Ajker Patrika

৪২ কেজিতে মণ, আড়তদারেরা বলছেন এটাই নিয়ম

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০: ৪৫
৪২ কেজিতে মণ, আড়তদারেরা বলছেন এটাই নিয়ম

পেঁয়াজচাষিদের কাছ থেকে মণপ্রতি দুই কেজি বেশি নিচ্ছেন আড়তদারেরা। এভাবে ওজনে ঠকছেন রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার পেঁয়াজচাষিরা। দামেও ঠকানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন চাষিরা। তবে আড়তদারদের দাবি, ঘাটতি পোষাতে মণপ্রতি দুই কেজি করে বেশি নেওয়া হয়। 

পেঁয়াজ চাষে সমৃদ্ধ কালুখালী উপজেলা। এখানে উৎপাদিত পেঁয়াজ গুণমানেও ভালো। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কালুখালীর পেঁয়াজের। কালুখালীর রতনদিয়া বাজারের আড়তদারদের কাছে উপজেলার কৃষকেরা পেঁয়াজ বিক্রি করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে আড়তদারেরা কৃষকদের কাছ থেকে মণপ্রতি দুই থেকে তিন কেজি করে বেশি পেঁয়াজ নিচ্ছেন। 

কালুখালীর চাঁদপুর গ্রামের কৃষক কালাম শেখ জানান, তিনি পাঁচ মণ পেঁয়াজ বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যান। তাঁকে মণপ্রতি দুই কেজি করে বেশি দিতে হয়েছে। নইলে মহাজনেরা পেঁয়াজ কিনতে চান না। 

গঙ্গানন্দপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল জানান, ছয় মণ পেঁয়াজ নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন। মহাজনেরা দাম অনেক কম বলেন। এর ওপর মণপ্রতি তিন কেজি করে বেশি দিতে হবে। নইলে কিনবেন না। তাঁদের আর বিক্রির জায়গা নাই। তাই বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হচ্ছে।

কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রতনদিয়া বাজারের আড়তদার মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকার শ্যামবাজারে কালুখালীর পেঁয়াজ রপ্তানি করেন। সেখানে কালুখালীর পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। ওজনে বেশি নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা বেশি নেই না। কৃষকেরা খুশি হয়ে দেয়।’

জামাল ট্রেডার্সের মালিক জামাল হোসেন বলেন, ‘পেঁয়াজ পাঠানোর সময় অনেক ঘাটতি হয়। ঘাটতি পোষাতে দুই কেজি করে বেশি নেওয়া হয়।’

বেশি নেওয়ার কথা স্বীকার করেন আড়তদার জামিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজ ও রসুন মণপ্রতি দুই কেজি বেশি নেওয়ার নিয়ম কবে কীভাবে চালু হয়েছে তা জানা নেই। তবে এখন এটাই নিয়ম হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কালুখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নাইমুর রহমান বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। বর্তমানে তিনি ট্রেনিংয়ে রাজবাড়ীর বাইরে আছেন। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...