শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে বলেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেটাও গত ২৪ জুনের কথা। এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো হিসাব জমা পড়েনি। বরং সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রী-সচিব কেউই পরিষ্কার নন।
কোনো কোনো মন্ত্রণালয় মনে করছে, বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যদেরটা জমা থাকবে নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগে। আবার কোনো কোনো মন্ত্রণালয় মনে করছে, ক্যাডার, নন-ক্যাডার সব কর্মকর্তার হিসাব বিবরণীই বর্তমানে কর্মরত মন্ত্রণালয় বা বিভাগে জমা রাখতে হবে। হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
এই বিভ্রান্তি নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে তিনি মনে করেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নিজেদের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব বিবরণী রাখবে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ নানা বিষয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে হয়। তাই শুধু তাদের সম্পদের হিসাবের কপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারে।
১৯৭৯ সালে জারি হওয়া সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালায় পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম করা হয়।
যদিও কেউই তা মানেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিধিমালার ১১, ১২ ও ১৩ বিধি কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দেন। এরপর গত ২৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে বিধিমালা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে এর অগ্রগতিও জানাতে বলে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে। এসব দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনো তাঁরা কারও হিসাব বিবরণী পাননি। অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এখনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি।
নোটিশ জারির পর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন কি না, তা জানাতে পারেননি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আব্বাছ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।’ সম্পদ বিবরণীগুলো কোথায় জমা দিতে হবে, সেই প্রশ্ন করলে এই মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখার উপসচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রশাসন-১ শাখার উপসচিব সঞ্জীব কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার কথা, অন্যদেরগুলো আমাদের কাছে থাকবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এবং অন্যদেরটা নিজ বিভাগে জমা রাখা হবে। বিভাগের অধীন দপ্তরগুলোর কর্মকর্তারা দপ্তরপ্রধানের মাধ্যমে বিভাগের সচিবের কাছে তাঁদের হিসাব বিবরণী জমা দেবেন। এই নির্দেশনা কে দিয়েছেন—সেই প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এমনই তো হওয়ার কথা, স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।’
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে নোটিশ জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। হিসাব বিবরণী জমা পড়েছে কি না, সেই প্রশ্ন করলে এই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ সোলতান আহ্মদ বলেন, ‘এগুলো তো আমাদের নেওয়ার কথা নয়। এগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে।’
মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পদের হিসাব দিয়ে দেবে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন বলেন, ‘সম্ভবত ক্যাডার কর্মকর্তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আর অন্যদেরটা আমাদের এখানে জমা থাকবে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) এ এফ এম হায়াতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নিজেদের মতো করে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণীর হিসাব নিয়ে সেগুলো সংরক্ষণ করবে।’ হিসাব বিবরণীগুলো কেউ যাচাই করবে কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, বিধিতে যা আছে সে অনুযায়ী হবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এই হিসাব নিয়ে তাদের কাছে রাখবে। কোনো বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তারা সেগুলো যাচাই করবে। ডিপার্টমেন্ট যদি মনে করে কারও কোনো বিষয়ে কথা উঠছে, তাহলে তারা সেটি দেখবে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ নানা বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জড়িত থাকায় তাদের সম্পদ বিবরণীর একটি কপি চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রাখা যেতে পারে। অন্য কর্মকর্তাদের অধীন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পদ বিবরণীর হিসাব নিয়ে সংরক্ষণ করবে।’
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। তবে সচিব একটি সভায় থাকায় এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নভেম্বর মাসের মধ্যে সব সরকারি কর্মকর্তার আয়কর দিতে হয়। সেই আয়কর বিবরণী তৈরির সময় অনেকেই সম্পদের হিসাব দাখিল করবেন। হিসাব যেখানেই জমা দেওয়া হোক না কেন, সেগুলো নিয়ে এরপর কী হবে, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। এ বিষয়ে বিধিমালায়ও কিছু বলা নেই। সরকার চাইছে সম্পদের হিসাব দেওয়ার সিস্টেমটা চালু হোক, সবাই নিয়ম মানুক। প্রয়োজনে বিধিমালা সংশোধন করা হবে।’
বিধিমালার ১১ বিধিতে সম্পত্তি কেনাবেচা করতে চাইলে সরকারি চাকরিজীবীদের কি করতে হবে, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। বিধি ১২ অনুযায়ী, নির্মাণ ব্যয়ের প্রয়োজনীয় অর্থের উৎস উল্লেখ করে সরকারের অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসায়িক বা আবাসিক উদ্দেশ্যে কোনো ইমারত নির্মাণ করা যাবে না। আর ১৩ বিধিতে বলা হয়েছে, চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বিমা পলিসি এবং মোট পঞ্চাশ হাজার টাকা বা ততোধিক মূল্যের অলংকারাদিসহ সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে সরকারের কাছে ঘোষণা দিতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৯ সালে মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সব দপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির ১৭ হাজার ৫৭৬ জন কর্মচারীর মধ্যে ১৭ হাজার ২০৮ জন সম্পদের হিসাব দেন। সাময়িক বরখাস্ত ও লম্বা ছুটিতে থাকায় ৩৬৮ জন হিসাব দিতে পারেননি। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হওয়ায় তখন তাঁদের সম্পদের হিসাব নিতে পারেনি ভূমি মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে বলেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেটাও গত ২৪ জুনের কথা। এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো হিসাব জমা পড়েনি। বরং সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রী-সচিব কেউই পরিষ্কার নন।
কোনো কোনো মন্ত্রণালয় মনে করছে, বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যদেরটা জমা থাকবে নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগে। আবার কোনো কোনো মন্ত্রণালয় মনে করছে, ক্যাডার, নন-ক্যাডার সব কর্মকর্তার হিসাব বিবরণীই বর্তমানে কর্মরত মন্ত্রণালয় বা বিভাগে জমা রাখতে হবে। হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
এই বিভ্রান্তি নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে তিনি মনে করেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নিজেদের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব বিবরণী রাখবে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ নানা বিষয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে হয়। তাই শুধু তাদের সম্পদের হিসাবের কপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারে।
১৯৭৯ সালে জারি হওয়া সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালায় পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম করা হয়।
যদিও কেউই তা মানেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিধিমালার ১১, ১২ ও ১৩ বিধি কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দেন। এরপর গত ২৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে বিধিমালা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে এর অগ্রগতিও জানাতে বলে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে। এসব দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনো তাঁরা কারও হিসাব বিবরণী পাননি। অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এখনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি।
নোটিশ জারির পর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন কি না, তা জানাতে পারেননি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আব্বাছ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।’ সম্পদ বিবরণীগুলো কোথায় জমা দিতে হবে, সেই প্রশ্ন করলে এই মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখার উপসচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রশাসন-১ শাখার উপসচিব সঞ্জীব কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার কথা, অন্যদেরগুলো আমাদের কাছে থাকবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এবং অন্যদেরটা নিজ বিভাগে জমা রাখা হবে। বিভাগের অধীন দপ্তরগুলোর কর্মকর্তারা দপ্তরপ্রধানের মাধ্যমে বিভাগের সচিবের কাছে তাঁদের হিসাব বিবরণী জমা দেবেন। এই নির্দেশনা কে দিয়েছেন—সেই প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এমনই তো হওয়ার কথা, স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।’
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে নোটিশ জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। হিসাব বিবরণী জমা পড়েছে কি না, সেই প্রশ্ন করলে এই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ সোলতান আহ্মদ বলেন, ‘এগুলো তো আমাদের নেওয়ার কথা নয়। এগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে।’
মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পদের হিসাব দিয়ে দেবে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন বলেন, ‘সম্ভবত ক্যাডার কর্মকর্তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আর অন্যদেরটা আমাদের এখানে জমা থাকবে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) এ এফ এম হায়াতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নিজেদের মতো করে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণীর হিসাব নিয়ে সেগুলো সংরক্ষণ করবে।’ হিসাব বিবরণীগুলো কেউ যাচাই করবে কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, বিধিতে যা আছে সে অনুযায়ী হবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এই হিসাব নিয়ে তাদের কাছে রাখবে। কোনো বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তারা সেগুলো যাচাই করবে। ডিপার্টমেন্ট যদি মনে করে কারও কোনো বিষয়ে কথা উঠছে, তাহলে তারা সেটি দেখবে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ নানা বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জড়িত থাকায় তাদের সম্পদ বিবরণীর একটি কপি চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রাখা যেতে পারে। অন্য কর্মকর্তাদের অধীন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পদ বিবরণীর হিসাব নিয়ে সংরক্ষণ করবে।’
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। তবে সচিব একটি সভায় থাকায় এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নভেম্বর মাসের মধ্যে সব সরকারি কর্মকর্তার আয়কর দিতে হয়। সেই আয়কর বিবরণী তৈরির সময় অনেকেই সম্পদের হিসাব দাখিল করবেন। হিসাব যেখানেই জমা দেওয়া হোক না কেন, সেগুলো নিয়ে এরপর কী হবে, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। এ বিষয়ে বিধিমালায়ও কিছু বলা নেই। সরকার চাইছে সম্পদের হিসাব দেওয়ার সিস্টেমটা চালু হোক, সবাই নিয়ম মানুক। প্রয়োজনে বিধিমালা সংশোধন করা হবে।’
বিধিমালার ১১ বিধিতে সম্পত্তি কেনাবেচা করতে চাইলে সরকারি চাকরিজীবীদের কি করতে হবে, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। বিধি ১২ অনুযায়ী, নির্মাণ ব্যয়ের প্রয়োজনীয় অর্থের উৎস উল্লেখ করে সরকারের অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসায়িক বা আবাসিক উদ্দেশ্যে কোনো ইমারত নির্মাণ করা যাবে না। আর ১৩ বিধিতে বলা হয়েছে, চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বিমা পলিসি এবং মোট পঞ্চাশ হাজার টাকা বা ততোধিক মূল্যের অলংকারাদিসহ সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে সরকারের কাছে ঘোষণা দিতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৯ সালে মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সব দপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির ১৭ হাজার ৫৭৬ জন কর্মচারীর মধ্যে ১৭ হাজার ২০৮ জন সম্পদের হিসাব দেন। সাময়িক বরখাস্ত ও লম্বা ছুটিতে থাকায় ৩৬৮ জন হিসাব দিতে পারেননি। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হওয়ায় তখন তাঁদের সম্পদের হিসাব নিতে পারেনি ভূমি মন্ত্রণালয়।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে বলেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেটাও গত ২৪ জুনের কথা। এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো হিসাব জমা পড়েনি। বরং সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রী-সচিব কেউই পরিষ্কার নন।
কোনো কোনো মন্ত্রণালয় মনে করছে, বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যদেরটা জমা থাকবে নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগে। আবার কোনো কোনো মন্ত্রণালয় মনে করছে, ক্যাডার, নন-ক্যাডার সব কর্মকর্তার হিসাব বিবরণীই বর্তমানে কর্মরত মন্ত্রণালয় বা বিভাগে জমা রাখতে হবে। হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
এই বিভ্রান্তি নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে তিনি মনে করেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নিজেদের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব বিবরণী রাখবে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ নানা বিষয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে হয়। তাই শুধু তাদের সম্পদের হিসাবের কপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারে।
১৯৭৯ সালে জারি হওয়া সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালায় পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম করা হয়।
যদিও কেউই তা মানেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিধিমালার ১১, ১২ ও ১৩ বিধি কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দেন। এরপর গত ২৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে বিধিমালা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে এর অগ্রগতিও জানাতে বলে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে। এসব দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনো তাঁরা কারও হিসাব বিবরণী পাননি। অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এখনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি।
নোটিশ জারির পর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন কি না, তা জানাতে পারেননি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আব্বাছ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।’ সম্পদ বিবরণীগুলো কোথায় জমা দিতে হবে, সেই প্রশ্ন করলে এই মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখার উপসচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রশাসন-১ শাখার উপসচিব সঞ্জীব কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার কথা, অন্যদেরগুলো আমাদের কাছে থাকবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এবং অন্যদেরটা নিজ বিভাগে জমা রাখা হবে। বিভাগের অধীন দপ্তরগুলোর কর্মকর্তারা দপ্তরপ্রধানের মাধ্যমে বিভাগের সচিবের কাছে তাঁদের হিসাব বিবরণী জমা দেবেন। এই নির্দেশনা কে দিয়েছেন—সেই প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এমনই তো হওয়ার কথা, স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।’
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে নোটিশ জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। হিসাব বিবরণী জমা পড়েছে কি না, সেই প্রশ্ন করলে এই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ সোলতান আহ্মদ বলেন, ‘এগুলো তো আমাদের নেওয়ার কথা নয়। এগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে।’
মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পদের হিসাব দিয়ে দেবে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন বলেন, ‘সম্ভবত ক্যাডার কর্মকর্তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আর অন্যদেরটা আমাদের এখানে জমা থাকবে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) এ এফ এম হায়াতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নিজেদের মতো করে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণীর হিসাব নিয়ে সেগুলো সংরক্ষণ করবে।’ হিসাব বিবরণীগুলো কেউ যাচাই করবে কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, বিধিতে যা আছে সে অনুযায়ী হবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এই হিসাব নিয়ে তাদের কাছে রাখবে। কোনো বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তারা সেগুলো যাচাই করবে। ডিপার্টমেন্ট যদি মনে করে কারও কোনো বিষয়ে কথা উঠছে, তাহলে তারা সেটি দেখবে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ নানা বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জড়িত থাকায় তাদের সম্পদ বিবরণীর একটি কপি চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রাখা যেতে পারে। অন্য কর্মকর্তাদের অধীন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পদ বিবরণীর হিসাব নিয়ে সংরক্ষণ করবে।’
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। তবে সচিব একটি সভায় থাকায় এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নভেম্বর মাসের মধ্যে সব সরকারি কর্মকর্তার আয়কর দিতে হয়। সেই আয়কর বিবরণী তৈরির সময় অনেকেই সম্পদের হিসাব দাখিল করবেন। হিসাব যেখানেই জমা দেওয়া হোক না কেন, সেগুলো নিয়ে এরপর কী হবে, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। এ বিষয়ে বিধিমালায়ও কিছু বলা নেই। সরকার চাইছে সম্পদের হিসাব দেওয়ার সিস্টেমটা চালু হোক, সবাই নিয়ম মানুক। প্রয়োজনে বিধিমালা সংশোধন করা হবে।’
বিধিমালার ১১ বিধিতে সম্পত্তি কেনাবেচা করতে চাইলে সরকারি চাকরিজীবীদের কি করতে হবে, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। বিধি ১২ অনুযায়ী, নির্মাণ ব্যয়ের প্রয়োজনীয় অর্থের উৎস উল্লেখ করে সরকারের অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসায়িক বা আবাসিক উদ্দেশ্যে কোনো ইমারত নির্মাণ করা যাবে না। আর ১৩ বিধিতে বলা হয়েছে, চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বিমা পলিসি এবং মোট পঞ্চাশ হাজার টাকা বা ততোধিক মূল্যের অলংকারাদিসহ সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে সরকারের কাছে ঘোষণা দিতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৯ সালে মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সব দপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির ১৭ হাজার ৫৭৬ জন কর্মচারীর মধ্যে ১৭ হাজার ২০৮ জন সম্পদের হিসাব দেন। সাময়িক বরখাস্ত ও লম্বা ছুটিতে থাকায় ৩৬৮ জন হিসাব দিতে পারেননি। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হওয়ায় তখন তাঁদের সম্পদের হিসাব নিতে পারেনি ভূমি মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে বলেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেটাও গত ২৪ জুনের কথা। এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো হিসাব জমা পড়েনি। বরং সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রী-সচিব কেউই পরিষ্কার নন।
কোনো কোনো মন্ত্রণালয় মনে করছে, বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যদেরটা জমা থাকবে নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগে। আবার কোনো কোনো মন্ত্রণালয় মনে করছে, ক্যাডার, নন-ক্যাডার সব কর্মকর্তার হিসাব বিবরণীই বর্তমানে কর্মরত মন্ত্রণালয় বা বিভাগে জমা রাখতে হবে। হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।
এই বিভ্রান্তি নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে তিনি মনে করেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নিজেদের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব বিবরণী রাখবে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ নানা বিষয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে হয়। তাই শুধু তাদের সম্পদের হিসাবের কপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারে।
১৯৭৯ সালে জারি হওয়া সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালায় পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম করা হয়।
যদিও কেউই তা মানেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিধিমালার ১১, ১২ ও ১৩ বিধি কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দেন। এরপর গত ২৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে বিধিমালা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে এর অগ্রগতিও জানাতে বলে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে। এসব দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনো তাঁরা কারও হিসাব বিবরণী পাননি। অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এখনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি।
নোটিশ জারির পর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন কি না, তা জানাতে পারেননি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আব্বাছ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।’ সম্পদ বিবরণীগুলো কোথায় জমা দিতে হবে, সেই প্রশ্ন করলে এই মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখার উপসচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রশাসন-১ শাখার উপসচিব সঞ্জীব কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার কথা, অন্যদেরগুলো আমাদের কাছে থাকবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, ক্যাডার কর্মকর্তাদের হিসাব বিবরণী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এবং অন্যদেরটা নিজ বিভাগে জমা রাখা হবে। বিভাগের অধীন দপ্তরগুলোর কর্মকর্তারা দপ্তরপ্রধানের মাধ্যমে বিভাগের সচিবের কাছে তাঁদের হিসাব বিবরণী জমা দেবেন। এই নির্দেশনা কে দিয়েছেন—সেই প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এমনই তো হওয়ার কথা, স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।’
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে নোটিশ জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। হিসাব বিবরণী জমা পড়েছে কি না, সেই প্রশ্ন করলে এই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ সোলতান আহ্মদ বলেন, ‘এগুলো তো আমাদের নেওয়ার কথা নয়। এগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে।’
মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পদের হিসাব দিয়ে দেবে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন বলেন, ‘সম্ভবত ক্যাডার কর্মকর্তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আর অন্যদেরটা আমাদের এখানে জমা থাকবে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) এ এফ এম হায়াতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নিজেদের মতো করে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণীর হিসাব নিয়ে সেগুলো সংরক্ষণ করবে।’ হিসাব বিবরণীগুলো কেউ যাচাই করবে কি না, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, বিধিতে যা আছে সে অনুযায়ী হবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এই হিসাব নিয়ে তাদের কাছে রাখবে। কোনো বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তারা সেগুলো যাচাই করবে। ডিপার্টমেন্ট যদি মনে করে কারও কোনো বিষয়ে কথা উঠছে, তাহলে তারা সেটি দেখবে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ নানা বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জড়িত থাকায় তাদের সম্পদ বিবরণীর একটি কপি চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রাখা যেতে পারে। অন্য কর্মকর্তাদের অধীন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পদ বিবরণীর হিসাব নিয়ে সংরক্ষণ করবে।’
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। তবে সচিব একটি সভায় থাকায় এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নভেম্বর মাসের মধ্যে সব সরকারি কর্মকর্তার আয়কর দিতে হয়। সেই আয়কর বিবরণী তৈরির সময় অনেকেই সম্পদের হিসাব দাখিল করবেন। হিসাব যেখানেই জমা দেওয়া হোক না কেন, সেগুলো নিয়ে এরপর কী হবে, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। এ বিষয়ে বিধিমালায়ও কিছু বলা নেই। সরকার চাইছে সম্পদের হিসাব দেওয়ার সিস্টেমটা চালু হোক, সবাই নিয়ম মানুক। প্রয়োজনে বিধিমালা সংশোধন করা হবে।’
বিধিমালার ১১ বিধিতে সম্পত্তি কেনাবেচা করতে চাইলে সরকারি চাকরিজীবীদের কি করতে হবে, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। বিধি ১২ অনুযায়ী, নির্মাণ ব্যয়ের প্রয়োজনীয় অর্থের উৎস উল্লেখ করে সরকারের অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসায়িক বা আবাসিক উদ্দেশ্যে কোনো ইমারত নির্মাণ করা যাবে না। আর ১৩ বিধিতে বলা হয়েছে, চাকরিতে প্রবেশের সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা শেয়ার, সার্টিফিকেট, সিকিউরিটি, বিমা পলিসি এবং মোট পঞ্চাশ হাজার টাকা বা ততোধিক মূল্যের অলংকারাদিসহ সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে সরকারের কাছে ঘোষণা দিতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৯ সালে মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সব দপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির ১৭ হাজার ৫৭৬ জন কর্মচারীর মধ্যে ১৭ হাজার ২০৮ জন সম্পদের হিসাব দেন। সাময়িক বরখাস্ত ও লম্বা ছুটিতে থাকায় ৩৬৮ জন হিসাব দিতে পারেননি। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হওয়ায় তখন তাঁদের সম্পদের হিসাব নিতে পারেনি ভূমি মন্ত্রণালয়।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৪ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
৯ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৩৪ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেকর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে বলেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেটাও গত ২৪ জুনের কথা। এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো হিসাব জমা পড়েনি। বরং সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রী-সচিব কেউই প
০৪ অক্টোবর ২০২১
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
৯ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৩৪ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেদশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।
এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’
প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’
তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।
এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’
প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’
তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে বলেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেটাও গত ২৪ জুনের কথা। এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো হিসাব জমা পড়েনি। বরং সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রী-সচিব কেউই প
০৪ অক্টোবর ২০২১
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৪ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৩৪ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেবিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।
পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।
পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে বলেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেটাও গত ২৪ জুনের কথা। এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো হিসাব জমা পড়েনি। বরং সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রী-সচিব কেউই প
০৪ অক্টোবর ২০২১
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৪ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
৯ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তাগাদা দেওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে বলেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেটাও গত ২৪ জুনের কথা। এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো হিসাব জমা পড়েনি। বরং সম্পদের হিসাব বিবরণী কোথায় জমা দিতে হবে, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রী-সচিব কেউই প
০৪ অক্টোবর ২০২১
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৪ মিনিট আগে
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়
৯ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
৩৪ মিনিট আগে