ঢাবি সংবাদদাতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অন-ক্যাম্পাস চাকরি’ চালু করেছে পরিবেশবান্ধব সংগঠন ‘গ্রিন ফিউচার বাংলাদেশ’। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে চারটি বৈদ্যুতিক শাটল বাস এ কার্যক্রমেরই অংশ। প্রতিটি বাসে ১৪ জন যাত্রী পরিবহনের সুবিধা রয়েছে এবং ৩ ঘণ্টার শিফটে চারজন করে শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালন করছেন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
এর আগে, গত রমজান মাসে গ্রিন ফিউচার বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খালিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য ক্যাম্পাসের ছাত্রদের উৎপাদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা। এতে শিক্ষার্থীরা নিজের ক্যাম্পাসের সেবার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, একে সম্মানজনক পেশা হিসেবে নিচ্ছেন।’
খালিদ হোসেন জানান, তাঁদের কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ‘থ্রি-জিরো’ (দারিদ্র্য মুক্তি, বেকারত্ব মুক্তি, কার্বন নিঃসরণ শূন্য) ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ‘চুক্তিভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি ৩ ঘণ্টা অন-ক্যাম্পাস চাকরি’ মডেল চালু করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে শিক্ষা ও কর্ম-অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পান।
অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে শাটল বাসের চালকের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা তাঁদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতে পেশাদার চালকদের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের দিয়েই শাটল চালাতে চাই।’ বর্তমানে শাটলের ড্রাইভিংয়ে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত না করা হলেও আগ্রহীদের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
বৈদ্যুতিক বাসগুলো চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে এবং ‘ME’ কোম্পানির মাধ্যমে এলসি করা হয়েছে। একবার চার্জে সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম এ যানগুলো দিয়ে ৩ থেকে ৬ মাসের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা চলছে। এ সময়ের পর্যবেক্ষণে যদি পরিবেশ ও রাস্তাঘাট উপযোগী প্রমাণিত হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও ১০টি শাটল বাস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৩২০ জন শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ জন পূর্ণকালীন এবং ২৫০ জন খণ্ডকালীন ভিত্তিতে কাজ করছেন। চাকরির ধরন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত মাসিক বেতন—সাধারণ কর্মী ৮ হাজার, সমন্বয়কারী ১২ হাজার এবং নির্বাহী ১৫ হাজার টাকা। খণ্ডকালীন কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে ঘণ্টাভিত্তিক হারে।
খালিদ হোসেন বলেন, ‘বহির্বিশ্বে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যেভাবে অন-ক্যাম্পাস চাকরির মাধ্যমে উপকৃত হন, আমরাও চাই ঢাবির মতো প্রতিষ্ঠানে সে সুযোগ তৈরি করতে। ক্যাম্পাসভিত্তিক অর্থনীতি গঠনের পাশাপাশি এটি শিক্ষার্থীদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ও আত্মমর্যাদার জায়গা তৈরি করবে।’
গ্রিন ফিউচার বাংলাদেশ ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জানুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস, ক্লিন ক্যাম্পাস’ প্রকল্পের আওতায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য সেবামূলক কাজে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিটি শাটল বাসে থাকা চারজন কর্মী প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা করে কাজ করছেন। ভবিষ্যতে এ যানবাহনগুলো সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া সম্ভব হলে আরও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় রূপান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অন-ক্যাম্পাস চাকরি’ চালু করেছে পরিবেশবান্ধব সংগঠন ‘গ্রিন ফিউচার বাংলাদেশ’। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে চারটি বৈদ্যুতিক শাটল বাস এ কার্যক্রমেরই অংশ। প্রতিটি বাসে ১৪ জন যাত্রী পরিবহনের সুবিধা রয়েছে এবং ৩ ঘণ্টার শিফটে চারজন করে শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালন করছেন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
এর আগে, গত রমজান মাসে গ্রিন ফিউচার বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খালিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য ক্যাম্পাসের ছাত্রদের উৎপাদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা। এতে শিক্ষার্থীরা নিজের ক্যাম্পাসের সেবার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, একে সম্মানজনক পেশা হিসেবে নিচ্ছেন।’
খালিদ হোসেন জানান, তাঁদের কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ‘থ্রি-জিরো’ (দারিদ্র্য মুক্তি, বেকারত্ব মুক্তি, কার্বন নিঃসরণ শূন্য) ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ‘চুক্তিভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি ৩ ঘণ্টা অন-ক্যাম্পাস চাকরি’ মডেল চালু করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে শিক্ষা ও কর্ম-অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পান।
অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে শাটল বাসের চালকের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা তাঁদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতে পেশাদার চালকদের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের দিয়েই শাটল চালাতে চাই।’ বর্তমানে শাটলের ড্রাইভিংয়ে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত না করা হলেও আগ্রহীদের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
বৈদ্যুতিক বাসগুলো চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে এবং ‘ME’ কোম্পানির মাধ্যমে এলসি করা হয়েছে। একবার চার্জে সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম এ যানগুলো দিয়ে ৩ থেকে ৬ মাসের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা চলছে। এ সময়ের পর্যবেক্ষণে যদি পরিবেশ ও রাস্তাঘাট উপযোগী প্রমাণিত হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও ১০টি শাটল বাস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৩২০ জন শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ জন পূর্ণকালীন এবং ২৫০ জন খণ্ডকালীন ভিত্তিতে কাজ করছেন। চাকরির ধরন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত মাসিক বেতন—সাধারণ কর্মী ৮ হাজার, সমন্বয়কারী ১২ হাজার এবং নির্বাহী ১৫ হাজার টাকা। খণ্ডকালীন কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে ঘণ্টাভিত্তিক হারে।
খালিদ হোসেন বলেন, ‘বহির্বিশ্বে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা যেভাবে অন-ক্যাম্পাস চাকরির মাধ্যমে উপকৃত হন, আমরাও চাই ঢাবির মতো প্রতিষ্ঠানে সে সুযোগ তৈরি করতে। ক্যাম্পাসভিত্তিক অর্থনীতি গঠনের পাশাপাশি এটি শিক্ষার্থীদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ও আত্মমর্যাদার জায়গা তৈরি করবে।’
গ্রিন ফিউচার বাংলাদেশ ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জানুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গ্রিন ক্যাম্পাস, ক্লিন ক্যাম্পাস’ প্রকল্পের আওতায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য সেবামূলক কাজে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিটি শাটল বাসে থাকা চারজন কর্মী প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা করে কাজ করছেন। ভবিষ্যতে এ যানবাহনগুলো সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া সম্ভব হলে আরও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায় রূপান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে জহুরপুর বেলপাড়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বিজিবি সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু।
৬ মিনিট আগেভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
৪২ মিনিট আগে২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
১ ঘণ্টা আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
১ ঘণ্টা আগে