আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর

অভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন দোলা ফ্যাশন হাউস ও পারলার ব্যবসা। সেখানে কাজ করছেন সাত নারী। দেড় শতাধিক নারীকে দিয়েছেন সেলাই প্রশিক্ষণ।
অদম্য ইচ্ছাশক্তি, আত্মবিশ্বাস ও মনোবল কাজে লাগিয়ে আজ রহিমা আরা দোলা সমাজের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গত বছর পেয়েছেন জয়িতা পুরস্কারও। শুধু দোলাই নন, এমন অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে দেশের বহু নারী আজ স্বাবলম্বী। এই প্রেক্ষাপটে আজ ৮ মার্চ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব নারী দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর জয়নাল আবেদিনের মেয়ে রহিমা আরা দোলা (৩৮) তাঁর মাকে হারান ১৪ বছর বয়সে। ২০০১ সালে মাদারীপুর সদরের পাগদী এলাকার আবদুল ওহাব বেপারীর ছেলে কামাল বেপারীর (৪৫) সঙ্গে তাঁর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ওই বছর দোলার বাবাও মারা যান। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মুখ বুজে সব সহ্য করেছেন। দিন চলে যাচ্ছিল স্বামী ও একমাত্র ছেলে রাতুলকে নিয়ে। তাঁর স্বামী কামাল বেপারী একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাপ্রহরী।
২০১১ সালে আট বছরে পা দিয়েছিল ছেলে রাতুল। একদিন ছেলেকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন দোলা। বাড়ির কাছাকাছি এসে দোলার হাত থেকে ছুটে অটোবাইকের নিচে পড়ে রাতুল মারা যায়। ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন দোলা। কোনোভাবেই ছেলের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছিলেন না। এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছেলের মৃত্যুর জন্য দোলাকেই দায়ী করতে থাকে। এতে আরও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। একটা সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে আসার পর কিছুটা স্বস্তি আসে জীবনে। জন্মের পর ধরা পড়ে ছেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত। অভাবের সংসারে শুরু হয় আবার ছোটাছুটি। ছেলের চিকিৎসায় টাকাপয়সা সব শেষ হয়ে যায়। এমনকি শেষ সম্বল বিয়ের গয়নাও বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করেন। তবু ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি দোলা। শেষ সময়ে টাকার অভাবে চিকিৎসকও দেখাতে পারেননি। দ্বিতীয় ছেলের মৃত্যু তাঁকে একেবারের শেষ করে দেয়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন। আবারও আত্মাহত্যার চিন্তা মাথায় আসে। ঠিক ওই সময়ই যুব উন্নয়নে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নেন দোলা। টেইলার্স, বুটিক, ব্লক ও বাটিকের কাজ শেখেন। পাশাপাশি পারলারের কাজও শেখেন।
এর আগে ২০০৮ সালে ৫ হাজার টাকায় একটি ছাগল কিনেছিলেন দোলা। সেই ছাগল বড় করে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি। সেই ২০ হাজার টাকা দিয়ে সেলাই মেশিন ও কিছু কাপড় কেনেন। তিনটি জামার ডিজাইন করেন। সেই ডিজাইন আশপাশের মানুষের পছন্দ হয়। শুরু হয় তাঁর নতুন করে পথচলা। মাদারীপুর শহরের পাগদী এলাকায় স্বামীর টিনের ঘরের বারান্দায় গড়ে তোলেন দোলা ফ্যাশন হাউস ও পারলার ব্যবসা। টিনের বেড়া ও মাটির ফ্লোরের বারান্দায় বেড়া দিয়ে এক পাশে পারলার, অন্য পাশে টেইলার্স, হাতের সেলাই ও থ্রি-পিস বিক্রির কাজ শুরু করেন। একটু একটু করে ব্যবসা বড় হতে থাকে। ২০১৫ সাল থেকে ব্যবসায় সফলতা দেখতে শুরু করেন।
দোলার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি মাদারীপুরের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেড় শতাধিক নারীকে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর ডিজাইন করা ও বিভিন্ন সেলাই নকশার কাজ করেন সাতজন নারী। সেলাইয়ের পাশাপাশি সুই-সুতা ও পারলারের কাজ করে মাসে ৫০ হাজার টাকার মতো আয় করেন দোলা। গত বছর তিনি মাদারীপুর মহিলা অধিদপ্তর থেকে জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন। আছে সাত বছরের একটি ছেলেসন্তান। তার নাম তায়েব। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে সে।
দোলা বলেন, ‘সন্তানের মৃত্যুর পর তিনবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। এমন অবস্থা হয়েছিল যেন প্রতি মুহূর্তে মনে হতো, আমি কেন এখনো বেঁচে আছি। একদিকে পরপর দুই সন্তানের মৃত্যু, অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন। তার মধ্যে আবার অভাবের সংসার। সব মিলিয়ে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। হঠাৎ একজনের পরামর্শে যুব উন্নয়ন থেকে টেইলারিংয়ের প্রশিক্ষণ নিই। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’
পাগদী এলাকার ইতি বলেন, ‘দোলা আপার কাছ থেকে প্রথমে কাজ শিখেছি। তিনি বিভিন্ন ডিজাইন করে দেন। সেগুলো তাঁর কাছে থেকে নিয়ে, নিজের বাড়িতে বসেই সুই-সুতা দিয়ে নকশা করে দিই। তারপর সেই কাজ দোলা আপাকে বুঝিয়ে দিলে তিনি কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক দেন। এতে আমাদের সংসারের কিছুটা আয়ও হয়।’
মাদারীপুরের স্থানীয় সংগঠন জাগো উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফারজানা আক্তার মুন্নি বলেন, দোলা নিজ চেষ্টায় অল্পদিনেই স্বাবলম্বী হতে পেরেছেন। তাঁর মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে নিজেই পোশাকের ডিজাইন করে স্থানীয়দের মধ্যে সাড়া জাগাতে পেরেছেন।
মাদারীপুর মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক নাজনীন আফরোজ বলেন, ‘যাঁরা জয়িতা পুরস্কার পান, তাঁদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে একটা গল্প থাকে, যার থেকে অন্য নারীরা উৎসাহ পান। তেমনি একজন রহিমা আরা দোলা। তাঁর মতো নারীরা আমাদের সমাজের সফলতার জ্বলন্ত উদাহরণ।’

অভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন দোলা ফ্যাশন হাউস ও পারলার ব্যবসা। সেখানে কাজ করছেন সাত নারী। দেড় শতাধিক নারীকে দিয়েছেন সেলাই প্রশিক্ষণ।
অদম্য ইচ্ছাশক্তি, আত্মবিশ্বাস ও মনোবল কাজে লাগিয়ে আজ রহিমা আরা দোলা সমাজের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গত বছর পেয়েছেন জয়িতা পুরস্কারও। শুধু দোলাই নন, এমন অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে দেশের বহু নারী আজ স্বাবলম্বী। এই প্রেক্ষাপটে আজ ৮ মার্চ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব নারী দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর জয়নাল আবেদিনের মেয়ে রহিমা আরা দোলা (৩৮) তাঁর মাকে হারান ১৪ বছর বয়সে। ২০০১ সালে মাদারীপুর সদরের পাগদী এলাকার আবদুল ওহাব বেপারীর ছেলে কামাল বেপারীর (৪৫) সঙ্গে তাঁর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ওই বছর দোলার বাবাও মারা যান। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মুখ বুজে সব সহ্য করেছেন। দিন চলে যাচ্ছিল স্বামী ও একমাত্র ছেলে রাতুলকে নিয়ে। তাঁর স্বামী কামাল বেপারী একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাপ্রহরী।
২০১১ সালে আট বছরে পা দিয়েছিল ছেলে রাতুল। একদিন ছেলেকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন দোলা। বাড়ির কাছাকাছি এসে দোলার হাত থেকে ছুটে অটোবাইকের নিচে পড়ে রাতুল মারা যায়। ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন দোলা। কোনোভাবেই ছেলের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছিলেন না। এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছেলের মৃত্যুর জন্য দোলাকেই দায়ী করতে থাকে। এতে আরও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। একটা সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে আসার পর কিছুটা স্বস্তি আসে জীবনে। জন্মের পর ধরা পড়ে ছেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত। অভাবের সংসারে শুরু হয় আবার ছোটাছুটি। ছেলের চিকিৎসায় টাকাপয়সা সব শেষ হয়ে যায়। এমনকি শেষ সম্বল বিয়ের গয়নাও বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করেন। তবু ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি দোলা। শেষ সময়ে টাকার অভাবে চিকিৎসকও দেখাতে পারেননি। দ্বিতীয় ছেলের মৃত্যু তাঁকে একেবারের শেষ করে দেয়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন। আবারও আত্মাহত্যার চিন্তা মাথায় আসে। ঠিক ওই সময়ই যুব উন্নয়নে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নেন দোলা। টেইলার্স, বুটিক, ব্লক ও বাটিকের কাজ শেখেন। পাশাপাশি পারলারের কাজও শেখেন।
এর আগে ২০০৮ সালে ৫ হাজার টাকায় একটি ছাগল কিনেছিলেন দোলা। সেই ছাগল বড় করে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি। সেই ২০ হাজার টাকা দিয়ে সেলাই মেশিন ও কিছু কাপড় কেনেন। তিনটি জামার ডিজাইন করেন। সেই ডিজাইন আশপাশের মানুষের পছন্দ হয়। শুরু হয় তাঁর নতুন করে পথচলা। মাদারীপুর শহরের পাগদী এলাকায় স্বামীর টিনের ঘরের বারান্দায় গড়ে তোলেন দোলা ফ্যাশন হাউস ও পারলার ব্যবসা। টিনের বেড়া ও মাটির ফ্লোরের বারান্দায় বেড়া দিয়ে এক পাশে পারলার, অন্য পাশে টেইলার্স, হাতের সেলাই ও থ্রি-পিস বিক্রির কাজ শুরু করেন। একটু একটু করে ব্যবসা বড় হতে থাকে। ২০১৫ সাল থেকে ব্যবসায় সফলতা দেখতে শুরু করেন।
দোলার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি মাদারীপুরের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেড় শতাধিক নারীকে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর ডিজাইন করা ও বিভিন্ন সেলাই নকশার কাজ করেন সাতজন নারী। সেলাইয়ের পাশাপাশি সুই-সুতা ও পারলারের কাজ করে মাসে ৫০ হাজার টাকার মতো আয় করেন দোলা। গত বছর তিনি মাদারীপুর মহিলা অধিদপ্তর থেকে জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন। আছে সাত বছরের একটি ছেলেসন্তান। তার নাম তায়েব। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে সে।
দোলা বলেন, ‘সন্তানের মৃত্যুর পর তিনবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম। এমন অবস্থা হয়েছিল যেন প্রতি মুহূর্তে মনে হতো, আমি কেন এখনো বেঁচে আছি। একদিকে পরপর দুই সন্তানের মৃত্যু, অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন। তার মধ্যে আবার অভাবের সংসার। সব মিলিয়ে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। হঠাৎ একজনের পরামর্শে যুব উন্নয়ন থেকে টেইলারিংয়ের প্রশিক্ষণ নিই। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’
পাগদী এলাকার ইতি বলেন, ‘দোলা আপার কাছ থেকে প্রথমে কাজ শিখেছি। তিনি বিভিন্ন ডিজাইন করে দেন। সেগুলো তাঁর কাছে থেকে নিয়ে, নিজের বাড়িতে বসেই সুই-সুতা দিয়ে নকশা করে দিই। তারপর সেই কাজ দোলা আপাকে বুঝিয়ে দিলে তিনি কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক দেন। এতে আমাদের সংসারের কিছুটা আয়ও হয়।’
মাদারীপুরের স্থানীয় সংগঠন জাগো উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফারজানা আক্তার মুন্নি বলেন, দোলা নিজ চেষ্টায় অল্পদিনেই স্বাবলম্বী হতে পেরেছেন। তাঁর মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে নিজেই পোশাকের ডিজাইন করে স্থানীয়দের মধ্যে সাড়া জাগাতে পেরেছেন।
মাদারীপুর মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক নাজনীন আফরোজ বলেন, ‘যাঁরা জয়িতা পুরস্কার পান, তাঁদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে একটা গল্প থাকে, যার থেকে অন্য নারীরা উৎসাহ পান। তেমনি একজন রহিমা আরা দোলা। তাঁর মতো নারীরা আমাদের সমাজের সফলতার জ্বলন্ত উদাহরণ।’

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩১ মিনিট আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেমনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।
নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।
নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

অভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যব
০৮ মার্চ ২০২৫
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাহার বাজারে জয়নালের মুদিদোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইমাম হোসেনের ফার্মেসি, নজরুল ইসলামের মাছের খাদ্যের দোকান, জহিরের ওয়ার্কশপ, রুবেলের সাইকেল গ্যারেজ এবং শাহ আলমের হার্ডওয়্যারের দোকান।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাহার বাজারে জয়নালের মুদিদোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইমাম হোসেনের ফার্মেসি, নজরুল ইসলামের মাছের খাদ্যের দোকান, জহিরের ওয়ার্কশপ, রুবেলের সাইকেল গ্যারেজ এবং শাহ আলমের হার্ডওয়্যারের দোকান।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যব
০৮ মার্চ ২০২৫
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩১ মিনিট আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’
আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’
আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

অভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যব
০৮ মার্চ ২০২৫
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩১ মিনিট আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেনওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।
মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’
আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’
ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।
মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’
আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’
ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

অভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যব
০৮ মার্চ ২০২৫
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩১ মিনিট আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে