Ajker Patrika

ঢাকায় যানজটে দৈনিক নষ্ট হচ্ছে ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা: ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকায় যানজটে দৈনিক নষ্ট হচ্ছে ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা: ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট

রাজধানীতে মাত্রাতিরিক্ত যানজটের কারণে দৈনিক ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট (ডব্লিউবিবি)।

সংগঠনটি বলছে, অপরিকল্পিত নগর পরিবহন ব্যবস্থার কারণে রাজধানী ঢাকা বিশ্বের অন্যতম যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে। এখনই যানজট হ্রাসে উদ্যোগ গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করলে তিন বছরের মধ্যে ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম দূর কর সম্ভব বলে মনে করে সংগঠনটি।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট আয়োজিত ‘যানজটের অভিশাপ থেকে পরিত্রাণে করণীয়’-শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে ঢাকায় গাড়ির গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। ঢাকায় যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা। অর্থমূল্যে যা দৈনিক প্রায় ১৩৯ কোটি এবং বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার অধিক। যানজটের এই সমস্যার জন্য শৃঙ্খলা না মেনে গাড়ি চালানো, রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ত সড়কে মেগা প্রকল্পগুলোর কালক্ষেপণ, ব্যক্তিগত গাড়ি নির্ভর পরিকল্পনা, দুর্বল ট্রাফিক সিগন্যাল ও মনিটরিং ব্যবস্থা, যানবাহন নিবন্ধনে অব্যবস্থাপনা, সার্বিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক পদ্ধতির অভাবসহ বেশ কিছু কারণ দায়ী।

আরেকটি প্রবন্ধে ট্রাফিক সিগনাল সিস্টেম গবেষক ও ট্রাফিকসের সিইও আশরাফুল আলম রতন বলেন, হাত-লাঠি নির্ভর সিগনাল সিস্টেম, সিগনালে যানবাহনের পারাপারের মধ্যে বিশৃঙ্খলা, যানজট সৃষ্টি হতে পারে এমন স্থানে গাড়ি পার্কিং করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, আইনের প্রতি সম্মান ও বাধ্য না থাকা, চালকের নিয়মিত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক না করার কারণে ঢাকা শহরের ট্রাফিক সিস্টেম অকার্যকর হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বনির্বাচনযোগ্য সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বা Customizable Integrated Traffic Management System (CITMS) প্রস্তাব করছি। এর মাধ্যমে সারা বছর ২৪ ঘণ্টা সিগন্যাল অপারেশন চলমান রাখা, গাড়ির গড় গতি ২৫-৩০ কিলোমিটারে ফিরিয়ে আনা, আইন ভঙ্গকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা, পথচারীদের যাতায়াতে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা, আন্তবিভাগীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন, দূষণকারী বাহন চিহ্নিত করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন সম্ভব হবে।’

ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থারও সংস্কার দরকার। যানজটের অভিশাপ থেকে মুক্তি দরকার। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল কোনো একটি টকশোতে বলেছিলেন, তাঁকে দায়িত্ব দিলে পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকার যানজট দূর করে দেবেন। এখনতো ওনারাই আমাদের এই দায়িত্বগুলোতে আছেন। আসলে ঢাকার যানজট দূর করতে তিন বছরই যথেষ্ট। এ জন্য প্রায়োরিটি ঠিক করে কাজ করতে হবে।’

যোগাযোগ ব্যবস্থা জনগণের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে জনগণের মতামত নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘জাপান-আমেরিকা করার প্রয়োজন নেই। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করি। তাহলে তিন বছরের মধ্যে ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম দূর করা সম্ভব। সে জন্য ঢাকার ওপর কন্ট্রোল আনতে হবে। ঢাকায় ৩ কোটি মানুষের পরিকল্পনা করে কয়েক বছর পরে ৬ কোটি মানুষ নিয়ে এলে সেটা হবে না। কিছু গণপরিবহন, কমিউটার ট্রেন নামাতে হবে।’

এ ছাড়াও গণপরিবহনের সিটি সার্ভিস এবং অন্যান্য সার্ভিসের জন্য পৃথক নীতিমালা, সহায়ক আইন প্রণয়ন; ট্রাফিকদের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘস্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ; দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প খরচে ট্রাফিক সিস্টেমের সমস্যার সমাধান; সড়ক পরিবহন আইনটি পূর্ণাঙ্গকরণ ও পরিবহন পরিকল্পনায় নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করেন অন্যান্য বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলন থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সমাধানে ফিটনেসহীন বাস অপসারণ, গণপরিবহনের মান উন্নয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্য পৃথক বাস প্রচলন, রাস্তায় একদিন জোড় এবং একদিন বেজোড় সংখ্যার ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ডিটিসিএ-এর মাধ্যমে সমন্বিত মনিটরিং কমিটি/টাস্কফোর্স কমিটি গঠন এবং নিয়মিত মনিটরিং করা, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, নগর পরিবহনের জন্য পৃথক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, সড়কে যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ করা, সায়েদাবাদ, গাবতলী এবং মহাখালী আন্ত টার্মিনাল সংযোগ তৈরি, নগরীর ট্রাফিক রুট পুনঃ বিন্যাস, সড়ক ব্যবস্থাপনায় অধিক গুরুত্বারোপ, প্রধান সড়ক থেকে ব্যাটারি চালিত রিকশা প্রত্যাহার, যানজট নিরসনে স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, বিআরটিসিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করে একক কোম্পানির মাধ্যমে নগরীর বাস পরিষেবা চালু করাসহ ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের কর্মসূচি প্রধান সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—আইনজীবী ও নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার আমিনুল ইসলাম সুজন, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের নির্বাহী সদস্য মারুফ হোসেন ও প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
নিহত এমরান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
নিহত এমরান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও হাটহাজারী ইটভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান চৌধুরী (৩৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বুড়িপুকুরপাড় মসজিদ-সংলগ্ন হাটহাজারী-নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরিফ নামের আরও একজন গুরুতর আহত হন।

দুই সন্তানের বাবা এমরান চৌধুরী ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চারিয়া সিকদারপাড়া মোয়াজ্জেম বাড়ির মৃত বাদশা সারাংয়ের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, গভীর রাতে এমরান চৌধুরী ও তাঁর বাড়ির মুছার ছেলে আরিফ বুড়িপুকুরপাড় এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পেছন দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির কাঠবোঝাই একটি চাঁদের গাড়ি তাঁদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে দুজনই ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। মোটরসাইকেলটিও চাঁদের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে।

আহত দুজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাটহাজারীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক এমরান চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আরিফকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কামাল ও চারিয়া এলাকার আবদুল মতিন রুবেল জানান, আরিফ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভাঙ্গায় মহাসড়কে মধ্যরাতে গাড়ির চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০২
গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাড়ির চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর কবরস্থানের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ ল-১১-৯২৫৭ নম্বরের মোটরসাইকেলটি ফরিদপুরের দিকে আসছিল। পথে কোনো একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই আরোহী সুমন (২৫) ও ইমন (২২) মারা যান। দুজনই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা।

গুরুতর আহত অবস্থায় অপর আরোহী আশিক মোল্লাকে (২২) পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেন।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি শনাক্তে কাজ চলছে। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রংপুরে ঘরের ভেতর মিলল মুক্তিযোদ্ধা দম্পতির রক্তাক্ত লাশ

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৬
খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোনাব্বর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোনাব্বর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তাঁরা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী দীপক চন্দ্র রায় জানান, তাঁর পরিবার ৪০-৫০ বছর ধরে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি দেখাশোনা করেন। তিনি প্রতিদিন সকালে কাজ করতে সেখানে যান। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের না হওয়ায় সন্দেহ হয়।

দীপক চন্দ্র রায় বলেন, ‘ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ডাকি। এরপর মই বেয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি ঘরে কেউ নেই। পরে ডাইনিং রুমের দরজা খুলে দেখি দাদুর রক্তাক্ত লাশ আর রান্না ঘরে দিদার লাশ পড়ে আছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, যোগেশ চন্দ্র রায় শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তাঁর দুই ছেলে। বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে শুধু স্বামী-স্ত্রী থাকতেন।

খবর পেয়ে পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোনাব্বর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

তারাগঞ্জ থানার এসআই মো. আবু ছাইয়ুম বলেন, ‘দুজনের মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্ত চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. মজনু (৪২)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে।

স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি পুরোপুরি থামার আগেই নামার চেষ্টা করলে মজনু পড়ে যান। এতে তাঁর মাথা ও দুই পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে স্টেশনের কর্মচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার (ইনচার্জ) আবু হান্নান বলেন, ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর খবর পান একজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি হাসপাতালে পৌঁছার এক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ রোববার সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত