে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সেনাসদস্য, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্য সমন্বয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চারজন জানালেও প্রকৃতপক্ষে সেখানে মারা গেছেন তিনজন। বিষয়টি গাজীপুর মহানগর পুলিশ ও ইজতেমার শুরায়ে নেজামের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, ‘ইজতেমা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এখন পর্যন্ত আমরা তিনজনের মরদেহ পেয়েছি। তাদের আমরা ময়নাতদন্ত করেছি। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে দুজনের এবং গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনে মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু আমি তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত করেছি, তাই মৃতের সংখ্যা আমার হিসাবে তিনজন।’

অপর দিকে, শুরায়ি নেজামের (জুবায়েরপন্থী) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হামরায় নিহত সাথি ভাই আমিনুল হক ওরফে বাচ্চুর মিয়ার নাম ভুলে আমিনুল ইসলাম ও বাচ্চু মিয়া বলে দুবার উচ্চারণ করায় একজনকে দুজন বলা হয়েছে। আসলে আমিনুল হক ও বাচ্চু মিয়া একই ব্যক্তি, দুই ব্যক্তি নয়। ফলে নিহতের সংখ্যা চার নয় তিন।’

নিহতরা হলেন— কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারোসিন্দু গ্রামের মৃত উসমান মিয়ার ছেলে আমিনুল হক ওরফে বাচ্চু মিয়া (৭০)। ঢাকার দক্ষিণ খানের বেরাইদ এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০) এবং অপরজন হলেন বগুড়া জেলার তাজুল ইসলাম (৭০)।

জিএমপি কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, ‘পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা অবধি ময়দানে কোনো পক্ষকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ময়দান প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে, থাকবে। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৬
কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।

নাটোরের বড়াইগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কাভার্ড ভ্যানের চালক সোহাগ হোসেন (৩০) এবং যাত্রী বিপ্লব হোসেন (৩৫)। আজ মঙ্গলবার সকালে মানিকপুর এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহাগ নলডাঙ্গা উপজেলার বেলঘড়িয়া এলাকার ফরজ আলীর ছেলে। অন্যদিকে নিহত বিপ্লব টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার চৌবাড়িয়ার ওহেদ আলীর ছেলে। তিনি একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, সকাল ৬টার দিকে নাটোর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক মানিকপুর এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে দাঁড়িয়ে ছিল। একই দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন থেকে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও যাত্রী নিহত হন। ওসি আরও বলেন, লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ও আইনগত বিষয় চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত তা জমা দেননি বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা।
মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত তা জমা দেননি বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন বিএনপির চার বিদ্রোহী নেতা। তবে ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবার পর্যন্ত তা জমা দেননি তাঁরা। ফলে এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে থাকছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো. আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত এক প্রার্থীও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করেননি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ১০ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছেন ৫ জন।

মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়া বিএনপি নেতারা হলেন বুয়েটের আহসানুল্লাহ হল সংসদের সাবেক ভিপি ও সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম তুহিন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি ও বিএনপি নেতা সাহাফুজ আলম অপু। এ ছাড়াও এনসিপি মনোনীত প্রার্থী ও এনসিপির জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাজমুল হুদা খান রুবেল মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

এই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, বিএনপির প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টির মুহা. খুরশিদ আলম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মো. সাদেকুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের মো. ইব্রাহিম খলিল।

দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি বলেন, ‘দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা থেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত যেহেতু পরিবর্তন হয়নি, তাই মনোনয়নপত্র জমা দিইনি।’

মনোনয়ন না পাওয়া আরেক বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন হয়নি, তাই মনোনয়নপত্র জমা দিইনি।’

এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বদলের দাবিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্য নেতারা এককাট্টা হয়ে অন্তত ১২ বার মশাল মিছিল, মতবিনিময় ও আলোচনা সভা, রেলপথ অবরোধ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেলের চালক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দেওহাটা ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। তবে তিনি গোড়াই সাউথ ইস্ট কারখানার কর্মী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

জানা গেছে, সকাল সোয়া ৭টার দিকে সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে মহাসড়কের ধীরগতির লেন দিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন চালক। মহাসড়কের দেওহাটা ফ্লাইওভারের কাছে পৌঁছালে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা আলোকিত মধুপুর নামে যাত্রীবাহী বাস মহাসড়ক ছেড়ে ধীরগতির লেনে ঢুকে পড়ে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক নিহত হন।

দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন জানান, নিহত ব্যক্তি গোড়াই সাউথ ইস্ট কারখানায় চাকরি করতেন বলে জানতে পেরেছেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভালুকায় সহকর্মীর গুলিতে আনসার সদস্য নিহত, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪০
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বজেন্দ্র দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বজেন্দ্র দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক কারখানায় সহকর্মীর গুলিতে বজেন্দ্র বিশ্বাস (৪০) নামের এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৭টায় উপজেলার মেহরাবাড়ি এলাকায় লাবিব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সহকর্মী আনসার সদস্য নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত আনসার সদস্য বজেন্দ্র বিশ্বাস সিলেট সদর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের পবিত্র বিশ্বাসের ছেলে। অভিযুক্ত নোমান মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার বালুটুরি বাজার এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে। দুজনই সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানাটিতে ২০ জন আনসার সদস্য কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সময় আনসার সদস্য নোমান মিয়া ও বজেন্দ্র দাস একসঙ্গে বসেছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত নোমান মিয়ার হাতে থাকা শটগান থেকে গুলি বের হলে বজেন্দ্র দাসের বাঁ ঊরুতে গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত