শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক গার্মেন্ট শ্রমিককে তুলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাঁর ধর্মবোনকে ফোনে ডেকে নিয়ে দুই দিন ধরে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। গত বুধবার শ্রীপুর পৌরসভার ফখরুদ্দিন মোড়ের কোনো এক বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
যুবককে ব্যাপক নির্যাতনের পাশাপাশি তাঁর ধর্মবোনকে গণধর্ষণের পর মুক্তিপণের টাকা পেয়ে দুই দিন পর দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গণধর্ষণের শিকার নারীর (২৮) বাড়ি বরিশালে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার একটি গার্মেন্টে শ্রমিকের কাজ করেন। নির্যাতনের শিকার যুবকের (২৭) বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুরে। তিনি শ্রীপুরের মাধখলা গ্রামের এক বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি স্পিনিং মিলে চাকরি করেন।
ধর্ষণের শিকার নারী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে ধর্মভাই আমার মোবাইলে ফোন করে বলে, “আমাকে বাঁচাও, দ্রুত ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ফখরুদ্দিন মোড়ে আসো।” এরপর মোবাইল কেটে দেয়। ধারদেনা করে আমি ২৯ হাজার টাকা নিয়ে ফখরুদ্দিন মোড়ে যাই। কিছুক্ষণ পরে আবার ফোন আসে। অচেনা কণ্ঠে আমাকে অপেক্ষা করতে বলে। কিছুক্ষণ পর এক ছেলে এসে আমাকে নিয়ে যায় একটি বাড়িতে। সেখানে একটি ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় আমাকে ধমক দিতে থাকে।’
ওই নারী আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর আরেকজন লোক আসে, তাকে সবাই বড় ভাই বলে ডাকে। বড় ভাই আমাকে আঘাত করে বলে, টাকা কই? এরপর আমার সঙ্গে থাকা ব্যাগ কেড়ে নেয়। সঙ্গে থাকা ছেলেটিকে টাকা দিয়ে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আমি জানতে চাই আমার ভাই কই? তাকে এখন ছেড়ে দেন। কিন্তু সে কোনো কথা শোনেনি। এ সময় ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। এরপর রাতে আরেকজন আসে। সেও আমাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।’
নির্যাতনের শিকার নারী বলেন, ‘পরদিন আরও তিনজন আমাকে ধর্ষণ করে। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা আমার মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করে আজ সকাল ৯টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেয়। রাস্তায় এসে দেখি, আমার ধর্মভাই একটি অটোরিকশায় শুয়ে আছে। আমাকে অটোরিকশার কাছে দিয়ে তারা চলে যায়। এরপর অটোরিকশাচালকের মোবাইল দিয়ে স্বামীকে ফোন করলে তিনি এসে আমাদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে থানায় এসেছি। যে পাঁচজন আমাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছে, তাদের বয়স আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ বছর।’
এদিকে নির্যাতনের শিকার যুবক বলেন, ‘একই কারখানায় চাকরি করে ইয়াসিন নামের একজন। গত ৮ জানুয়ারি সকালে সে ফোন করে ফখরুদ্দিন মোড়ে যেতে বলে। আমি ফখরুদ্দিন মোড়ে গেলে ইয়াসিন আমাকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। ঘরে আরও চারজন ছিল। একপর্যায়ে আমাকে মারধর শুরু করে। দ্রুত এক লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে। না হলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’
ওই যুবক বলেন, ‘তারা আমাকে দফায় দফায় মারধর করে গাঁজা-ইয়াবা খাওয়ায়। আবার মারধর করে। আমার শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আঘাত করেনি। অনেকবার অজ্ঞান হয়ে গেছি। মারধরের একপর্যায়ে তারা আমার বোনকে ফোন দিতে বলে। এরপর ওদের কথামতো ধর্মবোনকে ফোন করি। পরে ওর সঙ্গে কী হয়েছে কিছুই বলতে পারব না। আজ সকালে আমাকে ওরা একটি অটোরিকশায় তুলে দেয়। পরে ধর্মবোনের সঙ্গে দেখা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী দুজন থানায় এসে বিষয়টি জানায়। নারী গার্মেন্ট শ্রমিককে গণধর্ষণ ও যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। ভুক্তভোগী নারী শ্রমিককে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। আহত যুবককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক গার্মেন্ট শ্রমিককে তুলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাঁর ধর্মবোনকে ফোনে ডেকে নিয়ে দুই দিন ধরে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। গত বুধবার শ্রীপুর পৌরসভার ফখরুদ্দিন মোড়ের কোনো এক বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
যুবককে ব্যাপক নির্যাতনের পাশাপাশি তাঁর ধর্মবোনকে গণধর্ষণের পর মুক্তিপণের টাকা পেয়ে দুই দিন পর দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গণধর্ষণের শিকার নারীর (২৮) বাড়ি বরিশালে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার একটি গার্মেন্টে শ্রমিকের কাজ করেন। নির্যাতনের শিকার যুবকের (২৭) বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুরে। তিনি শ্রীপুরের মাধখলা গ্রামের এক বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি স্পিনিং মিলে চাকরি করেন।
ধর্ষণের শিকার নারী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে ধর্মভাই আমার মোবাইলে ফোন করে বলে, “আমাকে বাঁচাও, দ্রুত ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ফখরুদ্দিন মোড়ে আসো।” এরপর মোবাইল কেটে দেয়। ধারদেনা করে আমি ২৯ হাজার টাকা নিয়ে ফখরুদ্দিন মোড়ে যাই। কিছুক্ষণ পরে আবার ফোন আসে। অচেনা কণ্ঠে আমাকে অপেক্ষা করতে বলে। কিছুক্ষণ পর এক ছেলে এসে আমাকে নিয়ে যায় একটি বাড়িতে। সেখানে একটি ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় আমাকে ধমক দিতে থাকে।’
ওই নারী আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর আরেকজন লোক আসে, তাকে সবাই বড় ভাই বলে ডাকে। বড় ভাই আমাকে আঘাত করে বলে, টাকা কই? এরপর আমার সঙ্গে থাকা ব্যাগ কেড়ে নেয়। সঙ্গে থাকা ছেলেটিকে টাকা দিয়ে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আমি জানতে চাই আমার ভাই কই? তাকে এখন ছেড়ে দেন। কিন্তু সে কোনো কথা শোনেনি। এ সময় ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। এরপর রাতে আরেকজন আসে। সেও আমাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।’
নির্যাতনের শিকার নারী বলেন, ‘পরদিন আরও তিনজন আমাকে ধর্ষণ করে। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা আমার মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করে আজ সকাল ৯টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেয়। রাস্তায় এসে দেখি, আমার ধর্মভাই একটি অটোরিকশায় শুয়ে আছে। আমাকে অটোরিকশার কাছে দিয়ে তারা চলে যায়। এরপর অটোরিকশাচালকের মোবাইল দিয়ে স্বামীকে ফোন করলে তিনি এসে আমাদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে থানায় এসেছি। যে পাঁচজন আমাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছে, তাদের বয়স আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ বছর।’
এদিকে নির্যাতনের শিকার যুবক বলেন, ‘একই কারখানায় চাকরি করে ইয়াসিন নামের একজন। গত ৮ জানুয়ারি সকালে সে ফোন করে ফখরুদ্দিন মোড়ে যেতে বলে। আমি ফখরুদ্দিন মোড়ে গেলে ইয়াসিন আমাকে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। ঘরে আরও চারজন ছিল। একপর্যায়ে আমাকে মারধর শুরু করে। দ্রুত এক লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে। না হলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’
ওই যুবক বলেন, ‘তারা আমাকে দফায় দফায় মারধর করে গাঁজা-ইয়াবা খাওয়ায়। আবার মারধর করে। আমার শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আঘাত করেনি। অনেকবার অজ্ঞান হয়ে গেছি। মারধরের একপর্যায়ে তারা আমার বোনকে ফোন দিতে বলে। এরপর ওদের কথামতো ধর্মবোনকে ফোন করি। পরে ওর সঙ্গে কী হয়েছে কিছুই বলতে পারব না। আজ সকালে আমাকে ওরা একটি অটোরিকশায় তুলে দেয়। পরে ধর্মবোনের সঙ্গে দেখা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী দুজন থানায় এসে বিষয়টি জানায়। নারী গার্মেন্ট শ্রমিককে গণধর্ষণ ও যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। ভুক্তভোগী নারী শ্রমিককে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। আহত যুবককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পার্বত্য চট্টগ্রামের মুখপাত্র শাহাদাত ফরাজী সাকিবকে মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে।
৪ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে পিকআপের ধাক্কায় চালক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার নাটোর-পাবনা মহাসড়কের গড়মাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে..
৩৯ মিনিট আগেসাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মোনালিসা কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর ইস্কাটন রোডের একটি বাড়ি থেকে যুবলীগ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে...
৪২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মিরপুরের গোলচত্বর এলাকায় আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক এ নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে