আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

বাসা থেকে ফোন কল করে ডেকে বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে হত্যা করা হয়। রাজনৈতিক কোন্দল, চাঁদাবাজি, পারিবারিক ও ইন্টারনেট ব্যবসার দ্বন্দ্ব—এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতিমধ্যে দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা বাড্ডার স্থানীয় বাসিন্দা। তবে তাঁদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত মার্চে বাড্ডায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র সুমন মিয়া নামে একজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী খুন হোন। ওই ঘটনার সঙ্গে এই হত্যার সম্পর্ক আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত রোববার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তর ও মধ্য বাড্ডার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও বিএনপির গুলশান থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান সাধনকে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। কামরুল আহসান উত্তর বাড্ডার ওই এলাকাতেই বড় হয়েছেন। তাঁর বাবা গুলশানে একসময় হোমিও চিকিৎসক ছিলেন। স্ত্রী দিলরুবা আক্তারকে নিয়ে মধ্য বাড্ডার বালুর চরের ৫৬ / ৭ নং বাসার তৃতীয় তলায় দুই কক্ষের একটি বাসায় থাকতেন। তাঁদের কোনো সন্তান নেই। এই বাসা কায়ুম কমিশনারের।
ফোন কল করে বাসা থেকে ডেকে নেওয়ার ১০ মিনিট পর খুন
গতকাল সোমবার কামরুল আহসানের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বাসায় প্রতিবেশী, স্বজন ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর ভিড়। স্বজনেরা কামরুল আহসানের স্ত্রী দিলরুবা আক্তারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দিলরুবা বলেন, গত রোববার সকালে তাঁর স্বামী বাসা থেকে বের হন। সারা দিন বাসায় ফেরেননি। গুলশানের একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে বাসায় আসেন। এমন সময় তাঁর মোবাইল ফোনে একটি কল আসে, তাঁকে কানা মিলনের দোকানের সমানে যেতে বলা হয়। এরপর তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। ১০ মিনিট পরই দিলরুবা প্রতিবেশীর কাছে জানতে পারেন, তাঁর স্বামীকে গুলি করা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর আর কিছু জানেন না।

দিলরুবা বলেন, কামরুল আহসান খুব শান্ত স্বভাবের ছিলেন। প্রকাশ্যে কোনো প্রতিপক্ষ না থাকলেও অনেকে তাঁকে হিংসা করত। নেতারা তাঁকে পছন্দ করতেন, তাঁকে প্রায়ই ডাকতেন। এটি অনেকে পছন্দ করত না। কেউ কেউ তাঁকে বলত, এবার গুলশান থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হবেন কামরুল। তবে তিনি বলতেন, এত বড় পদ তিনি নিতে চান না।
কামরুলের একাধিক অনুসারী গতকাল তাঁর বাসার সামনে বলেন, কামরুলের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় হওয়ায় আগামীতে ভালো পদ পেতেন। গুলশান থানার সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো বিরোধ ছিল না।
দলীয় কোন্দল অস্বীকার করেছেন গুলশান থানা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের আহ্বায়ক কমিটিতে ২৪ জন নেতা রয়েছে। সবাই একসঙ্গে থাকি। আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’
সিসি ফুটেজে যা দেখা গেছে
ঘটনার দিন রোববার রাত ১০টার দিকে কামরুল আহসান সাধন ও তাঁর তিন বন্ধু উত্তর বাড্ডার হাইস্কুল-সংলগ্ন ৪ নম্বর গলিতে চেয়ার পেতে বসে গল্প করছিলেন। কামরুল আহসান ছাড়াও সেখানে তাঁর অপর তিন বন্ধু জাকির হোসেন রূপক, আবুল হোসেন এবং কামরুল ইসলাম। এই গলির পশ্চিম দিকে হাতিরঝিল এবং পূর্বদিকে গুদারাঘাট ও উত্তর বাড্ডা হাইস্কুল সড়ক। কামরুল আহসান হাতিরঝিলের দিকে পিঠ ফিরে বেঞ্চে বসে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় দুই তরুণ হাতিরঝিলের দিক থেকে হেঁটে আসে। দুজনের মুখেই মাস্ক। একজন কামরুল আহসানকে কাছ থেকে মাথায় গুলি করে। তিনি চেয়ার থেকে পড়ে যান। পেছনে থাকা অপর তরুণও দুই রাউন্ড গুলি করে। কামরুলের বন্ধুরা ছোটাছুটি শুরু করেন। চার সেকেন্ডে দুই দুর্বৃত্ত গুলি করে উত্তর বাড্ডার হাইস্কুল সড়কের দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় কেউ তাদের ধরতে এগিয়ে আসেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা
গতকাল সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ৪ নম্বর গলির নুরজাহান মঞ্জিলের সামনে রাস্তায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। ঘটনাস্থল বেঞ্চ দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের বিপরীত পাশেই মোহাম্মদ হানিফ নামে এক ব্যক্তির চায়ের দোকান। হানিফ ঘটনার বর্ণনায় বলেন, তিনি দোকানে দাঁড়িয়ে চা তৈরি করছিলেন। হঠাৎ তিন চারটি শব্দ পান। ককটেল ও গুলির মতো শব্দ। অনেককে দৌড়ে পালাতে দেখেন। তিনিও দোকান থেকে বেরিয়ে দৌড় দেন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে মানুষ জড়ো হয়।
কামরুল আহসানের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা চার বন্ধু প্রায়ই ৪ নম্বর গলিতে আড্ডা দেন। তাঁরা প্রতিদিনই এখানে বসেন। রোববার রাতে দুজন গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি।
তিনি বলেন, গুলি করে তারা পালিয়ে যায়। এরপর দুই ছেলে ধরে কামরুল আহসানকে প্রথমে বক্ষব্যাধি, পরে হৃদ্রোগ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁদের কোনো শত্রু আছে বলে তিনি মনে করেন না। তাঁরা একসঙ্গে সম্প্রতি ডেভেলপার ব্যবসা শুরু করেছিলেন বলেও জানান কামরুল।
বাড্ডায় দুই মাসে দুজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী খুন, দুই গ্রুপের চাঁদাবাজি
বাড্ডার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমন মিয়াকে গত ২০ মার্চ গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাঈদ ও মামুন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে র্যাব জানায়, বাড্ডার পলাতক সন্ত্রাসী মেহেদী ও রবিন গ্রুপের চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বের কারণে সুমনকে হত্যা করা হয়। ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসায় সুমনের কাছে মেহেদী গ্রুপ চাঁদা চেয়েছিল। তবে চাঁদা দেননি সুমন। তিনি রবিন গ্রুপের হয়ে কাজ করতেন। এরপর মেহেদী গ্রুপ তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
কামরুল আহসান হত্যাকাণ্ডও চাঁদাবাজি কেন্দ্রিক হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। রবিন গ্রুপের সঙ্গে সখ্য ছিল বিএনপি নেতা কামরুল আহসানের। মেহেদী গ্রুপ তাঁকে হত্যা করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সন্ত্রাসী মেহেদী যুক্তরাষ্ট্রে এবং রবিন মালয়েশিয়ায় পালিয়ে আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গুলি ছোড়া দুই সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কামরুল আহসানের স্ত্রীর বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন জানান, ২০১৮ সাল থেকে কামরুল আহসান ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা শুরু করেন। বাড্ডায় স্বদেশ নামে তাঁর ইন্টারনেট সংযোগের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৬০০ থেকে ৭০০ সংযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। আওয়ামী লীগের আমলে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে লাইসেন্স নিয়েছিলেন তিনি।
নিহত কামরুল আহসানের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার গতকাল সোমবার বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, চাঁদাবাজি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।

বাসা থেকে ফোন কল করে ডেকে বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে হত্যা করা হয়। রাজনৈতিক কোন্দল, চাঁদাবাজি, পারিবারিক ও ইন্টারনেট ব্যবসার দ্বন্দ্ব—এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতিমধ্যে দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা বাড্ডার স্থানীয় বাসিন্দা। তবে তাঁদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত মার্চে বাড্ডায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র সুমন মিয়া নামে একজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী খুন হোন। ওই ঘটনার সঙ্গে এই হত্যার সম্পর্ক আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত রোববার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তর ও মধ্য বাড্ডার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও বিএনপির গুলশান থানার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান সাধনকে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। কামরুল আহসান উত্তর বাড্ডার ওই এলাকাতেই বড় হয়েছেন। তাঁর বাবা গুলশানে একসময় হোমিও চিকিৎসক ছিলেন। স্ত্রী দিলরুবা আক্তারকে নিয়ে মধ্য বাড্ডার বালুর চরের ৫৬ / ৭ নং বাসার তৃতীয় তলায় দুই কক্ষের একটি বাসায় থাকতেন। তাঁদের কোনো সন্তান নেই। এই বাসা কায়ুম কমিশনারের।
ফোন কল করে বাসা থেকে ডেকে নেওয়ার ১০ মিনিট পর খুন
গতকাল সোমবার কামরুল আহসানের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বাসায় প্রতিবেশী, স্বজন ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর ভিড়। স্বজনেরা কামরুল আহসানের স্ত্রী দিলরুবা আক্তারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দিলরুবা বলেন, গত রোববার সকালে তাঁর স্বামী বাসা থেকে বের হন। সারা দিন বাসায় ফেরেননি। গুলশানের একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে বাসায় আসেন। এমন সময় তাঁর মোবাইল ফোনে একটি কল আসে, তাঁকে কানা মিলনের দোকানের সমানে যেতে বলা হয়। এরপর তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। ১০ মিনিট পরই দিলরুবা প্রতিবেশীর কাছে জানতে পারেন, তাঁর স্বামীকে গুলি করা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর আর কিছু জানেন না।

দিলরুবা বলেন, কামরুল আহসান খুব শান্ত স্বভাবের ছিলেন। প্রকাশ্যে কোনো প্রতিপক্ষ না থাকলেও অনেকে তাঁকে হিংসা করত। নেতারা তাঁকে পছন্দ করতেন, তাঁকে প্রায়ই ডাকতেন। এটি অনেকে পছন্দ করত না। কেউ কেউ তাঁকে বলত, এবার গুলশান থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হবেন কামরুল। তবে তিনি বলতেন, এত বড় পদ তিনি নিতে চান না।
কামরুলের একাধিক অনুসারী গতকাল তাঁর বাসার সামনে বলেন, কামরুলের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় হওয়ায় আগামীতে ভালো পদ পেতেন। গুলশান থানার সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো বিরোধ ছিল না।
দলীয় কোন্দল অস্বীকার করেছেন গুলশান থানা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের আহ্বায়ক কমিটিতে ২৪ জন নেতা রয়েছে। সবাই একসঙ্গে থাকি। আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’
সিসি ফুটেজে যা দেখা গেছে
ঘটনার দিন রোববার রাত ১০টার দিকে কামরুল আহসান সাধন ও তাঁর তিন বন্ধু উত্তর বাড্ডার হাইস্কুল-সংলগ্ন ৪ নম্বর গলিতে চেয়ার পেতে বসে গল্প করছিলেন। কামরুল আহসান ছাড়াও সেখানে তাঁর অপর তিন বন্ধু জাকির হোসেন রূপক, আবুল হোসেন এবং কামরুল ইসলাম। এই গলির পশ্চিম দিকে হাতিরঝিল এবং পূর্বদিকে গুদারাঘাট ও উত্তর বাড্ডা হাইস্কুল সড়ক। কামরুল আহসান হাতিরঝিলের দিকে পিঠ ফিরে বেঞ্চে বসে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় দুই তরুণ হাতিরঝিলের দিক থেকে হেঁটে আসে। দুজনের মুখেই মাস্ক। একজন কামরুল আহসানকে কাছ থেকে মাথায় গুলি করে। তিনি চেয়ার থেকে পড়ে যান। পেছনে থাকা অপর তরুণও দুই রাউন্ড গুলি করে। কামরুলের বন্ধুরা ছোটাছুটি শুরু করেন। চার সেকেন্ডে দুই দুর্বৃত্ত গুলি করে উত্তর বাড্ডার হাইস্কুল সড়কের দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় কেউ তাদের ধরতে এগিয়ে আসেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা
গতকাল সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ৪ নম্বর গলির নুরজাহান মঞ্জিলের সামনে রাস্তায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। ঘটনাস্থল বেঞ্চ দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের বিপরীত পাশেই মোহাম্মদ হানিফ নামে এক ব্যক্তির চায়ের দোকান। হানিফ ঘটনার বর্ণনায় বলেন, তিনি দোকানে দাঁড়িয়ে চা তৈরি করছিলেন। হঠাৎ তিন চারটি শব্দ পান। ককটেল ও গুলির মতো শব্দ। অনেককে দৌড়ে পালাতে দেখেন। তিনিও দোকান থেকে বেরিয়ে দৌড় দেন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে মানুষ জড়ো হয়।
কামরুল আহসানের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা চার বন্ধু প্রায়ই ৪ নম্বর গলিতে আড্ডা দেন। তাঁরা প্রতিদিনই এখানে বসেন। রোববার রাতে দুজন গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি।
তিনি বলেন, গুলি করে তারা পালিয়ে যায়। এরপর দুই ছেলে ধরে কামরুল আহসানকে প্রথমে বক্ষব্যাধি, পরে হৃদ্রোগ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁদের কোনো শত্রু আছে বলে তিনি মনে করেন না। তাঁরা একসঙ্গে সম্প্রতি ডেভেলপার ব্যবসা শুরু করেছিলেন বলেও জানান কামরুল।
বাড্ডায় দুই মাসে দুজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী খুন, দুই গ্রুপের চাঁদাবাজি
বাড্ডার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমন মিয়াকে গত ২০ মার্চ গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাঈদ ও মামুন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে র্যাব জানায়, বাড্ডার পলাতক সন্ত্রাসী মেহেদী ও রবিন গ্রুপের চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বের কারণে সুমনকে হত্যা করা হয়। ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসায় সুমনের কাছে মেহেদী গ্রুপ চাঁদা চেয়েছিল। তবে চাঁদা দেননি সুমন। তিনি রবিন গ্রুপের হয়ে কাজ করতেন। এরপর মেহেদী গ্রুপ তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
কামরুল আহসান হত্যাকাণ্ডও চাঁদাবাজি কেন্দ্রিক হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। রবিন গ্রুপের সঙ্গে সখ্য ছিল বিএনপি নেতা কামরুল আহসানের। মেহেদী গ্রুপ তাঁকে হত্যা করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সন্ত্রাসী মেহেদী যুক্তরাষ্ট্রে এবং রবিন মালয়েশিয়ায় পালিয়ে আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গুলি ছোড়া দুই সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কামরুল আহসানের স্ত্রীর বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন জানান, ২০১৮ সাল থেকে কামরুল আহসান ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা শুরু করেন। বাড্ডায় স্বদেশ নামে তাঁর ইন্টারনেট সংযোগের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৬০০ থেকে ৭০০ সংযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। আওয়ামী লীগের আমলে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে লাইসেন্স নিয়েছিলেন তিনি।
নিহত কামরুল আহসানের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার গতকাল সোমবার বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, চাঁদাবাজি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২৪ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

বাসা থেকে ফোন কল করে ডেকে বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে হত্যা করা হয়। রাজনৈতিক কোন্দল, চাঁদাবাজি, পারিবারিক ও ইন্টারনেট ব্যবসার দ্বন্দ্ব—এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যে দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা বাড্ডার স্থানীয় বাসিন্দা। তবে তাঁদের
২৭ মে ২০২৫
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

বাসা থেকে ফোন কল করে ডেকে বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে হত্যা করা হয়। রাজনৈতিক কোন্দল, চাঁদাবাজি, পারিবারিক ও ইন্টারনেট ব্যবসার দ্বন্দ্ব—এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যে দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা বাড্ডার স্থানীয় বাসিন্দা। তবে তাঁদের
২৭ মে ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২৪ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বাসা থেকে ফোন কল করে ডেকে বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে হত্যা করা হয়। রাজনৈতিক কোন্দল, চাঁদাবাজি, পারিবারিক ও ইন্টারনেট ব্যবসার দ্বন্দ্ব—এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যে দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা বাড্ডার স্থানীয় বাসিন্দা। তবে তাঁদের
২৭ মে ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২৪ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

বাসা থেকে ফোন কল করে ডেকে বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে হত্যা করা হয়। রাজনৈতিক কোন্দল, চাঁদাবাজি, পারিবারিক ও ইন্টারনেট ব্যবসার দ্বন্দ্ব—এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যে দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা বাড্ডার স্থানীয় বাসিন্দা। তবে তাঁদের
২৭ মে ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
২৪ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে