নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘নরপশুর মতো নির্যাতনের পরেও আমি কেন মরে যাইনি, সেটাই ওর রাগ। লজ্জায়, মান সম্মানের ভয়ে আমি এত দিন কথা বলি নাই। কিন্তু এখন আমার সন্তানকে অ্যাসিড মারার হুমকি দিচ্ছে। তাই আর চুপ থাকতে পারলাম না।’ —আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন স্বামীর নির্যাতনের শিকার নারী তাসনিম সারা প্রিয়া।
গত ১০ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর উত্তরার বাসায় স্বামী মো. রনি চাকু ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাঁর মুখ থেঁতলে দেন। এ ঘটনায় গত ২২ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তিনি। সম্প্রতি তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টিকে সামনে আনেন। পরে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
তাসনিম সারা প্রিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মো. রনি এরাবিয়ান বোরকা কালেকশনের কর্ণধার। ২০২০ সালে তাঁদের পরিচয় হয়। এরাবিয়ান বোরকা কালেকশনের অনলাইন পেজে লাইভ করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। ২০২২ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।
তাসনিম সারা প্রিয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর রনি তাঁকে নজরবন্দী জীবন যাপনে বাধ্য করেন। পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলতে দিতেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি যৌতুকের জন্যও চাপ দিতে থাকেন। বাবার ফ্ল্যাট বিক্রি করে অথবা বন্ধক রেখে টাকা এনে দিতে বলা হয়। এতে রাজি না হয়ে তালাক দিতে চাওয়ায় তাসনিমকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
তাসনিম সারা প্রিয়া বলেন, ‘যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, সে-ই চাকু দিয়ে আমার চেহারা কাটে। সেদিন দুপুরে আমি নামাজ পড়ছিলাম। তখন রনি তিনজনকে নিয়ে বাসায় ঢোকে। ড্রেসিং টেবিলের ভারী কাঠের টুল দিয়ে আমার মুখে বাড়ি দেয়, হাতে চেইন পেঁচিয়ে এসেছিল, সেটা দিয়ে ঘুষি দিয়ে আমার মাথা ফাটায়। চাকু দিয়ে কপাল থেকে ঠোঁটের নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলে। আমার চেহারা সে নষ্ট করে দিয়েছে। আমার নাক ভেঙে গিয়েছিল, নাকের কোনো হাড্ডি ছিল না। মুখের ওপরের চোয়াল ভেঙে গিয়েছিল। বাম পাশের দাঁত নড়ে গেছে। মাথার হাড্ডি বের হয়ে গিয়েছিল।’
সেদিন বাসায় থাকা তাসনিমের মা এবং ছোট বোনকেও রনির সঙ্গে আসা লোকেরা মারধর করে বলে জানান তাসনিম। একপর্যায়ে তাঁদের চিৎকার শুনে ভাড়াটে ও বাড়ির মালিক এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। তখন রনি পালিয়ে যায়।
তাসনিম জানান, ২০১৪ সালে তাঁর প্রথম বিয়ে হয়। সেই স্বামীর সঙ্গে ২০১৮ সালে বিচ্ছেদ ঘটে। সেই সংসারে তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে, যার বয়স বর্তমানে আট বছর। রনির একজন স্ত্রী রয়েছে জেনে তিনি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর জানতে পারেন, তাঁর দুজন স্ত্রী।
তাসনিমের ভাষ্যমতে, রনির দুজন স্ত্রীই তাঁকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দিয়েছিলেন। প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া তিন কোটি টাকা দিয়ে রনি তাঁর ব্যবসা দাঁড় করান। দ্বিতীয় স্ত্রীও তাঁকে ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন।
তাসনিম বলেন, ‘আমার বেঁচে থাকার কোনো কথা ছিল না। আমি ২০ দিন হসপিটালে ছিলাম। দুইটা সার্জারি হয়েছে। এখনো আমার ট্রিটমেন্ট বাকি। আমার ছোট মেয়েটার বয়স ১০ মাস। আমি মরে গেলে আমার মেয়েদের কে দেখবে?’
রনির বিচার চেয়ে গত ২২ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তাসনিম। এরপর গত ১৩ আগস্ট রনিকে তালাকের নোটিশও পাঠিয়েছেন। তাসনিম জানান, রনি এবং তার পরিবার বিত্তবান ও প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের কাছ থেকে তিনি আশানুরূপ সাহায্য পাননি।
এদিকে তাসনিমের লাইভের পর রনিও লাইভে এসে তাসনিমের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেন।
রনি বলেন, তাসনিম পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত থাকায় রাগান্বিত হয়ে তিনি নির্যাতন করেন। তাসনিম একাধিক বিয়ে করেছে বলেও অভিযোগ করেন।
রনি দাবি করে বলেন, তাসনিম তার বাসা থেকে ২৫ থেকে ৩০ ভরি সোনা, ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে গেছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন তাসনিম।
লাইভে রনি বলেন, তাসনিম ফেসবুকে মিথ্যা বলে মামলা দিয়ে তাঁকে ‘ভিলেন’ বানাবার চেষ্টা করছেন। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে প্রকাশ্যে এনে তাসনিম স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন। আইনিভাবেই তিনি জামিনে আছেন বলেও জানান। পরবর্তীতে তিনি লাইভ ভিডিওটি মুছে (ডিলিট) ফেলেন।
এসব বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী এলিনা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, কোনো আইনই নির্যাতনকে সমর্থন করে না। স্ত্রী যদি পরকীয়া করে থাকেন, তাহলে স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দিতে পারতেন। আমাদের দেশে কিছু ঘটলেই নারীর চরিত্রকে সামনে আনা হয়, পরকীয়ার কথা বলা হয়। লোকজনও মনে করে, মহিলাটা খারাপ কাজ করেছে, তাই শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু যে লোকটা অত্যাচার করেছে, তাঁকে খারাপ লোক হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। পরকীয়া করে থাকলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়া যেত অথবা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ছিল। কোনোটাই না করে স্ত্রীকে নির্যাতন করে সে বেআইনি কাজ করেছে। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।’

‘নরপশুর মতো নির্যাতনের পরেও আমি কেন মরে যাইনি, সেটাই ওর রাগ। লজ্জায়, মান সম্মানের ভয়ে আমি এত দিন কথা বলি নাই। কিন্তু এখন আমার সন্তানকে অ্যাসিড মারার হুমকি দিচ্ছে। তাই আর চুপ থাকতে পারলাম না।’ —আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন স্বামীর নির্যাতনের শিকার নারী তাসনিম সারা প্রিয়া।
গত ১০ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর উত্তরার বাসায় স্বামী মো. রনি চাকু ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাঁর মুখ থেঁতলে দেন। এ ঘটনায় গত ২২ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তিনি। সম্প্রতি তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টিকে সামনে আনেন। পরে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
তাসনিম সারা প্রিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মো. রনি এরাবিয়ান বোরকা কালেকশনের কর্ণধার। ২০২০ সালে তাঁদের পরিচয় হয়। এরাবিয়ান বোরকা কালেকশনের অনলাইন পেজে লাইভ করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। ২০২২ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।
তাসনিম সারা প্রিয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর রনি তাঁকে নজরবন্দী জীবন যাপনে বাধ্য করেন। পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলতে দিতেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি যৌতুকের জন্যও চাপ দিতে থাকেন। বাবার ফ্ল্যাট বিক্রি করে অথবা বন্ধক রেখে টাকা এনে দিতে বলা হয়। এতে রাজি না হয়ে তালাক দিতে চাওয়ায় তাসনিমকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
তাসনিম সারা প্রিয়া বলেন, ‘যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, সে-ই চাকু দিয়ে আমার চেহারা কাটে। সেদিন দুপুরে আমি নামাজ পড়ছিলাম। তখন রনি তিনজনকে নিয়ে বাসায় ঢোকে। ড্রেসিং টেবিলের ভারী কাঠের টুল দিয়ে আমার মুখে বাড়ি দেয়, হাতে চেইন পেঁচিয়ে এসেছিল, সেটা দিয়ে ঘুষি দিয়ে আমার মাথা ফাটায়। চাকু দিয়ে কপাল থেকে ঠোঁটের নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলে। আমার চেহারা সে নষ্ট করে দিয়েছে। আমার নাক ভেঙে গিয়েছিল, নাকের কোনো হাড্ডি ছিল না। মুখের ওপরের চোয়াল ভেঙে গিয়েছিল। বাম পাশের দাঁত নড়ে গেছে। মাথার হাড্ডি বের হয়ে গিয়েছিল।’
সেদিন বাসায় থাকা তাসনিমের মা এবং ছোট বোনকেও রনির সঙ্গে আসা লোকেরা মারধর করে বলে জানান তাসনিম। একপর্যায়ে তাঁদের চিৎকার শুনে ভাড়াটে ও বাড়ির মালিক এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। তখন রনি পালিয়ে যায়।
তাসনিম জানান, ২০১৪ সালে তাঁর প্রথম বিয়ে হয়। সেই স্বামীর সঙ্গে ২০১৮ সালে বিচ্ছেদ ঘটে। সেই সংসারে তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে, যার বয়স বর্তমানে আট বছর। রনির একজন স্ত্রী রয়েছে জেনে তিনি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর জানতে পারেন, তাঁর দুজন স্ত্রী।
তাসনিমের ভাষ্যমতে, রনির দুজন স্ত্রীই তাঁকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দিয়েছিলেন। প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া তিন কোটি টাকা দিয়ে রনি তাঁর ব্যবসা দাঁড় করান। দ্বিতীয় স্ত্রীও তাঁকে ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন।
তাসনিম বলেন, ‘আমার বেঁচে থাকার কোনো কথা ছিল না। আমি ২০ দিন হসপিটালে ছিলাম। দুইটা সার্জারি হয়েছে। এখনো আমার ট্রিটমেন্ট বাকি। আমার ছোট মেয়েটার বয়স ১০ মাস। আমি মরে গেলে আমার মেয়েদের কে দেখবে?’
রনির বিচার চেয়ে গত ২২ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তাসনিম। এরপর গত ১৩ আগস্ট রনিকে তালাকের নোটিশও পাঠিয়েছেন। তাসনিম জানান, রনি এবং তার পরিবার বিত্তবান ও প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের কাছ থেকে তিনি আশানুরূপ সাহায্য পাননি।
এদিকে তাসনিমের লাইভের পর রনিও লাইভে এসে তাসনিমের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেন।
রনি বলেন, তাসনিম পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত থাকায় রাগান্বিত হয়ে তিনি নির্যাতন করেন। তাসনিম একাধিক বিয়ে করেছে বলেও অভিযোগ করেন।
রনি দাবি করে বলেন, তাসনিম তার বাসা থেকে ২৫ থেকে ৩০ ভরি সোনা, ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে গেছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন তাসনিম।
লাইভে রনি বলেন, তাসনিম ফেসবুকে মিথ্যা বলে মামলা দিয়ে তাঁকে ‘ভিলেন’ বানাবার চেষ্টা করছেন। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে প্রকাশ্যে এনে তাসনিম স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন। আইনিভাবেই তিনি জামিনে আছেন বলেও জানান। পরবর্তীতে তিনি লাইভ ভিডিওটি মুছে (ডিলিট) ফেলেন।
এসব বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী এলিনা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, কোনো আইনই নির্যাতনকে সমর্থন করে না। স্ত্রী যদি পরকীয়া করে থাকেন, তাহলে স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দিতে পারতেন। আমাদের দেশে কিছু ঘটলেই নারীর চরিত্রকে সামনে আনা হয়, পরকীয়ার কথা বলা হয়। লোকজনও মনে করে, মহিলাটা খারাপ কাজ করেছে, তাই শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু যে লোকটা অত্যাচার করেছে, তাঁকে খারাপ লোক হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। পরকীয়া করে থাকলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়া যেত অথবা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ছিল। কোনোটাই না করে স্ত্রীকে নির্যাতন করে সে বেআইনি কাজ করেছে। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘নরপশুর মতো নির্যাতনের পরেও আমি কেন মরে যাইনি, সেটাই ওর রাগ। লজ্জায়, মান সম্মানের ভয়ে আমি এত দিন কথা বলি নাই। কিন্তু এখন আমার সন্তানকে অ্যাসিড মারার হুমকি দিচ্ছে। তাই আর চুপ থাকতে পারলাম না।’ —আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন স্বামীর নির্যাতনের শিকার নারী তাসনিম সারা প্রিয়া।
গত ১০ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর উত্তরার বাসায় স্বামী মো. রনি চাকু ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাঁর মুখ থেঁতলে দেন। এ ঘটনায় গত ২২ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তিনি। সম্প্রতি তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টিকে সামনে আনেন। পরে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
তাসনিম সারা প্রিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মো. রনি এরাবিয়ান বোরকা কালেকশনের কর্ণধার। ২০২০ সালে তাঁদের পরিচয় হয়। এরাবিয়ান বোরকা কালেকশনের অনলাইন পেজে লাইভ করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। ২০২২ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।
তাসনিম সারা প্রিয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর রনি তাঁকে নজরবন্দী জীবন যাপনে বাধ্য করেন। পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলতে দিতেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি যৌতুকের জন্যও চাপ দিতে থাকেন। বাবার ফ্ল্যাট বিক্রি করে অথবা বন্ধক রেখে টাকা এনে দিতে বলা হয়। এতে রাজি না হয়ে তালাক দিতে চাওয়ায় তাসনিমকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
তাসনিম সারা প্রিয়া বলেন, ‘যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, সে-ই চাকু দিয়ে আমার চেহারা কাটে। সেদিন দুপুরে আমি নামাজ পড়ছিলাম। তখন রনি তিনজনকে নিয়ে বাসায় ঢোকে। ড্রেসিং টেবিলের ভারী কাঠের টুল দিয়ে আমার মুখে বাড়ি দেয়, হাতে চেইন পেঁচিয়ে এসেছিল, সেটা দিয়ে ঘুষি দিয়ে আমার মাথা ফাটায়। চাকু দিয়ে কপাল থেকে ঠোঁটের নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলে। আমার চেহারা সে নষ্ট করে দিয়েছে। আমার নাক ভেঙে গিয়েছিল, নাকের কোনো হাড্ডি ছিল না। মুখের ওপরের চোয়াল ভেঙে গিয়েছিল। বাম পাশের দাঁত নড়ে গেছে। মাথার হাড্ডি বের হয়ে গিয়েছিল।’
সেদিন বাসায় থাকা তাসনিমের মা এবং ছোট বোনকেও রনির সঙ্গে আসা লোকেরা মারধর করে বলে জানান তাসনিম। একপর্যায়ে তাঁদের চিৎকার শুনে ভাড়াটে ও বাড়ির মালিক এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। তখন রনি পালিয়ে যায়।
তাসনিম জানান, ২০১৪ সালে তাঁর প্রথম বিয়ে হয়। সেই স্বামীর সঙ্গে ২০১৮ সালে বিচ্ছেদ ঘটে। সেই সংসারে তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে, যার বয়স বর্তমানে আট বছর। রনির একজন স্ত্রী রয়েছে জেনে তিনি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর জানতে পারেন, তাঁর দুজন স্ত্রী।
তাসনিমের ভাষ্যমতে, রনির দুজন স্ত্রীই তাঁকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দিয়েছিলেন। প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া তিন কোটি টাকা দিয়ে রনি তাঁর ব্যবসা দাঁড় করান। দ্বিতীয় স্ত্রীও তাঁকে ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন।
তাসনিম বলেন, ‘আমার বেঁচে থাকার কোনো কথা ছিল না। আমি ২০ দিন হসপিটালে ছিলাম। দুইটা সার্জারি হয়েছে। এখনো আমার ট্রিটমেন্ট বাকি। আমার ছোট মেয়েটার বয়স ১০ মাস। আমি মরে গেলে আমার মেয়েদের কে দেখবে?’
রনির বিচার চেয়ে গত ২২ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তাসনিম। এরপর গত ১৩ আগস্ট রনিকে তালাকের নোটিশও পাঠিয়েছেন। তাসনিম জানান, রনি এবং তার পরিবার বিত্তবান ও প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের কাছ থেকে তিনি আশানুরূপ সাহায্য পাননি।
এদিকে তাসনিমের লাইভের পর রনিও লাইভে এসে তাসনিমের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেন।
রনি বলেন, তাসনিম পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত থাকায় রাগান্বিত হয়ে তিনি নির্যাতন করেন। তাসনিম একাধিক বিয়ে করেছে বলেও অভিযোগ করেন।
রনি দাবি করে বলেন, তাসনিম তার বাসা থেকে ২৫ থেকে ৩০ ভরি সোনা, ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে গেছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন তাসনিম।
লাইভে রনি বলেন, তাসনিম ফেসবুকে মিথ্যা বলে মামলা দিয়ে তাঁকে ‘ভিলেন’ বানাবার চেষ্টা করছেন। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে প্রকাশ্যে এনে তাসনিম স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন। আইনিভাবেই তিনি জামিনে আছেন বলেও জানান। পরবর্তীতে তিনি লাইভ ভিডিওটি মুছে (ডিলিট) ফেলেন।
এসব বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী এলিনা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, কোনো আইনই নির্যাতনকে সমর্থন করে না। স্ত্রী যদি পরকীয়া করে থাকেন, তাহলে স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দিতে পারতেন। আমাদের দেশে কিছু ঘটলেই নারীর চরিত্রকে সামনে আনা হয়, পরকীয়ার কথা বলা হয়। লোকজনও মনে করে, মহিলাটা খারাপ কাজ করেছে, তাই শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু যে লোকটা অত্যাচার করেছে, তাঁকে খারাপ লোক হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। পরকীয়া করে থাকলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়া যেত অথবা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ছিল। কোনোটাই না করে স্ত্রীকে নির্যাতন করে সে বেআইনি কাজ করেছে। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।’

‘নরপশুর মতো নির্যাতনের পরেও আমি কেন মরে যাইনি, সেটাই ওর রাগ। লজ্জায়, মান সম্মানের ভয়ে আমি এত দিন কথা বলি নাই। কিন্তু এখন আমার সন্তানকে অ্যাসিড মারার হুমকি দিচ্ছে। তাই আর চুপ থাকতে পারলাম না।’ —আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন স্বামীর নির্যাতনের শিকার নারী তাসনিম সারা প্রিয়া।
গত ১০ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর উত্তরার বাসায় স্বামী মো. রনি চাকু ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাঁর মুখ থেঁতলে দেন। এ ঘটনায় গত ২২ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তিনি। সম্প্রতি তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টিকে সামনে আনেন। পরে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
তাসনিম সারা প্রিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মো. রনি এরাবিয়ান বোরকা কালেকশনের কর্ণধার। ২০২০ সালে তাঁদের পরিচয় হয়। এরাবিয়ান বোরকা কালেকশনের অনলাইন পেজে লাইভ করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। ২০২২ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।
তাসনিম সারা প্রিয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর রনি তাঁকে নজরবন্দী জীবন যাপনে বাধ্য করেন। পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলতে দিতেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি যৌতুকের জন্যও চাপ দিতে থাকেন। বাবার ফ্ল্যাট বিক্রি করে অথবা বন্ধক রেখে টাকা এনে দিতে বলা হয়। এতে রাজি না হয়ে তালাক দিতে চাওয়ায় তাসনিমকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
তাসনিম সারা প্রিয়া বলেন, ‘যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, সে-ই চাকু দিয়ে আমার চেহারা কাটে। সেদিন দুপুরে আমি নামাজ পড়ছিলাম। তখন রনি তিনজনকে নিয়ে বাসায় ঢোকে। ড্রেসিং টেবিলের ভারী কাঠের টুল দিয়ে আমার মুখে বাড়ি দেয়, হাতে চেইন পেঁচিয়ে এসেছিল, সেটা দিয়ে ঘুষি দিয়ে আমার মাথা ফাটায়। চাকু দিয়ে কপাল থেকে ঠোঁটের নিচ পর্যন্ত কেটে ফেলে। আমার চেহারা সে নষ্ট করে দিয়েছে। আমার নাক ভেঙে গিয়েছিল, নাকের কোনো হাড্ডি ছিল না। মুখের ওপরের চোয়াল ভেঙে গিয়েছিল। বাম পাশের দাঁত নড়ে গেছে। মাথার হাড্ডি বের হয়ে গিয়েছিল।’
সেদিন বাসায় থাকা তাসনিমের মা এবং ছোট বোনকেও রনির সঙ্গে আসা লোকেরা মারধর করে বলে জানান তাসনিম। একপর্যায়ে তাঁদের চিৎকার শুনে ভাড়াটে ও বাড়ির মালিক এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। তখন রনি পালিয়ে যায়।
তাসনিম জানান, ২০১৪ সালে তাঁর প্রথম বিয়ে হয়। সেই স্বামীর সঙ্গে ২০১৮ সালে বিচ্ছেদ ঘটে। সেই সংসারে তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে, যার বয়স বর্তমানে আট বছর। রনির একজন স্ত্রী রয়েছে জেনে তিনি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর জানতে পারেন, তাঁর দুজন স্ত্রী।
তাসনিমের ভাষ্যমতে, রনির দুজন স্ত্রীই তাঁকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দিয়েছিলেন। প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া তিন কোটি টাকা দিয়ে রনি তাঁর ব্যবসা দাঁড় করান। দ্বিতীয় স্ত্রীও তাঁকে ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন।
তাসনিম বলেন, ‘আমার বেঁচে থাকার কোনো কথা ছিল না। আমি ২০ দিন হসপিটালে ছিলাম। দুইটা সার্জারি হয়েছে। এখনো আমার ট্রিটমেন্ট বাকি। আমার ছোট মেয়েটার বয়স ১০ মাস। আমি মরে গেলে আমার মেয়েদের কে দেখবে?’
রনির বিচার চেয়ে গত ২২ মে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তাসনিম। এরপর গত ১৩ আগস্ট রনিকে তালাকের নোটিশও পাঠিয়েছেন। তাসনিম জানান, রনি এবং তার পরিবার বিত্তবান ও প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের কাছ থেকে তিনি আশানুরূপ সাহায্য পাননি।
এদিকে তাসনিমের লাইভের পর রনিও লাইভে এসে তাসনিমের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেন।
রনি বলেন, তাসনিম পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত থাকায় রাগান্বিত হয়ে তিনি নির্যাতন করেন। তাসনিম একাধিক বিয়ে করেছে বলেও অভিযোগ করেন।
রনি দাবি করে বলেন, তাসনিম তার বাসা থেকে ২৫ থেকে ৩০ ভরি সোনা, ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে গেছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন তাসনিম।
লাইভে রনি বলেন, তাসনিম ফেসবুকে মিথ্যা বলে মামলা দিয়ে তাঁকে ‘ভিলেন’ বানাবার চেষ্টা করছেন। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে প্রকাশ্যে এনে তাসনিম স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন। আইনিভাবেই তিনি জামিনে আছেন বলেও জানান। পরবর্তীতে তিনি লাইভ ভিডিওটি মুছে (ডিলিট) ফেলেন।
এসব বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী এলিনা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, কোনো আইনই নির্যাতনকে সমর্থন করে না। স্ত্রী যদি পরকীয়া করে থাকেন, তাহলে স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দিতে পারতেন। আমাদের দেশে কিছু ঘটলেই নারীর চরিত্রকে সামনে আনা হয়, পরকীয়ার কথা বলা হয়। লোকজনও মনে করে, মহিলাটা খারাপ কাজ করেছে, তাই শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু যে লোকটা অত্যাচার করেছে, তাঁকে খারাপ লোক হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। পরকীয়া করে থাকলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়া যেত অথবা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ছিল। কোনোটাই না করে স্ত্রীকে নির্যাতন করে সে বেআইনি কাজ করেছে। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
৪৩ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে একদিনে সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কি আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এরকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, "তারেক সাহেব কখন আসবেন এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে, আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্রাফট নিয়ে। সেক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে। "
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। "
এছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সবক্ষেত্রে নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবারে রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তার।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে একদিনে সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কি আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এরকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, "তারেক সাহেব কখন আসবেন এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে, আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্রাফট নিয়ে। সেক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে। "
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। "
এছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সবক্ষেত্রে নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবারে রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তার।

‘নরপশুর মতো নির্যাতনের পরেও আমি কেন মরে যাইনি, সেটাই ওর রাগ। লজ্জায়, মান সম্মানের ভয়ে আমি এত দিন কথা বলি নাই। কিন্তু এখন আমার সন্তানকে অ্যাসিড মারার হুমকি দিচ্ছে। তাই আর চুপ থাকতে পারলাম না।’ —আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন স্বামীর নির্যাতনের শিকার নারী তাসনিম সারা প্রিয়া
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
৪৩ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

‘নরপশুর মতো নির্যাতনের পরেও আমি কেন মরে যাইনি, সেটাই ওর রাগ। লজ্জায়, মান সম্মানের ভয়ে আমি এত দিন কথা বলি নাই। কিন্তু এখন আমার সন্তানকে অ্যাসিড মারার হুমকি দিচ্ছে। তাই আর চুপ থাকতে পারলাম না।’ —আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন স্বামীর নির্যাতনের শিকার নারী তাসনিম সারা প্রিয়া
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

‘নরপশুর মতো নির্যাতনের পরেও আমি কেন মরে যাইনি, সেটাই ওর রাগ। লজ্জায়, মান সম্মানের ভয়ে আমি এত দিন কথা বলি নাই। কিন্তু এখন আমার সন্তানকে অ্যাসিড মারার হুমকি দিচ্ছে। তাই আর চুপ থাকতে পারলাম না।’ —আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন স্বামীর নির্যাতনের শিকার নারী তাসনিম সারা প্রিয়া
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
৪৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

‘নরপশুর মতো নির্যাতনের পরেও আমি কেন মরে যাইনি, সেটাই ওর রাগ। লজ্জায়, মান সম্মানের ভয়ে আমি এত দিন কথা বলি নাই। কিন্তু এখন আমার সন্তানকে অ্যাসিড মারার হুমকি দিচ্ছে। তাই আর চুপ থাকতে পারলাম না।’ —আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে কথাগুলো বলছিলেন স্বামীর নির্যাতনের শিকার নারী তাসনিম সারা প্রিয়া
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেয়ার ব্যাপারে ভারত এখনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।
৩৮ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
৪৩ মিনিট আগে
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে