রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নরসিংদীর রায়পুরায় সংস্কারকাজের জন্য সরকারি রাস্তা থেকে তোলা ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্য ও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে ঘর তৈরির কাজে। এই ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা হলেন রায়পুরা উপজেলার রাধানগর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাজল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এসডু মেম্বার ও স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়া।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার গুকলনগর গ্রামের ইটের সলিংয়ের রাস্তা থেকে ওঠানো ইটগুলো সেলিম মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বাড়ির পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এরপাশেই তাঁর ভাই রফিকুলের বাড়িতে ওই স্তূপ থেকে ইট ধুয়ে পরিষ্কার করে ঘর নির্মাণের কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গুকলনগর গ্রামের একটি ইটের সলিংয়ের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সংস্কারের জন্য প্রায় তিন মাস আগে টেন্ডার দেওয়া হয়। স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫০০ মিটার ইটের সলিং রাস্তাটির সংস্কারের দরপত্র কিনে কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গুকলনগর গ্রামের আসাদ মিয়ার দোকান থেকে হাসিনের বাড়ি পর্যন্ত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ অর্থায়নে ইটের সলিংয়ের রাস্তা তৈরি করা হয়। সম্প্রতি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান শেষে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ বুঝিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তার কার্যক্রম শুরু করার আগে রাস্তা পরিষ্কার করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে (ইউপি) বলে।
ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য কাজল ও এসডু মেম্বারকে রাস্তার ইট উঠিয়ে স্থানীয় সেলিম মিয়ার বাড়িতে স্তূপ করে রাখার নির্দেশ দেন। দুই মাস আগে সেলিম মিয়ার বাড়িতে স্তূপ আকারে ইটগুলো রাখা হয়েছিল। এসব পুরোনো ইট দিয়ে ইউপির তত্ত্বাবধানে নতুন আরেকটি রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সেলিম মিয়া তাঁর ভাইয়ের কাছে প্রায় দেড় হাজার ইট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
ইট বিক্রির বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, ‘শ্রমিক দিয়ে ওঠানো ইটগুলো আমার বাড়িতে রাখতে বলে। ইট উঠাতে শ্রমিক খরচ বাবদ ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মেম্বারদের বলে শ্রমিক খরচের টাকার জন্য দেড় হাজার ইট বিক্রি করি, এখনো টাকা পাইনি। নতুন রাস্তার কাজের সময় নতুন ইট কিনে দেব।’
ইউপি সদস্য কাজল মেম্বার বলেন, ‘ইট উঠাতে সেলিম মিয়া খরচ করে। ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে টাকা না থাকায় টাকাটা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই তিনি দেড় হাজার ইট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।’
ইউপি সদস্য এসডু বলেন, ‘এই ইট দিয়ে গ্রামের ভেতর অন্য একটি রাস্তা নির্মাণে পরিকল্পনা করে সেলিম মিয়ার বাড়িতে ইটগুলো রাখা হয়েছে। ইট বিক্রি করা অন্যায়। হয়তো শ্রমিক খরচের টাকা দিতে তিনি বিক্রি করেছেন।’
রাধানগর ইউপির চেয়ারম্যান খোর্শেদ আলম তপন বলেন, ‘সরকারি ইট বিক্রির এখতিয়ার কারও নেই। ইউপি সদস্যদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়ার বাড়িতে ইটগুলো রাখতে বলেছি। নতুন প্রকল্প রেজুলেশন করে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে। মনে হয় আমাকে ফাঁসাতে ইউপি সদস্য কাজল ও এসডু মিলে এই কাজ করেছে। এরই মধ্যে শুনেছি কাজল মেম্বার দুই গাড়ি ইটও বিক্রি করেছে। এ ছাড়া সচিবের কাছে শ্রমিক খরচ বাবদ ভাউচার জমা দিয়েছেন তিনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহিদ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। সরকারি ইট বিক্রির এখতিয়ার কারও নেই। ইউপি সদস্যদেরকে ডেকে এনে বিষয়টি দেখছি।’

নরসিংদীর রায়পুরায় সংস্কারকাজের জন্য সরকারি রাস্তা থেকে তোলা ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্য ও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে ঘর তৈরির কাজে। এই ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা হলেন রায়পুরা উপজেলার রাধানগর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাজল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এসডু মেম্বার ও স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়া।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার গুকলনগর গ্রামের ইটের সলিংয়ের রাস্তা থেকে ওঠানো ইটগুলো সেলিম মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বাড়ির পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এরপাশেই তাঁর ভাই রফিকুলের বাড়িতে ওই স্তূপ থেকে ইট ধুয়ে পরিষ্কার করে ঘর নির্মাণের কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গুকলনগর গ্রামের একটি ইটের সলিংয়ের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সংস্কারের জন্য প্রায় তিন মাস আগে টেন্ডার দেওয়া হয়। স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫০০ মিটার ইটের সলিং রাস্তাটির সংস্কারের দরপত্র কিনে কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গুকলনগর গ্রামের আসাদ মিয়ার দোকান থেকে হাসিনের বাড়ি পর্যন্ত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ অর্থায়নে ইটের সলিংয়ের রাস্তা তৈরি করা হয়। সম্প্রতি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান শেষে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ বুঝিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তার কার্যক্রম শুরু করার আগে রাস্তা পরিষ্কার করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে (ইউপি) বলে।
ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য কাজল ও এসডু মেম্বারকে রাস্তার ইট উঠিয়ে স্থানীয় সেলিম মিয়ার বাড়িতে স্তূপ করে রাখার নির্দেশ দেন। দুই মাস আগে সেলিম মিয়ার বাড়িতে স্তূপ আকারে ইটগুলো রাখা হয়েছিল। এসব পুরোনো ইট দিয়ে ইউপির তত্ত্বাবধানে নতুন আরেকটি রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সেলিম মিয়া তাঁর ভাইয়ের কাছে প্রায় দেড় হাজার ইট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
ইট বিক্রির বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, ‘শ্রমিক দিয়ে ওঠানো ইটগুলো আমার বাড়িতে রাখতে বলে। ইট উঠাতে শ্রমিক খরচ বাবদ ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মেম্বারদের বলে শ্রমিক খরচের টাকার জন্য দেড় হাজার ইট বিক্রি করি, এখনো টাকা পাইনি। নতুন রাস্তার কাজের সময় নতুন ইট কিনে দেব।’
ইউপি সদস্য কাজল মেম্বার বলেন, ‘ইট উঠাতে সেলিম মিয়া খরচ করে। ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে টাকা না থাকায় টাকাটা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই তিনি দেড় হাজার ইট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।’
ইউপি সদস্য এসডু বলেন, ‘এই ইট দিয়ে গ্রামের ভেতর অন্য একটি রাস্তা নির্মাণে পরিকল্পনা করে সেলিম মিয়ার বাড়িতে ইটগুলো রাখা হয়েছে। ইট বিক্রি করা অন্যায়। হয়তো শ্রমিক খরচের টাকা দিতে তিনি বিক্রি করেছেন।’
রাধানগর ইউপির চেয়ারম্যান খোর্শেদ আলম তপন বলেন, ‘সরকারি ইট বিক্রির এখতিয়ার কারও নেই। ইউপি সদস্যদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়ার বাড়িতে ইটগুলো রাখতে বলেছি। নতুন প্রকল্প রেজুলেশন করে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে। মনে হয় আমাকে ফাঁসাতে ইউপি সদস্য কাজল ও এসডু মিলে এই কাজ করেছে। এরই মধ্যে শুনেছি কাজল মেম্বার দুই গাড়ি ইটও বিক্রি করেছে। এ ছাড়া সচিবের কাছে শ্রমিক খরচ বাবদ ভাউচার জমা দিয়েছেন তিনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহিদ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। সরকারি ইট বিক্রির এখতিয়ার কারও নেই। ইউপি সদস্যদেরকে ডেকে এনে বিষয়টি দেখছি।’
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নরসিংদীর রায়পুরায় সংস্কারকাজের জন্য সরকারি রাস্তা থেকে তোলা ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্য ও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে ঘর তৈরির কাজে। এই ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা হলেন রায়পুরা উপজেলার রাধানগর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাজল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এসডু মেম্বার ও স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়া।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার গুকলনগর গ্রামের ইটের সলিংয়ের রাস্তা থেকে ওঠানো ইটগুলো সেলিম মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বাড়ির পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এরপাশেই তাঁর ভাই রফিকুলের বাড়িতে ওই স্তূপ থেকে ইট ধুয়ে পরিষ্কার করে ঘর নির্মাণের কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গুকলনগর গ্রামের একটি ইটের সলিংয়ের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সংস্কারের জন্য প্রায় তিন মাস আগে টেন্ডার দেওয়া হয়। স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫০০ মিটার ইটের সলিং রাস্তাটির সংস্কারের দরপত্র কিনে কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গুকলনগর গ্রামের আসাদ মিয়ার দোকান থেকে হাসিনের বাড়ি পর্যন্ত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ অর্থায়নে ইটের সলিংয়ের রাস্তা তৈরি করা হয়। সম্প্রতি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান শেষে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ বুঝিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তার কার্যক্রম শুরু করার আগে রাস্তা পরিষ্কার করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে (ইউপি) বলে।
ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য কাজল ও এসডু মেম্বারকে রাস্তার ইট উঠিয়ে স্থানীয় সেলিম মিয়ার বাড়িতে স্তূপ করে রাখার নির্দেশ দেন। দুই মাস আগে সেলিম মিয়ার বাড়িতে স্তূপ আকারে ইটগুলো রাখা হয়েছিল। এসব পুরোনো ইট দিয়ে ইউপির তত্ত্বাবধানে নতুন আরেকটি রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সেলিম মিয়া তাঁর ভাইয়ের কাছে প্রায় দেড় হাজার ইট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
ইট বিক্রির বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, ‘শ্রমিক দিয়ে ওঠানো ইটগুলো আমার বাড়িতে রাখতে বলে। ইট উঠাতে শ্রমিক খরচ বাবদ ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মেম্বারদের বলে শ্রমিক খরচের টাকার জন্য দেড় হাজার ইট বিক্রি করি, এখনো টাকা পাইনি। নতুন রাস্তার কাজের সময় নতুন ইট কিনে দেব।’
ইউপি সদস্য কাজল মেম্বার বলেন, ‘ইট উঠাতে সেলিম মিয়া খরচ করে। ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে টাকা না থাকায় টাকাটা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই তিনি দেড় হাজার ইট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।’
ইউপি সদস্য এসডু বলেন, ‘এই ইট দিয়ে গ্রামের ভেতর অন্য একটি রাস্তা নির্মাণে পরিকল্পনা করে সেলিম মিয়ার বাড়িতে ইটগুলো রাখা হয়েছে। ইট বিক্রি করা অন্যায়। হয়তো শ্রমিক খরচের টাকা দিতে তিনি বিক্রি করেছেন।’
রাধানগর ইউপির চেয়ারম্যান খোর্শেদ আলম তপন বলেন, ‘সরকারি ইট বিক্রির এখতিয়ার কারও নেই। ইউপি সদস্যদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়ার বাড়িতে ইটগুলো রাখতে বলেছি। নতুন প্রকল্প রেজুলেশন করে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে। মনে হয় আমাকে ফাঁসাতে ইউপি সদস্য কাজল ও এসডু মিলে এই কাজ করেছে। এরই মধ্যে শুনেছি কাজল মেম্বার দুই গাড়ি ইটও বিক্রি করেছে। এ ছাড়া সচিবের কাছে শ্রমিক খরচ বাবদ ভাউচার জমা দিয়েছেন তিনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহিদ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। সরকারি ইট বিক্রির এখতিয়ার কারও নেই। ইউপি সদস্যদেরকে ডেকে এনে বিষয়টি দেখছি।’

নরসিংদীর রায়পুরায় সংস্কারকাজের জন্য সরকারি রাস্তা থেকে তোলা ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্য ও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে ঘর তৈরির কাজে। এই ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা হলেন রায়পুরা উপজেলার রাধানগর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাজল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এসডু মেম্বার ও স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়া।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার গুকলনগর গ্রামের ইটের সলিংয়ের রাস্তা থেকে ওঠানো ইটগুলো সেলিম মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বাড়ির পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এরপাশেই তাঁর ভাই রফিকুলের বাড়িতে ওই স্তূপ থেকে ইট ধুয়ে পরিষ্কার করে ঘর নির্মাণের কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গুকলনগর গ্রামের একটি ইটের সলিংয়ের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সংস্কারের জন্য প্রায় তিন মাস আগে টেন্ডার দেওয়া হয়। স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫০০ মিটার ইটের সলিং রাস্তাটির সংস্কারের দরপত্র কিনে কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গুকলনগর গ্রামের আসাদ মিয়ার দোকান থেকে হাসিনের বাড়ি পর্যন্ত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ অর্থায়নে ইটের সলিংয়ের রাস্তা তৈরি করা হয়। সম্প্রতি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান শেষে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ বুঝিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তার কার্যক্রম শুরু করার আগে রাস্তা পরিষ্কার করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে (ইউপি) বলে।
ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য কাজল ও এসডু মেম্বারকে রাস্তার ইট উঠিয়ে স্থানীয় সেলিম মিয়ার বাড়িতে স্তূপ করে রাখার নির্দেশ দেন। দুই মাস আগে সেলিম মিয়ার বাড়িতে স্তূপ আকারে ইটগুলো রাখা হয়েছিল। এসব পুরোনো ইট দিয়ে ইউপির তত্ত্বাবধানে নতুন আরেকটি রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সেলিম মিয়া তাঁর ভাইয়ের কাছে প্রায় দেড় হাজার ইট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
ইট বিক্রির বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, ‘শ্রমিক দিয়ে ওঠানো ইটগুলো আমার বাড়িতে রাখতে বলে। ইট উঠাতে শ্রমিক খরচ বাবদ ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মেম্বারদের বলে শ্রমিক খরচের টাকার জন্য দেড় হাজার ইট বিক্রি করি, এখনো টাকা পাইনি। নতুন রাস্তার কাজের সময় নতুন ইট কিনে দেব।’
ইউপি সদস্য কাজল মেম্বার বলেন, ‘ইট উঠাতে সেলিম মিয়া খরচ করে। ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে টাকা না থাকায় টাকাটা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই তিনি দেড় হাজার ইট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।’
ইউপি সদস্য এসডু বলেন, ‘এই ইট দিয়ে গ্রামের ভেতর অন্য একটি রাস্তা নির্মাণে পরিকল্পনা করে সেলিম মিয়ার বাড়িতে ইটগুলো রাখা হয়েছে। ইট বিক্রি করা অন্যায়। হয়তো শ্রমিক খরচের টাকা দিতে তিনি বিক্রি করেছেন।’
রাধানগর ইউপির চেয়ারম্যান খোর্শেদ আলম তপন বলেন, ‘সরকারি ইট বিক্রির এখতিয়ার কারও নেই। ইউপি সদস্যদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়ার বাড়িতে ইটগুলো রাখতে বলেছি। নতুন প্রকল্প রেজুলেশন করে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে। মনে হয় আমাকে ফাঁসাতে ইউপি সদস্য কাজল ও এসডু মিলে এই কাজ করেছে। এরই মধ্যে শুনেছি কাজল মেম্বার দুই গাড়ি ইটও বিক্রি করেছে। এ ছাড়া সচিবের কাছে শ্রমিক খরচ বাবদ ভাউচার জমা দিয়েছেন তিনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহিদ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। সরকারি ইট বিক্রির এখতিয়ার কারও নেই। ইউপি সদস্যদেরকে ডেকে এনে বিষয়টি দেখছি।’

ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
২৬ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
২ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে ২১টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি অঞ্চলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার ‘বারি লাউ-৪’ জাতের প্রজনন বীজ উৎপাদন ও চাষে সফলতা পেয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণা কেন্দ্রের এক একর জমিতে এই জাতের লাউ চাষ করা হয়। বীজ বপনের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফলন আসে। বর্তমানে গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে ঝুলছে লাউ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বারি লাউ-৪ একটি তাপ সহনশীল জাত, যা সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই জাতের লাউ গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২ দশমিক ৫ কেজি। ফলের দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৮০ থেকে ৮৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাপ সহনশীল হওয়ায় গ্রীষ্মকালেও চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
এদিকে রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে তিনি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ-৪-এর বীজ ও সার সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এক বিঘা জমিতে তিনি লাউ চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে ২১টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি অঞ্চলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার ‘বারি লাউ-৪’ জাতের প্রজনন বীজ উৎপাদন ও চাষে সফলতা পেয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণা কেন্দ্রের এক একর জমিতে এই জাতের লাউ চাষ করা হয়। বীজ বপনের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফলন আসে। বর্তমানে গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে ঝুলছে লাউ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বারি লাউ-৪ একটি তাপ সহনশীল জাত, যা সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই জাতের লাউ গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২ দশমিক ৫ কেজি। ফলের দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৮০ থেকে ৮৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাপ সহনশীল হওয়ায় গ্রীষ্মকালেও চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
এদিকে রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে তিনি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ-৪-এর বীজ ও সার সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এক বিঘা জমিতে তিনি লাউ চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

নরসিংদীর রায়পুরায় সংস্কারকাজের জন্য সরকারি রাস্তা থেকে তোলা ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্য ও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে ঘর তৈরির কাজে। এই ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
০৬ মার্চ ২০২৪
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
২ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের মা-বাবা তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১টি গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তাঁর এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ফয়সাল, তাঁর সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং তাঁকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের মা-বাবা তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১টি গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তাঁর এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ফয়সাল, তাঁর সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং তাঁকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

নরসিংদীর রায়পুরায় সংস্কারকাজের জন্য সরকারি রাস্তা থেকে তোলা ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্য ও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে ঘর তৈরির কাজে। এই ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
০৬ মার্চ ২০২৪
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
২৬ মিনিট আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

নরসিংদীর রায়পুরায় সংস্কারকাজের জন্য সরকারি রাস্তা থেকে তোলা ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্য ও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে ঘর তৈরির কাজে। এই ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
০৬ মার্চ ২০২৪
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
২৬ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

নরসিংদীর রায়পুরায় সংস্কারকাজের জন্য সরকারি রাস্তা থেকে তোলা ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্য ও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এসব ইট ব্যবহার করা হচ্ছে ঘর তৈরির কাজে। এই ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
০৬ মার্চ ২০২৪
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
২৬ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
২ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে