Ajker Patrika

মাটিও মনে হয় এত ধৈর্য ধরে না: আইভী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
মাটিও মনে হয় এত ধৈর্য ধরে না: আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের অনুরোধ করব, গঠনমূলক সমালোচনা করুন। কারও নির্দেশে অযথা মানুষকে হয়রানি করবেন না প্লিজ। কারণ এত মিথ্যা অনেক সময় ধৈর্যে কুলায় না। আগের থেকে অনেকটা বেটার অবস্থানে নারায়ণগঞ্জ।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা গ্রন্থাগারে সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

মেয়র আইভি বলেন, ‘২০০৪ বা ২০১১ তে যেই অবস্থা ছিল তার থেকে ভালো অবস্থান এখন। আমরা আপনাদের শত্রু নই। সমালোচনা সহ্য করার সক্ষমতা হয়ে যাওয়ায় আপনাদের প্রতি এখন সব সময় কৃতজ্ঞতা জানাই। এ জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ। আরেকজনকে ধন্যবাদ দিতে হয়, তিনি আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই। তার কারণে আমি সারা বাংলাদেশ ও পৃথিবীতে পরিচিত হয়েছি। তিনি আমার অনেক ধৈর্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। মাটিও মনে হয় এত ধৈর্য ধরে না। আমি রাগ করা আর কড়াভাবে কথা বলাও ভুলে গেছি। আমি সেভাবেই থাকতে চাই।’ 

শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র আইভি বলেন, ‘ড্যাপ (ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান) চাচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় পাশে ভারী ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে। ইতিমধ্যে এখানে প্রচুর শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ করব এই বিষয় নিয়ে লেখালেখি করা যায় কিনা।’ 

মেয়র আইভী বলেন, ‘একদিকে কলকারখানার বর্জ্যে শীতলক্ষ্যা প্রায় মরে গেছে। এখন যদি নতুন করে ভারী ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা হয় তাহলে এই নদী বাঁচবে না। শীতলক্ষ্যা না বাঁচলে আমরাও বাঁচব না। যেই শহরে পানি নাই, সেই শহর ন্যাচারালি বাঁচে না। ২০ বছর পর এই শহরে প্রচুর সমস্যা দেখা দেবে। আমি চাইব বিষয়টি সংসদে তুলবেন।’ 

ইতিমধ্যে মেয়র আইভি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন জানিয়ে বলেন, ‘আমি ড্যাবে লিখিত অবজেকশন দিয়েছি। বিভিন্ন সভা সেমিনারে উত্থাপন করেছি। আমাদের পরিবেশ মন্ত্রীকেও বিষয়টি জানিয়েছি। কিছু অঞ্চলে কারখানা দিতে পারে, কিন্তু পুরো শীতলক্ষ্যা নিয়ে নয়।’ 

নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য তুলে ধরার বিষয়ে মেয়র আইভী বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছি। সাতটি থানারই নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা মসলিন, জামদানি, বাটিক, আদমজী, রাজনীতি সবকিছুর জন্যই বিখ্যাত। কিন্তু নারায়ণগঞ্জকে আমরা পজেটিভলি তুলে ধরি না। অনেক সময়েই রাজনীতিবিদরা নেগেটিভভাবে তুলে ধরি। বিগত ২০-৩০ বছরের কথা বলি ঠিকই, কিন্তু ১০০ বছরের ইতিহাস ভুলে যাই। আমার মনে হয় আমাদের সকলের উচিত নারায়ণগঞ্জকে পজেটিভলি তুলে ধরা। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা, সমস্যা আছে। এসবের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্যকে তুলে ধরা উচিত।’ 

এ অনুষ্ঠানে অসুস্থ সাংবাদিকদের মাঝে চেক বিতরণ ও ফল উৎসবের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন। জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমির হুসাইন স্মিথের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি আব্দুস সালাম। 

এ অনুষ্ঠানে ৫ জন সাংবাদিককে মোট ৯ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। চেক প্রদান পূর্বক আলোচনা সভায় অন্যান্যদের ভেতর আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, সাবেক এনইউজে সেক্রেটারি আফজাল হোসেন পন্টি, সাবেক এনইউজে সভাপতি নাফিজ আশরাফ প্রমুখ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রিশালের এমপি হতে চান ভিক্ষুক আবুল মুনসুর, জমা দিলেন মনোনয়নপত্র

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন আবুল মুনসুর ফকির। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন আবুল মুনসুর ফকির। ছবি: আজকের পত্রিকা

জীবন কেটেছে অভাব-অনটনে। নেই কোনো ঘরবাড়ি। পথেঘাটে ভিক্ষা করে দুমুঠো ভাতের জোগান দেন তিনি। তবুও স্বপ্ন দেখেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে একদিন জাতীয় সংসদে যাবেন। সেখানে বড় বড় নেতাদের সামনে তাঁর মতো দুঃখী-দরিদ্র মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরবেন তিনি। এই স্বপ্নপূরণের আশায় আজ সোমবার ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসন থেকে এমপি প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তিনি।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের এই ভিক্ষুক হলেন আবুল মুনসুর ফকির। আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। ভিক্ষুক হয়েও তাঁর সংসদ সদস্য হওয়ার প্রচেষ্টা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক কৌতূহল, আলোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে আজ আবুল মুনসুর ফকির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।

স্থানীয়রা জানায়, আবুল মুনসুরের জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেষ্টা নতুন নয়। এর আগেও তিনি বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পেয়েছিলেন ৩৭৭ ভোট। সেই ভোটকে তখন অনেকেই জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভোট হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। সেই নির্বাচনে ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকিরের প্রচারণার ধরন ছিল একেবারেই আলাদা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একাই পাড়া-মহল্লা ও হাট-বাজারে ঘুরে পোস্টার সাঁটানো, মানুষের কাছে গিয়ে সরাসরি ভোট চাওয়া—সবকিছুই করতেন নিজেই। কোনো দল, টাকা কিংবা প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদ না থাকলেও দমে যাননি তিনি। একাই করে গেছেন স্বপ্নপূরণের লড়াই।

অনেকেই আবুল মুনসুর ফকিরের মতো একজন ভিক্ষুকের জনপ্রতিনিধি হতে চাওয়ার চেষ্টাকে পাগলামি হিসেবে দেখেন। আবার অনেকেই এটিকে নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি, কালো টাকা ও দুর্নীতির রাজনীতির বিরুদ্ধে এক ধরনের নীরব প্রতিবাদ বলে মনে করেন।

বৈলর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব আলম বলেন, ‘কতজনকে যোগ্য মনে করে ভোট দিলাম। কিন্তু এলাকার বা সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন দেখিনি। অন্তত এই মানুষটা গরিবের কষ্ট জানে। এবার এই ফকিরকেই ভোট দিতে মন চায়।’

আরেকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বাদল শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সে এমপি হবেন কিনা জানি না, কিন্তু তাঁর দাঁড়ানোটা অনেক রাজনীতিবিদের জন্য লজ্জার।’

আবুল মুনসুর ফকির বলেন, ‘আমি গরিব, আমি ভিক্ষা করি। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে আমারও ভোট দেওয়ার অধিকার আছে, নির্বাচনে দাঁড়ানোর অধিকার আছে। সংসদে গেলে গরিব মানুষের কথা বলব—এইটাই আমার স্বপ্ন।’

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল রায়হান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মনোনয়ন দাখিলের মধ্য দিয়ে ত্রিশালে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক তৎপরতা ও নির্বাচনী আমেজ জোরালো হয়ে উঠেছে। তবে তাবড় তাবড় প্রার্থীদের ভিড়ে ভিক্ষুক আবুল মুনসুর ফকিরের উপস্থিতি নির্বাচনী মাঠে এনেছে এক ভিন্ন মাত্রা, যা অনেকের কাছে গণতন্ত্রের প্রকৃত সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী মনে করে, সময়ই বলে দেবে, ব্যালটের রায়ে আবুল মুনসুরের স্বপ্ন কত দূর এগোয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবরের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন তাঁর স্ত্রী

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
তাহমিনা জামান। ছবি: সংগৃহীত
তাহমিনা জামান। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাঁর স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী।

আজ সোমবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর তাহমিনা জামান শ্রাবণীর পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বাবরের ব্যক্তিগত সহকারী মির্জা হায়দার আলী।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শ্রাবণী এর আগে ২০১৮ সালে এই আসনে নির্বাচন করেন। তবে এই আসনে এবার তিনজন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অন্য দুজন হলেন সিপিবির জলি তালুকদার ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির চম্পা রানী সরকার।

অন্য প্রার্থীরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর মো. আল হেলাল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জলি তালুকদার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির চম্পা রানী সরকার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোখলেছুর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পটুয়াখালী-৩ আসনে নুর ও হাসান মামুনের মনোনয়নপত্র দাখিল

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
নুরুল হক নুর-হাসান মামুন। ফাইল ছবি
নুরুল হক নুর-হাসান মামুন। ফাইল ছবি

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনসহ আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ সোমবার দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল হিসেবে দলীয় প্রার্থী না দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। তবে এই আসনটিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে শক্ত অবস্থানে ছিল বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন।

গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলেও গলাচিপা-দশমিনা আসনটি ছাড়তে নারাজ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ২৪ ডিসেম্বর হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

জানতে চাইলে হাসান মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এখানের স্থানীয় বিএনপি ও সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দল যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে। সেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা আমি গ্রহণ করেই এসেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গণঅধিকার পরিষদ কোনো দলের সঙ্গে বিলীন হয়নি: নুর

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নুরুল হক নুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নুরুল হক নুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এনসিপি জামায়াতে বিলীন হয়ে যায়নি এবং গণঅধিকার পরিষদও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিলীন হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বতন্ত্র অবস্থানেই রয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে সরকার গঠিত হবে, তা হবে একটি ঐতিহাসিক সরকার। এই সরকারই জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৃত অর্থেই নবীন ও তরুণ রাজনৈতিক শক্তি। অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ের মধ্যে রাজনীতি করেছি। সে কারণে প্রত্যাশিতভাবে সারা দেশে সংগঠিত হতে পারিনি। এনসিপি আমাদের চেয়েও নবীন; তারাও সে অর্থে এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে সংগঠিত হতে পারেনি।’

বিএনপির প্রসঙ্গ টেনে ভিপি নুর বলেন, ‘বিএনপির মতো একটি দল ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকেও টিকে ছিল এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়েছে। দীর্ঘ এই লড়াইয়ের পর দলটি আবার ক্ষমতায় আসছে।’

রাজনীতিতে শর্টকাট কোনো পথ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশকে স্থিতিশীল রাখা এবং এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির বিকল্প কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। বিএনপি ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্র পরিচালনা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হবে। এতে দেশ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মুখে পড়ে বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে।’

নুর আরও বলেন, ‘এ কারণেই আমাদের দলীয় কিছু ক্ষতি হলেও জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির সঙ্গে অ্যালায়েন্স করে তাদের ক্ষমতায় আনতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মাঠে কাজ করছি।’

এ সময় পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবিরসহ গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত