Ajker Patrika

ভোর হতেই ঢাবির হলগুলোর সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৪, ১০: ১৩
ভোর হতেই ঢাবির হলগুলোর সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আন্দোলন শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার ভোর হতেই ‘আমার ভাই নিহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। 

হল চত্বর এলাকায় দেখা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে স্লোগান দিয়ে বের হয়ে শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। তবে তারা নির্লিপ্ত ভূমিকায় রয়েছেন।

এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন হলকে সন্ত্রাসমুক্ত করছে। আপনারা কাজটি অব্যাহত রাখুন এবং সবাই সংঘবদ্ধ থাকুন। যদি কোথাও কোনো বাধা আসে, তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা মোকাবিলা করব। এখন থেকে হল পরিচালনা করবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।’

এর আগে গতকাল মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসেনসহ ১০ জন ছাত্রলীগ নেত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেন শিক্ষার্থীরা।

পরে ছাত্রলীগের নেত্রীরা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীনের কাছে আশ্রয় নেন। প্রাধ্যক্ষের বাংলোয় গিয়ে ‘রোকেয়া হল ছাত্রলীগ ও রাজনীতিমুক্ত করা হলো’ ঘোষণা সংবলিত স্বাক্ষরসহ লিখিত নেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৮টার মধ্যে ছাত্রলীগের নেত্রীদের হল ত্যাগের আল্টিমেটাম দেন ছাত্রীদের বাকি চার হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

হলের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকাপরে রাত ৩টার সময় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা হল শাখা ছাত্রলীগের চিহ্নিত নেতা-কর্মীদের হল থেকে বের করে দেন এবং তাঁদের কক্ষ ভাঙচুর করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হল গেটে এসে একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। 

সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হল থেকে চলে যান। শিক্ষার্থীরা তাঁদের কক্ষ ভাঙচুর করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।

এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পাঁচটি নির্দেশনা প্রদান করে বিজ্ঞপ্তি দেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম। 

নির্দেশনাগুলো হলো—শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে স্থায়ীভাবে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো; কোনো বহিরাগত হলে অবস্থান করতে পারবে না; শিক্ষার্থী কোনো প্রকার ক্ষতির (শারীরিক ও মৌখিক) সম্মুখীন হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে; প্রশাসনিকভাবে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সিট বণ্টনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং হলের সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

শুধু শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল নয়, মধ্যরাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলেও। 

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ভয়ে স্যার এ এফ রহমান হল, অমর একুশে হল, ফজলুল হক মুসলিম হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, বিজয় একাত্তর হল ও কবি জসীমউদ্‌দীন হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হল ছেড়ে চলে গেছেন বলে হলগুলোর একাধিক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। 

হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কক্ষ ভাঙচুরের পর জিনিসপত্র নিচে ফেলে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাশিক্ষার্থীদের এ অবস্থানের কারণে হল ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে অন্তত ২০ জন ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁরা জানান, শিক্ষার্থীরা যেভাবে অবস্থান নিচ্ছেন, যেকোনো সময় তাঁদের ওপর হামলা হতে পারে। এ কারণে তাঁরা আপাতত সরে গেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক শীর্ষ পদপ্রত্যাশী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফজরের পর হল ছেড়ে চলে আসছি। কী হয় জানি না।’ 

এ বিষয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলে আসলাম। এখন পর্যবেক্ষণ করতেছি। পরে আপডেট জানাব।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিঙ্গাপুর থেকে ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে ঢাকার পথে বিমান বিজি ৫৮৫

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (ঢাকার সময় বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ফ্লাইট বিজি ৫৮৫ উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানটি সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।

বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, মরদেহটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।

আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার জোহর নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ওসমান হাদির জানাজা হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিয়ের তিন বছরের মাথায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
হত্যায় অভিযুক্ত সাকিব মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
হত্যায় অভিযুক্ত সাকিব মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিয়ের তিন বছরের মাথায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত নারীর নাম ইভা (২০)। তিনি এক কন্যাসন্তানের জননী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ইভা ও সাকিব মিয়ার (২২) বিয়ে হয়। তাঁদের ছয় মাস বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ইভা বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সাকিব মিয়া শ্বশুরবাড়িতে যান। রাত ১১টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাকিব ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইভাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা ইভাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আগরপাট্টা গ্রামের বোরহান উদ্দিনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মরদেহ পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টায়: ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৮
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে নিয়মিত ফ্লাইটে হাদির মরদেহের কফিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।

দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়া হয়েছে।

পোস্টে জানানো হয়েছে, শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

পোস্টে আরও বলা হয়, ‘আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহীদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুমার নামাজের পর আরও উত্তাল শাহবাগ, বড় হচ্ছে জমায়েত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
হাদির হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল শাহবাগ চত্বর। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদির হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল শাহবাগ চত্বর। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ শাহবাগেই জুমার নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে আশপাশ থেকে আরও লোকজন সেখানে যোগ দিচ্ছে।

জমায়েত থেকে হাদির নামে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শায়িত করার দাবিও উঠেছে জমায়েত থেকে। হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত শাহবাগ না ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। রাতভর বিক্ষোভ চলে।

তবে শুক্রবার দুপুরের দিকে শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি বাতিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘জুম্মার নামাজের পর যেকোনো কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। গতকালের মতো ভাঙচুর ও নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে জুলাই বিরোধী শক্তিগুলোর। আমরা যেকোনো প্রকার ভায়োলেন্স ও নাশকতার বিরুদ্ধে।’

বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগ অভিমুখে যাচ্ছে খণ্ড খণ্ড মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগ অভিমুখে যাচ্ছে খণ্ড খণ্ড মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে বের হওয়া মিছিলগুলো শাহবাগ অভিমুখে রওনা হয়েছে। জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম থেকে বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত