
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করার অভিযোগে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
জগন্নাথের সেই পরিস্থিতি নিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমের সঙ্গে আজ শনিবার দুপুরে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা অনলাইন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাসেল মাহমুদ।
আজকের পত্রিকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম যৌন হয়রানির যেই অভিযোগ করেছিলেন, আপনারা কেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলেন না?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: ঘটনার দুই বছর পর মেয়েটি এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। এই শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা, সেশনজটসহ বিভাগের আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা তৎকালীন উপাচার্যের কাছে যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে উপাচার্য বিষয়টি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। তখন তার বাবার সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করি। পরে শিক্ষার্থীর সঙ্গেও আলোচনা করি। কিন্তু সেই শিক্ষার্থী অভিযোগ প্রত্যাহার করেনি। উপাচার্যকে জানানোর পর কোনো পদক্ষেপ নেননি। এর পরই ওই শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে যায়। এবার বিভাগের শিক্ষক শাহেদ ইমনের প্ররোচনায় ফাতেমা আমিন তাকে (মীম) কোনো মার্কস দেয়নি—এই অভিযোগ তোলে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনাকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন? তখন আপনার ভূমিকা আসলে কেমন ছিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: আমার দোষ হলো, অভিযোগের পর আমাকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভাগের বিষয়টি দেখতে হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির বিষয়, যার কারণে বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের কাছে যেতে হয়েছে। তা ছাড়া আমার তো যাওয়ার দরকার ছিল না। করোনার সময় ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে গিয়ে মৌখিকভাবে যৌন নিপীড়নের কথা বলেছিল। যেহেতু বিষয়টি আমার কাছে এসেছে, তখন তাকে বলেছি লিখিত দিতে। কারণ সরাসরি এমন একটি বিষয় তাকে না বলে লিখিত দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বলা যাবে।
আজকের পত্রিকা: এ রকম অভিযোগের কোনো তদন্ত হলো না? সেই তদন্ত কমিটি কী প্রতিবেদন দিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: তদন্ত কমিটি নিয়ে একটু ঝামেলা আছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সদস্য লাগত। সেখানে বাইরে থেকে কাজ করেছেন শুধু অধ্যাপক সাদেকা হালিম। আইনত একটা ছোট অসংগতি এখানে ছিল। তদন্ত করতে এসেছে যৌন হয়রানির বিষয়ে, সেখানে আবু শাহেদ ইমনের বিষয়েই তদন্ত করেছে। বাকিদের বিষয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগগুলো আর আমলে নেয়নি। তদন্তের বিষয় ছিল যৌন হয়রানি, সেখানে বিভাগে কার সঙ্গে কী দ্বন্দ্ব, সেগুলো তদন্ত প্রতিবেদনে দিয়েছে। আমিও দ্বিচারিতা করেছি। মেয়েকে বলেছি লিখিত দিতে, আবার তার অভিযোগ তুলে নিতেও বলেছি। তদন্ত করতে এসে তারা আমাকে ধমকিয়েছে। অথচ আমার কথায় সে (শিক্ষার্থী) কিন্তু অভিযোগ তোলেনি। তাহলে আমাকে কেন অভিযুক্ত করা হলো? আমি এই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করব না। স্বাক্ষর না করে আমার জবানবন্দি দিয়েছি। পরে আমরা বিভাগে একটি একাডেমিক সভা করে ব্যাখ্যা দিয়েছি। তদন্ত কমিটির ওপর অনাস্থা এনে তা বাতিলের দাবি করেছি।
আজকের পত্রিকা: তদন্ত কমিটির সঙ্গে আপনার এই পরিস্থিতি তৈরি হলো কেন? আগে থেকে কোনো বিরোধ ছিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: আপনি আমাদের ধমকানোর কে? আপনাদের তদন্ত করতে দিছে। তদন্ত করতে এসে আমার চাকরি ‘নট’ করে দিতে চান! তদন্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করতে চেয়েছে। পরে আমরা সভা করে বলেছি, সাদেকা হালিম ও তদন্ত কমিটির ওপর আমাদের আস্থা নাই। অনাস্থা জানিয়ে বাতিল চেয়েছি। আদালত তদন্ত বাতিল করেছে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে এ কমিটি ছিল। আমার কথা হলো, ইমন যদি অপরাধ করে থাকে, ওর শাস্তি হবে। কিন্তু বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবেন না। আমি সেটাই বলেছি।
আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনি তদন্ত প্রতিবেদন মানতে চাননি? সাদেকা হালিমের সঙ্গে এখান থেকেই কি আপনার বিরোধ?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: সাদেকা হালিমের তদন্ত প্রতিবেদনে উষ্মা প্রকাশ করার কারণে তিনি সেটা মানতে পারেননি। তিনি হয়তো ভেবেছেন, আমি তাঁকে (সাদেকা হালিম) ‘না’ করেছি। আসলে নারীবাদের নামে আমি পুরুষ বিদ্বেষের শিকার! কারণ, আমি তাঁর বিষয়ে অনাস্থা দিয়েছি। এটাই হলো মূল কারণ।
আজকের পত্রিকা: আপনি বলছেন, সাদেকা হালিম উপাচার্য হয়ে কি সেটির প্রতিশোধ নিলেন?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: সাদেকা হালিমকে আমরা যেই অনাস্থা দিয়েছি, এই জ্বালা তিনি সহ্য করতে পারছেন না! উপাচার্য হয়ে আসার পর তাঁর সঙ্গে তিনবার আমার মিটিং নির্ধারণ করেও মিটিং হয়নি। প্রথম মিটিংয়ে বলেছিলেন, মেয়েটির পরীক্ষা নিয়ে নাও। আমি বলেছি, আবেদন করলে আমি নিয়ে নেব। এরপর বললেন, শিক্ষক ইমনকে শাস্তি দিবে। তখন আমি বললাম, এটা আপনার এখতিয়ার। এরপর দুইবার তিনি সভা ঠিক করেও কোনো সভা হয়নি।
আজকের পত্রিকা: এ রকম পরিস্থিতিতে আপনি কী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: যারা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করতে পারি। আমার কথা হলো, পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পরে কেন আমি সেই পরীক্ষা আবার নিব? তাকে সেই সুযোগ দিলে তো বাকি সবাইকেও একই সুযোগ দিতে হবে। অন্য আরেকজন পরীক্ষা দেয়নি। সেও ফেল করেছে। আমি কারও জন্য নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাইনি। আমি মনে করি, আমি সঠিক অবস্থানেই আছি।
এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করার অভিযোগে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
জগন্নাথের সেই পরিস্থিতি নিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমের সঙ্গে আজ শনিবার দুপুরে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা অনলাইন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাসেল মাহমুদ।
আজকের পত্রিকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম যৌন হয়রানির যেই অভিযোগ করেছিলেন, আপনারা কেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলেন না?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: ঘটনার দুই বছর পর মেয়েটি এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। এই শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা, সেশনজটসহ বিভাগের আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা তৎকালীন উপাচার্যের কাছে যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে উপাচার্য বিষয়টি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। তখন তার বাবার সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করি। পরে শিক্ষার্থীর সঙ্গেও আলোচনা করি। কিন্তু সেই শিক্ষার্থী অভিযোগ প্রত্যাহার করেনি। উপাচার্যকে জানানোর পর কোনো পদক্ষেপ নেননি। এর পরই ওই শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে যায়। এবার বিভাগের শিক্ষক শাহেদ ইমনের প্ররোচনায় ফাতেমা আমিন তাকে (মীম) কোনো মার্কস দেয়নি—এই অভিযোগ তোলে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনাকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন? তখন আপনার ভূমিকা আসলে কেমন ছিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: আমার দোষ হলো, অভিযোগের পর আমাকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভাগের বিষয়টি দেখতে হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির বিষয়, যার কারণে বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের কাছে যেতে হয়েছে। তা ছাড়া আমার তো যাওয়ার দরকার ছিল না। করোনার সময় ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে গিয়ে মৌখিকভাবে যৌন নিপীড়নের কথা বলেছিল। যেহেতু বিষয়টি আমার কাছে এসেছে, তখন তাকে বলেছি লিখিত দিতে। কারণ সরাসরি এমন একটি বিষয় তাকে না বলে লিখিত দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বলা যাবে।
আজকের পত্রিকা: এ রকম অভিযোগের কোনো তদন্ত হলো না? সেই তদন্ত কমিটি কী প্রতিবেদন দিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: তদন্ত কমিটি নিয়ে একটু ঝামেলা আছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সদস্য লাগত। সেখানে বাইরে থেকে কাজ করেছেন শুধু অধ্যাপক সাদেকা হালিম। আইনত একটা ছোট অসংগতি এখানে ছিল। তদন্ত করতে এসেছে যৌন হয়রানির বিষয়ে, সেখানে আবু শাহেদ ইমনের বিষয়েই তদন্ত করেছে। বাকিদের বিষয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগগুলো আর আমলে নেয়নি। তদন্তের বিষয় ছিল যৌন হয়রানি, সেখানে বিভাগে কার সঙ্গে কী দ্বন্দ্ব, সেগুলো তদন্ত প্রতিবেদনে দিয়েছে। আমিও দ্বিচারিতা করেছি। মেয়েকে বলেছি লিখিত দিতে, আবার তার অভিযোগ তুলে নিতেও বলেছি। তদন্ত করতে এসে তারা আমাকে ধমকিয়েছে। অথচ আমার কথায় সে (শিক্ষার্থী) কিন্তু অভিযোগ তোলেনি। তাহলে আমাকে কেন অভিযুক্ত করা হলো? আমি এই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করব না। স্বাক্ষর না করে আমার জবানবন্দি দিয়েছি। পরে আমরা বিভাগে একটি একাডেমিক সভা করে ব্যাখ্যা দিয়েছি। তদন্ত কমিটির ওপর অনাস্থা এনে তা বাতিলের দাবি করেছি।
আজকের পত্রিকা: তদন্ত কমিটির সঙ্গে আপনার এই পরিস্থিতি তৈরি হলো কেন? আগে থেকে কোনো বিরোধ ছিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: আপনি আমাদের ধমকানোর কে? আপনাদের তদন্ত করতে দিছে। তদন্ত করতে এসে আমার চাকরি ‘নট’ করে দিতে চান! তদন্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করতে চেয়েছে। পরে আমরা সভা করে বলেছি, সাদেকা হালিম ও তদন্ত কমিটির ওপর আমাদের আস্থা নাই। অনাস্থা জানিয়ে বাতিল চেয়েছি। আদালত তদন্ত বাতিল করেছে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে এ কমিটি ছিল। আমার কথা হলো, ইমন যদি অপরাধ করে থাকে, ওর শাস্তি হবে। কিন্তু বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবেন না। আমি সেটাই বলেছি।
আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনি তদন্ত প্রতিবেদন মানতে চাননি? সাদেকা হালিমের সঙ্গে এখান থেকেই কি আপনার বিরোধ?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: সাদেকা হালিমের তদন্ত প্রতিবেদনে উষ্মা প্রকাশ করার কারণে তিনি সেটা মানতে পারেননি। তিনি হয়তো ভেবেছেন, আমি তাঁকে (সাদেকা হালিম) ‘না’ করেছি। আসলে নারীবাদের নামে আমি পুরুষ বিদ্বেষের শিকার! কারণ, আমি তাঁর বিষয়ে অনাস্থা দিয়েছি। এটাই হলো মূল কারণ।
আজকের পত্রিকা: আপনি বলছেন, সাদেকা হালিম উপাচার্য হয়ে কি সেটির প্রতিশোধ নিলেন?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: সাদেকা হালিমকে আমরা যেই অনাস্থা দিয়েছি, এই জ্বালা তিনি সহ্য করতে পারছেন না! উপাচার্য হয়ে আসার পর তাঁর সঙ্গে তিনবার আমার মিটিং নির্ধারণ করেও মিটিং হয়নি। প্রথম মিটিংয়ে বলেছিলেন, মেয়েটির পরীক্ষা নিয়ে নাও। আমি বলেছি, আবেদন করলে আমি নিয়ে নেব। এরপর বললেন, শিক্ষক ইমনকে শাস্তি দিবে। তখন আমি বললাম, এটা আপনার এখতিয়ার। এরপর দুইবার তিনি সভা ঠিক করেও কোনো সভা হয়নি।
আজকের পত্রিকা: এ রকম পরিস্থিতিতে আপনি কী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: যারা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করতে পারি। আমার কথা হলো, পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পরে কেন আমি সেই পরীক্ষা আবার নিব? তাকে সেই সুযোগ দিলে তো বাকি সবাইকেও একই সুযোগ দিতে হবে। অন্য আরেকজন পরীক্ষা দেয়নি। সেও ফেল করেছে। আমি কারও জন্য নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাইনি। আমি মনে করি, আমি সঠিক অবস্থানেই আছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করার অভিযোগে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
জগন্নাথের সেই পরিস্থিতি নিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমের সঙ্গে আজ শনিবার দুপুরে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা অনলাইন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাসেল মাহমুদ।
আজকের পত্রিকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম যৌন হয়রানির যেই অভিযোগ করেছিলেন, আপনারা কেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলেন না?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: ঘটনার দুই বছর পর মেয়েটি এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। এই শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা, সেশনজটসহ বিভাগের আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা তৎকালীন উপাচার্যের কাছে যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে উপাচার্য বিষয়টি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। তখন তার বাবার সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করি। পরে শিক্ষার্থীর সঙ্গেও আলোচনা করি। কিন্তু সেই শিক্ষার্থী অভিযোগ প্রত্যাহার করেনি। উপাচার্যকে জানানোর পর কোনো পদক্ষেপ নেননি। এর পরই ওই শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে যায়। এবার বিভাগের শিক্ষক শাহেদ ইমনের প্ররোচনায় ফাতেমা আমিন তাকে (মীম) কোনো মার্কস দেয়নি—এই অভিযোগ তোলে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনাকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন? তখন আপনার ভূমিকা আসলে কেমন ছিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: আমার দোষ হলো, অভিযোগের পর আমাকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভাগের বিষয়টি দেখতে হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির বিষয়, যার কারণে বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের কাছে যেতে হয়েছে। তা ছাড়া আমার তো যাওয়ার দরকার ছিল না। করোনার সময় ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে গিয়ে মৌখিকভাবে যৌন নিপীড়নের কথা বলেছিল। যেহেতু বিষয়টি আমার কাছে এসেছে, তখন তাকে বলেছি লিখিত দিতে। কারণ সরাসরি এমন একটি বিষয় তাকে না বলে লিখিত দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বলা যাবে।
আজকের পত্রিকা: এ রকম অভিযোগের কোনো তদন্ত হলো না? সেই তদন্ত কমিটি কী প্রতিবেদন দিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: তদন্ত কমিটি নিয়ে একটু ঝামেলা আছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সদস্য লাগত। সেখানে বাইরে থেকে কাজ করেছেন শুধু অধ্যাপক সাদেকা হালিম। আইনত একটা ছোট অসংগতি এখানে ছিল। তদন্ত করতে এসেছে যৌন হয়রানির বিষয়ে, সেখানে আবু শাহেদ ইমনের বিষয়েই তদন্ত করেছে। বাকিদের বিষয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগগুলো আর আমলে নেয়নি। তদন্তের বিষয় ছিল যৌন হয়রানি, সেখানে বিভাগে কার সঙ্গে কী দ্বন্দ্ব, সেগুলো তদন্ত প্রতিবেদনে দিয়েছে। আমিও দ্বিচারিতা করেছি। মেয়েকে বলেছি লিখিত দিতে, আবার তার অভিযোগ তুলে নিতেও বলেছি। তদন্ত করতে এসে তারা আমাকে ধমকিয়েছে। অথচ আমার কথায় সে (শিক্ষার্থী) কিন্তু অভিযোগ তোলেনি। তাহলে আমাকে কেন অভিযুক্ত করা হলো? আমি এই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করব না। স্বাক্ষর না করে আমার জবানবন্দি দিয়েছি। পরে আমরা বিভাগে একটি একাডেমিক সভা করে ব্যাখ্যা দিয়েছি। তদন্ত কমিটির ওপর অনাস্থা এনে তা বাতিলের দাবি করেছি।
আজকের পত্রিকা: তদন্ত কমিটির সঙ্গে আপনার এই পরিস্থিতি তৈরি হলো কেন? আগে থেকে কোনো বিরোধ ছিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: আপনি আমাদের ধমকানোর কে? আপনাদের তদন্ত করতে দিছে। তদন্ত করতে এসে আমার চাকরি ‘নট’ করে দিতে চান! তদন্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করতে চেয়েছে। পরে আমরা সভা করে বলেছি, সাদেকা হালিম ও তদন্ত কমিটির ওপর আমাদের আস্থা নাই। অনাস্থা জানিয়ে বাতিল চেয়েছি। আদালত তদন্ত বাতিল করেছে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে এ কমিটি ছিল। আমার কথা হলো, ইমন যদি অপরাধ করে থাকে, ওর শাস্তি হবে। কিন্তু বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবেন না। আমি সেটাই বলেছি।
আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনি তদন্ত প্রতিবেদন মানতে চাননি? সাদেকা হালিমের সঙ্গে এখান থেকেই কি আপনার বিরোধ?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: সাদেকা হালিমের তদন্ত প্রতিবেদনে উষ্মা প্রকাশ করার কারণে তিনি সেটা মানতে পারেননি। তিনি হয়তো ভেবেছেন, আমি তাঁকে (সাদেকা হালিম) ‘না’ করেছি। আসলে নারীবাদের নামে আমি পুরুষ বিদ্বেষের শিকার! কারণ, আমি তাঁর বিষয়ে অনাস্থা দিয়েছি। এটাই হলো মূল কারণ।
আজকের পত্রিকা: আপনি বলছেন, সাদেকা হালিম উপাচার্য হয়ে কি সেটির প্রতিশোধ নিলেন?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: সাদেকা হালিমকে আমরা যেই অনাস্থা দিয়েছি, এই জ্বালা তিনি সহ্য করতে পারছেন না! উপাচার্য হয়ে আসার পর তাঁর সঙ্গে তিনবার আমার মিটিং নির্ধারণ করেও মিটিং হয়নি। প্রথম মিটিংয়ে বলেছিলেন, মেয়েটির পরীক্ষা নিয়ে নাও। আমি বলেছি, আবেদন করলে আমি নিয়ে নেব। এরপর বললেন, শিক্ষক ইমনকে শাস্তি দিবে। তখন আমি বললাম, এটা আপনার এখতিয়ার। এরপর দুইবার তিনি সভা ঠিক করেও কোনো সভা হয়নি।
আজকের পত্রিকা: এ রকম পরিস্থিতিতে আপনি কী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: যারা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করতে পারি। আমার কথা হলো, পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পরে কেন আমি সেই পরীক্ষা আবার নিব? তাকে সেই সুযোগ দিলে তো বাকি সবাইকেও একই সুযোগ দিতে হবে। অন্য আরেকজন পরীক্ষা দেয়নি। সেও ফেল করেছে। আমি কারও জন্য নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাইনি। আমি মনে করি, আমি সঠিক অবস্থানেই আছি।
এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করার অভিযোগে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
জগন্নাথের সেই পরিস্থিতি নিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমের সঙ্গে আজ শনিবার দুপুরে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা অনলাইন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাসেল মাহমুদ।
আজকের পত্রিকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম যৌন হয়রানির যেই অভিযোগ করেছিলেন, আপনারা কেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলেন না?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: ঘটনার দুই বছর পর মেয়েটি এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। এই শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা, সেশনজটসহ বিভাগের আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা তৎকালীন উপাচার্যের কাছে যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে উপাচার্য বিষয়টি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। তখন তার বাবার সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করি। পরে শিক্ষার্থীর সঙ্গেও আলোচনা করি। কিন্তু সেই শিক্ষার্থী অভিযোগ প্রত্যাহার করেনি। উপাচার্যকে জানানোর পর কোনো পদক্ষেপ নেননি। এর পরই ওই শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে যায়। এবার বিভাগের শিক্ষক শাহেদ ইমনের প্ররোচনায় ফাতেমা আমিন তাকে (মীম) কোনো মার্কস দেয়নি—এই অভিযোগ তোলে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনাকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন? তখন আপনার ভূমিকা আসলে কেমন ছিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: আমার দোষ হলো, অভিযোগের পর আমাকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভাগের বিষয়টি দেখতে হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির বিষয়, যার কারণে বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের কাছে যেতে হয়েছে। তা ছাড়া আমার তো যাওয়ার দরকার ছিল না। করোনার সময় ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে গিয়ে মৌখিকভাবে যৌন নিপীড়নের কথা বলেছিল। যেহেতু বিষয়টি আমার কাছে এসেছে, তখন তাকে বলেছি লিখিত দিতে। কারণ সরাসরি এমন একটি বিষয় তাকে না বলে লিখিত দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বলা যাবে।
আজকের পত্রিকা: এ রকম অভিযোগের কোনো তদন্ত হলো না? সেই তদন্ত কমিটি কী প্রতিবেদন দিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: তদন্ত কমিটি নিয়ে একটু ঝামেলা আছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সদস্য লাগত। সেখানে বাইরে থেকে কাজ করেছেন শুধু অধ্যাপক সাদেকা হালিম। আইনত একটা ছোট অসংগতি এখানে ছিল। তদন্ত করতে এসেছে যৌন হয়রানির বিষয়ে, সেখানে আবু শাহেদ ইমনের বিষয়েই তদন্ত করেছে। বাকিদের বিষয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগগুলো আর আমলে নেয়নি। তদন্তের বিষয় ছিল যৌন হয়রানি, সেখানে বিভাগে কার সঙ্গে কী দ্বন্দ্ব, সেগুলো তদন্ত প্রতিবেদনে দিয়েছে। আমিও দ্বিচারিতা করেছি। মেয়েকে বলেছি লিখিত দিতে, আবার তার অভিযোগ তুলে নিতেও বলেছি। তদন্ত করতে এসে তারা আমাকে ধমকিয়েছে। অথচ আমার কথায় সে (শিক্ষার্থী) কিন্তু অভিযোগ তোলেনি। তাহলে আমাকে কেন অভিযুক্ত করা হলো? আমি এই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করব না। স্বাক্ষর না করে আমার জবানবন্দি দিয়েছি। পরে আমরা বিভাগে একটি একাডেমিক সভা করে ব্যাখ্যা দিয়েছি। তদন্ত কমিটির ওপর অনাস্থা এনে তা বাতিলের দাবি করেছি।
আজকের পত্রিকা: তদন্ত কমিটির সঙ্গে আপনার এই পরিস্থিতি তৈরি হলো কেন? আগে থেকে কোনো বিরোধ ছিল?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: আপনি আমাদের ধমকানোর কে? আপনাদের তদন্ত করতে দিছে। তদন্ত করতে এসে আমার চাকরি ‘নট’ করে দিতে চান! তদন্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করতে চেয়েছে। পরে আমরা সভা করে বলেছি, সাদেকা হালিম ও তদন্ত কমিটির ওপর আমাদের আস্থা নাই। অনাস্থা জানিয়ে বাতিল চেয়েছি। আদালত তদন্ত বাতিল করেছে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে এ কমিটি ছিল। আমার কথা হলো, ইমন যদি অপরাধ করে থাকে, ওর শাস্তি হবে। কিন্তু বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবেন না। আমি সেটাই বলেছি।
আজকের পত্রিকা: তাহলে আপনি তদন্ত প্রতিবেদন মানতে চাননি? সাদেকা হালিমের সঙ্গে এখান থেকেই কি আপনার বিরোধ?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: সাদেকা হালিমের তদন্ত প্রতিবেদনে উষ্মা প্রকাশ করার কারণে তিনি সেটা মানতে পারেননি। তিনি হয়তো ভেবেছেন, আমি তাঁকে (সাদেকা হালিম) ‘না’ করেছি। আসলে নারীবাদের নামে আমি পুরুষ বিদ্বেষের শিকার! কারণ, আমি তাঁর বিষয়ে অনাস্থা দিয়েছি। এটাই হলো মূল কারণ।
আজকের পত্রিকা: আপনি বলছেন, সাদেকা হালিম উপাচার্য হয়ে কি সেটির প্রতিশোধ নিলেন?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: সাদেকা হালিমকে আমরা যেই অনাস্থা দিয়েছি, এই জ্বালা তিনি সহ্য করতে পারছেন না! উপাচার্য হয়ে আসার পর তাঁর সঙ্গে তিনবার আমার মিটিং নির্ধারণ করেও মিটিং হয়নি। প্রথম মিটিংয়ে বলেছিলেন, মেয়েটির পরীক্ষা নিয়ে নাও। আমি বলেছি, আবেদন করলে আমি নিয়ে নেব। এরপর বললেন, শিক্ষক ইমনকে শাস্তি দিবে। তখন আমি বললাম, এটা আপনার এখতিয়ার। এরপর দুইবার তিনি সভা ঠিক করেও কোনো সভা হয়নি।
আজকের পত্রিকা: এ রকম পরিস্থিতিতে আপনি কী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: যারা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করতে পারি। আমার কথা হলো, পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পরে কেন আমি সেই পরীক্ষা আবার নিব? তাকে সেই সুযোগ দিলে তো বাকি সবাইকেও একই সুযোগ দিতে হবে। অন্য আরেকজন পরীক্ষা দেয়নি। সেও ফেল করেছে। আমি কারও জন্য নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাইনি। আমি মনে করি, আমি সঠিক অবস্থানেই আছি।

রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
৪ ঘণ্টা আগে
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
৪ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম (সার্টিফিকেশন মার্কস উইং) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাইভ বেকারির সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছে যে আমরা এগুলোর হিসাব রাখতে পারছি না। কোনোরকম একটা ট্রেড লাইসেন্স জোগাড় করেই উৎপাদন শুরু করছে এগুলো। আমরা তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। এতগুলো প্রতিষ্ঠান তো বন্ধ করে দিতে পারি না। আমাদের লোকবলের সংকট থাকায় যতটা কাজ করার দরকার, তা করতে পারছি না।’
অল্প জায়গায় স্বল্প পুঁজিতে গড়া যায় বলে রাজধানীতে লাইভ বেকারির সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। মুগদা থানাধীন পূর্ব মানিকনগরে ঢোকার মুখ থেকে খালপাড় নতুন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সাড়ে ৮০০ মিটারের মধ্যে ৫টি লাইভ বেকারি দেখা যায়। শুধু মানিকনগর নয়; রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল, খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রী, মোহাম্মদপুরসহ প্রায় সব এলাকার বাজার, পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠছে শত শত লাইভ বেকারি।
ছোট একটি দোকানে ওভেন, মিক্সচার মেশিন, ট্রে টেবিল ও কিছু আসবাব বসিয়ে এসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে কেক, বিস্কুট, পাউরুটি, পেটিস, টোস্ট, মিষ্টিসহ নানা খাদ্যপণ্য।
ঝিগাতলার সোনালী ব্যাংকসংলগ্ন ‘বেকার্স বে’ লাইভ বেকারি থেকে দুটি চিজ রোল ও একটি চিকেন রোল কিনে ফিরছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পলাশ মাহমুদ। কীভাবে মান যাচাই করবেন, তা জানা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় খাদ্যপণ্য কিনি স্বাদ দেখে। আর যে চিজ রোল আমি ৪০ টাকায় কিনলাম, এটি ভালো কোনো দোকানে গেলে ৭০-৮০ টাকা লাগবে।’
পূর্ব মানিকনগরের খালিস বেকারির স্বত্বাধিকারী মো. জুবায়ের বলেন, ‘ভালো লাভের আশা দিয়ে আরেক বেকারির মালিক আমারে এই ব্যবসায় নামিয়েছে। কিছু টাকা দিয়ে সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স করেছি। দেড় বছর আগে যখন শুরু করেছিলাম, তখন কিছু কিছু লাভ হতো। কয়েক মাসের মধ্যে আশপাশে বেকারির সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। এখন লোকসানে আছি।’
লাইসেন্স নেই অনেকেরই
প্রথমে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কারখানা স্থাপন করতে হয়। তারপর নমুনা পণ্য উৎপাদন করে মান সনদের জন্য বিএসটিআইতে জমা দিতে হয়। এর জন্য হাল নাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, শিল্প-নকশা বা ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রেশনের সত্যায়িত ফটোকপি, ভ্যাট সনদ, প্রিমিসেস লাইসেন্স, কর্মচারীর স্বাস্থ্য সনদ, পণ্যের মোড়কের নকশার কাগজসহ বেশ কিছু নথি দরকার হয়। জানাতে হয় কালার, ফ্লেভার, প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল সুইটনারসহ পণ্যের উপকরণ। পরীক্ষণের যন্ত্রপাতির তালিকা, কারখানার যন্ত্রপাতির তালিকা, কারখানার লে-আউট ও প্রসেস ফ্লো-চার্ট। এরপর পরিদর্শকেরা কারখানা পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হলে মেলে মান সনদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়া মানা হচ্ছে না। অনেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসায় নেমে পড়েন। কারও কারও তা-ও নেই। মানসনদ নেই সিংহভাগের। কারিগরদের নেই প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ, স্যানিটেশন সনদ।
বুয়েটের উদ্যোগে ২০২১ সালে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকা শহরের ৬৭ শতাংশ পাউরুটির নমুনায় নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি পটাশিয়াম ব্রোমেট রয়েছে। পাউরুটি ফোলাতে এই রাসায়নিকট ব্যবহার হয়। এ ছাড়া বেকারি পণ্যে কাঁচামাল আটার সঙ্গে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট, কৃত্রিম রং ও সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও ওই গবেষণায় বলা হয়।
রাজধানীতে কতটি লাইভ বেকারি রয়েছে, তার কোনো তথ্য নেই সিটি করপোরেশন, বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছেই। বিএসটিআইয়ের তথ্য বলছে, শত শত বেকারির মধ্যে মাত্র ২৭টির মান সনদ রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মুহাম্মদ হাবিবুল আলম বলেন, ‘এসব ট্রেড লাইসেন্স করপোরেশনের জোনগুলো থেকে দেওয়া হয়। কতটি লাইসেন্স হয়েছে, আমাদের কাছে সে তথ্য নেই।’
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি শফিকুজ্জামান বলেন, মানহীন এসব পণ্যে সাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। যারা আইন মেনে উৎপাদন করবে না, তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। দু-একটি বন্ধ করলে বাকিগুলো ঠিক হয়ে যেত।

রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম (সার্টিফিকেশন মার্কস উইং) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাইভ বেকারির সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছে যে আমরা এগুলোর হিসাব রাখতে পারছি না। কোনোরকম একটা ট্রেড লাইসেন্স জোগাড় করেই উৎপাদন শুরু করছে এগুলো। আমরা তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। এতগুলো প্রতিষ্ঠান তো বন্ধ করে দিতে পারি না। আমাদের লোকবলের সংকট থাকায় যতটা কাজ করার দরকার, তা করতে পারছি না।’
অল্প জায়গায় স্বল্প পুঁজিতে গড়া যায় বলে রাজধানীতে লাইভ বেকারির সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। মুগদা থানাধীন পূর্ব মানিকনগরে ঢোকার মুখ থেকে খালপাড় নতুন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সাড়ে ৮০০ মিটারের মধ্যে ৫টি লাইভ বেকারি দেখা যায়। শুধু মানিকনগর নয়; রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল, খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রী, মোহাম্মদপুরসহ প্রায় সব এলাকার বাজার, পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠছে শত শত লাইভ বেকারি।
ছোট একটি দোকানে ওভেন, মিক্সচার মেশিন, ট্রে টেবিল ও কিছু আসবাব বসিয়ে এসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে কেক, বিস্কুট, পাউরুটি, পেটিস, টোস্ট, মিষ্টিসহ নানা খাদ্যপণ্য।
ঝিগাতলার সোনালী ব্যাংকসংলগ্ন ‘বেকার্স বে’ লাইভ বেকারি থেকে দুটি চিজ রোল ও একটি চিকেন রোল কিনে ফিরছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পলাশ মাহমুদ। কীভাবে মান যাচাই করবেন, তা জানা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় খাদ্যপণ্য কিনি স্বাদ দেখে। আর যে চিজ রোল আমি ৪০ টাকায় কিনলাম, এটি ভালো কোনো দোকানে গেলে ৭০-৮০ টাকা লাগবে।’
পূর্ব মানিকনগরের খালিস বেকারির স্বত্বাধিকারী মো. জুবায়ের বলেন, ‘ভালো লাভের আশা দিয়ে আরেক বেকারির মালিক আমারে এই ব্যবসায় নামিয়েছে। কিছু টাকা দিয়ে সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স করেছি। দেড় বছর আগে যখন শুরু করেছিলাম, তখন কিছু কিছু লাভ হতো। কয়েক মাসের মধ্যে আশপাশে বেকারির সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। এখন লোকসানে আছি।’
লাইসেন্স নেই অনেকেরই
প্রথমে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কারখানা স্থাপন করতে হয়। তারপর নমুনা পণ্য উৎপাদন করে মান সনদের জন্য বিএসটিআইতে জমা দিতে হয়। এর জন্য হাল নাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, শিল্প-নকশা বা ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রেশনের সত্যায়িত ফটোকপি, ভ্যাট সনদ, প্রিমিসেস লাইসেন্স, কর্মচারীর স্বাস্থ্য সনদ, পণ্যের মোড়কের নকশার কাগজসহ বেশ কিছু নথি দরকার হয়। জানাতে হয় কালার, ফ্লেভার, প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল সুইটনারসহ পণ্যের উপকরণ। পরীক্ষণের যন্ত্রপাতির তালিকা, কারখানার যন্ত্রপাতির তালিকা, কারখানার লে-আউট ও প্রসেস ফ্লো-চার্ট। এরপর পরিদর্শকেরা কারখানা পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট হলে মেলে মান সনদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়া মানা হচ্ছে না। অনেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসায় নেমে পড়েন। কারও কারও তা-ও নেই। মানসনদ নেই সিংহভাগের। কারিগরদের নেই প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ, স্যানিটেশন সনদ।
বুয়েটের উদ্যোগে ২০২১ সালে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকা শহরের ৬৭ শতাংশ পাউরুটির নমুনায় নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি পটাশিয়াম ব্রোমেট রয়েছে। পাউরুটি ফোলাতে এই রাসায়নিকট ব্যবহার হয়। এ ছাড়া বেকারি পণ্যে কাঁচামাল আটার সঙ্গে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট, কৃত্রিম রং ও সোডিয়াম সাইক্লোমেট ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও ওই গবেষণায় বলা হয়।
রাজধানীতে কতটি লাইভ বেকারি রয়েছে, তার কোনো তথ্য নেই সিটি করপোরেশন, বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছেই। বিএসটিআইয়ের তথ্য বলছে, শত শত বেকারির মধ্যে মাত্র ২৭টির মান সনদ রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মুহাম্মদ হাবিবুল আলম বলেন, ‘এসব ট্রেড লাইসেন্স করপোরেশনের জোনগুলো থেকে দেওয়া হয়। কতটি লাইসেন্স হয়েছে, আমাদের কাছে সে তথ্য নেই।’
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি শফিকুজ্জামান বলেন, মানহীন এসব পণ্যে সাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। যারা আইন মেনে উৎপাদন করবে না, তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। দু-একটি বন্ধ করলে বাকিগুলো ঠিক হয়ে যেত।

এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
২৩ মার্চ ২০২৪
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
৪ ঘণ্টা আগে
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
৪ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি, সুস্থ হচ্ছে না। আজ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। অনেক ভিড় থাকায় লাইনে অপেক্ষায় আছি।’
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় বছর বয়সী ছেলে আরিয়ান সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও সুস্থ হয়নি। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় খুবই কষ্ট পাচ্ছে। আজ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু আহনাফ কিংবা আরিয়ান নয়, জেলায় তাদের মতো অনেক শিশু আবহাওয়া পরিবর্তনে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও যশোর শিশু হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীদের ভিড়। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডার কারণে অনেকে কাশি, গলাব্যথা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত জটিলতাসহ জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
গতকাল যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, ২৪ সিটের বিপরীতে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে ৬০ শিশু। এদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে চার শতাধিক শিশু। অপর দিকে যশোর শিশু হাসপাতালে ৫০ সিটের প্রত্যেকটিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। এখানে সিট বাদে কাউকে ভর্তি করা হয় না। একই হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছে ৩ শতাধিক শিশু রোগী।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বেনাপোলের শিশু তাকরিমের মা জুঁই সাথী বলেন, ‘ছেলেটি এক মাস ধরে জ্বরে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াচ্ছি, কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। রাতে রাতে জ্বর আসছে। সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসবে শুনে এসেছি। এখানে অনেক রোগীর ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’
সদর উপজেলার সতীঘাটা এলাকার রুমা খাতুন বলেন, ‘আমার ১৮ মাস বয়সী ছেলের ঠান্ডা লেগেছে। দুদিন ধরে ঠান্ডায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। অল্প টাকায় ভালো ডাক্তার দেখানোর জন্য এখানে এসেছি।’
ঝিকরগাছার ছুটিপুর এলাকার বাসিন্দা তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘সর্দি, কাশিতে দুই মাস বয়সী নাতনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রথমে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেছিলাম। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় চার দিন আগে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন নাতনি অনেকটা সুস্থ।’
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা খাতুন বলেন, ‘জনবলের তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হলে সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। রোগীর বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
যশোর শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার মাস বয়সী এক শিশুর পিতা কামরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘জন্মের সময় আমার শিশুর ওজন কম ছিল। তাকে অনেক দিন এনআইসিইউতে রাখতে হয়েছিল। চার দিন হলো ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখানকার পরিবেশ ও চিকিৎসা ভালো। শিশু সুস্থতার দিকেই যাচ্ছে।’
যশোর শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৈয়দ নূর-ই-হামীম বলেন, শীতে ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। দুদিন হলো, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে। হাসপাতালের ৫০ শয্যার একটিও খালি নেই। বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, শীত বাড়ছে। সেই সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগীও বাড়ছে। শিশু ওয়ার্ডে ২৪ সিটের বিপরীতে তিন-চার গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। জনবল ও অবকাঠামোর সংকট থাকলেও সেবা অব্যাহত আছে।

ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি, সুস্থ হচ্ছে না। আজ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। অনেক ভিড় থাকায় লাইনে অপেক্ষায় আছি।’
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় বছর বয়সী ছেলে আরিয়ান সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও সুস্থ হয়নি। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় খুবই কষ্ট পাচ্ছে। আজ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু আহনাফ কিংবা আরিয়ান নয়, জেলায় তাদের মতো অনেক শিশু আবহাওয়া পরিবর্তনে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও যশোর শিশু হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীদের ভিড়। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডার কারণে অনেকে কাশি, গলাব্যথা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত জটিলতাসহ জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
গতকাল যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, ২৪ সিটের বিপরীতে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে ৬০ শিশু। এদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে চার শতাধিক শিশু। অপর দিকে যশোর শিশু হাসপাতালে ৫০ সিটের প্রত্যেকটিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। এখানে সিট বাদে কাউকে ভর্তি করা হয় না। একই হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছে ৩ শতাধিক শিশু রোগী।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বেনাপোলের শিশু তাকরিমের মা জুঁই সাথী বলেন, ‘ছেলেটি এক মাস ধরে জ্বরে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াচ্ছি, কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। রাতে রাতে জ্বর আসছে। সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসবে শুনে এসেছি। এখানে অনেক রোগীর ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’
সদর উপজেলার সতীঘাটা এলাকার রুমা খাতুন বলেন, ‘আমার ১৮ মাস বয়সী ছেলের ঠান্ডা লেগেছে। দুদিন ধরে ঠান্ডায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। অল্প টাকায় ভালো ডাক্তার দেখানোর জন্য এখানে এসেছি।’
ঝিকরগাছার ছুটিপুর এলাকার বাসিন্দা তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘সর্দি, কাশিতে দুই মাস বয়সী নাতনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রথমে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেছিলাম। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় চার দিন আগে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন নাতনি অনেকটা সুস্থ।’
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা খাতুন বলেন, ‘জনবলের তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হলে সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। রোগীর বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
যশোর শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার মাস বয়সী এক শিশুর পিতা কামরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘জন্মের সময় আমার শিশুর ওজন কম ছিল। তাকে অনেক দিন এনআইসিইউতে রাখতে হয়েছিল। চার দিন হলো ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখানকার পরিবেশ ও চিকিৎসা ভালো। শিশু সুস্থতার দিকেই যাচ্ছে।’
যশোর শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৈয়দ নূর-ই-হামীম বলেন, শীতে ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। দুদিন হলো, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে। হাসপাতালের ৫০ শয্যার একটিও খালি নেই। বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, শীত বাড়ছে। সেই সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগীও বাড়ছে। শিশু ওয়ার্ডে ২৪ সিটের বিপরীতে তিন-চার গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। জনবল ও অবকাঠামোর সংকট থাকলেও সেবা অব্যাহত আছে।

এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
২৩ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
৪ ঘণ্টা আগে
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
৪ ঘণ্টা আগেমিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
তবে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে চিত্র একেবারে উল্টো। এখন পর্যন্ত চাহিদার অর্ধেকেরও কম বই পেয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এবার বইয়ের চাহিদা ছিল ৭৫ হাজার ৩৭৬ কপি। ইতিমধ্যে শতভাগ বই পৌঁছে গেছে। গতবার যেখানে বছরের শুরুতে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বই দেওয়া সম্ভব হয়েছিল, এবার সেই ঘাটতি কাটিয়ে প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন।
অন্যদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪৫টি স্কুল ও ১৯টি মাদ্রাসাসহ মোট ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য চাহিদা ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ কপি। এর বিপরীতে এসেছে মাত্র ৮২ হাজার ৯৮০ কপি, যা চাহিদার অর্ধেকেরও কম। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বই জেলা অফিস থেকে বিতরণ হওয়ায় উপজেলা পর্যায়ে তাদের চাহিদা ও সরবরাহের পৃথক হিসাব নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বই নিতে ভিড় করেছেন। বস্তাভর্তি বই কাঁধে বা গাড়িতে নিয়ে তাঁরা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাচ্ছেন। সেখানে কথা হয় কালীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহাবুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থী ১ জানুয়ারিতেই সব বই পাবে।
শিশুরা একসঙ্গে সব বই পেলে খুবই খুশি হয়। গতবার যে সংকট ছিল, এবার সেটা নেই।’
মাধ্যমিক পর্যায়ের এক মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সব বই এখনো আসেনি। যতটুকু দেওয়া হচ্ছে, আমরা নিয়ে যাচ্ছি। আশা করি বাকি বই দ্রুত পাওয়া যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. দুলাল আলম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বই পেয়েছি। প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেব। বাকি বই কবে পাব, এটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
তবে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে চিত্র একেবারে উল্টো। এখন পর্যন্ত চাহিদার অর্ধেকেরও কম বই পেয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এবার বইয়ের চাহিদা ছিল ৭৫ হাজার ৩৭৬ কপি। ইতিমধ্যে শতভাগ বই পৌঁছে গেছে। গতবার যেখানে বছরের শুরুতে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বই দেওয়া সম্ভব হয়েছিল, এবার সেই ঘাটতি কাটিয়ে প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন।
অন্যদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪৫টি স্কুল ও ১৯টি মাদ্রাসাসহ মোট ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য চাহিদা ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ কপি। এর বিপরীতে এসেছে মাত্র ৮২ হাজার ৯৮০ কপি, যা চাহিদার অর্ধেকেরও কম। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বই জেলা অফিস থেকে বিতরণ হওয়ায় উপজেলা পর্যায়ে তাদের চাহিদা ও সরবরাহের পৃথক হিসাব নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বই নিতে ভিড় করেছেন। বস্তাভর্তি বই কাঁধে বা গাড়িতে নিয়ে তাঁরা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাচ্ছেন। সেখানে কথা হয় কালীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহাবুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থী ১ জানুয়ারিতেই সব বই পাবে।
শিশুরা একসঙ্গে সব বই পেলে খুবই খুশি হয়। গতবার যে সংকট ছিল, এবার সেটা নেই।’
মাধ্যমিক পর্যায়ের এক মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সব বই এখনো আসেনি। যতটুকু দেওয়া হচ্ছে, আমরা নিয়ে যাচ্ছি। আশা করি বাকি বই দ্রুত পাওয়া যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. দুলাল আলম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বই পেয়েছি। প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেব। বাকি বই কবে পাব, এটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’

এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
২৩ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৩ ঘণ্টা আগে
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
৪ ঘণ্টা আগেইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)

দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব। এই দৃশ্য নোয়াখালীর হাতিয়ার চর আতাউর ও জাগলারচরের।
চর আতাউর ও জাগলারচরের অবস্থান হাতিয়ার তমরদ্দি ও চরকিং ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এই চর দুটি বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও স্বল্পসংখ্যক লোকবল নিয়ে দখল বন্ধ করতে পারছে না এই দপ্তর। ইতিমধ্যে লিখিতভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ডের কাছে।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, স্তূপ করে রাখা মাটিতে একটি করে গাছের ডাল পুঁতে দেওয়া হয়েছে। প্রতি একর জায়গার সীমানায় একটি করে স্তূপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কথা হয় আবু তাহের নামের একজনের সঙ্গে। মহিষের পাল নিয়ে সেখানে আছেন তিনি। তিনি বলেন, গত বর্ষা মৌসুম থেকে এই চরে দখলের কর্মকাণ্ড চলে আসছে। বর্ষায় হঠাৎ তাঁদের থাকার স্থানের চারপাশে দখল করে জমি চাষ শুরু হয়। বাধা দিলে নেমে আসে নির্যাতন। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো সহযোগিতা পাননি তাঁরা।
চর দখলের কারণে দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাদ্যসংকট। চারদিকের জমি চাষ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়ে এসব গরু-মহিষ। পরে উপায় না পেয়ে দখলদারদের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে হয় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মহিষ-গরু পালনের অনুমতি মিলেছে।
এই দুই চরের রাখালদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দখলদারেরা একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন স্থানীয় বিএনপির নেতা সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনের লোক হিসেবে কাজ করেন। তবে এই বিএনপি নেতা চরে যান না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমি হাতিয়ার বাহিরে অনেক দিন। চর দখলের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’
এই বিষয়ে চরকিং ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, চর দখলের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এর সঙ্গে মনিরসহ কয়েকজন জড়িত থাকার কথা তিনি শুনেছেন।
স্থানীয়রা জানান, চরের উত্তর পাশে ও মাঝামাঝি দুটি জায়গায় রাখালেরা অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। চরের একেবারে দক্ষিণে একটি আশ্রয়ণ ও দুটি গুচ্ছগ্রামে ৪০০ পরিবার বসবাস করে। নদী পার হয়ে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কেউ সেখানে যায় না। বন বিভাগ বিশাল এই চরে কেওড়াবাগানের রক্ষণাবেক্ষণ করে। পাশাপাশি নতুন জেগে ওঠা চরে কেওড়ার বীজ বপন করে। তবে দখলদারেরা নতুন ও পুরোনো সব চরের অনেক জায়গা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
চর এলাকায় বন বিভাগের জায়গা দখলের বিষয়ে নলচিরা রেঞ্জের কর্মকর্তা আল আমিন গাজী জানান, একটি গ্রুপ বেশ কিছুদিন আগ থেকে চরের জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছে। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে নদীবেষ্টিত এলাকা হওয়ায় সব সময় অভিযান চালানো সম্ভব হয় না। এ ছাড়া সীমিতসংখ্যক জনবল নিয়ে অভিযান সফল হয় না।
এই চরে গরু-মহিষ দেখাশোনা করেন এমন একজন সৈকত। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে এই চরে মহিষ পালন করে আসছেন। কেউ কখনো চর দখলের চেষ্টা করেনি। সরকার বদলের পর থেকে বিভিন্ন গ্রুপ এসে চর দখল করছে। চরকিং ও হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন এসে এই চর দখল করছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় চরে থাকা কেওড়াবন উজাড় হয়ে যাবে।
মহিষের মালিক কামরু মিয়া জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই চরে মহিষ ও গরু পালন করে আসছেন। ইতিমধ্যে মাটির কিল্লা, পুকুর তৈরি করে নিয়েছেন। যাতে অস্বাভাবিক জোয়ারে গরু-মহিষ আশ্রয় নেয়। তবে হঠাৎ করে একটি পক্ষ তাদের এই চর থেকে চলে যেতে বলছে। রাখালদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, চর দখলের বিষয়টি মহিষের মালিকেরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া বন বিভাগ থেকেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হবে এসব চর।

দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব। এই দৃশ্য নোয়াখালীর হাতিয়ার চর আতাউর ও জাগলারচরের।
চর আতাউর ও জাগলারচরের অবস্থান হাতিয়ার তমরদ্দি ও চরকিং ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এই চর দুটি বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও স্বল্পসংখ্যক লোকবল নিয়ে দখল বন্ধ করতে পারছে না এই দপ্তর। ইতিমধ্যে লিখিতভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ডের কাছে।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, স্তূপ করে রাখা মাটিতে একটি করে গাছের ডাল পুঁতে দেওয়া হয়েছে। প্রতি একর জায়গার সীমানায় একটি করে স্তূপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কথা হয় আবু তাহের নামের একজনের সঙ্গে। মহিষের পাল নিয়ে সেখানে আছেন তিনি। তিনি বলেন, গত বর্ষা মৌসুম থেকে এই চরে দখলের কর্মকাণ্ড চলে আসছে। বর্ষায় হঠাৎ তাঁদের থাকার স্থানের চারপাশে দখল করে জমি চাষ শুরু হয়। বাধা দিলে নেমে আসে নির্যাতন। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো সহযোগিতা পাননি তাঁরা।
চর দখলের কারণে দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাদ্যসংকট। চারদিকের জমি চাষ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়ে এসব গরু-মহিষ। পরে উপায় না পেয়ে দখলদারদের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে হয় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মহিষ-গরু পালনের অনুমতি মিলেছে।
এই দুই চরের রাখালদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দখলদারেরা একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন স্থানীয় বিএনপির নেতা সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনের লোক হিসেবে কাজ করেন। তবে এই বিএনপি নেতা চরে যান না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমি হাতিয়ার বাহিরে অনেক দিন। চর দখলের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’
এই বিষয়ে চরকিং ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, চর দখলের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এর সঙ্গে মনিরসহ কয়েকজন জড়িত থাকার কথা তিনি শুনেছেন।
স্থানীয়রা জানান, চরের উত্তর পাশে ও মাঝামাঝি দুটি জায়গায় রাখালেরা অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। চরের একেবারে দক্ষিণে একটি আশ্রয়ণ ও দুটি গুচ্ছগ্রামে ৪০০ পরিবার বসবাস করে। নদী পার হয়ে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কেউ সেখানে যায় না। বন বিভাগ বিশাল এই চরে কেওড়াবাগানের রক্ষণাবেক্ষণ করে। পাশাপাশি নতুন জেগে ওঠা চরে কেওড়ার বীজ বপন করে। তবে দখলদারেরা নতুন ও পুরোনো সব চরের অনেক জায়গা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
চর এলাকায় বন বিভাগের জায়গা দখলের বিষয়ে নলচিরা রেঞ্জের কর্মকর্তা আল আমিন গাজী জানান, একটি গ্রুপ বেশ কিছুদিন আগ থেকে চরের জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছে। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে নদীবেষ্টিত এলাকা হওয়ায় সব সময় অভিযান চালানো সম্ভব হয় না। এ ছাড়া সীমিতসংখ্যক জনবল নিয়ে অভিযান সফল হয় না।
এই চরে গরু-মহিষ দেখাশোনা করেন এমন একজন সৈকত। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে এই চরে মহিষ পালন করে আসছেন। কেউ কখনো চর দখলের চেষ্টা করেনি। সরকার বদলের পর থেকে বিভিন্ন গ্রুপ এসে চর দখল করছে। চরকিং ও হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন এসে এই চর দখল করছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় চরে থাকা কেওড়াবন উজাড় হয়ে যাবে।
মহিষের মালিক কামরু মিয়া জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই চরে মহিষ ও গরু পালন করে আসছেন। ইতিমধ্যে মাটির কিল্লা, পুকুর তৈরি করে নিয়েছেন। যাতে অস্বাভাবিক জোয়ারে গরু-মহিষ আশ্রয় নেয়। তবে হঠাৎ করে একটি পক্ষ তাদের এই চর থেকে চলে যেতে বলছে। রাখালদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, চর দখলের বিষয়টি মহিষের মালিকেরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া বন বিভাগ থেকেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হবে এসব চর।

এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
২৩ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে লাইভ বেকারি নামের তাৎক্ষণিক খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির দোকান। কিন্তু এগুলোতে মানের বালাই নেই। টাটকা মনে করে ভোক্তা পাউরুটি, বিস্কুট, টোস্ট, কেকসহ যেসব পণ্য কিনে খাচ্ছে, তা স্বাস্থ্যগতভাবে কতটা নিরাপদ, তার কোনো তদারকি নেই।
৩ ঘণ্টা আগে
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
৪ ঘণ্টা আগে