Ajker Patrika

কোরবানির পশুর চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আলেম-ওলামাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ১২: ৪০
কওমী মাদ্রাসার আলেম-ওলামাগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কওমী মাদ্রাসার আলেম-ওলামাগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কোরবানির পশুর চামড়ার সুষ্ঠু সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বণ্টন নিশ্চিত করতে কওমী মাদ্রাসার আলেম-ওলামাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

গতকাল রোববার (১ জুন) রাতে ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে কোরবানির পশুর চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কওমী মাদ্রাসার আলেম-ওলামাগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘কোরবানির পশুর চামড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ। এটি সঠিকভাবে সংগ্রহ করে ট্যানারি শিল্পে সরবরাহ করলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখা সম্ভব। এ জন্য ধর্মীয় নেতা, স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আলেম-ওলামাগণ সমাজে প্রভাব রাখেন, তাই তাদের সহযোগিতায় জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে চামড়া নষ্ট হওয়া রোধ করা যাবে।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘কোরবানির পরে আমরা অনেকেই গোশত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। চামড়ার খোঁজ রাখি না। এটা হয়তো নোংরা জায়গায় পড়ে থাকে। পচনশীল বস্তু হওয়ায় দ্রুতই চামড়া নষ্ট হতে থাকে। নষ্ট চামড়ার কোনো দাম নেই। এ কারণে যাঁরা কোরবানি করবেন এবং চামড়া সংগ্রহ করবেন সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন। অনেক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে আমরা কাঁচা চামড়া বা ব্লু ওয়েট নিয়ে কথা বলেছি। হয়তো আরও অনেকেই আসবেন। ইতিমধ্যে আমরা চামড়া রপ্তানি নিষিদ্ধকরণের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছি। যাতে কাঁচা চামড়া রপ্তানি সম্ভব হয়।’

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমি চাই না এ দেশ থেকে কাঁচা চামড়া বাইরে রপ্তানি হোক কিন্তু সঠিক দাম না পেলে আমাদের সেদিকে যেতে হবে। পৃথিবীর মোট চামড়ার সাড়ে তিন শতাংশ চামড়া বাংলাদেশে হয়। এটা আল্লাহ তাআলার অনেক বড় বরকত। কিন্তু আমরা এই বরকতকে নষ্ট করে ফেলেছি।’

আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের চামড়ার অবনমনের জন্য অনেকেই দায়ী বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আগে কখনোই কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের চেষ্টা করা হয়নি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারই প্রথম চামড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে কিছু সমস্যা হবে। গন্ধ হবে কিন্তু সুন্দর করে পরিষ্কার করে লবণ দিতে পারলে গন্ধ কমে যাবে। লবণ দিয়ে তিন মাসের বেশি সংরক্ষণ করা যাবে। দাম না পেলে চামড়া বেচব না, এই সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে। চামড়ার সঠিক দাম নিশ্চিত করার জন্য চামড়াগুলোকে সঠিক প্রক্রিয়ায় পরিচ্ছন্ন করতে হবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘চামড়ায় লবণ দেওয়ার জন্য আমরা লবণ চাষিদের কাছ থেকে সাড়ে সাত লাখ মণ লবণ কিনেছি। এতে কিছুটা হলেও লবণ চাষিরা উপকৃত হয়েছে। চামড়া সংরক্ষণের জন্য এই লবণ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশের যে অর্থনৈতিক অনুমান ছিল তার মধ্যে চামড়া অন্যতম। এ ছাড়া পাট ও চা এটাই মোটাদাগে অনুমান ছিল। আমাদের প্রত্যেকটা শিল্প নষ্ট হয়েছে। এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে যখন ২৫ হাজার টাকার গরুর দাম ছিল তখন চামড়ার দাম ছিল ২ হাজার টাকা। এখন ওই গরুর দাম ১ লাখ টাকা কিন্তু চামড়ার দাম ২০০ টাকা এটা একদম অস্বাভাবিক অবস্থা।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী চামড়া বেচতে পারবেন না তবে ব্যবহার করতে পারবেন। আমি যাকে এটা দিয়েছি এটা তার হক (এতিমদের)। দুঃখজনক হলেও সত্য এর অর্থনৈতিক মূল্যমান যেটি ছিল সেটি হারিয়ে গেছে।’

সারা দেশে প্রায় ১ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ গরু কোরবানি হয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ থেকে যে হাসিল তোলা হয় পরিমাণ সিম্পল ক্যালকুলেশনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। মাত্র পাঁচ দিনে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ইনকাম করে হাটের ইজারাদার। এখানে যে চামড়া হবে তার দাম হবে বেশি হলে ৫০০ কোটি টাকার মতো। এই পাঁচশ কোটি টাকার হকদার লাখ লাখ মানুষ। আর ৫ হাজার কোটি টাকার হকদার ১০০ জন থেকে বড়জোর ৫০০ জনের মতো। ৫০০০ টাকার হাসিল নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না, কিন্তু ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। তিনি বলেন এ বছর সময় স্বল্পতার কারণে চামড়ার হকদারদের হাসিলের হকদার করা যায়নি।’

রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসলে তারা যেন এ কাজটি করেন এ আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর কোরবানির সময় বিপুল পরিমাণ পশুর চামড়া সংগ্রহ হলেও অব্যবস্থাপনা ও অসচেতনতার কারণে এর একটি বড় অংশ নষ্ট হয়ে যায়। সরকার এবার এই সমস্যা সমাধানে ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হুসাইন, খিলগাঁও মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জহুরুল ইসলাম, দক্ষিণগাঁও সবুজবাগ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সাব্বির আহমেদ, মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতি আব্দুল মালেক প্রমুখ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এ মতবিনিময় সভায় ঢাকার বিভিন্ন ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আলেমগণ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত