নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভোজ্যতেল পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে নন-ফুড গ্রেডেড উপকরণে তৈরি কেমিক্যাল, লুব্রিকেন্ট, মবিল বা অন্যান্য পণ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত ড্রাম। এসব অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর ড্রামে সরবরাহ করা ভোজ্যতেল স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। নন-ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক ড্রাম বারবার ব্যবহারের ফলে ভোজ্যতেল বিষাক্ত হতে পারে। ড্রামের খোলা ভোজ্যতেলে ভেজাল মেশানোর সুযোগ থাকে। আইন অনুযায়ী, তেলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণ করা হলো কিনা, তাও নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। ড্রামে কোনো প্রকার লেবেল এবং উৎস শনাক্তকরণ তথ্য যুক্ত না করায় তেল সরবরাহের উৎস চিহ্নিত করা যায় না। ফলে দোষীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না।
গতকাল মঙ্গলবার ও বুধবার (২৯-৩০ অক্টোবর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘সবার জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল: অগ্রগতি, বাধা ও করণীয়’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সাংবাদিক কর্মশালায় আলোচকেরা এসব বিষয় তুলে ধরেন।
গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় বক্তারা ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল নিশ্চিত করতে খোলা ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ বন্ধের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তারা ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধকরণের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের কনসালট্যান্ট সাবেক অতিরিক্ত সচিব মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার বলেন, ভিটামিন এ-এর অভাবে অন্ধত্ব, গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যুসহ বিবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রিকেটস ও হাড় ক্ষয়ের পাশাপাশি হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এ ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল ভিটামিন এ এবং ডি সমৃদ্ধকরণ হতে পারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী পদক্ষেপ। এতে জনগণ প্রতিদিনের ভোজ্যতেলে একই সঙ্গে ভিটামিন এ এবং ডি পাবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এলএসএফএফ (লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন কান্ট্রি অ্যাডভোকেসি বাংলাদেশ) এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. রীনা রানি পাল বলেন, জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট জরিপ ২০১১-১২ অনুযায়ী, প্রাক্-বিদ্যালয়গামী প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন ভিটামিন ‘এ’ এবং দুজন শিশু ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে ভুগছে।
কর্মশালায় জানানো হয়, ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ব্যতীত ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ। কিন্তু ড্রামে বাজারজাতকৃত বেশির ভাগ ভোজ্যতেলই ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ না হওয়ায় আইনের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনসাধারণ। আইসিডিডিআর, বি-এর গবেষণায় দেখা গেছে, বাজারে মোট ভোজ্যতেলের ৬৫ শতাংশ ড্রামে বাজারজাত করা হয়, যার মধ্যে ৫৯ শতাংশই ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নয় এবং ৩৪ শতাংশে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ নেই। মাত্র ৭ শতাংশ ড্রামের খোলা তেলে আইনে নির্ধারিত ন্যূনতম মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ের পর থেকে ড্রামে খোলা সয়াবিন তেল এবং ডিসেম্বরের পর থেকে খোলা পাম তেল বাজারজাতকরণ বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি। নিরাপদ ভোজ্যতেল ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে শিল্প মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দেন আলোচকেরা।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর-এর কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন)-এর লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন প্রোগ্রামের পোর্টফোলিও লিড আশেক মাহফুজ, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর অ্যাসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট আবু আহমেদ শামীম, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।
ভোজ্যতেল পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে নন-ফুড গ্রেডেড উপকরণে তৈরি কেমিক্যাল, লুব্রিকেন্ট, মবিল বা অন্যান্য পণ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত ড্রাম। এসব অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর ড্রামে সরবরাহ করা ভোজ্যতেল স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। নন-ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক ড্রাম বারবার ব্যবহারের ফলে ভোজ্যতেল বিষাক্ত হতে পারে। ড্রামের খোলা ভোজ্যতেলে ভেজাল মেশানোর সুযোগ থাকে। আইন অনুযায়ী, তেলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণ করা হলো কিনা, তাও নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। ড্রামে কোনো প্রকার লেবেল এবং উৎস শনাক্তকরণ তথ্য যুক্ত না করায় তেল সরবরাহের উৎস চিহ্নিত করা যায় না। ফলে দোষীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না।
গতকাল মঙ্গলবার ও বুধবার (২৯-৩০ অক্টোবর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘সবার জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল: অগ্রগতি, বাধা ও করণীয়’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সাংবাদিক কর্মশালায় আলোচকেরা এসব বিষয় তুলে ধরেন।
গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় বক্তারা ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল নিশ্চিত করতে খোলা ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ বন্ধের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তারা ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধকরণের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের কনসালট্যান্ট সাবেক অতিরিক্ত সচিব মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার বলেন, ভিটামিন এ-এর অভাবে অন্ধত্ব, গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যুসহ বিবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রিকেটস ও হাড় ক্ষয়ের পাশাপাশি হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এ ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল ভিটামিন এ এবং ডি সমৃদ্ধকরণ হতে পারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী পদক্ষেপ। এতে জনগণ প্রতিদিনের ভোজ্যতেলে একই সঙ্গে ভিটামিন এ এবং ডি পাবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এলএসএফএফ (লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন কান্ট্রি অ্যাডভোকেসি বাংলাদেশ) এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. রীনা রানি পাল বলেন, জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট জরিপ ২০১১-১২ অনুযায়ী, প্রাক্-বিদ্যালয়গামী প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন ভিটামিন ‘এ’ এবং দুজন শিশু ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে ভুগছে।
কর্মশালায় জানানো হয়, ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ ব্যতীত ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ। কিন্তু ড্রামে বাজারজাতকৃত বেশির ভাগ ভোজ্যতেলই ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ না হওয়ায় আইনের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনসাধারণ। আইসিডিডিআর, বি-এর গবেষণায় দেখা গেছে, বাজারে মোট ভোজ্যতেলের ৬৫ শতাংশ ড্রামে বাজারজাত করা হয়, যার মধ্যে ৫৯ শতাংশই ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ নয় এবং ৩৪ শতাংশে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ নেই। মাত্র ৭ শতাংশ ড্রামের খোলা তেলে আইনে নির্ধারিত ন্যূনতম মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ের পর থেকে ড্রামে খোলা সয়াবিন তেল এবং ডিসেম্বরের পর থেকে খোলা পাম তেল বাজারজাতকরণ বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি। নিরাপদ ভোজ্যতেল ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে শিল্প মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দেন আলোচকেরা।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর-এর কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন)-এর লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন প্রোগ্রামের পোর্টফোলিও লিড আশেক মাহফুজ, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর অ্যাসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট আবু আহমেদ শামীম, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।
রোজা শুরু হবে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে। হাতে সময় আছে প্রায় চার মাস। অথচ এখনই বাড়তে শুরু করেছে ছোলার দাম। ইফতারির অতি প্রয়োজনীয় এ পণ্যের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে ভোক্তাদের মধ্যে জেঁকে বসেছে ‘রোজার টেনশন’।
৩ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম হিরালাল দেবনাথ (৫৫)। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার কাজিরদীঘির পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হিরালাল দেবনাথ সদর উপজেলার উত্তর হামছাদীর কাজিরদিঘীরপাড় এলাকার প্রপুল্ল কুমার দেবনাথের ছেলে
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা থেকে যাওয়া সত্তরোর্ধ্ব দৌড়বিদ আব্দুল জব্বার অংশ নিয়েছিলেন রায়পুরা ম্যারাথনে। বিজয়ী হতে না পারলেও উৎফুল্ল তিনি। মুখে হাসি নিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করি। স্বাস্থ্য, মন ভালো রাখতে বৃদ্ধ বয়সেও এ চেষ্টা।’ তরুণ প্রজন্মের প্রতি পরামর্শ দিয়ে জব্বার বলেন
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেসব গান, স্লোগান বা অন্যান্য কার্যক্রম অভ্যুত্থানকে বেগবান করেছে—সেসব নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন ‘আওয়াজ উডা’ অনুষ্ঠান হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে এই আয়োজন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে