নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটির কাছে কে কার নাম প্রস্তাব করেছে তা জানতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ আসাদুল হক ও তথ্য অধিকার উপশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এ আবেদন করা হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কমিটির কাছে জমা পড়া ৩২২ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। আবেদনপত্রে জরুরি ভিত্তিতে তিন দিনের মধ্যে তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি সুপারিশের জন্য গঠিত অনুসন্ধান কমিটির কাছে ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩২২ জনের নাম জমা পড়েছে। কমিটির পক্ষে সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রী পরিষদ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এসব নাম প্রকাশ করেছে। কিন্তু মন্ত্রী পরিষদ কোনো ব্যক্তির নাম কে প্রস্তাব করেছে তা প্রকাশ করেনি, যার ফলে প্রকাশিত তথ্য অসম্পূর্ণ।’
আইনের ৪ (১) ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘অনুসন্ধান কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করিয়া দায়িত্ব পালন করিবে। অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করলে বা তথ্য গোপন করলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয় না। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ধারা ৪ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে তথ্য প্রাপ্তি প্রত্যেক নাগরিকের আইনস্বীকৃত অধিকার।’ অতএব বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-এর ৮ (১) ধারার অধীনে আপনার দপ্তরে জমাকৃত ৩২২ জনের পরিপূর্ণ তথ্য পেতে চাই। আরও সুস্পষ্টভাবে, অনুসন্ধান কমিটি/মন্ত্রী পরিষদের কাছে প্রস্তাবিত নামের পাশাপাশি প্রস্তাবকারীর নাম অর্থাৎ কে কার নাম প্রস্তাব করেছে তাঁর পরিপূর্ণ তালিকা পাওয়ার জন্য আমি আবেদন করছি।
আমরা শুনেছি যে কিছু রাজনৈতিক দল তাঁদের প্রস্তাবিত নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছে, যদিও অন্তত দুটি দল–বিকল্প ধারা ও-গণফ্রন্ট–তাঁদের সুপারিশ করা নাম এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক দল ও তাঁদের প্রস্তাবিত নাম কোনো গোপন বিষয় নয় এবং এ প্রসঙ্গে আমাদের উচ্চ আদালতের একটি রায় প্রাসঙ্গিক। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের অডিট করা হিসাব তথ্য অধিকার আইনের অধীনে দরখাস্ত করেও আমরা পাইনি। এসব তথ্যের মালিক রাজনৈতিক দল এবং তাঁদের সম্মতি ছাড়া এগুলো প্রকাশ করা যাবে না–এই যুক্তিতে নির্বাচন কমিশন আমাদের দরখাস্ত খারিজ করে দেয়। তথ্য কমিশনে গিয়েও আমরা এ ব্যাপারে প্রতিকার পাইনি। এরপর আমরা আদালতের আশ্রয় নিলে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ বদিউল আলম মজুমদার ও অন্যান্য বনাম বাংলাদেশ ডিএলআর ৬৯ (২০১৭) মামলায় রায় দেন যে, তথ্য অধিকার আইনে সংজ্ঞায়িত ‘কর্তৃপক্ষের’ কাছে থাকা সকল তথ্য ‘পাবলিক ইনফরমেশন’ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা প্রকাশ করতে বাধ্য। এ ছাড়া তথ্যের সঙ্গে সত্যের যোগসূত্রতা রয়েছে, তাই তথ্য জানার উদ্দেশ্য হলো সত্য উদ্ঘাটন করা। তাই পরিপূর্ণ স্বচ্ছতার চর্চার মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটনের স্বার্থে আমি অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রস্তাব করা নামের পাশাপাশি প্রস্তাবকারীর নাম প্রকাশের আবেদন করছি।
যেহেতু অনুসন্ধান কমিটি বর্তমানে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণের জন্য নাম চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত এবং নাগরিক হিসেবে কমিটির কাজকে সহায়তা করার জন্য এ তথ্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই জরুরি ভিত্তিতে তিন (০৩) দিনের মধ্যে এ তথ্য আমাকে সরবরাহ করার আমি অনুরোধ করছি।
আবেদনে সম্পর্কে বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা আবেদন পেয়েছেন বলে জেনেছি। তবে কোনো উত্তর এখনও আসেনি। আমাদের দাবি, যেই নিয়োগ পান না কেন, প্রক্রিয়াটা যেন স্বচ্ছ হয়।’
সুজন সম্পাদক তথ্য অধিকার আইনে কোনো তথ্য চেয়ে আবেদন করেছেন কি-না, এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপসচিব মুহাম্মদ আসাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী যিনি তথ্য চাইবেন তার পরিচয়ও আমাদের গোপন রাখতে হবে। এ জন্য এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে জমা পড়া নামগুলো কে বা কারা প্রস্তাব করেছিলেন বদিউল আলম মজুমদার তথ্য অধিকার আইনে সেই তথ্য চেয়েছেন। তাকে এই তথ্য দেওয়া হবে কি-না, আইন অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটির কাছে কে কার নাম প্রস্তাব করেছে তা জানতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ আসাদুল হক ও তথ্য অধিকার উপশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এ আবেদন করা হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কমিটির কাছে জমা পড়া ৩২২ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। আবেদনপত্রে জরুরি ভিত্তিতে তিন দিনের মধ্যে তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ অনুযায়ী নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি সুপারিশের জন্য গঠিত অনুসন্ধান কমিটির কাছে ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩২২ জনের নাম জমা পড়েছে। কমিটির পক্ষে সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রী পরিষদ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এসব নাম প্রকাশ করেছে। কিন্তু মন্ত্রী পরিষদ কোনো ব্যক্তির নাম কে প্রস্তাব করেছে তা প্রকাশ করেনি, যার ফলে প্রকাশিত তথ্য অসম্পূর্ণ।’
আইনের ৪ (১) ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘অনুসন্ধান কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করিয়া দায়িত্ব পালন করিবে। অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করলে বা তথ্য গোপন করলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয় না। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ধারা ৪ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে তথ্য প্রাপ্তি প্রত্যেক নাগরিকের আইনস্বীকৃত অধিকার।’ অতএব বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-এর ৮ (১) ধারার অধীনে আপনার দপ্তরে জমাকৃত ৩২২ জনের পরিপূর্ণ তথ্য পেতে চাই। আরও সুস্পষ্টভাবে, অনুসন্ধান কমিটি/মন্ত্রী পরিষদের কাছে প্রস্তাবিত নামের পাশাপাশি প্রস্তাবকারীর নাম অর্থাৎ কে কার নাম প্রস্তাব করেছে তাঁর পরিপূর্ণ তালিকা পাওয়ার জন্য আমি আবেদন করছি।
আমরা শুনেছি যে কিছু রাজনৈতিক দল তাঁদের প্রস্তাবিত নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছে, যদিও অন্তত দুটি দল–বিকল্প ধারা ও-গণফ্রন্ট–তাঁদের সুপারিশ করা নাম এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক দল ও তাঁদের প্রস্তাবিত নাম কোনো গোপন বিষয় নয় এবং এ প্রসঙ্গে আমাদের উচ্চ আদালতের একটি রায় প্রাসঙ্গিক। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের অডিট করা হিসাব তথ্য অধিকার আইনের অধীনে দরখাস্ত করেও আমরা পাইনি। এসব তথ্যের মালিক রাজনৈতিক দল এবং তাঁদের সম্মতি ছাড়া এগুলো প্রকাশ করা যাবে না–এই যুক্তিতে নির্বাচন কমিশন আমাদের দরখাস্ত খারিজ করে দেয়। তথ্য কমিশনে গিয়েও আমরা এ ব্যাপারে প্রতিকার পাইনি। এরপর আমরা আদালতের আশ্রয় নিলে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ বদিউল আলম মজুমদার ও অন্যান্য বনাম বাংলাদেশ ডিএলআর ৬৯ (২০১৭) মামলায় রায় দেন যে, তথ্য অধিকার আইনে সংজ্ঞায়িত ‘কর্তৃপক্ষের’ কাছে থাকা সকল তথ্য ‘পাবলিক ইনফরমেশন’ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা প্রকাশ করতে বাধ্য। এ ছাড়া তথ্যের সঙ্গে সত্যের যোগসূত্রতা রয়েছে, তাই তথ্য জানার উদ্দেশ্য হলো সত্য উদ্ঘাটন করা। তাই পরিপূর্ণ স্বচ্ছতার চর্চার মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটনের স্বার্থে আমি অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রস্তাব করা নামের পাশাপাশি প্রস্তাবকারীর নাম প্রকাশের আবেদন করছি।
যেহেতু অনুসন্ধান কমিটি বর্তমানে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণের জন্য নাম চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত এবং নাগরিক হিসেবে কমিটির কাজকে সহায়তা করার জন্য এ তথ্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই জরুরি ভিত্তিতে তিন (০৩) দিনের মধ্যে এ তথ্য আমাকে সরবরাহ করার আমি অনুরোধ করছি।
আবেদনে সম্পর্কে বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা আবেদন পেয়েছেন বলে জেনেছি। তবে কোনো উত্তর এখনও আসেনি। আমাদের দাবি, যেই নিয়োগ পান না কেন, প্রক্রিয়াটা যেন স্বচ্ছ হয়।’
সুজন সম্পাদক তথ্য অধিকার আইনে কোনো তথ্য চেয়ে আবেদন করেছেন কি-না, এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপসচিব মুহাম্মদ আসাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী যিনি তথ্য চাইবেন তার পরিচয়ও আমাদের গোপন রাখতে হবে। এ জন্য এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে জমা পড়া নামগুলো কে বা কারা প্রস্তাব করেছিলেন বদিউল আলম মজুমদার তথ্য অধিকার আইনে সেই তথ্য চেয়েছেন। তাকে এই তথ্য দেওয়া হবে কি-না, আইন অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
১৪ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত আট দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আট দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্ক্ষার বিজয় হবে কোরআনের মাধ্যমে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফ্যাসিবাদীদের উন্নয়নের বয়ান নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা আমাদের উন্নয়নের গল্প শোনাত। তারা বলত, বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ এখন কানাডায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ কানাডা হয়েছে তাদের জন্য, সিঙ্গাপুর হয়েছে তাদের জন্য। তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। কারণ, তারা বাংলাদেশের টাকা, ব্যাংকের টাকা লুট করে, ডাকাতি করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়েছে। বাংলদেশের টাকা পাচার করে কানাডায় বাড়ি করেছে।’
সমাবেশে জামায়াতের আমির আরও বলেন, এই ফ্যাসিবাদ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে আঘাত করেনি, তারা বড় আঘাত করেছে আলেম-ওলামাদের ওপর।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ রাসুলের বিরুদ্ধে কিছুসংখ্যক বেয়াদব কুৎসা রটিয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ জানাতে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার রাজপথে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করেছিলেন। সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ফ্যাসিবাদীরা রাতের আঁধারে বর্বরতম হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে খুন করেছিল। এতগুলো আলেম-ওলামার খুনের পর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন—কেউ মারা যায়নি। আলেম-ওলামারা রং দিয়ে শুয়ে ছিল। এভাবে ফ্যাসিবাদীরা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল, রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না ইনশা আল্লাহ।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘এবার ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মাটিতে জেগে উঠেছে। আমরা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কবর রচনা করে আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন করব। সব চক্রান্ত, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় হবে ইনশা আল্লাহ।’

মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের রক্তে গড়া দেশ। বনেদিদের বাংলাদেশ আর থাকবে না। অনেক দল থেকে আসন সমঝোতার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এবার ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ‘হ্যাঁ’ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়েও মানুষ মুক্তি পায়নি। আগামী দিনে আবারও চাঁদাবাজ, জামেলদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে এই বৈষম্য থাকবে না। কেউ ১০ তলায় কেউ নিচতলায় থাকবে, সেটা আর হবে না।
মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলাম আগামী দিনে ক্ষমতায় যাবে ইনশা আল্লাহ। যথাসময়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মানবে না। হুমকি-ধমকি চলবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আট দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারাই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।’
সমাবেশে আট দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী ও নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত আট দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আট দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্ক্ষার বিজয় হবে কোরআনের মাধ্যমে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফ্যাসিবাদীদের উন্নয়নের বয়ান নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা আমাদের উন্নয়নের গল্প শোনাত। তারা বলত, বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ এখন কানাডায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ কানাডা হয়েছে তাদের জন্য, সিঙ্গাপুর হয়েছে তাদের জন্য। তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। কারণ, তারা বাংলাদেশের টাকা, ব্যাংকের টাকা লুট করে, ডাকাতি করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়েছে। বাংলদেশের টাকা পাচার করে কানাডায় বাড়ি করেছে।’
সমাবেশে জামায়াতের আমির আরও বলেন, এই ফ্যাসিবাদ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে আঘাত করেনি, তারা বড় আঘাত করেছে আলেম-ওলামাদের ওপর।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ রাসুলের বিরুদ্ধে কিছুসংখ্যক বেয়াদব কুৎসা রটিয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ জানাতে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার রাজপথে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করেছিলেন। সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ফ্যাসিবাদীরা রাতের আঁধারে বর্বরতম হামলা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে খুন করেছিল। এতগুলো আলেম-ওলামার খুনের পর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন—কেউ মারা যায়নি। আলেম-ওলামারা রং দিয়ে শুয়ে ছিল। এভাবে ফ্যাসিবাদীরা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল, রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না ইনশা আল্লাহ।’
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘এবার ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার মাটিতে জেগে উঠেছে। আমরা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কবর রচনা করে আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন করব। সব চক্রান্ত, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয় হবে ইনশা আল্লাহ।’

মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের রক্তে গড়া দেশ। বনেদিদের বাংলাদেশ আর থাকবে না। অনেক দল থেকে আসন সমঝোতার অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এবার ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ‘হ্যাঁ’ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়েও মানুষ মুক্তি পায়নি। আগামী দিনে আবারও চাঁদাবাজ, জামেলদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে এই বৈষম্য থাকবে না। কেউ ১০ তলায় কেউ নিচতলায় থাকবে, সেটা আর হবে না।
মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইসলাম আগামী দিনে ক্ষমতায় যাবে ইনশা আল্লাহ। যথাসময়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মানবে না। হুমকি-ধমকি চলবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। আট দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারাই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।’
সমাবেশে আট দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী ও নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান প্রমুখ।

নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটির কাছে কে কার নাম প্রস্তাব করেছে তা জানতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি ব্যক্তিগতভাবে....
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
১৪ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
১ ঘণ্টা আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটির কাছে কে কার নাম প্রস্তাব করেছে তা জানতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি ব্যক্তিগতভাবে....
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটির কাছে কে কার নাম প্রস্তাব করেছে তা জানতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি ব্যক্তিগতভাবে....
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
১৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
১ ঘণ্টা আগেনাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশন গঠনে গঠিত সার্চ কমিটির কাছে কে কার নাম প্রস্তাব করেছে তা জানতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি ব্যক্তিগতভাবে....
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আন্দোলনরত আট দলের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৭ মিনিট আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
১৪ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগে